ইফতারে ফরমোসা স্মুদি, চকলেট পাই । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ইফতারে ফরমোসা স্মুদি, চকলেট পাই

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২৮ এএম
ইফতারে ফরমোসা স্মুদি, চকলেট পাই
ধানমন্ডির শেফ টেবিলে ইফতারি করছে কিশোরীরা। খবরের কাগজ

সন্তানের বয়স যখন টিনের ঘরে অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৭ বছর, তখন তাদের নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা অভিভাবকদের। এরা না শিশু না বড়। জীবনের উচ্ছলতা আর চঞ্চলতায় মুখরিত সময়। 

নানা রকম গ্যাজেট আর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের জীবনজুড়ে আধুনিকতা আর নতুনত্ব। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনেও তারা এনেছে নতুন ট্রেন্ড। 

শবনম মুশতারী ফিওনা, জুনাইনা আফসিন, বুশরা তানজিন, রেবতী রোকসানা, তাসফিন আরোহী ঢাকার নামকরা একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড নাইনের শিক্ষার্থী। রোজা রেখে বাবা-মায়ের কাছে আবদার রেস্তোরাঁয় ইফতার করার। কী আর করা, এই কিশোরী দলের সঙ্গী হন মা আর ছোট ভাইবোনেরা।

খবরের কাগজের সরেজমিনে দেখা গেল, ইফতারের সময় ধানমন্ডির শেফস টেবিলের অধিকাংশ টেবিল দখল করেছে কিশোর-কিশোরীরা। পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, রুহ আফজা শরবত নয়, এই বয়সীদের পাতে ঠাঁই নিয়েছে বিদেশি ফলের ফরমোসা স্মুদি, চকলেট পাই। কেউবা অর্ডার করেছে ইতালিয়ান লাসনিয়াথ আবার কারও পাতে আফগানি কাবাব। কেউ আবার অর্ডার দিয়েছে চাইনিজ ফুড। গরম গরম জিলাপির জায়গায় স্থান নিয়েছে ওয়াফেল আপ ও ব্রাউনির মতো খাবার। 

শবনমের মা গৃহবধূ দিলশাদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেখেন জীবন কত দ্রুত বদলে গেছে, এই কয়েক বছর আগেও আমরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও ঘরে তৈরি নানা পদের ইফতার খেয়েছি। বাবা-মা যা আয়োজন করতেন, তা-ই খেতাম। এখন এমন সময় এসেছে, বাচ্চাদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে হয়। যুগ পাল্টেছে, বাচ্চাদের অভিমান বেড়েছে। আবদার রাখতে হয়। একদম খারাপও লাগে না। করুক না আনন্দ। ধর্ম পালনও হচ্ছে, আবার আনন্দ করছে।’ 

জুনাইনার মা মেয়েকে নিয়ে মিরপুর-২ থেকে ধানমন্ডি এসেছেন । তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাচ্চারা এখন হরেক রকম আবদার করে। গ্যাজেটের যুগ, ইন্টারনেটে কী কী দেখে আর আবদার করে। এখন কোনো দিন বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার আবার কোনো দিন সাহরি। বাচ্চাদের উপলক্ষে আমাদেরও নতুন সার্কেল হচ্ছে, সামাজিক সম্পর্ক বাড়ছে।’ 

হাতে আইসক্রিম ও জুসের গ্লাস নিয়ে কিশোরী দলের দাবি, বেশি করে লিখে দিন, বাসা থেকে যেন প্রতিদিন অনুমতি দেয়। 

শেফস টেবিলের কর্মীরা জানান, ধানমন্ডির এসব এলাকায় বেশির ভাগই স্টুডেন্ট। আর তাদের পছন্দ অনুযায়ী বেশির ভাগ খাবার তৈরি করা হয়। তাদের দাবি, প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ জন আসেন এখানে ইফতার করতে। 

মেঘের অনেক গুণ

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
মেঘের অনেক গুণ
দুর্দান্ত ঢাকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মেঘ। সাকিব দম্পতির মাঝে ছোট্ট মেঘ

