অর্ধডজন মামলায় জামিন পেলেন গয়েশ্বর । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

অর্ধডজন মামলায় জামিন পেলেন গয়েশ্বর

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
অর্ধডজন মামলায় জামিন পেলেন গয়েশ্বর
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : সংগৃহীত

অর্ধডজন মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় করা এসব মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি জামিন পান।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়। রাজধানীর পল্টন থানার চারটি ও রমনা থানার দুটি মামলা মিলে মোট এই ছয় মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন গয়েশ্বর। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আরাভ খানের মামলায় তদন্তকারীর জেরা ২৩ মে

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
আরাভ খানের মামলায় তদন্তকারীর জেরা ২৩ মে
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমানের জেরার জন্য আগামী ২৩ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এদিন তার জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আরাভ খান ছাড়া এ মামলার অন্য সাত আসামি হলেন সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তাদের মধ্যে আরাভ ও কেয়া পলাতক।

প্রসঙ্গত, পুলিশ পরিদর্শক মামুন ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন। এর তিন দিন পর তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ২ এভিপি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ২ এভিপি
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। ছবি : সংগৃহীত

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) মো. হাবিবুর রহমান ও কাজী জাহিদ হাসান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে এই জামিন আবেদন করেন তারা। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলাটিতে ৫ আসামির মধ্যে অপর ৩ আসামি হলেন- ব্যাংকটির সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক নবী-উস-সেলিম, প্যাট্রিক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঋণগ্রহীতা কাজী ফরহাদ হোসেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে চলতি বছরে গত ১৮ জানুয়ারি কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, প্যাট্রিক ফ্যাশনস লিমিটেডের নামে এসব অর্থ আত্মসাৎ হয়। ঋণ মঞ্জুরিপত্র ছাড়াই মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং অন্যান্য ঋণ সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ করে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৫ টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা। সেই সঙ্গে এ ঋণের সুদ বাবদ ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করে ব্যাংকের ক্ষতি করা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
ছবি : সংগৃহীত

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাল মৃত্যুসনদ তৈরি ও মানব পাচার আইনের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ আদেশ দেন।

আদালতের মিরপুর মডেল থানার (নারী ও শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মানব পাচার আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এ আবেদন করেন। আদালতে মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুস ছালাম শিকদার জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যুসনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় ২ মে মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদের পাহাড় : অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদের পাহাড় : অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে টাকা সরিয়ে সেখানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গসহ বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে। অথচ দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নিশ্চুপ।

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে। এতে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বেশ কাছে উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের আবাসিক এলাকার একটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। সেখানকার একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এ ধরনের বাড়ির মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার, বর্তমানে যার দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। ২০২২ সালে বাড়িটি কিনেছেন বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা গড়ে তুলেছে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত সাইফুজ্জামানের সাম্রাজ্য। তার প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশই নতুন অবস্থায় কেনা হয়েছে।

সন্তানদের নিয়ে ১৩ জুলাই আদালতে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
সন্তানদের নিয়ে ১৩ জুলাই আদালতে হাজিরের নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত

জাপানি মা ও বাঙালি বাবার নিজ নিজ হেফাজতে সন্তানদের রাখার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে আদালতকে না জানিয়ে বড় মেয়েকে নিয়ে মা জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো বাংলাদেশ ছেড়ে নিজ দেশে গেছেন। এ ঘটনায় এরিকোর বিরুদ্ধে বাঙালি বাবা ইমরান শরীফ আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন। উভয় পক্ষের মামলা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি আগামী ১৩ জুলাই নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই দিন মেয়েকে নিয়ে এরিকো নাকানোকেও আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

এই দম্পতির তিন মেয়ে। দাম্পত্য কলহের জেরে মেয়েদের পূর্ণ হেফাজত চেয়ে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে বড় ও ছোট মেয়েকে মায়ের কাছে এবং মেজো মেয়েকে বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে শিশুদের বাবা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদন নাকচ করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে বলা হয়, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত মেজো মেয়েটি তার বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। বড় ও ছোট মেয়ে থাকবে মা এরিকো নাকানোর কাছে। উভয় পক্ষেরই (শিশুদের বাবা ও মা) সন্তানদের দেখার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানের সঙ্গে মা-বাবা দেখা করতে পারবেন। আর এটি করতে ইমরান শরীফ এবং এরিকো নাকানোর একে অপরকে অনুমতি দেওয়া দায়িত্ব।

হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান শরীফ ও এরিকো উভয়ই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এ দুটি আবেদন বিচারাধীন অবস্থায় এরিকো গত ১৫ এপ্রিল বড় মেয়েকে নিয়ে জাপান চলে যান। ফলে এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ইমরান শরীফ। এরপর দুই দফা তারিখ পরিবর্তন হয়ে আগামী ১৩ জুলাই শুনানি ধার্য করলেন আপিল বিভাগ।

আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির এবং ইমরান শরীফের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম।