ঢাকা ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

একাত্তরের কিশোর গেরিলা জামি

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
একাত্তরের কিশোর গেরিলা জামি
১৯৭১ সালের নভেম্বরে অপারেশনে যাওয়ার আগে সহযোদ্ধা জামি, টুনি, বাবলু, ইফু, ওমরদের সঙ্গে কমান্ডার বাচ্চু ভাই পরিকল্পনা করে নিচ্ছেন

তখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। তবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নানান আলামতে টের পাওয়া যাচ্ছিল, ভয়ংকর কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আগে থেকেই বুঝতে পেরে গড়ে উঠল ঢাকায় প্রথম গেরিলা গ্রুপ। দুর্ধর্ষ সেই গেরিলা গ্রুপে ছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। নাম তার জামি। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েছেন পাকিস্তানিদের হাতে, বন্দি ছিলেন দীর্ঘ সময়, ভোগ করেছেন অসহনীয় নির্যাতন, সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখী হয়েও একসময় মুক্তিও পেয়েছিলেন। আর মুক্তি পাওয়া মাত্রই দেশপ্রেমিক এই তরুণ ছুটলেন রণাঙ্গনে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন তপন দেবনাথ

ডাক নাম জামি। পুরো নাম জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ। পৈতৃক নিবাস বরিশাল মুসলিম গোরস্থান রোড। বাবা ছিলেন বরিশাল বিএম কলেজের বাংলার শিক্ষক রফিক। জামির জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি। বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন পাঠশালায় লেখাপড়া শুরু। তৃতীয় শ্রেণিতে এসে ভর্তি হলেন বিএম স্কুলে। ১০ বছর বয়সে বরিশাল থেকে চলে এলেন ঢাকায়। ভর্তি হলেন ঢাকার সেগুনবাগিচা স্কুলে। এই স্কুল থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর এইচএসসিতে ভর্তি হলেন ঢাকা কলেজে। আর ঢাকা কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময়ই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে, কিন্তু তার আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নানান কার্যকলাপে অনেকেই বুঝে ফেলেন, মুক্তিযুদ্ধ আসন্ন। আর এই বুঝতে পারা কিছু তরুণ ফেব্রুয়ারি মাসেই ঢাকায় গড়ে তুললেন দুর্ধর্ষ এক গেরিলা বাহিনী। এই দুর্ধর্ষ গেরিলা বাহিনীর এক সদস্য হলেন জামি।

১৯৭১ সালের নভেম্বরে অপারেশনে যাওয়ার আগে কমান্ডার বাচ্চুর সঙ্গে জামি

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার মাধ্যমে এ দেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের যে পরিকল্পনা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান, বাঙালিরা সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়নি। নানাভাবে বাঙালিরা এর প্রতিবাদ করে গেছে। জামি জানাচ্ছেন-
‘১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১। সকাল ১০টার সময় আমরা ৭-৮ জন মিলিত হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। আমাদের লক্ষ্য বি.এন.আর (Bureau of National Reconstruction) যেটা কার্জন হলের পূর্ব দিকে, সেখানে ডা. হাসানুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে আরবি হরফে বাংলা লেখার গবেষণা চলছে। আমি তখন ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের জবাবে বি.এন.আর ভবন আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয় এবং আমাদের মাতৃভাষার ওপর কোনো আঘাত আমরা সহ্য করব না বলে সিদ্ধান্ত নেই। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে সেটাই ছিল আমাদের চরম বার্তা। বেলা ১১টার দিকে আমরা ছয়জন কার্জন হলের সামনে দিয়ে হেঁটে রাস্তা পেরিয়ে বি.এন.আর ভবনে প্রবেশ করি। অভিযানের যিনি নেতৃত্বে ছিলেন তিনি বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা একসঙ্গে পেট্রোল এবং দেশি বোমা চার্জ করি। প্রচণ্ড শব্দে আটটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। পুরো ভবনে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। অপারেশন শেষে আমাদের মধ্যে খান নামে একজন বোমা বিস্ফোরণে ভীষণভাবে আহত হয়। তার সারা শরীরে রক্ত ঝরছিল। তোপখানা রোডের কোনায় বর্তমান বৈদেশিক মন্ত্রণালয়, প্রেস ক্লাবের উল্টো দিকে ছিল। সেখান থেকে অনেক পুলিশ দৌড়ে আসছে। তক্ষুনি আমি খানকে উঠিয়ে রাস্তার একটা রিকশা নিয়ে কার্জন হলের সীমানার মধ্যের রাস্তা ধরে শাহবাগের রাস্তা ধরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ছেলেমেয়ে অবাক বিস্ময়ে আমাদের দেখছিল। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এমন গেরিলা আক্রমণ হয়নি। শাহবাগের সামনে থেকে রিকশা বদলিয়ে বেবিট্যাক্সি নেই। আমি জানি হাসপাতালে গেলে বিপদ। তাই আমার নিজের এলাকা পল্টনে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে বলল। নিয়ে গেলাম সোজা হলিফ্যামিলি হাসপাতালে। স্ট্রেচারে করে খানকে যখন ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি ওই বেবিট্যাক্সিতে বের হচ্ছিলাম, পুলিশের জিপ তখন সেখানে ঢুকছিল।’

