ঢাকা ১৩ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস
ছবি : খবরের কাগজ

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দ্বন্দ্বে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। সেই দ্বন্দ্বের উত্তাপ লাগছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। গত কয়েক দিন ধরে উপাচার্যের পক্ষে-বিপক্ষে সভা-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন শিক্ষকরাও। এসব কারণে ববির প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য জানান, তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে ববির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ববি প্রতিষ্ঠাকালে সহ-উপাচার্যের পদটি শূন্য ছিল। প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর গত ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ববির উপ-উপাচার্যের হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানিকে নিয়োগ দেন। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। আর একাডেমিক দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, উপ-উপাচার্যের যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা প্রশাসনিক জটিলতা ও বিভাজন শুরু হয়। উপ-উপাচার্য যোগদানের দিন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তিনি ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে যোগদানের পর থেকে উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি আবাসন ও যানবাহন। তাকে অফিস কক্ষ দেওয়া হলেও তার কাছে কোনো ফাইল পাঠানো হতো না। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন একাডেমিক অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান উপ-উপাচার্য।

কিন্তু উপাচার্যের নির্দেশের সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের পাল্টা চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপাচার্য। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশে কোনো পত্র পাঠাতে পারেন না। সংগত কারণে উপ-উপাচার্যের পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। চিঠিটি কোনো শিক্ষককে আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

শিক্ষক ও কর্মকর্তারা আরও জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিন্ডিকেটের দুই শিক্ষক প্রতিনিধিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বেশির ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ ছাড়া গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তার পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে তারা উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে গত নভেম্বরে ড. শুচিতা শারমিন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ববি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাকরিকাল গণনা সংক্রান্ত কমিটি, একাডেমিক কমিটি এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্য করেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত ১৯ নভেম্বর অধ্যাপক কলিমুল্লাহকে সব কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেন উপাচার্য। এই নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে আবু হেনা মোস্তফার নিয়োগ বাতিল করা হয়। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন ড. কলিমুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহচর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র আছে, যারা সব আমলেই উপাচার্যর কাছাকাছি থেকে সুবিধা নিয়েছিল। সেই চক্রটিই উপাচার্যকে নানা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গন্ডগোল পাকাচ্ছেন। চক্রটি রাজনৈতিক সুবিধাবাদী হিসেবে পরিচিত। তারা সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরবর্তীতে তারা সাবেক মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। 

৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সুযোগে তারাই আবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগবিরোধী সেজে উপাচার্যের কাছে মানুষ হয়ে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। উপাচার্য তাদের সেই কূটকৌশলে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে পুনর্বাসন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের জন্য গোপনে সিন্ডিকেটের সভাও ডেকেছেন। আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর শুচিতা শরমিন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখে উপাচার্য একটি বলয় সৃষ্টি করছেন। জুলাই বিপ্লবের চেতনার পক্ষের শিক্ষকদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। দুজন শিক্ষক প্রতিনিধিকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দিয়েছেন। গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান ফ্যাসিস্টের সহযোগী দুজন শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। 

সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম মিয়া বলেন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামালের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আমি আন্দোলন করেছিলাম। এ জন্য উপাচার্য সিন্ডিকেট থেকে আমাকে বাদ দিয়েছেন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, উপাচার্য দুজন শিক্ষক প্রতিনিধিকে মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে সিন্ডিকেট থেকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শূন্য পদ পূরণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে স্বৈরাচারের দোসররা দায়িত্বে আছেন। 

এ বিষয়ে ববির উপাচার্য খবরের কাগজকে বলেন, ‘উপ-উপাচার্যের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব আছে বলে আমি মনে করি না। যেভাবে গণমাধ্যমে নিউজগুলো আসছে তা অনিয়ম ও অনুচিত হচ্ছে। সবার বিশ্ববিদ্যালয় আইন জানা দরকার। আর সঠিক জায়গায় সঠিক কাজ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি হারাবে।’ 

তিনি বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে ফ্যাসিস্টদের দিয়ে। সব রিক্রুমেন্টও ফ্যাস্টিদের। তাই সবাইকে বাদ দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। যা সম্ভব নয়। তবে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনো ভাবে করা হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকে দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি চক্র পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তবে আমি কোনো ভাবেই কাউকে বরিশাল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে অস্তিত্বশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেব না। শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ গড়ে মানসম্মত আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা আমার দায়িত্ব। সে জন্য সব ধরনের কাজ আমি করে যাব। নতুন বাংলাদেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়। সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করছি।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমার সঙ্গে উপাচার্যের কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব নেই। আর শিক্ষার্থীরা যে সব ইস্যুতে আন্দোলন করছেন, সেগুলো তাদের বিষয়। আমি যোগদানের পর সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কোনো দায়িত্ব পাইনি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপাচার্য আমাকে অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।
 