মেঘের অনেক গুণ। আঁকিয়ে, ডিজাইনার। তবে গুণ থাকলেই তো আর হয় না, সে গুণের প্রকাশ যেমন করতে হয়, তেমনি কদরও করতে হয়। মেঘের গুণের কদর করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। দুর্দান্ত ঢাকাকে মনে আছে তো! এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ১২ ম্যাচের ১১টিতেই হেরেছে যদিও, তবে অন্য সব দলের চেয়ে একটা দিকে অন্তত এগিয়ে আছে দলটি। আর সেটা হলো গুণের কদর করা। দুর্দান্ত ঢাকার জার্সির ডিজাইন করার দায়িত্ব পেয়েছিল সতের বছর বসয়ী এই গুণী টিনএজ মেঘ।

মাহির সারোয়ার মেঘের জন্ম ঢাকায়, ২০০৬ সালে। প্রয়াত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির সন্তান মেঘ। ছোটবেলা থেকেই আঁকতে ভালোবাসেন মেঘ এবং ক্রিকেট নিয়েই তার ধ্যানজ্ঞান। নিয়মিত অনুশীলন করেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। নিজেকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টারও কমতি নেই। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল থেকে ও লেভেলে পড়াশোনা শেষ করেছেন ১৭ বছর বয়সী মেঘ।

আঁকতে ভালো লাগে বলেই জার্সির ডিজাইন নিয়ে মেঘ কাজ করছেন অনেক আগে থেকেই। ২০১৫ সালে ৯ বছর বয়সে মেঘ অংশ নিয়েছিলেন রবির লোগো ডিজাইন হান্টে। সে সময় এ ফোর পেপারে লোগো ডিজাইন করেই সাফল্য পান মেঘ। এরপর থেকে মেঘের স্বপ্ন আরও উঁচুতে উঠতে থাকে। মেঘ প্রতিযোগিতা শুরু করেন নিজের সঙ্গে। নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। পরিশ্রম যে কাউকে হতাশ করে না তার উদাহরণ মেঘ। তিনি জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল জার্সির ডিজাইন করার সুযোগ পান এবং সুযোগটাও কাজে লাগিয়ে ফেলেন।

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় ফ্র্যাঞ্জাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়েছে সেই কবে। তবে বিপিএল শুরুর আগে ট্রফি নিয়ে অফিসিয়াল জার্সি পরে ফটোশুট করেছেন সাত দলের ক্রিকেটাররা। বিশেষভাবে নজর কেড়েছে দুর্দান্ত ঢাকার জার্সি। নীল রঙের বিভিন্ন শেড দিয়ে করা এই জার্সিতে ফুটে উঠেছে পদ্মা সেতু ও ঢাকার মেট্রোরেল। এই জার্সির রূপকার মাহির সারোয়ার মেঘ।

বিপিএলে তার ডিজাইন করা জার্সি দিয়ে খেলা হবে এটা ছিল মেঘের কাছে স্বপ্নের মতো। নিজের ডিজাইন করা জার্সিটা মামার মাধ্যমে দুর্দান্ত ঢাকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেন। অপেক্ষার পালা শেষ হয় কয়েকদিন পর। ঢাকার কর্তৃপক্ষ জানায় মেঘের জার্সি তাদের পছন্দ হয়েছে। খবর শুনে মেঘ এতটাই উৎফুল্ল হয়েছিলেন যে, তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। এরপর সেই জার্সি পরেই অধিনায়কদের ফটোসেশন করেছেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

মেঘের ডিজাইন করা জার্সিতে তুলে ধরা হয়েছে ইতিহাসের বিখ্যাত ঢাকা নগরীর নানা ইতিহাস ও স্থাপনা। মেঘ জানান, ‘আমাদের ঢাকা অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নগরী। এখানকার শহিদ মিনার, সংসদ ভবন, লালবাগ কেল্লা ইত্যাদি তুলে ধরেছি। ঢাকার অন্যতম বাহন মেট্রোরেলও তুলে ধরেছি। আমি অনেক দিন থেকেই এসব ডিজাইন নিয়ে কাজ করি, এবার বড় পরিসরে সেটা প্রকাশ হলো। এর আগেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জার্সি করেছি। এটা আমাকে ভবিষ্যতে আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে।’