এরপর ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান সংসদ বাতিলের ঘোষণা দিলে সে রাতেই জামি, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুসহ কয়েকজন গেরিলা মিলে সচিবালয়ে বোমা চার্জ করে এক্সটেনশন ভবনের ছাদ গুঁড়িয়ে দেন। এরপর ৭ মার্চ, রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার না করায় সন্ধ্যায় জিপে করে রেডিও স্টেশনের ভেতরে বোমা ছোড়েন জামিরা। ২৭ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে সংগ্রহ করা আটটি রাইফেল, স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত চারটি বন্দুক নিয়ে জামি, শহীদ মানিক, নাসিরউদ্দিনে ইউসুফ বাচ্চু, আলী আফসার, নাট্যশিল্পী আসাদ, টুনিসহ গেরিলা গ্রুপটি বুড়িগঙ্গার ওপারে কোনাখোলায় ক্যাম্প স্থাপন করে। ১ এপ্রিল গানবোটের সাহায্যে এবং এয়াররেইড করে পাকিস্তান সৈন্যরা জামিদের ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে টিকতে না পেরে জামিরা দলের কিছু গেরিলাকে কলাতিয়া বাজারে রেখে ও অস্ত্র দিয়ে, মাত্র আটটি বন্দুক নিয়ে গভীর রাতে কার্ফুর মধ্যে ঢাকায় ফেরেন।

এপ্রিল মাসে টুনি ও আলী আফসারসহ মাদারীপুর যান জামি। মাদারীপুর সদর থেকে ১০-১২ মাইল দক্ষিণ-পূর্বের একটি গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য কৃষকদের সংগঠিত করেন। ২৪ এপ্রিল মাদারীপুর থেকে ঢাকায় রওনা দেন। একাত্তরের মে মাসে জামি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছেলে মিতু, আলী আফসার ও টুনি বঙ্গভবনের ভেতরে হাতবোমা ছুড়ে ঢাকা শহরে মারাত্মক আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এই আতঙ্ক সৃষ্টি করা ছিল কৌশল। যাতে পাকিস্তানিরা বাইরের বিশ্বকে দেশের ভিতরে চলা যুদ্ধাবস্থাকে আড়াল করতে না পারে। এরপর আজিমপুরের পাক আর্মি ট্রেনিং সেন্টারে বোমা চার্জ করেন জামি ও তার দল। ২৪ মে শান্তিকমিটির মিছিলে যে গাড়িতে চড়ে বোমা চার্জ করেন- যদিও সে বোমা বিস্ফোরিত হয়নি, তবে সেই গাড়ির চালক ধরা পড়ে যান পাকিস্তানিদের হাতে। সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু জামিসহ প্রায় সবার পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়। আত্মগোপনে চলে যান জামি।

এর মধ্যেই পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জামিদের বাড়িতে পুলিশ ও আর্মির হামলা হয়। জামিরা তখন থাকতেন শান্তিনগরে শিল্পাচার্জ জয়নুল আবেদিনের পাশের বাড়িতে। সেনাবাহিনীর ভয়ে মাত্র তিন দিনের নোটিসে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়িওয়ালা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বোন, সাত ও ১৪ বছর বয়সী দুই ভাই নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান জামির মা। জামির বড়ভাই মনিরুল ইসলাম মণি তখন বরিশালে আর মেজো ভাই মঈদুল ইসলাম চুনি তখন আগরতলার মেলাগড়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণরত ছিলেন।

