![গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক](uploads/2024/03/08/1709878372.a4.jpg)
ওর বয়স মাত্র এগার বছর। ফিলিস্তিনি শিশু। নাম সুমাইয়া ইউশাহ। খবর সংগ্রহ করার জন্য হাতে বুম নিয়ে ছোটাছুটি করছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায়। ভাবা যায়!
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের একতরফা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্র। তবু ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই নিহত হচ্ছেন ফিলিস্তিনি শিশু থেকে শুরু করে নানান বয়সী মানুষ। আর যারা জীবিত আছেন, তারাও ইসরায়েলের অমানবিক আচরণের শিকার। খাবার, পানি, চিকিৎসাসহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো পর্যন্ত হরণ করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ থেকে পাঠানো ত্রানবহরেও বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বর্বরতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যুমুখে পড়েছেন ১২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক। তেমনি এক সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ। যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন। এই শিরিনকে দেখেই সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা পায় সুমাইয়া। প্রতিদিন গাজার মানুষের দুর্দশার খবর জানাচ্ছে সুমাইয়া। গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর নজর কেড়েছে সুমাইয়া। সম্প্রতি আল জাজিরা তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। ওই সাক্ষাৎকারে সুমাইয়া জানায়, ‘যুদ্ধের আগেও আমি সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। বিশ্বের সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইতাম। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ আমার রোল মডেল। আমি নিজেকে তার মতো করে বিশ্বের সামনে প্রমাণ করতে চাই।’
কিন্তু ইসরায়েলি বোমা হামলায় তো সুমাইয়ার ভয় পাওয়ার কথা। সে বিষয়ে সুমাইয়া জানায়, ‘আমি বাইরে গেলে মা-বাবাকে বলে যাই। আমি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখি। আমি জানি যে আসা-যাওয়া বা রিপোর্টিংয়ের সময়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হতে পারি।’ তবে সুমাইয়া এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় শিশুদের জন্য আরো বেশি মানবিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি জানায় সে।
ইসরায়েল যতই হামলা চালাক, তবু দমে যেতে রাজি নয় সুমাইয়া। চরম হামলা ও গণহত্যার মধ্যেও সে বিশ্ববাসীকে ইসরায়েলের বর্ববরতার খবর জানাতে দৃঢ় সংকল্প। আর এই সংকল্পের কারণে শান্তিকামী বিশ্ববাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে সে।
জাহ্নবী