ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ইমাম হোসেনের কাছে ইংরেজি শেখা আনন্দের

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:০০ এএম
ইমাম হোসেনের কাছে ইংরেজি শেখা আনন্দের
ছবি: সংগৃহীত

ভাবুন তো, একটি ক্লাসরুম কিন্তু সেখানে কেউ গম্ভীর মুখে বইয়ে ডুবে নেই, নেই একঘেয়ে পুরোনো ধরনের লেকচার। বরং চারদিকে প্রাণখোলা হাসি, কেউ খেলায় মেতে আছে, কেউ গল্প বলছে, কেউ আবার বন্ধুদের নানা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। মজার বিষয় হলো, তারা বুঝতেই পারছেন না যে মজার ছলে তারা ইংরেজি শিখে ফেলছেন! এটাই হেডম্যান একাডেমির বিশেষ শিক্ষাদান পদ্ধতি। এখানে শেখা মানে আনন্দ। অথচ আমাদের দেশে এখনো বহু শিক্ষার্থী ইংরেজির নাম শুনলেই ভয় পান বা বিষয় হিসেবে ইংরেজি নিতে দ্বিধাবোধ করেন। ইমাম হোসেন ঠিক করেছিলেন, এই ভয় কাটাতেই হবে। তাই ২০১৮ সালে তিনি গড়ে তোলেন হেডম্যান একাডেমি। যেখানে শেখার মানেই হবে মজা।

আমরা ছোটবেলা থেকে ইংরেজিকে ভয় পাই। কারণ আমাদের শেখানো হয় কঠিন সব গ্রামার রুলস। মনে করিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষা এবং ভুল করলেই শাস্তি! কিন্তু হেডম্যান একাডেমিতে শেখানোর ধরনটা পুরোই উল্টো। এখানে কেউ রুলস মুখস্থ না করেই ইংরেজি শিখে ফেলে। কোনো শিক্ষার্থী যখন টেন্স (Tense) শেখে, তখন বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে না রেখে সে হয়তো কোনো গেম খেলছে, কোনো মজার গল্প বলছে বা কোনো চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যেই সে শিখে যাচ্ছে টেন্স, গ্রামার, ভোকাবুলারি- সবকিছু।

দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে শুধু শিক্ষা প্রদানেই সীমাবদ্ধ, হেডম্যান একাডেমি সেখানে নিয়ে এসেছে এক ভিন্ন ধারণা- এডুকেশন (Education) আর এন্টারটেইনমেইন্ট (Entertainment)-এর মিশেলে এডুটেইনমেইন্ট (Edutainment)। ভাবুন তো, আপনি একটি ভিডিও দেখছেন, শিক্ষক পাঠদান করছেন, আর পুরো ক্লাসে হাসির রোল! আর এভাবেই আনন্দের সঙ্গে এখানকার শিক্ষার্থীরা শিখে নিচ্ছেন নতুন শব্দ, বাক্য গঠন আর সঠিক উচ্চারণ।
এই অভিনব পদ্ধতির কারণেই হেডম্যান একাডেমির ভিডিওগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে এতটা জনপ্রিয়। এখানে পড়াশোনা আর কোনো ভয়ের বিষয় নয়, বরং এক দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

ইমাম হোসেন বিশ্বাস করেন, ইংরেজি শেখার ভয় কোনো এলাকায়ই থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এখনো ইংরেজির নাম শুনলে মানুষের ভয় হয়, যেন ‘ইংরেজি’ মানেই বিশাল কোনো দানব! তিনি মজার ছলে বলেন, ‘ইংরেজির নাম শুনলেই কারও কারও গায়ে জ্বর চলে আসে।’
এ কারণেই তার লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর- সব জায়গায় ইংরেজি শেখানোর এই মজার পদ্ধতি পৌঁছে দেওয়া। ইতোমধ্যে তিনি মালয়েশিয়া, চীন ভ্রমণ করেছেন; যেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও ইংরেজি শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
তার পরবর্তী পরিকল্পনা হলো- প্রথমে বিভাগীয় শহরগুলোতে হেডম্যান একাডেমির শাখা খোলা, তার পর ৬৪ জেলা আর যদি মানুষ পছন্দ করে, তবে উপজেলাতেও তিনি পৌঁছাতে চান।

হেডম্যান একাডেমি আজ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি বিপ্লব। ইংরেজির প্রতি ভয় দূর করে, শিক্ষাকে আনন্দময় করে, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতেই হেডম্যান একাডেমির প্রতিটি পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে ইমাম হোসেন শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই পদ্ধতিকে ছড়িয়ে দিতে চান। তার ইচ্ছা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের ইংরেজি দক্ষতা অর্জন করুক, যেন তারা অনায়াসে যেকোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন। 