জামিলের এক বন্ধু বাবুলের বাবা ছিলেন আনসারের কর্মকর্তা। বন্ধুর বাবার অফিসিয়াল পিস্তল গেরিলা যুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য বাবুলকে নিয়ে খিলগাঁও সরকারি কোয়ার্টারে যান জামি। কিন্তু গেট দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আর্মির হাতে ধরা পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বাবুল দৌড়ে পালিয়ে যান। জামি ও এমরান বন্দুকসহ পাকিস্তানি আর্মির হাতে ধরা পড়েন।

সেগুনবাগিচায় মিলিটারি পুলিশ ক্যাম্পে টানা পাঁচ দিন জানালার শিকের সঙ্গে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয় জামিকে। এর মধ্যে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জামিসহ ছয়জনকে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায়। রাতে ১১তম ইঞ্জিনিয়াঙের কোয়ার্টার গার্ডে সারা রাত নির্যাতনের পর সকালে বন্দিদের নিয়ে যাওয়া হয় জয়দেবপুর রাজবাড়িতে দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের পরিত্যক্ত আবাসস্থানের বন্দিশিবিরে। ওখানে প্রায় ২০০ বন্দি ছিল। কেমন ছিল সেই দিনগুলো?

জামি জানিয়েছেন-
‘প্রত্যেকি দিন সকালে কাজ করার জন্য বের করত, বাথরুমে নেওয়ার সময় ১০ জনের এক একটা লাইন দিতে হতো। তারপর ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে অথবা ডিগবাজি খেতে খেতে বাথরুমে যেতে হতো। যারা পিছিয়ে থাকত তাদের পিঠের ওপর লাঠির বাড়ি পড়ত।’

দুই মাস এরকম নির্যাতন শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামিকে ঢাকার ইন্টেলিজেন্সের হেড কোয়ার্টারে নিয়ে আসে মেজর সাইফুল্লা খান। জামি জানান- ‘এখানে টিফিন ক্যারিয়ারের হাতলসহ একটি বাটি সবার জন্য বরাদ্দ থাকত। ওরা এটাকে মিস্টিন বলত। এর মধ্যে দুপুরে এবং বিকেলে একটু জাউ ভাত এবং লবণ ছাড়া সেদ্ধ ধুন্দুল দিত। ওই বাটি নিয়েই বাথরুমে যেতে হতো। ওই উল্টিয়ে মাথার নিচে দিয়ে ঘুমাতে হতো। গুদামের মধ্যেই রাত্রিকালীন বাথরুম ছিল। নবাবপুর স্কুলের নির্মল মাস্টারকে দিয়ে পায়খানা-প্রশ্রাব পরিষ্কার করানো হতো। অত্যাচারে নির্মল স্যার পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।’

জামিসহ বন্দি ৩০ জনের কোর্ট মার্শাল শুরু হয়। বিচার শেষে জামিদের জেলে পাঠানো হয়। জেলে জামির সঙ্গে দেখা হয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ইকবাল আহমেদ, আগরতলার আসামি শামসুল হক, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে ধরে আনা হাজী মোর্শেদ, হামিদুল হক চৌধুরীর নাতি আরিফুর ইসলামসহ অসংখ্য দেশপ্রেমিকের।

ইয়াহিয়া খানের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার অভিনব কৌশল হিসেবে ২৫ অক্টোবর জেল থেকে বেশকিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। গেরিলা জামি মুক্তি পান। তবে শর্ত ছিল সপ্তাহে এক দিন আর্মি হেড কোয়ার্টারে হাজিরা দিতে হবে।

জেল থেকে বেরিয়েই গেরিলা যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জামি। এবং আবার গেরিলা দলে যোগ দিয়ে বিজয়ের আগ পর্যন্ত অনেকগুলো লড়াইয়ে অংশ নেন।

জাহ্নবী

আইপিএলে বৈভবের বাজিমাত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
আইপিএলে বৈভবের বাজিমাত
ছবি: সংগৃহীত

আইপিএল এর সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। এবছর আইপিএলে বৈভব খেলছেন রাজস্থান রয়্যালস দলের হয়ে। ইতিমধ্যেই আইপিএলে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন এই কিশোর তারকা ক্রিকেটার। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বৈভবের কথা অজানা নয়। চলো দেখে নেই এবারের আইপিএল এ তার চমকগুলো।

