মনোবিজ্ঞানী হতে চাইলে । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

মনোবিজ্ঞানী হতে চাইলে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
মনোবিজ্ঞানী হতে চাইলে
বর্তমানে বাড়ছে মানসিক রোগীর সংখ্যা। একজন মনোবিজ্ঞানী মানসিক সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মডেল: ফারহান রহমান, সামিয়া রোজ, রহমান ওয়ায়েজ। ছবি: শরিফ মাহমুদ

একজন সাইকোলজিস্ট বা মনোবিজ্ঞানী মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, ইচ্ছা ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তা ছাড়া বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সমাধানে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। সাইকোলজিস্ট বা মনোবিদ পেশাটি বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের সমাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। চাকরির দুর্দান্ত সুযোগও রয়েছে এতে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সৈয়দ শিশির


সাইকোলজি বা মনোবিজ্ঞান
সাইকোলজি বা মনোবিজ্ঞান হলো মানসিক প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কিত বিদ্যা। এটি বিজ্ঞানের একটি তাত্ত্বিক বা ফলিত শাখা। মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে যে বিজ্ঞান, তাকে মনোবিজ্ঞান বা সাইকোলজি বলে। একজন সাইকোলজিস্ট (মনোবিজ্ঞানী) ব্যক্তিগত বা সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে মানসিক কর্মপ্রক্রিয়ার ভূমিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বর্তমানে মানসিক রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যার ফলে এর চিকিৎসাক্ষেত্রও বাড়ছে।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
সাইকোলজিস্ট হতে হলে আপনাকে মনোবিজ্ঞানের ওপর ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি এবং এরপর মনোবিজ্ঞানের বিশেষায়িত কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে হবে। যেমন- ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট হতে হলে সাইকোলজিতে ৪ বছরের বিএসসি ডিগ্রির পর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এমএসসি ও এমফিল ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। অবশ্য কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টের বেলায় ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স করে দক্ষ হলে যে কেউ এ পেশায় আসতে পারেন। একজন সাইকোলজিস্টের অবশ্যই কিছু দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়। যেমন- ধৈর্য; পরিশ্রম করার মানসিকতা; ক্লায়েন্টের চিন্তা ও আচরণ পর্যবেক্ষণের সময় ব্যক্তিগত অনুভূতি সরিয়ে রেখে যৌক্তিকভাবে তার মানসিক অবস্থার মূল্যায়ন করা; ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার দক্ষতা; ক্লায়েন্টের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে পরামর্শ দিতে পারা; যোগাযোগের দক্ষতা এবং সমাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ও বাস্তবিক ধারণা রাখা।

পড়াশোনা
বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজি বিষয়টি পড়ানো হয়। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মনোবিজ্ঞানে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্কুল সাইকোলজি আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল-অরগানাইজেশনাল সাইকোলজি বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি রয়েছে এখানে। পাশাপাশি দুই বছর মেয়াদি এমফিল ও ৩ বছর মেয়াদি ডিফিল ডিগ্রি নিতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ থেকে এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিতে পৃথকভাবে এমএসসি ও এমফিল ডিগ্রি নেওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ থেকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর সাড়ে তিন বছরের সমন্বিত এমএসসি ও এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), রাজশাহী কলেজ (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ)। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সাইকোলজি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রোগ্রাম অফার করা হয়। কেউ চাইলে বিদেশে গিয়ে এ বিষয়ের ওপর গবেষণা করতে পারেন। আমেরিকা, ইউকে, কানাডা, জার্মানি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে।