মাহির মেঘকে নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। সেখানে মেঘের ছবি দিয়ে তারা লিখেছে- আমাদের দলের আইকনিক লুকের শিল্পী। আমাদের জার্সি ডিজাইনার মাহির সরওয়ার মেঘ! সেই পোস্ট শেয়ার করে মেঘ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন জার্সি ডিজাইনার হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন, ধন্যবাদ সবাইকে।’ দুরন্ত ঢাকার জার্সি করার পর মেঘ দেখা করেছেন দুর্দান্ত ঢাকার খেলোয়াড়দের সঙ্গে। সবাই তাকে উৎসাহ জানিয়েছেন এবং প্রশংসা করেছে বলে জানিয়েছে মেঘ।

জাহ্নবী

মেরি ত্যুসোর জাদুঘর

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
মেরি ত্যুসোর জাদুঘর

প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। ১৭৭৭ সালে ১৬ বছর বয়সী এক টিনএজার বানিয়ে ফেললেন ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের মোমের মূর্তি। আর ১৮৮ বছর আগে ১৮৩৫ সালের ২২ মে সেই মোমের মূর্তিগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলো অন্য রকম এক জাদুঘর। এই টিনএজারের নাম মেরি ত্যুসো। আর সেই থেকে শুরু, বিস্তারিত টিনএজপ্লাস ডেস্ক থেকে...

১৮ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। পৃথিবীতে কত রকমের জাদুঘর রয়েছে। তবে ১৮৮ বছর আগে ১৮৩৫ সালের ২২ মে ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহরের মেরিলবোন রোডে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রম এক জাদুঘরের। এর প্রতিষ্ঠাতা এক টিনএজার। নাম তার মেরি ত্যুসো। কে ছিলেন মেরি ত্যুসো?

মেরি ত্যুসোর জন্ম ১৭৬১ সালের ১ ডিসেম্বর ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে। বাবা জোসেফ ছিলেন সৈনিক। মায়ের নাম অ্যানে মেরি ওয়েল্ডার। মেরির জন্মের দুই মাস আগেই বাবা মারা যান। ছয় বছরের মেরিকে নিয়ে তার মা চলে আসেন সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে। এখানকার স্থানীয় ডাক্তার ফিলিপ কার্টিয়াসের বাড়ি দেখাশোনার কাজ নেন। ডাক্তার ফিলিপ খুব ভালো মোমের মূর্তি বানাতে পারতেন। তার কাছেই মোমের মূর্তি বানানোর কৌশল শিখে নিলেন মেরি ত্যুসো। ওই সময় মোমের মূর্তি বানানোর কাজ ছিল ভীষণ জনপ্রিয় ব্যাপার।

এর মধ্যে মোমের মূর্তি বানিয়ে বেশ সাড়া ফেলেন দেন ত্যুসো। ১৭৮০ থেকে ১৭৮৯ সাল পর্যন্ত ফরাসি বিপ্লব চলতে থাকে। ১৭৮৭ সালে ফ্রান্সের বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে ত্যুসোকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। ফরাসি বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে গিলোটিনে হত্যা করার দাবি ওঠে। এ জন্য তার মাথাও মুড়িয়ে ফেলা হয় গিলোটিনে হত্যার প্রস্তুতি হিসেবে। তবে টানা ছয় বছর বন্দি থাকার পর ১৭৯৩ সালে ত্যুসো মুক্তি পান। ১৭৯৪ সালে মৃত্যুর আগে ডাক্তার কার্টিয়াস তার বানানো সব মোমের মূর্তির স্বত্ব মেরি ত্যুসোকে দিয়ে যান। ১৭৯৫ সালে ফ্রান্সিস ত্যুসোর সঙ্গে মেরির বিয়ে হয়।

