আপনি হয়তো অনেক চেষ্টা করেছেন শীর্ষে উঠে আসার জন্য। কিন্তু শত চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছেন। মনে রাখবেন ব্যবসার দুনিয়ায় সবাই চ্যাম্পিয়নকেই ভালোবাসে। কিন্তু সবার নিচে অবহেলিত থেকেও ওপরের স্থানে উঠে আসার মতো সুখ আর কোনো কিছুতে নেই।
যারা সব বাধা পেরিয়ে জয়ী হয় তারাই হয়ে উঠে কিংবদন্তি। এরা যে সব সময় ভাগ্যবান হয় তা কিন্তু নয়। প্রতিবন্ধকতাকে দূর করতে চাই কৌশল এবং ইচ্ছা। একই সঙ্গে লক্ষ্য অর্জনে অন্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনের এক্সপার্ট এমি শোওয়াল্টার তার বই ‘আন্ডারডগ এজ’-এ লিখেছেন যে, সবার নিচে থাকারও একটা সুবিধা আছে।
মানুষ তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের পরিশ্রমী, নিয়মমাফিক, সৎ ও ভালো হিসেবেই সাধারণত বিবেচনা করে থাকে। ফলে ওপরের স্তরের মানুষ তাদের ক্ষমতাবলে তৃণমূল পর্যায়ের দিকে নজর রাখতে উদ্বুদ্ধ হয়। আপনি যখন সবার নিচে থাকবেন, তখন নিজের চমক দেখাতে নিচের ৭টি পন্থা কাজে লাগাতে পারেন।
তৃণমূল পর্যায়ে নিজের চাহিদা তৈরি করুন
তৃণমূল পর্যায়ে নিজের চাহিদা তৈরি করার জন্য চেষ্টা করতে থাকুন। নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি হলে অন্যরা আপনার গুরুত্ব বুঝবে। যখন অন্যরাও আপনার গুরুত্ব বুঝবে তখনই তা কাজে আসবে। আপনার সঠিক ভাবমূর্তি তৈরি হবে ৪টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে- পক্ষপাত ছাড়া বিষয়ের এপিঠ-ওপিঠ বলতে পারা, কাজের জন্য ত্যাগ স্বীকার, সম্মান বজায় রাখা এবং নিয়ম মেনে চলা।
সরাসরি কথা বলুন
তৃণমূলের কার্যকর কর্মীরা সব সময়ই চোখ-কান খোলা রাখে। তারা মাধ্যম না ধরে সরাসরি নিজেরাই অন্যদের সঙ্গে কথা বলে। তারা জানে অনলাইন দিয়ে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক তৈরি হয় না। অফিসের কাজ শেষ করে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন, যারা আপনার কাজের ক্ষেত্রে সেরা ও দক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলুন যাতে তারা আপনার সত্যিকার আগ্রহের ব্যাপারে বুঝতে পারে।
নিজেকে প্রমাণ করুন
যারা জয়ী হতে চায় তারা সাধারণত সাহসী হয় ও কাজে অনড় থাকে। সব বাধা সত্ত্বেও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে থাকে। নিষ্ঠা ও সাহস অনেক সময় প্রতিযোগিতায় উচ্চ বুদ্ধিমত্তাকেও হারিয়ে দেয়।
সহানুভূতিশীল হোন
জয়ী হতে হলে সহানুভূতিশীল হতে হবে। সহানুভূতিশীল হলে যেকোনো কাজ সহজেই সমাধান সম্ভব। একজন তৃণমূল কর্মী তার যোগ্যতা অনুযায়ী নিজেকে সফল ব্যক্তির সামনে মেলে ধরেন। পরে সেই সফল ব্যক্তি ওই তৃণমূল কর্মীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
একসঙ্গে চলুন
কেউ কোনো কাজ একা করতে পারেন না। একা কোনো কাজ করাও যায় না। কাজে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে একে অপরের সঙ্গে কানেক্টেড হয়ে সবার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সম্পর্ক তৈরি করুন
অল্প সময়ের সম্পর্কে তেমন সুফল থাকে না। আপনার সহযোগিতা প্রার্থীদের জন্য ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করে তা প্রদান করুন তারপর আপনি তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
কাজের ইচ্ছা থাকা জরুরি
যেকোনো কাজ করার ইচ্ছা থাকা কর্মীদের জন্য খুবই জরুরি। যারা অহেতুক চিৎকার করে তারা হয়তো সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে, কিন্তু সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ইচ্ছা থাকলে কাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে এবং নিজের মধ্যেই ডুবে থাকতে হতে পারে, এতে অন্য যারা আপনাকে সত্যি সত্যি সাহায্য করতে পারত, তারা দূরে সরে যেতে পারে। মনে রাখবেন, যখন আপনি তৃণমূল পর্যায়ে থাকবেন, তখন আপনাকে সফল হতে গেলে আপনার চারপাশে থাকা প্রভাবশালীদের সমর্থন আপনার লাগবেই।