ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

মাগুরার শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
মাগুরার শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বোন ও পরিবারের সদস্যদের জবাবদিহিমূলক সাক্ষাতের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে এসব ভিডিও অপসারণ চেয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়। এতে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশ কিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধানিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। 

আদালত এ সময় মন্তব্য করেন, ‘শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪ ধারা অমান্যে যে শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। তাই আদালত তার অপর আদেশে ভুক্তভোগী শিশু ও তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ জন্য ঢাকা ও মাগুরা জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে আদেশ দেওয়া হয়।’

‘অথচ আইনের বিধিনিষেধ এবং হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও যশোরের এক নারী বাইকার কর্তৃক পরিচালিত ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিমূলক ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিও ধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’

তাই ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়- এমন সব ভিডিও-পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’ পেইজ-চ্যানেল থেকে প্রচারিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াবার জন্য দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

র‍্যাবের সাবেক কর্মকর্তা সোহায়েলকে ১৮ জুন হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
র‍্যাবের সাবেক কর্মকর্তা সোহায়েলকে ১৮ জুন হাজিরের নির্দেশ
র‍্যাবের সাবেক কর্মকর্তা সোহায়েল

বিগত সরকারের সময়ে অপহরণ ও গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার সাবেক পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ১৮ জুন হাজির করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। 

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীতে হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এই পরোয়ানা জারির আগে থেকেই বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি আছেন। ফলে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শ্যোন অ্যারেস্ট) ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলো। 

শুনানিতে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সালের দিকে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে ছাত্রশিবিরের গোলাম মর্তূজা নিহিমকে তুলে নিয়ে যান রাব সদস্যরা। পরে আয়নাঘরে নিয়ে ৪৭ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করেন। তৎকালীন র‌্যাবের কর্মকর্তা সোহায়েলের নির্দেশে এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’

২০১০ সাল থেকে দুই বছর র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক থাকার সময় ব্যাপক পরিচিতি পান সোহায়েল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাকরিতে তার দ্রুত পদোন্নতি ঘটে। দুর্নীতি, জোরপূর্বক আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর গত ১৯ আগস্ট সোহায়েলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের আনুকূল্যে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।

মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট বন্দর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে তাকে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।

লাশ পোড়ানোর মামলায় পুলিশের ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও সাবেক ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। হত্যা ও হত্যাচেষ্টার একাধিক মামলায় কিছুদিন আগেই গ্রেপ্তারের করে ওই তিনজনকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল সকালে তাদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শ্যোন অ্যারেস্ট) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। 

দুর্নীতির মামলায় এভিয়েন্টের কর্ণধারের জেল-জরিমানা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ এএম
দুর্নীতির মামলায় এভিয়েন্টের কর্ণধারের জেল-জরিমানা
দুর্নীতির মামলায় এভিয়েন্টের কর্ণধার নুরুল আমিনকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় এভিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কর্ণধার (স্বত্বাধিকারী) নুরুল আমিনকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এই রায় দেন।

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। ফলে তাকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে জানান তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা নুরুল আমিন আদালতে হাজির হন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায় দুদক। নুরুল আমিন পরের বছরের ২২ আগস্ট হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। বিবরণীতে মোট ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদের তথ্য দাখিল করা হয়। যার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর ও ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

পরে দুদকের পর্যালোচনায় দেখা যায়, নুরুল আমিনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে হয়ে কারাগারে থাকা ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। 

আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাস বুজা (১৯), রনব দাস (২৪), বিধান দাস (২৯), বিকাশ দাস (২৪), রুমিত দাস (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাস (২৫), শিব কুমার দাস (২৩), ওম দাস (২৬), অজয় দাস (৩০) এবং দেবীচরণ (৩৬)।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ইসকন সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার শহিদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিস্ফোরক আইনে হওয়া একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি করেছেন আলিফের ভাই জানে আলম।’

গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। 

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে দিয়ে সেখানে শুয়ে পড়েন। এরপর তারা টানা প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

এ ছাড়া সাইফুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পাশাপাশি আলিফের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন একই থানায়।

পপি/

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদ জয়

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে নেন।

হাসিনা, জয় ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। এর মধ্যে আবার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ তদন্তপ্রাপ্ত আসামি।

এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে,  ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩  ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।

মেহেদী/

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৭ বার পেছানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম রাসেল বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়ায় থাকা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। 

এরপর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। 

বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ 

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য হাইকোর্টে দিন ধার্য রয়েছে।

পপি/