১৮০২ সালে মেরি ত্যুসো লন্ডনে আসেন তার পোর্ট্রেটগুলোর প্রদর্শনী করার জন্য। ৩৩ বছর ধরে ব্রিটেনের নানান জায়গায় প্রদর্শনী শেষে ১৮৩৫ সালে লন্ডনের বেকার স্ট্রিটে একটি স্থায়ী প্রদর্শনী গড়ে তোলেন মেরি। সেই জায়গাটাই একসময় ধীরে ধীরে মাদাম ত্যুসোর জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। 
১৯৭০ সালে মাদাম ত্যুসোর জাদুঘরের বিদেশি শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয় নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সামান্য মোমের মূর্তি গড়া এক টিনএজারের মোমের জাদুঘর এরপর ছড়িয়ে পড়তে লাগল পৃথিবীর নানা দেশে, নানা শহরে। এশিয়ার বেইজিং, হংকং, টোকিও, দুবাই, ব্যাংকক, দিল্লিসহ ১০টা, ইউরোপের ভিয়েনা, ইস্তাম্বুল, বার্লিনসহ ৮টা, উত্তর আমেরিকার হলিউড, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনসহ ৭টা এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ দুনিয়ার চার মহাদেশের ২৬টি শহরে মাদাম ত্যুসোর জাদুঘর রয়েছে।

জাহ্নবী

অস্ট্রেলিয়ার টিনএজার

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার টিনএজার

অস্ট্রেলিয়ার টিনএজারদের জীবন অন্যান্য উন্নত দেশের টিনএজারদের মতোই। অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ায় ১২-১৭ পর্যন্ত বয়সী ছেলেমেয়েদের টিনএজার হিসেবে ধরা হয়। এই বয়সে তারা হাইস্কুলে যায়। এরপর তারা গ্র্যাজুয়েট হয় এবং ১৮ বছরে পড়লেই প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তখন সে ভোট দিতে পারে, মদ এবং সিগারেট কিনতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেক প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান।

তবে ছেলেমেয়েদের এক বছরের বাধ্যতামূলক প্রাক-বিদ্যালয় সময়সহ ১৩ বছরের স্কুল জীবন পার করতে হয়। ছয় বছর থেকে শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা, চলতে থাকে এর পরের সাত বছর। আট বছর বয়স থেকে শুরু হয় হাইস্কুল। এই পর্ব চলতে থাকে পরের চার বছর। অস্ট্রেলিয়ায় স্কুল জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে নভেম্বর বা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। সাধারণত একটি বছর বড়ো দুটি ভাগে বিভক্ত থাকে। এগুলোকে সেমিস্টার বলে। আবার বড়ো ভাগগুলো ছোট দুই ভাগে ভাগ হয়। ছোট ভাগের মধ্যে অল্প সময়ের ছুটি থাকে এবং বড় সেমিস্টারের  মধ্যে বেশি সময়ের জন্য ছুটি দিয়ে ভাগ করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত দেয় একজন ছাত্র কয়টা বিষয় পড়তে পারবে। তবে এই সংখ্যা পাঁচ থেকে সাতের মধ্যে হয়। ইংরেজি এবং অঙ্ক সব প্রদেশেই স্কুলপর্যায়ে ছাত্রদের জন্য  বাধ্যতামূলক। একটা সুযোগ আছে, স্কুল যদি পড়তে না দেয় তবে কোনো ছাত্র নিজের ইচ্ছামতো কোনো বিষয় দূর-শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পড়তে পারে। দেখা গেছে, শতকরা ৮০ ভাগ অস্ট্রেলিয়ান সাগরপাড়ের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে। তাই সাগরপাড়ে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি খুবই উপভোগ করে। সাগরপাড়ে বেড়াতে যাওয়া মানেই প্রচুর আনন্দ। সেখানে প্রাইমারি পর্যায় থেকে হাইস্কুল অবধি ছেলেমেয়েদের সাঁতার শেখার  প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কেউ কেউ সাঁতারে দুরন্ত হয়ে ওঠে প্রতিযোগিতার জন্য আবার কেউ শুধু জলে পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য সাঁতারটা শিখে রাখে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষই বাধ্যতামূরকভাবে সাঁতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।   

গ্রামের দিকের স্কুলগুলো সাধারণত ছোট আকারের হয়ে থাকে। এক কি দুই রুমের। শিক্ষকও হয়তো দুই কী একজন। এসব স্কুলে শিক্ষক পাওয়া খুব মুশকিল হয়। কারণ শিক্ষকরা গ্রামের দিকে মাস্টারি করতে আসতে চান না। গ্রামে কে থাকবে শহরের বিলাসী জীবন ছেড়ে?