• আইপিএলে শুরুতে চমক দেখাতে বৈভব সূর্যবংশীর বয়সটাই যথেষ্ট। এখনো স্কুলের গন্ডি না পেরুনো বৈভবের বয়স মাত্র ১৪ বছর। আর তাতেই ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ আইপিএল প্লেয়ার হিসেবে রেকর্ড গড়ল সে। এর আগে এই টুর্নামেন্ট এর সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার ১৬ বছর বয়সী রয় বর্মণ।

• এক, দুই…তিন নম্বর ম্যাচেই মাঠ কাঁপিয়ে খেলার রেকর্ড করেছে বৈভব। মাত্র ৩৫ বলেই সেঞ্চুরি করেছে সে। আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এবার তার ঝুলিতে। এছাড়াও আইপিএলের সব ক্রিকেটারদের মধ্যেও দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বৈভব।

• বলা বাহুল্য আইপিএল এর সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানও এখন বৈভব। তবে শুধু মাত্র এই টুর্নামেন্টেই নয়। টি-টুয়েন্টি খেলার সবচেয়ে কম বয়সী সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম লিখিয়েছে এই টিনএজার প্লেয়ার।

• ১০১ রান করতে বৈভবের লেগেছে ১১ টি ছক্কা ও ৭ টি চার। একের পর এক ছক্কার খেলা দেখতে দেখতে অনেকটা হতম্ভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন এবারের আইপিএল এর বাঘা বাঘা খেলোয়াড়। শার্দুল ঠাকুরের বিপরীতে প্রথম বলেই ছক্কা মারে বৈভব। সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে প্রথম বলে ছক্কা মারার রেকর্ডটাও এবার তার ঝুলিতে।

• ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে এবার আইপিএল খেলছে এই কিশোর ক্রিকেটার। এছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের পক্ষ থেকে পেতে যাচ্ছে ১০ লাখ রুপি। কানাঘুষা চলছে বৈভবের খেলায় মুগ্ধ হয়ে রাজস্থান রয়্যালস এর মালিক  তাকে উপহার দিয়েছেন ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ বেঞ্জ।

 

আজ বিশ্ব ইচ্ছা দিবস

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আজ বিশ্ব ইচ্ছা দিবস

ইচ্ছা কিংবা স্বপ্ন নেই এমন মানুষ হয়তো পৃথিবীতে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মনের ভেতরের ইতিবাচক ইচ্ছাগুলোই আমাদের জীবনে গতি এনে দেয়। আর শিশু-কিশোরদের কল্পনাপ্রবণ উচ্ছ্বল মনের স্বপ্নের সীমানা যেন আকাশ পর্যন্ত। ২৯ এপ্রিল বিশ্ব ইচ্ছা দিবস। ‘মেক এ উইশ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয় বিশেষত শিশু-কিশোরদের জন্য। বিশেষ এই দিবসের শুরুও এক বালকের ইচ্ছা পূরণের মধ্য দিয়ে। চলো জেনে নেই এই দিবসের আদ্যোপান্ত।

২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ এপ্রিল পালন করা হয় বিশ্ব ইচ্ছা দিবস। তবে কিভাবে এই দিন উদযাপনের শুরু হল সেটি জানতে ফিরে যেতে হবে বছর তিরিশ পেছনের গল্পে। সময় ১৯৮০ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার বাসিন্দা ৭ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার জেমস গ্রিসিয়াস লড়াই করছিল দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধি লিউকেমিয়ার সঙ্গে। বড় হয়ে নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসেবে দেখতে চাইত গ্রিসিয়াস। কিন্তু শরীরে রোগ বাসা বাঁধায় তার বড় হয়ে উঠাই ছিল অনিশ্চিত। কোনো এক ভাবে গ্রিসিয়াসের ইচ্ছার কথা পৌঁছে যায় অ্যারিজেনোর পুলিশ বিভাগের কানে। তার স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে আসে অ্যারিজোনার পুলিশ বিভাগ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুরা। ১৯৮০ সালের ২৯ শে এপ্রিল এই দিনটির জন্য অ্যারিজেনোর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পায় গ্রিসিয়াস। সেদিন রোগাক্রান্ত গ্রিসিয়াসের মনের অফুরন্ত আনন্দ চোখ এড়ায়নি কারো। তার মতোই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের মনের ইচ্ছা পূরণের মধ্য দিয়ে তাদের মনে সাহস আনন্দ বাড়াতে এক হতে থাকে চিকিতসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মানুষ। এই থেকেই গড়ে উঠে শিশু-কিশোরদের ইচ্ছা পূরণের আমেরিকান অলাভজনক সংগঠন ‘মেক এ উইশ।’ 