ক্যারিয়ার
আমাদের দেশে বর্তমানে প্রতি ১০ জনে ১ জন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যার হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের সেবা প্রদানের জন্য সেই পরিমাণে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সাইকোলজিস্ট নেই। কর্মক্ষেত্রে এখনো প্রচুর পরিমাণে সাইকোলজিস্টের প্রয়োজন রয়েছে। ভালো ও অভিজ্ঞ একজন সাইকোলজিস্ট হতে পারলে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কাজ বা চাকরি পাওয়া সম্ভব। তা ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিভাগে শিক্ষকতার পেশায়ও জড়িত হওয়া যেতে পারে। বর্তমানে এটি একটি সফল পেশা। একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, এনজিও, বেসরকারি ক্লিনিক বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে থাকেন। তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অরগানাইজেশনাল সাইকোলজিস্ট হিসেবে কোনো সংস্থায় কর্মী নির্বাচন এবং নিয়োগের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে থাকেন। ফরেনসিক সাইকোলজির ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগ, অপরাধ শাখা, প্রতিরক্ষা বা সেনা, আইনি সংস্থা, ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের মতো জায়গায় পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আবাসিক ক্লিনিক এবং হাসপাতাল, কিশোর-কিশোরীদের বিচার-আদালতে, বেসরকারি ক্লিনিকে এডুকেশন সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। কেউ স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া দল, পেশাদার ক্রীড়া দল, ক্রীড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ক্রীড়া গবেষণা কেন্দ্রে ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। অনেকে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা, উপদেষ্টা এবং গবেষকদের জন্য একজন পেশাদার টেস্ট ডেভেলপার এবং সাইকোমেট্রিশিয়ান হিসেবেও কাজ করেন।

মাসিক আয়
একজন সাইকোলজিস্টকে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। বেসরকারি নামি-দামি হাসপাতাল ও এনজিওগুলোতে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কয়েক লাখ টাকাও হতে পারে।এ ছাড়া এ কাজে সুনাম অর্জন করতে পারলে কাউন্সেলিং করে মাসে কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

কলি

চাকরির প্রত্যাশায় পাঠের প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৩০ এএম
চাকরির প্রত্যাশায় পাঠের প্রতিযোগিতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি। ছবি : খবরের কাগজ

পড়ালেখা শেষ করে সবাই ছুটছে সরকারি চাকরির পেছনে। আর এটা সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে গেলে। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়ে যায় লাইনে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রথমে শুধু ব্যাগ রেখে জায়গা রাখা হয়। ঠিক ৮টায় লাইব্রেরির গেট খুলে দেওয়া হয়…সারি বেঁধে সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির ভেতরে প্রবেশ করেন…তবে বিসিএস পরীক্ষার আগে এই লাইন শুরু হয় ভোর ৬টা থেকে, লাইনও থাকে অনেক দীর্ঘ।    

সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে সকালের প্রতিদিনের দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশে সরকারি চাকরি সবার অতি কাঙ্ক্ষিত। এ জন্য কঠিন এক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু চাকরিপ্রত্যাশীদের নিয়মিত পড়াশোনার জন্য নেই পর্যাপ্ত লাইব্রেরি। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাবলিক লাইব্রেরি, এমনকি বিজনেস ফ্যাকাল্টির একমাত্র লাইব্রেরিও বন্ধ করে রাখা হয়েছে, আর এসব চাপ এসে পড়েছে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ওপর।   

সাবেকদের কারণে লাইব্রেরিতে জায়গা পান না বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চাইলেও পড়ালেখা করার জন্য লাইব্রেরিতে জায়গা হয় না, আর সব কিছু বিবেচনা করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের পাঞ্চ কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করানোর উদ্যোগ  নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তাবায়ন হলে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা গ্রন্থাগারে পড়তে যান, বিশেষ করে বিভিন্ন চাকরি ও বিসিএস প্রস্তুতির জন্য পড়তে যাওয়ারা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগামী বছর থেকেই এই নিয়ম চালু হবে। ১০মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের দেওয়া এমন ঘোষণায় বেশ শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনরা, যারা নিয়মিত লাইব্রেরিতে চাকরির পড়ালেখা করেন। অন্যদিকে পাঞ্চ কার্ডে বর্তমান শিক্ষার্থীরা সুবিধা পেলেও সাবেকরাও যাতে বিপদে না পড়েন সে ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তারা। 

শফিকুল ইসলাম, ঢাবির সমাজকল্যাণ গবেষণা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘পাঞ্চ কার্ড কার্যকর হলে ভালো হবে কিন্তু আসলেই হবে কি না সেটাই বড় কথা। কারণ আগেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন ভিসি এসে বলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। পাঞ্চ কার্ড চালু হলে প্রাক্তনরা লাইব্রেরিতে আসতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা একটা জায়গা নির্ধারণ করা উচিত। মাস্টার্স বা অনার্স শেষের দিকে সবাই চাকরির পড়া শুরু করেন। সেক্ষেত্রে তাদের কোথাও পড়ার সুযোগ না দিলে তারা পড়বেন কোথায়। সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।’