/রিয়াজ

হাবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১১ পিএম
হাবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক
ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম শুভ (২৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।

জানা গেছে, শুভ স্থাপত্য বিভাগের স্পেশাল রিপিট পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, 'একজন হামলাকারীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখা ব্যবস্থা নেবে। আমরা তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।'

সুলতান/মেহেদী/

বেরোবিতে আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকীতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৩১ এএম
বেরোবিতে আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকীতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা
শহিদ আবু সাঈদ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আগামী ১৬ জুলাই পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদৎবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’।

দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক)।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।

এদিনে কর্মসূচি
সকাল সাড়ে ৬টায় পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা, সকাল সাড়ে ৭টায় শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ ও শোকর‍্যালি, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনাসভা, বিকেল সাড়ে ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বাদ আসর (বিকাল সাড়ে ৫টা ৩০ মিনিট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের বাবা থাকবেন প্রধান অতিথি।

এ ছাড়াও আরও ২১ জন শহিদ পরিবারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। তারা সবাই স্টেজে থাকবেন। উপদেষ্টাসহ অন্যান্য অতিথিরা নিচে থাকবেন।

গাজী আজম/অমিয়/

নোবিপ্রবির ৪৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
নোবিপ্রবির ৪৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ৪৭৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পাচ্ছেন গবেষণা প্রণোদনা। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে গবেষণা প্রণোদনা দিচ্ছি- পিএইচডি ফেলোশিপ, প্রকাশনা প্রণোদনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী যৌথ গবেষণা (মাস্টার্স)।’

তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৯ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যৌথ গবেষণায় (মাস্টার্স) প্রণোদনা পাচ্ছেন। এ ছাড়া, ২০২২ সালের জন্য ২৮ জন শিক্ষক, ২০২৩ সালের জন্য ৩৩ জন এবং ২০২৪ সালের জন্য ৫১ জন শিক্ষক প্রকাশনা প্রণোদনার জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া পিএইচডি ফেলোশিপ পাচ্ছেন ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ জুলাই সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মো. রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে গবেষণা প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্রকৌশল খাতে বর্তমানে চরম বৈষম্য চলছে। যার মধ্যে রয়েছে বিএসসি প্রকৌশলের এন্ট্রি লেভেলের পদসংখ্যা সংকোচিত করা, নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে অভ্যন্তরীণ কোটার মাধ্যমে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা নিয়মের বাইরে পদোন্নতি পেলেও সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় বিএসসি প্রকৌশলীদের পদ সংকোচিত হচ্ছে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।’

বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তারা বলেন, ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন। সেখানে বিএসসি ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারছে না। শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরাই প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে পারেন, সেখানে এই পদবিরও অপব্যবহার করা হচ্ছে।’

এ সময় তারা সংবিধানের সমতা নিশ্চিতে অবিলম্বে এই বৈষ্যম নিরসনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না, এই মর্মে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

তিন দফা দাবি ঘোষণা করে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পলাশী মোড় প্রদক্ষিণ করে বুয়েট শহিদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ে গেল হাজার প্রাণ, করতে কোটার পুনর্বাসন?’ ‘কোটার নামে অবিচার বন্ধ করো, বন্ধ করো’ ‘প্রকৌশলীদের সব পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া বৈষম্য নিরসনে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন।

জাওয়াদ/সালমান/

ঢাবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে ক্লাস বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান খান

স্ট্রোকের একদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান খান। তার অকাল মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। প্রয়াত এ শিক্ষার্থীর স্মরণে শোক পালন করতে বন্ধ ছিল বিভাগের সব ক্লাস।

রবিবার (৬ জুলাই) রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ব্রেন স্ট্রোক করে শরীরের বাম অংশ অবশ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহসান। পরে সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আহসানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান হলের জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবনের ৯০০৩নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাদ জোহর নিজ জেলা নরসিংদীর পলাশে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে আহসান খানের রুহের মাগফেরাত কামনায় বাদ এশা শেখ মুজিবুর রহমান হল মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বুধবার (৯ জুলাই) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

আহসানের অকাল মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শোক জানিয়েছে ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। এ ছাড়া দুদিনব্যাপী বৃক্ষ ও ফল উৎসব কর্মসূচি স্থগিত করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

আরিফ/রিফাত/মেহেদী/