এখন পর্যন্ত ‘মেক এ উইশ’ এর উদ্যোগে পূরণ হয়েছে বিভিন্ন দেশের ৫ লক্ষ্য দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের ছোট-বড় স্বপ্ন। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই নয়। বিশ্বের ৪৫ টি দেশে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। শিশু-কিশোরদের মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষাগুলোই তাদের শক্তির উৎস। তাদের স্বপ্ন ও ইচ্ছাকে উদযাপন করতেই গ্রিসিয়াস এর পুলিশ অফিসার হবার দিনটিকে কেন্দ্র করে সংস্থাটি ২৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্ব ইচ্ছা দিবস। স্বপ্ন আর ইচ্ছা শক্তির মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোররা আনন্দে বাঁচুক এটাই আজকের দিনের কামনা।

 

 

 

টিন ফ্যাক্ট

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
টিন ফ্যাক্ট
ছবি: সংগৃহীত
  • টিনএজ মন মানেই অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বেশি আগ্রহী থাকে টিনএজাররা বিপদের আশঙ্কার চেয়ে এর মধ্য দিয়ে তারা বেশি আনন্দই খুঁজে পায়
  • টিনএজাররা স্বভাবতই আবেগপ্রবণ তবে সময় মস্তিষ্ক যুক্তিনির্ভর চিন্তার জন্য খুব একটা প্রস্তুত থাকে না তাই মনকে মস্তিষ্ক দিয়ে পড়তে অনেকটাই অপারগ তারা
  • শুধু শৈশবেই নয় কৈশোরেও বাবা-মা পরিবারের সংস্পর্শ গুরুত্বপূর্ণ দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব থাকলে ওই কিশোর-কিশোরীদের বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা মাদকাসক্তির হার বেশি থাকে
  • মানুষের জীবনের প্রায় ৫০ ভাগ মানসিক অসুস্থতাই শুরু হয় টিনএজ বয়স থেকে তাই সময় মানসিক বিকাশে প্রয়োজন বড়দের সহযোগিতা, সুস্থ পরিবেশ বিশেষ যত্ন
  • অন্যান্য বয়সী মানুষের তুলনায় টিনএজারদের সিনেমা, টিভি সিরিজ-জাতীয় বিনোদনে আসক্তি বেশি পর্দার সুপার হিরো বা চরিত্রদের নিয়ে আগ্রহ, ভালোবাসাও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ সুনির্দিষ্ট শারীরিক গড়ন ধরে রাখা বেশির ভাগ কিশোর-কিশোরীর কাছেই এখন সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪৪ ভাগ কিশোরী ১২ ভাগ কিশোর টিনএজ বয়সে নিজেদের ওজন কমাতে চায়
  • আবার টিনএজ বয়সে পেশি গঠন নিয়ে ছেলেদের মধ্যে দেখা যায় বাড়তি আগ্রহ প্রায় ৪০ ভাগ কিশোর বয়সে পেশি বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা করে
  • কিশোরদের তুলনায় বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে বেশি হীনম্মন্যতায় ভুগতে দেখা যায় কিশোরীদের গবেষণা জানায়, প্রতি ১০ জনে জন কিশোরীই তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে অসন্তুষ্ট

উদ্যোক্তা যখন টিনএজার

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
উদ্যোক্তা যখন টিনএজার

সফলতার পথে বয়স কোনো বাধা নয় নানা সময় নানা দেশে কথা প্রমাণ করেছে অনেক টিনএজার বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এমন কয়েকজন টিনএজার উদ্যোক্তার কথা জেনে নাও আজকের লেখায়।