অস্ট্রেলিয়ার টিনএজাররা টাকা-পয়সার জন্য বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর করা অপছন্দ করে। এজন্য তারা স্থানীয় সুপারমার্কেট অথবা রেস্তোরাঁয় কাজ করে পয়সাপাতি উপার্জন করে। ১৬ বছরের নিচে হলে সপ্তাহে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করা নিষেধ এবং কাজ করতে হলে বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হয়। ১৬ বছর বয়স হলেই একজন টিনএজার নিজের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল খুলতে পারে, তার নিজের চিকিৎসা কার্ড করাতে পারে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার টিনএজাররা বাস করে ফুটবল, ক্রিকেট আর সাঁতার নিয়ে। স্কুলের পর বেশির ভাগ টিনএজার ক্রিকেট বা কোনো খেলা খেলতে নেমে যায়। ছেলেদের প্রিয় হলো ক্রিকেট ও রাগবি এবং মেয়েদের প্রিয় খেলা হলো নেটবল, যা বাস্কেটবলেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ। প্রদেশ বা শহরের মধ্যে প্রতিযোগিতার ব্যাপারটি অস্ট্রেলিয়ায় খুবই বেশি। এজন্য খেলার সময় দলের পতাকা বা ক্লাব বা দলের জন্য কোনো নির্দিষ্ট গান স্টেডিয়ামে গাওয়া নিষেধ। দেখা গেছে, এতে দলীয় টান এতই বেড়ে যায় যে শেষতক হাতাহাতি থেকে মারামারিতে গড়ায়।

অস্ট্রেলিয়ার টিনএজারদের জীবন অন্যান্য উন্নত দেশের টিনএজারদের মতোই। তারা এখন বেশির ভাগ সময় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চ্যাটিং করে কাটাতে পছন্দ করে। এখন তাদের কাছে পরিবারটা আসে বাইরের জগতের পরে। এতে পরিবারের সঙ্গে টিনএজারদের ব্যবধানও বাড়ছে। সময় কাটানোর জন্য আছে অনেক ব্যবস্থা। যেমন বাইকারদের জন্য আছে ভিন্ন রোড ট্র্যাক। আছে স্কেটিং বাউল, শপিং সেন্টার, বলঅ্যালি, মুভি থিয়েটার, লেজার ট্যাগ ইত্যাদি। এসব স্থানে টিনএজাররা সহজেই সময় কাটাতে পারে। তবে শতকরা ১০ ভাগ টিনএজার কিন্তু শনি ও রবিবার ছুটির আগের রাত শুক্রবার থেকেই পার্টি করা শুরু করে। মদ পান করে ও গাঁজা সেবন করে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার সঙ্গে জড়িত ছেলেমেয়ের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ! অস্ট্রেলিয়ার টিনএজাররা মোটামুটি ১৫ বছর বয়সেই যৌনতার স্বাদ পেয়ে যায়। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের নিচে কারও সঙ্গে সম্মতি থাকলেও যৌন সম্পর্কে জড়িত হওয়া আইনের দৃষ্টিতে গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার টিনএজারদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ডাকাতি, গাড়ি চুরি, ছিনতাই ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী যেখানে ২০১৯ সালে এই অপরাধগুলো সংগঠিত হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, সেখানে গত বছর এই হার ১৫ শতাংশেরর ওপর। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে ১০- ১৭ বছর বয়সী টিনএজাররা! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অপরাধ থেকে টিনএজারদের ফিরিয়ে আনার জন্য এখনই দরকার কোনো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া। আবার কেউ বলছেন, টিনএজারদের লালন-পালন করার জন্য আমাদের উচিত পুরনো দিনের নিয়মকানুনগুলো ফিরিয়ে আনা। নিয়মকানুন মানে ল্যাঠ্যাষৌধের কথা বলছেন কি না কে জানে!