সাব্বির হোসেন স্বাধীন, ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির একজন সাবেক ছাত্র। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডিসিশন জানিয়ে দিলে তো হবে না, সময় দিতে হবে। লাইব্রেরিতে সাবেক যারা আসেন তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই সময় নিয়ে যদি প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত জানায় তাহলে ভালো হয়। যারা সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন, তাদের কারণে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক সময় একাডেমিক পড়ালেখা করতেও আসতে পারেন না। বিজনেস ফ্যাকাল্টির লাইব্রেরি বন্ধ,পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ, সবাই সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতেই আসেন। এখানে চাপ পড়ে প্রচুর। প্রশাসন সিদ্ধান্ত যদি নিতেই চায় তাহলে অন্য লাইব্রেরিগুলো চালু করুক। সব জায়গা বন্ধ হয়ে গেলে চাকরিপ্রত্যাশীরা কোথায় পড়ালেখা করবে?’ 

তৌফিকুর রহমান ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাঞ্চ কার্ডের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই রানিং স্টুডেন্টদের জন্য ভালো হয়, তারা এসেই লাইব্রেরিতে বসতে পারবেন, পড়ালেখা করতে পারবেন। কিন্তু এর বিপরীতেও কথা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রকে হলে সিট দেয় সেকেন্ড ইয়ার বা থার্ড ইয়ারে গিয়ে। আবার একাডেমিক পড়া শেষ হওয়ার পরেই হল ছেড়ে দিতে হবে, লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবে না, এটা কেমন যুক্তি। তাহলে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই হলে সিটের ব্যবস্থা করুক। সেটা তো করছে না। আগে চিন্তা করতে হবে দেশের সার্বিক কাঠামো কেমন। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নই থাকে একটা সরকারি চাকরি, এর জন্য একাডেমিক পড়ালেখা কাজে আসে না। সেক্ষেত্রে লাইব্রেরিতে তো সবাই এসে চাকরির পড়াই পড়বে। উদ্যোগ ভালো, বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেকেই লাভবান হবেন, কিন্তু সাবেক ছাত্ররা যে সময় প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে পার করেছেন, সেই সময় বিবেচনা করেও তাদের জন্য মিনিমাম দুই বছরের জন্য একটা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত যাতে একাডেমিক পড়ালেখা শেষ হলেও তারা যেন লাইব্রেরিতে এসে পড়তে পারেন।’ 

ঢাবির দর্শন বিভাগের ছাত্র আব্দুল আলীম বলেন, ‘অনেকে আছেন যারা ঢাবিরও না, তারাও হলে থাকেন, লাইব্রেরিতে পড়েন। আবার যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারাও দীর্ঘসময় হলে থাকেন। সেক্ষেত্রে নতুনদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়।’

আইডিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার ৬ উপায়

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
আইডিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার ৬ উপায়

সব ব্যবসায়ীই চায় তার আইডিয়া ও পণ্য নিয়ে অন্যরা কথা বলুক এবং তা জানুক। প্রতিটি ব্যবসার জন্য এটি একটি জরুরি বিষয়। আইডিয়া সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ছয়টি উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-

১। দরকারি টিপস তুলে ধরুন
মানুষ শুধু নিজেদের ভালো দেখাতে চায় তাই নয়, তারা অন্যদের সাহায্যও করতে চায়। তাই কোনো তথ্য দরকারি হলে তা শেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। ডিসকাউন্ট, ভ্রমণ পরামর্শ বা মেদ কমানোর কার্যকরী উপায়- এসব দরকারি তথ্য মানুষের বেশি নজরে আসে। তাই বেশি বেশি ভালো অফার বা দরকারি টিপস তুলে ধরুন এবং মানুষ তা সহজেই শেয়ার করবে।