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দেখভাল ও দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সার্বিক অবস্থা জানার জন্য আমি বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু কি কারণে তিনি পালটা একটি চিঠি দিয়েছেন আমার জানা নেই। তার পরেও তার প্রতি সম্মান রেখেই সেই সভা বাতিল করেছি। 

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বেরোবির মাটিতে: উপাচার্য

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বেরোবির মাটিতে: উপাচার্য
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী।
 
বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধাসহ যাদের ত্যাগ ও সংগ্রামে অবদান রয়েছে, তাদের সকলের প্রতি উপাচার্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশের। ৭১ ও ২৪ এর স্বাধীনতা অর্জনের মূল থিম ছিল বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তিনি সকল পর্যায় থেকে বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান  জানান।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে স্বাধীনতা শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারকের সামনে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউটসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এরপর স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউটসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ ফেরদৌস রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ তানজিউল ইসলাম, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের উপ-গ্রন্থাগারিক মোঃ আব্দুস সামাদ প্রধান প্রমুখ।

এর আগে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিকে, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনসহ ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গাজী আজম/সিফাত/

শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ্য ঠিক করা কতটা জরুরি, জেনে নিন

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ্য ঠিক করা কতটা জরুরি, জেনে নিন
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা গুণ, যা একজন শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষাজীবনের যেকোনো পর্যায়ে উপকার করে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লক্ষ্য নির্ধারণ করার কারণে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণের গুরুত্ব: লক্ষ্য নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেয়, অনুপ্রেরণা বাড়ায় এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নত করে। পাশাপাশি এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে, যা সামগ্রিক ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করে। এ ছাড়া অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে তাদের কর্মক্ষমতায় উন্নতি ঘটাতে পারে এবং ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করতে পারে। লক্ষ্য নির্ধারণ মোটাদাগে শিক্ষার্থীদের যেসব উপকার করতে পারে তা হলো-
অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি: লক্ষ্য নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থাপন এবং তা অর্জন করলে শিক্ষার্থীরা সাফল্যের অনুভূতি পায়। এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তাদের আরও বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করে।

সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা: লক্ষ্য নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। বৃহৎ লক্ষ্যগুলোকে ছোট ও কার্যকরী ধাপে বিভক্ত করার মাধ্যমে তারা হাতে থাকা কাজগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারে।

আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ: লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। যখন শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্যগুলো ঠিক করে, তখন তারা তাদের পরিকল্পনার প্রতি দৃঢ় থাকার গুরুত্ব শেখে।

আত্মউন্নয়ন: লক্ষ্য নির্ধারণ আত্মবিশ্লেষণ করতে উৎসাহিত করে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত করতে পারে। যা একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য অপরিহার্য এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়: লক্ষ্য নির্ধারণ কার্যকর করতে শিক্ষার্থীরা প্রথমত তাদের লক্ষ্যগুলো লিখে ফেলবে। এরপর ছোট ছোট ধাপে সেগুলো ভাগ করে কাজে নেমে পড়বে। সর্বশেষ, নিয়মিত কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া অভিভাবকদের দায়িত্ব থাকবে, শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তারা শিক্ষক ও গুরুজনদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা ও উৎসাহ পেতে পারে। 

লেখক: শিক্ষার্থী, স্পেন


/রিয়াজ

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ, ফেল ৯৪.০৭ শতাংশ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ, ফেল ৯৪.০৭ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটের (‘ক’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ পাস এবং ৯৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেছেন। তিন বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায়) মিলিয়ে পাস করেছেন ৭ হাজার ৪৩৭ জন। 

সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশিত হয়। 

জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬ হাজার ৯২২ জন, মানবিক থেকে ৩৯৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ১২২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নটর ডেম কলেজের মাহমুদুল হাসান ওয়াসিফ প্রথম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ১১০। মানবিক থেকে হলিক্রস কলেজের তাবাসসুম তিথি প্রথম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৮ দশমিক ৫। অন্যদিকে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে নরসিংদী সরকারি কলেজের সাজিত মিয়া প্রথম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৩ দশমিক ৮৮।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (২৫ মার্চ) বেলা ৩টা থেকে ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে। ফল নিরীক্ষণের জন্য ফি দেওয়া সাপেক্ষে আগামী ৬ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

উল্লেখ্য, ‘ক’ ইউনিটে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮২০টি, মানবিকের জন্য ৫১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫টি আসন রয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের আটটি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার বিস্তারিত ফল admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এ ছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে DU SCI ˂roll no˃ টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS -এ ফল জানা যাবে।