তবে যারা অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আসে সেই সব টিনএজারের জন্য নতুন পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোটা খুব শক্ত। কারণ নতুন পড়ালেখার পদ্ধতি, নতুন বন্ধু জোটানো এবং পরিবারকে বাইরের অনেক কিছুকে বোঝানো। ফেলে আসা নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন সংস্কৃতিকে মেলানো, এসবই অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আসা টিনএজারদের জন্য সমস্যাবহুল।

এতসবের পরও অস্ট্রেলিয়ানরা বলে থাকে পরিবার হচ্ছে পরিবার, এর সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। এখনো তারা অনুগত পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনদের নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে এগোতে চায়।

জাহ্নবী

 

মায়ের জন্য

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
মায়ের জন্য
ফরাসি আর্টিস্ট উইলিয়াম অ্যাডফ বাগরো এবং পিয়েরে অগ্যস্ত রনোয়ার এর আঁকা মা ও শিশু

মা যদি আমাদের ভালো না বাসতেন, আদর না করতেন, যত্ন না করতেন- তাহলে আমাদের জীবন এতটা সুন্দর ও মধুময় হয়ে উঠত না। কীভাবে? টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আহমেদ রিয়াজ

মায়ের ভালোবাসা তুলনাহীন
এটা কেবল মানুষ নয়, প্রাণীদের বেলায়ও সত্যি। মানুষ থেকে হাতি (হাতিদের গর্ভধারণের সময় ২২ মাস), এমনকি ওরাংওটাংও (যারা সন্তান জন্মের চার মাস পর্যন্ত সন্তানকে চোখের আড়ালও করে না), মেরু ভালুক (যারা গর্ভধারণের সময় দ্বিগুণ ওজনের হয়ে যায় এবং আট মাস না খেয়ে থাকে), বাঘ, সিংহ, সিলমাছ, তিমিসহ প্রত্যেক প্রাণীর মায়েরা সন্তানদের জন্য কত কিছু যে করে। এই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মায়েদের কত রকমের শারীরিক ধকল যে সইতে হয় জীবনভর, তার হিসাব কি কেউ করেছি কখনো। সন্তানের প্রতি মায়ের এই ভালোবাসা তুলনাহীন।

মাতৃত্বে বদলে যায় মায়ের মস্তিষ্ক
এক গবেষণায় দেখা গেছে সন্তান জন্মের চার মাস পর মায়ের মস্তিষ্কে অনেক বেশি গ্রে ম্যাটার দেখায়। এই গ্রে ম্যাটার হচ্ছে মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের মাঝামাঝি প্রয়োজনীয় এক ধরনের টিস্যু। এই টিস্যু মানসিক অবস্থা, শ্মরণশক্তি, আবেগ এবং চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কে হরমোন প্রবাহের কারণে এটা ঘটে- যেমনটা টিনএজ হরমোনগুলো তাদের মস্তিষ্ক বিকাশের দিকে নিয়ে যায়।

সন্তানও মাকে আজীবনের সুরক্ষা দেয়
সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে মা ও সন্তানের শরীরের কোষ অদলবদল হয়। এবং মায়ের শরীরে এই কোষগুলো কয়েক দশক ধরে থাকে। গবেষকরা বলেন এসব কোষ কোনো নারীকে কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। এর মধ্যে আলঝেইমার এমনকি হার্টের নানা রোগ থেকেও রক্ষা করে।