২। গল্প
গল্প বলা আলাপচারিতা জমিয়ে তোলে। মানুষ রাস্তাঘাটে বিজ্ঞাপনের সামনে দিয়ে হেঁটে যায় কিন্তু তাতে যদি কোনো গল্প দেওয়া থাকে তাহলে তারা তা নিয়ে কথা বলাবলি করবে। আপনার বার্তায় আপনার ব্র্যান্ডের গল্প তুলে ধরুন, যেমন- কীভাবে তা কাজের সময় বাঁচিয়ে দেয় বা কীভাবে অসাধ্যকে সাধ্য করা যায়। তাহলে দেখবেন মানুষ আপনার বার্তা নিয়ে কথা বলছে।

৩। সংযুক্তি
মানুষ যা চিন্তা করে তাই নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। তাই আপনার পণ্য বা ব্যবসায়িক আইডিয়াকে পরিবেশের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করুন, যেমন- এমন কোনো বস্তু বা টপিক যা হরহামেশা মানুষের আলাপচারিতায় উঠে আসে।

৪। আবেগ
যখন আপনি কেয়ার করেন, তখনই আপনি কথা বলেন। যখন আপনি কোনো খবর নিয়ে উত্তেজিত হন, কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নাখোশ হন বা নতুন কোনো কিছুর সন্ধান পান, আপনি স্বভাবতই তা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাইবেন। 
তাই আবেগের ওপর জোর দিন। যে বার্তা আপনি ভাইরাল করতে চান তার সঙ্গে দৃঢ় কোনো আবেগকে যুক্ত করুন।

৫। পর্যবেক্ষণ
মানুষ অন্যদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে থাকে। আপনি অন্যদের খেয়াল করেন এবং যখন দেখেন তারা সবাই একই জিনিস করছেন তখন ধরে নেন যে সেটা ভালো কিছু একটা হবে। কিন্তু আপনি যা দেখতে পাবেন তাই আপনি করার চেষ্টা করবেন। এজন্য যে আচরণ যতবেশি পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকে তা ততবেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়। আপনি যদি মানুষকে সহজে দেখানোর মতো কোনো ক্যাম্পেইন করেন, তাহলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

৬। পছন্দের বিষয়কে গুরুত্ব দিন
মানুষ সেটাই নিয়ে কথা বলে যা তাদের ভালোভাবে তুলে ধরে। তাদের পণ্যের প্রমোশন, তাদের বাচ্চারা স্কুলে কতটা ভালো করছে বা যখন তারা ক্লাসে কেমন উন্নতি করছে- এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা অনেকটাই সহজ। তাই মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের পছন্দের বিষয়কে গুরুত্ব দিন। তাদের আপন করে নিন। তাদের চমৎকার তথ্য দিন, যাতে করে তারা এই কথা অন্যদের বলে নিজেদের বিজ্ঞ বলে জাহির করতে পারে।

 কলি

যেসব কারণে কাস্টমার সার্ভিসকে সোশ্যাল হতে হয়

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
যেসব কারণে কাস্টমার সার্ভিসকে সোশ্যাল হতে হয়
কাষ্টমাররা আশা করেন যে কোম্পানিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কথার উত্তর দেবে। মডেল ইতেখারুল আলম, ছবি: শরিফ মাহমুদ

কাস্টমারদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনের বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। জেনে রাখা ভালো, কাস্টমারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন না করলে বরং বিক্রেতারই ক্ষতি। আপনার এক কাস্টমার ফেসবুকে আপনার পণ্যের তুলোধোনা করে বসল। যদি তার অভিযোগ ভালোভাবে আমলে নেওয়া হয়, হয়তো একজন অসন্তুষ্ট ক্রেতাকে আপনি আপনার বিশ্বস্ত কাস্টমারে রূপান্তরিত করতে পারবেন। আর যদি অভিযোগটি উপেক্ষা করেন, তা হলে আপনার সুনামের বারোটা বাজতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। এখনকার দিনে কাস্টমাররা আশা করেন যে কোম্পানিগুলো ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক সাইটে তাদের কথার উত্তর দেবে।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো এসব সাইটে যদি কাস্টমারদের সঙ্গে সক্রিয় থাকে, তা হলে তারা অনেক বিশ্বস্ত কাস্টমার পেতে পারে- যা তাদের ব্র্যান্ডের সুনাম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কাস্টমারদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে সংযোগ করতে চাইলে এই নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন-

