সরকার বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে জনগণের ওপর দায় চাপাচ্ছে: সিপিডি । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সরকার বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে জনগণের ওপর দায় চাপাচ্ছে: সিপিডি

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
সরকার বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে জনগণের ওপর দায় চাপাচ্ছে: সিপিডি

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বলেছে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে সরকার নিজের আর্থিক দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। একইসঙ্গে সিপিডির পক্ষ থেকে চার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, এগুলো যথাযথ পরিপালন করলে ২০২৯ সাল থেকে বিদ্যুতে আর কোনো ভর্তূকির প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ‘বিদ্যুতের সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধি: ভর্তূকি সমন্বয়ে উত্তম বিকল্প আছে কি?’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে বাসাবাড়িতে গড়ে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ বাড়তি বিল দিতে হবে। এতে ভোক্তার উপর চাপ বাড়বে। প্রতি মাসে গ্রাহকের গড় বিল ১ হাজার ২০০ টাকা হলে বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে ১০৬ টাকা থেকে ১১৮ টাকা পর্যন্ত। 

গবেষণায় বলা হয়, মাসিক বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহক পর্যায়ে বাড়তি দিতে হচ্ছে এসএমইতে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, শিল্পে ১০ শতাংশ এবং সেচের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। 

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার কারণে এমনটা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের পরামর্শে ধারাবাহিক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় আগামী ৫ বছরে গড়ে বার্ষিক ১২ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে দায় সৃষ্টি হবে। গ্যাস ও কয়লা থেকে এলএনজি বিদ্যুতে যাওয়াই সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিপিডির প্রস্তাবে আইএমএফের অর্ধেক অর্থাৎ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বাড়িয়েই ভর্তুকি সমন্বয় করে ২০২৯ সাল নাগাদ জিরো ভর্তুকিতে যাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, ২০২৮ সালের শেষে বিদ্যুৎ থেকে সরকারের মুনাফা হবে ৩১ দশমিক শূন্য ৮ কোটি টাকা।

সিপিডির প্রস্তাবনা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উপর এ দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশে উন্নীত করা, ‘নো ইলেকট্রিসিটি: নো পে’ (বিদ্যুত না থাকলে বিল নয়) পদ্ধতি প্রবর্তন করা, বিদ্যুৎ ক্রয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ দরপত্র পদ্ধতির সুচনা করা এবং জরুরি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আইন বাতিল করা।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করায় সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের দিকে এগুতে হবে। এজন্য একটি পথ-নকশা দরকার। সরকার যদি সিপিডি প্রস্তাবিত চার পদক্ষেপ নেয় তাহলে বিদ্যুৎ খাতে ২০২৯ সাল থেকে আর ভর্তুকি দিতে হবে না। 

তিনি আরও বলেন, সরকার পরিত্যক্ত বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহার করতে পারে।

অমিয়/

শেষ হলো দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:৫৫ এএম
শেষ হলো দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন

চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সাত কর্মদিবসের এই অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয় গত ২ মে। অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে অধিবেশনটি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এর আগে সংসদে ১৯৭২ সালের ৩০ এপ্রিল মহান মে দিবস উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের অডিও শুনানো হয়। ১৭ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের এই ভাষণটি বাংলাদেশ বেতার থেকে সংগ্রহ করা হয়।

সমাপনী ভাষণে স্পিকার বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রই একটি দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়- উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আশা করি, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং সাহসী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ অব্যাহত উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মাসেতু,বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক চুল্লিসহ সারা দেশে অসংখ্য ব্রিজ-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে, যা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে দিয়েছে।

তিনি ডেপুটি স্পিকার ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, বাংলাদেশ বেতার, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ দেশের সকল গণমাধ্যমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি স্পিকার আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এই সংসদে উত্থপিত হওয়া ৬টি বিলের পাস হয়। একটি বিল ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়। অধিবেশনের শেষ দিন সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না- এই বিধান রেখে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) বিল সংসদে তোলা হয়। এর আগে সোমবার ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ এর দুটি ধারা পরিবর্তনের সুপারিশ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ও ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনের কাঠামোয় আনতে ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংবিধান অনুযায়ী প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধিবেশন আহ্বান করেন। এর আগে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশন যাত্রা শুরু হয় গত ৩০ জানুয়ারি, চলে ৫ মার্চ পর্যন্ত।

বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিল উত্থাপন

অধিবেশনের শেষ দিনে সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না- এই বিধান রেখে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) বিল সংসদে তোলা হয়।

বৃহস্পতিবার ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়, উল্লিখিত বিধান লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে তা সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অর্থ এমন কোনো সংগঠন, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ- যা বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে গঠিত বা প্রতিষ্ঠিত (নিয়মিত হোক বা না হোক)। যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে সেবা প্রদান করা, অথবা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। মূলত ১৯৮৩ সালের ফরেন ভলান্টারি অর্গানাইজেশনস (একুজিইশন অব ইমমুভেবল প্রপার্টি) রেগুলেশন অর্ডিনেন্স রদ করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

এলিস/এমএ/

 

সীমান্ত হত্যা নিয়ে দিল্লির কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:৪৯ এএম
সীমান্ত হত্যা নিয়ে দিল্লির কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানান পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মেন।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রস‌চিব ব‌লেন, বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হ‌য়ে‌ছে। গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্তে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মাসুদ বিন মো‌মেন বলেন, বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সম্পর্কের অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, তিস্তা ইস্যুর সমাধান, গঙ্গা চুক্তি নবায়ন। সকল ধরনের কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতের ঋণ চুক্তি (এলওসি) প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ভারত এলওসির একটি নতুন ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি করতে যাচ্ছে, যাতে করে এ ঋণ চুক্তি বাস্তবায়নে যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো দূর করা যায়। এ নিয়ে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কাজ করছে।

রিয়াজ/এম/

সড়কে অকাল মৃত্যু ঠেকাবে গতিসীমা নির্দেশিকা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
সড়কে অকাল মৃত্যু ঠেকাবে গতিসীমা নির্দেশিকা
ছবি : সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা অকাল মৃত্যু ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে ‘রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ’।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন এ সংগঠনটি বলছে, এই নির্দেশিকার যথাযথ বাস্তবায়ন ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। পাশাপাশি মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত গতি প্রতিনিয়ত দেশের কর্মক্ষম তরুণসহ অনেকের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা প্রণয়নে গ্রামাঞ্চল ও শহরের ঘনত্বের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন মোটরযানের গতি ভিন্ন ভিন্ন করা হয়েছে, যা সড়ক নিরাপত্তার জন্য মানসম্মত। তবে এক্ষেত্রে লেন ভিন্ন করলে নির্দেশিকাটির বাস্তবায়ন সহজতর হবে। রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ আশা করে যে, সরকার এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম
কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান’। ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান’।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে বিমানটি শনাক্ত করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। বিধ্বস্তের পর থেকেই কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতিতেই খোঁজা হয় বিমানটি।

বঙ্গোপসাগর আর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হওয়ায় নদীর তলদেশ খুব গভীর। এজন্য এটি খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয় নৌবাহিনীকে।

বিমানটি দ্রুত শনাক্ত করতে না পারলে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। ফলে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল। এ চ্যানেলে দেশি-বিদেশি জাহাজ পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবতরণের আগে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে আগুন লেগে পতেঙ্গার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পড়ে। এ ঘটনায় একজন পাইলট নিহত হন।

আইএসপিআর তখন জানায়, বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে।

দুর্ঘটনার পর বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাশুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। দুই বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। বৈমানিকদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানটি দ্রুত শনাক্ত করতে না পারলে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো। যেহেতু এই পথেই দেশি-বিদেশি জাহাজ পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। উদ্ধার বিমানটি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে বিমান বাহিনীকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১০ হাজার ৬৩৮ জন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:১৬ পিএম
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১০ হাজার ৬৩৮ জন
ছবি : সংগৃহীত

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ হাজার ৬৩৮ জন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে কমিশনের ওয়েবসাইটে ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

গত ২৬ এপ্রিল বিভাগীয় শহরগুলোতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন। এই বিসিএসে পদ সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০।

কবির/এমএ/