মা কাছে থাকলে মানসিক চাপ কমে যায়
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মা কাছে থাকলে, এমনকি ফোনে মায়ের কণ্ঠ শুনলে অক্সিটসিন বেড়ে যায় এবং কর্টিসল স্তর কমে যায়- যা শিশুদের শান্ত করে দেয় এবং এমনকি টিনএজারদের আরও বেশি দায়িত্বশীল করে তোলে। তিন মাস বয়সী শিশুর সঙ্গে মায়ের হৃদস্পন্দনে সমন্বয় ঘটে, যখন মায়ের কাছ থেকে সামান্যতম আদরের ছোঁয়াও পায় শিশু- এমনকি মায়ের হাসিতেও।

জন্মের আগেই মায়ের কণ্ঠ চিনতে পারে শিশু
গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভে থাকার সময় মায়ের কণ্ঠ শুনলে শিশুর হৃদস্পন্দর বেড়ে যায়, যেটা অন্য কারও কণ্ঠ শুনলে হয় না। মায়ের হৃদস্পন্দনের শব্দ এবং মায়ের কণ্ঠ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ সহায়ক হয়, এমনকি জন্মের পরও।

সবার আগে
অন্য কেউ উপলব্ধি করার আগে মা তার সন্তানের কান্নার শব্দ টের পেয়ে যান, কারণ সন্তানের জন্মের পর মায়ের অক্সিটসিন স্তর বেড়ে যায়। এই পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে সন্তানের শব্দ মায়ের শ্রবণ প্রক্রিয়া আরও বেশি অনুভূতিশীল হয়।

শিশুরা মায়েদের যে নামে ডাকে
ইংরেজ শিশুর কাছে ‘মম’, চাইনিজ শিশুর কাছে ‘মামা’, আইসল্যান্ডের শিশুর কাছে ‘মাম্মা’, হিব্রু শিশুর কাছে ‘এম’, ভিয়েতনামি শিশুর ‘মি’, ভারতীয় শিশুর কাছে ‘মা, বাংলাদেশের শিশুর কাছেও ‘মা’- ভাষার যত বৈচিত্র্যই থাকুক না কেন, যে কোনো শিশুর প্রথম শব্দই ‘মা’।

কঠোর মা বনাম কোমল মা
যেসব মা খুব বেশি কঠোর নন, তাদের কাছে শিশুরা অনেক বেশি মমতায় বেড়ে ওঠে। কঠিন শাসনে থাকা শিশুর চেয়ে, কঠিন শাসনে না থাকা শিশুদের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক বেশি ভালো হয়।

অ্যান্টিবডি
শিশুর প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি মায়েরাই উৎপন্ন করেন। শিশুর শরীরে নানান রকম ব্যাকটিরিয়া অথবা ভাইরাস তৈরি হয়, মায়ের দুধে সেগুলোর ক্ষতিকর উপাদান সরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এমনকি মা যখন শিশুকে আদরে চুমুও দেন, সেটাও শিশুর শরীরের ক্ষতিকর উপাদানগুলো হটিয়ে দেয়।

মায়ের আদর
যে কারও জীবনে মায়ের আদর ও ভালোবাসা কেবল মানসিক নয়, শারীরিক সক্ষমতাও তৈরি করে। যে সক্ষমতার কারণে আজ যারা টিনএজার, হেসে-খেলে, দৌড়ে, ছুটে বেড়াচ্ছ, মায়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা না পেলে কি সেটা সম্ভব হতো? আর এ থেকেই প্রমাণিত হয়, দুনিয়ায় মায়ের চেয়ে বড় বন্ধু আর কেউ নেই। কাজেই সন্তানের কাছ থেকে ভালোবাসা মায়ের প্রাপ্য- মা দিবস কেবল এক দিন নয়- প্রতিদিন।

জাহ্নবী

ফারিয়া হক তারুণ্যের অনুপ্রেরণা

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম
ফারিয়া হক তারুণ্যের অনুপ্রেরণা

পড়াশোনার গণ্ডি এখনো তার শেষ হয়নি। লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সলিউশনস ফার্স্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কো-ফাউন্ডার এবং সিওও। আবার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন ওয়ান ওয়ে স্কুলের সঙ্গে। করছেন উপস্থাপনাও। কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তার জন্য প্রায় নিয়মিত ব্যাপার। পড়াশোনা সামলে এমন সব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সবার নজর কেড়েছেন ফারিয়া হক। ফারিয়ার বাবা-মা দুজনই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। পরিবারে মা-বাবা ছাড়া আছে ছোট এক বোন। ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় বসবাস ফারিয়াদের।