সোশ্যাল মিডিয়াতে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কাস্টমার বলেছেন, তারা এরই মধ্যে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন এবং প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা কাস্টমার সার্ভিসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকেই পছন্দ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরতা
আরেকটি গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ৩০% কাস্টমার গতানুগতিক ফোনকলের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ এতে সময় এবং টাকার সাশ্রয় হয় এবং কাস্টমাররা প্রায় সবসময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় কানেক্টেড থাকেন। 
মাত্র ৫৫% কাস্টমার এক দিনের মধ্যে তাদের প্রশ্নের উত্তর আশা করে থাকেন, যা একটি কোম্পানির জন্য ব্যয়বহুল নয়।

অন্যের কাছে আপনার ব্র্যান্ডকে রেকমেন্ড
যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কোম্পানির কাছ থেকে ভালো কাস্টমার সার্ভিস পেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে ৭০%-এরও বেশি পরবর্তী সময়ে সেই ব্র্যান্ডটিকে অন্যদের কাছে রেকমেন্ড করে থাকে। এবং যেসব কাস্টমার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাস্টমার সার্ভিস সুবিধা নেননি তাদের তুলনায় যারা সুবিধাটি নিয়েছেন- তারা ওই ব্র্যান্ড থেকে ২০ থেকে ৪০% বেশি কিনে থাকে।

সাড়া না দিলে ক্ষতি আপনারই
একটি খারাপ কাস্টমার সার্ভিস অভিজ্ঞতা আপনার কোম্পানির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাস্টমার সার্ভিস খারাপ হলে অধিকাংশ ক্রেতাই আপনার কোম্পানি থেকে কিছু কিনবে না।

একক পর্যায়ে যোগাযোগ 
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি সবচেয়ে কম খরচে আপনার ভোক্তা বা কাঙ্ক্ষিত ভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। পণ্য বা সেবা অথবা বিক্রয়পরবর্তী সেবা অথবা নতুন বিজ্ঞাপন বা ক্যাম্পেইন, যেকোনো ব্যাপারে আপনি তাদের পছন্দ জানতে পারেন। এটা আপনার ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে।

কলি 

স্মার্ট পেশা সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
স্মার্ট পেশা সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট

ব্যবসার শুরু থেকে গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছানো পর্যন্ত কাজ করে থাকে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (Supply Chain Management)। এটিকে যেকোনো ব্যবসার মেরুদণ্ডও বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। এতে প্রতিযোগিতার মাত্রা বেড়ে গেছে। আর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে গুণগতমান বজায় রেখে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য বা সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোটা সব প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোয় সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পেশাজীবীর চাহিদা তৈরি হয়েছে।

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কী?
সহজভাবে বলতে গেলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বলে। কোনো প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে পরিকল্পনা, পণ্যের উৎস, মজুতকরণ, প্রস্তুত এবং বিপণন কার্যক্রম দক্ষতা দিয়ে সময়মতো ও কম খরচে সম্পন্ন করাই হলো সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বা সরবরাহ শেকল ব্যবস্থাপনা। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের পারিভাষিক অর্থ হলো- একটি পণ্যের প্রাথমিক উৎস থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে সেটিকে পৌঁছে দেওয়া। তবে আধুনিককালে পণ্য শুধু সরবরাহ করলেই হবে না। পণ্যের মান এবং প্রতিশ্রুত সময় রক্ষা করা পণ্য সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এমনকি বিক্রয়-পরবর্তী সেবাও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের অন্তর্ভুক্ত।

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের কাজ কী?
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে একটি অন্তর্নিহিত বিষয়, যেখানে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বিষয়াবলি ছাড়াও বৈশ্বিক বিষয়ে জানা জরুরি। আরও বিশদভাবে বললে- সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে পণ্য সংগ্রহের একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা, পণ্য ক্রয় বা সংগ্রহ, সজ্জিতকরণ বা শ্রেণিবদ্ধকরণ, স্থানান্তর, মজুতকরণ, সরবরাহ, বিক্রয় এবং বিক্রয়োত্তর সেবা। একজন সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপককে পুরো প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠানের সব শাখার জনবলের সঙ্গে যোগাযোগ বা সমন্বয় রেখে করতে হয়। নিজস্ব পণ্য ছাড়াও পণ্যের খুঁটিনাটি এবং এর উন্নতি সাধন, পাশাপাশি ক্রেতার হাতে আরও উন্নত পণ্য সবচেয়ে কম দামে পৌঁছে দেওয়াই দক্ষ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের কাজ।