ড্যানি ড্যারেনবার্গ

যুক্তরাজ্যের টিনএজার ১৭ বছর বয়সী ড্যানি ড্যারেনবার্গডগ অ্যাডভাইজরসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা একদিন পথ চলতে চলতে ড্যানির বন্ধু জানায় সে রাস্তায় একটি কুকুর ছানা কুড়িয়ে পেয়েছে কুকুরটি সঙ্গে তুলে আনলেও কীভাবে তার যত্ন করবে বুঝে উঠতে পারছে না বন্ধুর এমন প্রশ্নে ড্যানির মাথায় আসে যারা নতুন নতুন কুকুর পালছেন তাদের অনেকেই হয়তো বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কীভাবে যত্ন নেবেন অনেক সময় মালিকের অজ্ঞতার কারণে ছোটখাটো অসুখে অকালে প্রাণ হারাতে দেখা যায় অনেক কুকুরকে তাই মানুষের চারপেয়ে এই বন্ধুর জন্য ড্যানি শুরু করেন কুকুরের লালন-পালন সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট তৈরির পর থেকে ডগ অ্যাডভাইজার কুকুরের যত্ন, লালন-পালন নিয়ে ১০০টিরও বেশি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ডগ অ্যাডভাইজরের সাপ্তাহিক পাঠক ছাড়িয়েছে হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ছাড়া তার উদ্যোগে তৈরি একটি এআই চ্যাটবট কুকুর মালিকদের জন্য তাৎক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকে ২০২৪ সালে ডগ অ্যাডভাইজর সর্বাধিক পোষ্য পণ্য বিভাগে ইউকে বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে

আলফোনস কোলম্যান

১৪ বছর বয়সী আলফোনস কোলম্যানের যাত্রা শুরু হয় স্কুল কার্যক্রম থেকে স্কুল প্রজেক্ট হিসেবে কোলম্যান তৈরি করেছিলেন পরিবেশবান্ধব মোমবাতি নারকেল থেকে তৈরি মোমবাতিগুলো পরবর্তী সময়ে বিক্রি করেন হাজার ইউরো মূল্যে কোলম্যান বলেন, মোমবাতি নিয়ে তার মা বেশ শৌখিন তার মা সব সময় সাশ্রয়ী, সুন্দর ঘ্রাণযুক্ত মোমবাতি খুঁজতেন মায়ের সহযোগিতায় প্রাকৃতিক পণ্য দিয়ে তিনি এমন মোমবাতি তৈরি করে ফেলেন যেগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির জন্য কোলম্যান ১৪ বছর বয়সেই উদ্যোক্তা বৃত্তি পায় কিশোর এই উদ্যোক্তা মনে করে, কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য বুড়ো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নেই বরং আপনার যা আছে তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যান

 

জাচ ইয়াদেগারি

প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রতি জাচের ছিল ছোটবেলা থেকেই আলাদা ভালোবাসা মাত্র সাত বছর বয়সেই কোডিং আয়ত্ত করে ফেলেন জাচ কোডিং শেখার কিছু সময় পর যাচ তৈরি করে ফেলেন টোটালি সায়েন্স নামে একটি গেমিং ওয়েবসাইট কৈশোরের শুরুতেই চড়া মূল্যে নিজের গেমিং ওয়েবসাইট বিক্রি করেন জাচ ১৭ বছর বয়সে জাচ সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তৈরি করেন পুষ্টি ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন ক্যাল এআই মাত্র ১০ মাসের ভেতর তার এআই অ্যাপ্লিকেশনটি . মিলিয়ন ডাউনলোড এবং বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করে

 

 

জোসেপ সিতাম

১৯ বছর বয়সী জোসেপ সিতাম পুরুষদের জনপ্রিয় ফ্যাশন অনুষঙ্গ গহনা বিক্রির -কমার্স প্রতিষ্ঠান আইসকার্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন, ব্র্যান্ডিং নিয়ে আলাদা আগ্রহ ছিল জোসেপের সেই আগ্রহ কাজে লাগিয়ে ছয় বছর ধরে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানেই -কমার্স ব্র্যান্ড বর্তমানে আইসকার্টেলের বাৎসরিক আয় ছয় অঙ্কের রাজস্বে পৌঁছেছে জোসেপ মনে করেন, ব্র্যান্ডিং মোটেই সহজ কাজ নয় তবে সৃজনশীল পণ্য, ভোক্তাদের মন সমসাময়িক বাজার বুঝতে পারলে সফলতা অনেকটা সহজেই
ধরা দেয়

