ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ পিএম
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক
সুমাইয়া ইউশাহ ও শিরিন আবু আকলেহ

ওর বয়স মাত্র এগার বছর। ফিলিস্তিনি শিশু। নাম সুমাইয়া ইউশাহ। খবর সংগ্রহ করার জন্য হাতে বুম নিয়ে ছোটাছুটি করছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায়। ভাবা যায়!

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের একতরফা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্র। তবু ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই নিহত হচ্ছেন ফিলিস্তিনি শিশু থেকে শুরু করে নানান বয়সী মানুষ। আর যারা জীবিত আছেন, তারাও ইসরায়েলের অমানবিক আচরণের শিকার। খাবার, পানি, চিকিৎসাসহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো পর্যন্ত হরণ করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ থেকে পাঠানো ত্রানবহরেও বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি বর্বরতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যুমুখে পড়েছেন ১২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক। তেমনি এক সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ। যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন। এই শিরিনকে দেখেই সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা পায় সুমাইয়া। প্রতিদিন গাজার মানুষের দুর্দশার খবর জানাচ্ছে সুমাইয়া। গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর নজর কেড়েছে সুমাইয়া। সম্প্রতি আল জাজিরা তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। ওই সাক্ষাৎকারে সুমাইয়া জানায়, ‘যুদ্ধের আগেও আমি সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। বিশ্বের সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইতাম। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ আমার রোল মডেল। আমি নিজেকে তার মতো করে বিশ্বের সামনে প্রমাণ করতে চাই।’

কিন্তু ইসরায়েলি বোমা হামলায় তো সুমাইয়ার ভয় পাওয়ার কথা। সে বিষয়ে সুমাইয়া জানায়, ‘আমি বাইরে গেলে মা-বাবাকে বলে যাই। আমি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখি। আমি জানি যে আসা-যাওয়া বা রিপোর্টিংয়ের সময়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হতে পারি।’ তবে সুমাইয়া এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় শিশুদের জন্য আরো বেশি মানবিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি জানায় সে।
ইসরায়েল যতই হামলা চালাক, তবু দমে যেতে রাজি নয় সুমাইয়া। চরম হামলা ও গণহত্যার মধ্যেও সে বিশ্ববাসীকে ইসরায়েলের বর্ববরতার  খবর জানাতে দৃঢ় সংকল্প। আর এই সংকল্পের কারণে শান্তিকামী বিশ্ববাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে সে।

জাহ্নবী

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আমরা আঁকি

দেবনীল চেীধুরী
কেজি ওয়ানৎ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরি
পাঠানটুলা, সিলেট।
/আবরার জাহিন

 

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আমরা আঁকি

নাজিবাহ ইবনাত প্রান্তি
নবম শ্রেণি 
আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

/আবরার জাহিন

নীল সাগরের তিমি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
নীল সাগরের তিমি

ইউরোপের একটি ছবির মতো সুন্দর দেশ নরওয়ে। মানুষগুলো ছিমছাম, নির্ভেজাল ও হাসিখুশি। নরওয়ের রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূল। এ দেশের অনেক মানুষ তাই মাছ ধরে। এজন্য নরওয়েকে জেলেদের দেশ বলা হয়।

নরওয়ের খোলা সাগরে ভেসে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে তিমির দল। মাঝে মাঝে উপকূলে ঢু দিয়ে যায়। তারা সমুদ্রে খেলা করে। অবাক করার মতো হলেও এটা সত্যি যে, তারা গানও গায়। সে গান অন্য তিমিরাও শুনতে পায় বহু বহু  দূর থেকে। বিজ্ঞানীরা তো এ-কথাও বলেন যে, তিমিদের নিজস্ব ভাষাও আছে। তারা সে ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাও বলে। আর যখন তখন সমুদ্রের বুকে ডিগবাজি খায়। 9তিমিরা দল বেঁধে চলে। অবাক করার মতো কথা হলো, তাদের পরিবারও আছে। মা তিমি তার সন্তানকে পনেরো বছর পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তার পর ছেড়ে দেয় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য।