কৃষি সাংবাদিকতা বিভাগে পুরস্কার পেলেন খবরের কাগজের রায়হান আবিদ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
কৃষি সাংবাদিকতা বিভাগে পুরস্কার পেলেন খবরের কাগজের রায়হান আবিদ
পুরস্কার গ্রহণ করছেন আবিদ

গবেষণা যখন কেবল গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ থাকে, তখন তার আলো খুব কম মানুষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু সেই আলো যদি ছড়িয়ে পড়ে সংবাদপত্রের পাতায়, তখন তা হয়ে ওঠে জনতার সম্পদ। গবেষণার তথ্য যখন সহজ ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছায়, তখন কৃষকের চাষাবাদে আসে নতুন দিগন্ত, নীতি-নির্ধারকদের চোখ খুলে যায়, বিজ্ঞানীরা পান অনুপ্রেরণা। আর এই অসাধারণ দায়িত্বই পালন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান আবিদ।সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) কৃষি সাংবাদিকতা পুরস্কার পেলেন তিনি।

তার কলমে উঠে এসেছে গবেষণা ও বাস্তবতার মেলবন্ধন, যেখানে বিজ্ঞান শুধু গবেষণাগারের দেয়ালে বন্দি নয়- তা ছুঁয়ে গেছে মাঠে-ঘাটে, কৃষকের জীবনে। শিক্ষা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হক ভূঁইয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বাউরেসের গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

রায়হান আবিদ জানান, ‘বিজ্ঞান সব সময় সহজ নয়, জটিল সূত্র, কঠিন শব্দ আর গবেষণার সংখ্যাতত্ত্ব, যা সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্যই থেকে যায়। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি বিজ্ঞানের ভাষাকে সহজবোধ্য করে মাটির মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। তার লেখাতে শুধু গবেষণার ফলাফলই ছিল না, ছিল মাঠপর্যায়ের বাস্তবচিত্র, 
গবেষকদের মতামত, কৃষকের অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা।’

আবিদের কলমে ফুটে উঠেছে, উচ্চ ফলনশীল রঙবেরঙের গাজরের দেশের আবহাওয়া উপযোগী করে উৎপাদন, দেশেই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গবাদিপশুর প্রায় নির্ভুল রোগ নির্ণয়, ইঁদুরের ওপর ফোর-জি তরঙ্গের প্রভাব পর্যবেক্ষণ, উচ্চ অ্যান্থোসায়ানিন যুক্ত বিট রুটের উৎপাদন বৃদ্ধি (ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্যকারী), দেশি শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, আমলকী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির হিট স্ট্রেস কমানো, অপ্রচলিত উদ্ভিদ থেকে উন্নতমানের খাদ্যসামগ্রী তৈরি, পোলট্রির ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগের বিরুদ্ধে আদা-রসুনের নির্যাসের কার্যকারিতা, গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিসের টিকা তৈরি, দেশে ঘোড়ার দেহে প্রাণঘাতী গ্ল্যান্ডার্স রোগের উপস্থিতি নির্ণয়, বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনসহ বিভিন্ন কৃষি গবেষণার সংবাদ। 
লেখালিখির অনুপ্রেরণার পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার অনুপ্রেরণা ফসলের মাটিতে, কৃষকের হাসিতে, বিজ্ঞানীদের অদম্য প্রচেষ্টায়। আমি চাই, কৃষি গবেষণা শুধু পত্রিকার পাতায় না থেকে বাস্তব জীবনেও পরিবর্তন আনুক, টেকসই উন্নয়নের দুয়ার উন্মোচন করুক।’

তিনি মনে করেন, সত্যিকারের সাংবাদিকতা কেবল তথ্য পৌঁছে দেওয়া নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। গবেষণাগারে আবদ্ধ জ্ঞান যদি মাঠে-ময়দানে প্রয়োগ না হয়, তবে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই শূন্যতা পূরণ করতে ও বিজ্ঞান আর বাস্তবতার মাঝে সেতুবন্ধন গড়তে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

ঢাবি অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তারের দাবি সাদা দলের

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ এএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ এএম
ঢাবি অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তারের দাবি সাদা দলের
ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানে গণহত্যায় উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজ‌বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। 

রবিবার (২৪ মার্চ) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে এ দাবি জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন ও গণহত্যায় উৎসাহিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা শিক্ষক সমিতির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের পক্ষ থেকে আমরা ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত ড. জিনাত হুদার এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সাদা দলের নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখাত এবং তদুপরি ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ড. জিনাত হুদা আর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন। এরপরও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল এবং প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। এমন অবস্থায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতাকে নিয়ে বিষোদগার, নেতিবাচক মন্তব্য, গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হয়ে গণভবনে উপস্থিত হয়ে খুনি শেখ হাসিনার গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়ায় ফ্যাসিবাদের দোসর ড. জিনাত হুদাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে একাধিকবার মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/