 

ত্বক সুন্দর রাখতে

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
ত্বক সুন্দর রাখতে
মডেল: ফারিয়া ছবি: আদিব আহমেদ

নিজেকে সুন্দর দেখতে কে না চায়! সময়টা যখন কৈশোর সেই চাওয়া যেন আরেকটু বেশি। টিনএজাররা তো সাদাসিধাভাবেই সুন্দর। এই বয়সে অতিরিক্ত সাজগোজ না করতেই পরামর্শ দেন সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা। বরং পরিমিত খাবার গ্রহণ, শরীরের সুস্থতা আর ত্বকের যত্ন ধরে রাখলেই টিনএজারদের বেশ প্রাণবন্ত দেখায়।

ত্বকের ধরন জেনে নাও

টিনএজ বয়স হলো নিজেকে জানা ও বোঝার সময়। নিজের অনুভূতি, দক্ষতা সম্পর্কে বুঝে ওঠার পাশাপাশি এ সময় থেকে সচেতন হয়ে ওঠে নিজের শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও। এ সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে টিনএজ ত্বক কখনো শুষ্ক, কখনো তৈলাক্ত আবার কখনোবা মাঝামাঝি হয়। তাই ত্বকের আসল ধরন কোনটি বোঝা দায়! তবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে এর ধরন বুঝেই। তাই সুন্দর থাকতে প্রথম ধাপ তোমার ত্বকের ধরন কেমন নিশ্চিত হওয়া। এর জন্য প্রথমে ডাবল ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে মুখ ধুয়ে হালকাভাবে মুছে নাও। এরপর ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করো। এই অবস্থায় ত্বকের ধরন যেমন দেখতে পাও এটিই তোমার ত্বকের বৈশিষ্ট্য। ত্বকের ধরন বুঝেই ক্রিম ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করো।

মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকো

টিনএজ বয়সে মুখে ব্রণ কিংবা দাগ হওয়া স্বাভাবিক। অনেককেই আনমনে ব্রণ ও দাগের ওপর খোঁচাতে দেখা যায়। ত্বকের জন্য এটি ক্ষতিকর। এতে দাগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ে। আবার কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই মুখে হাত দেয়। এতে আঙুলের মাধ্যমে জীবাণু মুখের ত্বকে প্রবেশ করে। তাই টিনএজ বয়সে এমন অভ্যাস থাকলেও বিরত থাকার চেষ্টা করো।

হাইড্রেটেড থাকো

সুস্থ ও সুন্দর ত্বক মানেই যেন হাইড্রেটেড ত্বক। তবে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন নেই। এর জন্য নিয়মিত ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করো। পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত যেকোনো একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে পার। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে পাতলা ঘনত্বের ক্রিম বেছে নাও।

সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করো

পরিবারের বড় সদস্যদের মতো টিনএজ সদস্যদেরও প্রায় নিয়মিত বাইরে চলাফেরা করতে হয়। সূর্যের অতিবেগুনি আলোক রশ্মি কিন্তু সব বয়সী মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। তাই কৈশোর কাল থেকে বাইরে বের হওয়ার আগে নিয়মিত সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করো। এতে ত্বকের স্বাভাবিক রং ও কমনীয়তা প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়েও নষ্ট হবে না। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ এসপিএফ মাত্রার ক্রিম ব্যবহার করতে পারো। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে উন্মুক্ত ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবে।

মেকআপ ব্যবহারে সচেতন হও

প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় টিনএজ ত্বক অনেকটাই অপরিপক্ব। তাই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ ও মেকআপ সরঞ্জাম অনেক সময় টিনএজ ত্বক রুক্ষ করে তোলে। বাজারে টিনএজারদের উপযোগী বিভিন্ন নন-টক্সিক মেকআপ সরঞ্জাম পাওয়া যায়। তাই নিজের বয়স অনুযায়ী মেকআপ সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করো। নিজেকে ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে মেকআপের প্রতি টিনএজারদের ঝোঁকই বেশি। মেকআপ করাই যে টিনএজ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এমনটাও নয়। তবে এ বয়সে ত্বককে সুরক্ষা দিতে বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া নিয়মিত মেকআপ এড়িয়ে চলো।