পড়াশোনা
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে দক্ষ পেশাজীবী হতে চাইলে হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন-সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স। কেননা, আধুনিক বিশ্বের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে এসব কোর্স বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইনে দক্ষ জনবল তৈরিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যুক্তরাজ্যের দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই (সিআইপিএস) ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এডুকেশন অ্যালায়েন্স (আইএসসিইএ)-এর সিএসসিএম (সার্টিফাইড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার), দেশের মধ্যে- মাইন্ড মেপারস, ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচআরএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) সাপ্লাই চেইনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা করাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এ বিষয়ে ট্রেনিং কোর্স করাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাপ্লাই চেইনের ওপরের বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে।

চাকরির সুযোগ
বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিধি প্রসারিত হচ্ছে দিন দিন। বাড়ছে বিশ্বমানের শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। অসীম সম্ভাবনার দুয়ার খুলে এ দেশেও গড়ে উঠছে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রোডাক্ট সেলের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশ, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। পাশাপাশি পরিবহনের মাধ্যমে স্থল ও জলপথে অনেক সহজে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যায় পণ্য। এমন পরিবেশে বিদেশি কোম্পানিগুলো যেমন এগিয়ে আসছে তেমনি এ দেশীয় কোম্পানিগুলো আরও বেশি পরিমাণে নতুন নতুন পণ্য বা সেবা নিয়ে ক্রেতার সামনে হাজির হচ্ছে। ভীষণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে খাতটি। এসব খাতের জন্য তৈরি হচ্ছে বিপুল কর্মসংস্থান। প্রাথমিক অবস্থায় এ পেশায় সম্ভাব্য গড় বেতন ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেলেও অভিজ্ঞতা বাড়ার পাশাপাশি বেতনও বাড়তে থাকে।

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পেশাজীবীদের দেশে-বিদেশেও রয়েছে প্রচুর চাহিদা। বিশ্বায়নের যুগে এ পেশার প্রসার খুব দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের পেশাজীবীদের খোঁজ করছে। এ খাতের পেশাজীবীরা সাধারণ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট অফিসার, লজিসটিক, প্রকিউরমেন্ট ও গ্রাহকসেবা ইত্যাদি পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আমাদের দেশে যে হারে শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নিত্যনতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, সে অনুপাতে নেই দক্ষ জনশক্তি। তবে দেশে সাধারণত লজিস্টিকস অফিসার বা প্রকিউরমেন্ট অফিসার হিসেবেও এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করলে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া যায়।

দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনাতেও দক্ষ জনবল সংকট রয়েছে। যার কারণে এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে পারলে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

 কলি

চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যবসা এবং করপোরেট খাতে প্রতিনিধিত্বকারী শিল্প নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি সংস্থা। এই সংস্থা হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও মার্কেটিংয়ের জন্য ডিজিএম নিয়োগ দেবে। বেতন দেড় লাখ। কর্মস্থল হবে চট্টগ্রামে।

আবেদনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: এই পদে যাকে নেওয়া হবে, তাকে ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। তাকে দীর্ঘমেয়াদি নানা কাজের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশাসন, অ্যাকাউন্টসের মতো একাধিক বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। তাকে কার্যকর বিপণন এবং ব্যবসায়িক বিকাশের পদ্ধতি বাস্তবায়নে সক্ষম হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা এবং সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ১২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৪ বছর প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞ হতে হবে। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান)। একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কেটিং, ডিপ্লোমা, হোটেল ম্যানেজমেন্টে বিশেষ প্রশিক্ষণে এমবিএ ডিগ্রি থাকা বাঞ্ছনীয়। ইংরেজি যোগাযোগে (মৌখিক ও লিখিত) আন্তর্জাতিক মান ও দক্ষতা অপরিহার্য।

সিভি পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ মে, ২০২৪

কলি