ছোটবেলা থেকেই ফারিয়া নানা রকম সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কবিতা আবৃত্তি, কোরআন তিলাওয়াত, মেধা স্বীকৃতি, সৃজনশীল খেলায় তার স্থান থাকত প্রথম দিকে। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় কবিতা লেখার শুরু তার। পত্র-পত্রিকায় সেসব কবিতা ছাপাও হয়েছে। শিক্ষকের বিদায়ে মানপত্র লিখে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। ফারিয়া মনে করেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে ২০২২ সালের ২৬ জুন ফারিয়া হক ‘ওয়ান ওয়ে স্কুল’ নামক ফ্রি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন।

ছোটবেলায় স্কুলের নানা প্রোগ্রামের উপস্থাপনা করতেন। তাই বড় হয়ে উপস্থাপনা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি তার। কিন্নর কণ্ঠ, সুন্দর বাচনভঙ্গি, উপস্থিত বুদ্ধিমাত্রার কারণে তিনি উপস্থাপনায় সবার প্রশংসা পান। ‘স্পিচ মাস্টার্স বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘পাবলিক স্পিকিং অ্যান্ড প্রেজেন্টেশন’ ওয়ার্কশপে ক্যাজুয়াল উপস্থাপনা তার অনন্য অর্জন। শত মানুষের মধ্যে নিজেকে সাবলীলভাবে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া আইটিসহ নানা বিষয়ে নিয়ে ফেসবুক লাইভে তাকে আলোচনা করতে দেখা যায়। ফারিয়া বলেন, উপস্থাপনায় অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।

ন্যাশনাল টেক কার্নিভাল-২৩ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আইটি অভিজ্ঞ, সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ৫০০ লোকের উপস্থিতিতে এই প্রোগ্রামে অর্গানাইজার টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি এই প্রোগ্রামে ‘ওয়ান ওয়ে স্কুল’ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরেন। গোটা প্রোগ্রামে তার সাংগঠনিক মুনশিয়ানার পরিচয় মেলে। ওয়ান ওয়ে স্কুল সম্পর্কে ফারিয়া বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বিনামূল্যে অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা। এর আগে তিনি Youth Against Hunger-এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাজ করেছেন। যার উদ্দেশ্য তরুণদের হাত ধরে দেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও রূপান্তরের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।

২০২৩ সালের ১০ আগস্ট ওয়ান ওয়ে স্কুল আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার্স কার্নিভাল-২০২৩’-এ আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন ফারিয়া হক। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আরও উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা। সফল ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব হবেন। এমন ভাবনা ফারিয়ার ছিল অনেক দিন আগে থেকেই। তিনি একজন আইটি উদ্যোক্তা। সফলভাবে পরিচালনা করছেন সলিউশনস ফার্স্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠান।

কাজ করতে গিয়ে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন জানতে চাইলে ফারিয়া বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সব কাজেই সফল। কখনো অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে, যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ তাই ততটা সমস্যা হয়নি এখনো। আনন্দময় অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মিটিং বা টিম অ্যানাউন্সমেন্টের আর্টিকেল লেখা কিংবা প্রজেন্টেশনের পর ‘ওয়ান ওয়ে স্কুল’ পরিবারের সদস্যরা যখন বলেন ‘আপু আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি- এর চেয়ে প্রশান্তির আর কিছুই নেই। এমন একটি টিম পেয়েছি যারা আপনালয় নিজের পরিবারের মতো, কাজের প্রাপ্তি হিসেবে সব সদস্যের দোয়া ও ভালোবাসা অতুলনীয়। সৎ পথে সর্বদা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা এবং নিজের ও তরুণদের দক্ষতা অর্জনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবেন। এমনটাই তার আগামী দিনের সংকল্প।

জাহ্নবী