তো আমাদের এ গল্পের তিমি শিশুটির নাম অ্যাবে। তার মা সিলোনি তাকে খুব আদর করত। খুব ভালোবাসত। কিন্তু যখন অ্যাবের বয়স পনেরো হয়ে গেল, তখন তার মা সিলোনি তাকে স্বাধীন করে দিল। সত্যি সত্যিই, সিলোনি এটা চায়নি। কিন্তু সমাজের নিয়ম বলে কথা! তাই ছেলেকে না ছেড়ে তার উপায় ছিল না। অ্যাবে কয়েকদিন কান্না করতে করতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াল। ধীরে ধীরে সমুদ্রের নানা রকম মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ভেসে বেড়িয়ে, গল্প করে তার সময় ভালোই কাটতে লাগল। ভালো লাগল সমুদ্রের প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করতে। এমনি করতে করতে একদিন একটা রে-ফিসের সঙ্গে সাঁতরাতে সাঁতরাতে সে চলে এল নরওয়ের সমুদ্র উপকূলের খুব কাছে। সেখানে নরওয়ের রাজা হ্যানসনের রাজকীয় জাহাজ এমভি মার্টিনা নোঙর করা ছিল। রাজা এই জাহাজে চড়ে তার ভীষণ অসুস্থ ছেলে হ্যানসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করাতে।

জাহাজটি এক সপ্তাহের মধ্যেই রওনা হবে। ছোট্ট তিমি অ্যাবে আগে কখনো জাহাজ দেখেনি। সে বিস্মিত হলো। আনন্দে সে বড় করে দম নিয়ে সমুদ্রে ডুব দিল, একটু পরেই ভুস করে ভেসে উঠে আকাশের দিকে লাফ দিল পানি ছিটাতে ছিটাতে। তখন অ্যাবেকে মনে হচ্ছিল একটা উড়ন্ত পানির ফোয়ারা। রাজপুত্র হ্যানসন তখন জাহাজের খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিল। খালাসিরা ছোটাছুটি করে জাহাজে প্রয়োজনীয় মালপত্র ওঠাচ্ছিল। হ্যানসন তিমিটাকে দেখে ফেলল আর ওকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে তিমিটার উদ্দেশে গান গেয়ে উঠল। গানটা কিন্তু ছোট্ট তিমি অ্যাবের খুব ভালো লাগল। সে প্রতিদিন রাজপুত্র হ্যানসনের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল।

একদিন রাজার সেনাপতি রবরয় তিমিটিকে দেখে ফেলল। সে হারপুন গান দিয়ে তিমিটির দিকে গুলি ছুড়ল। ছোট্ট তিমির চারপাশে রক্তে লাল হয়ে গেল পানি। ধীরে ধীরে সে সমুদ্রে তলিয়ে গেল। রাজপুত্র হ্যানসন ডেক থেকে সবকিছু দেখে চিৎকার করে সমুদ্রে দিল ঝাঁপ। সে সাঁতার জানত না, তাই সেও সমুদ্রে তলিয়ে গেল।

সমুদ্রে স্কুবা ডাইভার পাঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাজপুত্রকে আর পাওয়া গেল না। শোনা যায় আজও নরওয়ের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তখন তারা কখনো কখনো রাজপুত্রের করুন কণ্ঠের গান শোনে। জেলেদের মন তখন রাজপুত্রের কথা ভেবে বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিঝরা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিঝরা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

মেঘ গুরগুর ডাকছে দেয়া
আকাশ কালো করে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার ডানায় চড়ে
নামল বৃষ্টি জোরে।
তা-ধিন তা-ধিন সোনাব্যাঙে
নাচছে খালে বিলে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাঙা সুরেই
ডাকছে সবাই মিলে।
শিশু-কিশোর উঠোনজুড়ে
করছে লুটোপুটি,
কেউবা বিলে বড়শি পেতে
ধরছে ট্যাংরা পুঁটি।
কদম ফুলের পাপড়ি মেলে
বর্ষা ওঠে হেসে,
নদী-নালা পায় ফিরে প্রাণ
রূপসী বাংলাদেশে।

বাদলা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
বাদলা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে 
ভরেছে ওই ঝিল,
শব্দ ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ 
নদী ও খালবিল!

জলের নাচন দেখবে খোকন 
ভাল্লাগে না ঘরে,
টইটম্বুর ডোবা পুকুর
জল থইথই করে!

বাদলা দিনে করতে মানা
এমন ছোটাছুটি,
ওই দেখো মা জলে ভাসে 
টেংরা, বেলে, পুঁটি!

শুনব না আজ কোনো বাধা 
ধরব মাগুর কই,
ধুম পড়েছে বিলের মাঝে
মাছ ধরার হইচই!