প্রবাসীদের সব সমাধান যেখানে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

প্রবাসীদের সব সমাধান যেখানে

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
প্রবাসীদের সব সমাধান যেখানে
’আমি প্রবাসী’ অ্যাপে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার নতুন চাকরির খোঁজ মিলেছে। ছবি: সংগৃহীত

ভাগ্য বদলাতে প্রতিদিনই দেশ ছাড়ছে হাজারো বাংলাদেশি। তবে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা নিয়ে বিদেশগামীদের ভোগান্তির কথা সবার জানা। অসহনীয় এই ভোগান্তি কমিয়ে আনতে বিদেশে যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনে কাজ করে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। ২০২১ সালের শেষের দিকে বিদেশগামীদের সেবা দিতে তৈরি করা হয় ‘আমি প্রবাসী’ নামের একটি অ্যাপ। এটি ব্যবহার করে সহজেই যে কেউ বিদেশে কর্মসংস্থান খুঁজে বের করাসহ বিদেশ যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া ঘরে বসে সম্পন্ন করতে পারেন।

বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের বিএমইটি নিবন্ধন থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, ছাড়পত্র ও স্মার্ট কার্ডসহ সবই এখন মিলছে অনলাইনে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের সব সেবাই ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এই অনলাইন প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু হলে নিরাপদ অভিবাসনে যোগ হবে নতুন মাত্রা।

মাত্র তিন বছরেই এই অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখেরও বেশি। এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে ঘরে বসেই এখন বিএমইটির ডাটাবেইজে রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আর এখন পর্যন্ত এই সেবা নিয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি বিদেশগামী ব্যক্তি। আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এই সেবা নিতে যেকোনো জনশক্তি কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করে, ঘরে বসেই সে সেবা নিতে পারছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী আবু রায়হান করোনার সময় অ্যাপটি ব্যবহার শুরু করেন। তিনি এটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথমবার বিদেশ যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও রেজিস্ট্রেশন, ট্রেনিংয়ের শিডিউল নেওয়া, সার্টিফিকেট উত্তোলন, স্মার্ট কার্ডসহ বিদেশ যাওয়ার প্রতিটা ধাপ ম্যানুয়াল থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ব্যয়ও হয়েছে অতিরিক্ত। তবে এখন এসব প্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ায় এসব ঝামেলা অনেকটাই করেছে। সবকিছু নিজে নিজেই করা যাচ্ছে। তবে বাকি কার্যক্রমগুলো অনলাইনে সম্পন্ন করা গেলে আরও ভালো হতো।’

করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন স্থবির হয়ে পড়ে। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিও থমকে যায়। আর এই সময় ভরসা হয়ে ওঠে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এ অবস্থায় প্রবাসী আয় বাড়াতে তৎপর হয় সরকার। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ও সুশৃঙ্খলভাবে করোনার টিকা পেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এই অ্যাপ।

১৭ লাখেরও বেশি বিদেশগামী করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেন ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করে। ফলে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই বিদেশগামীরা টিকা নিয়েছেন।

করোনা-পরবর্তী সময়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমাতে বিদেশ যাত্রার সব সরকারি প্রক্রিয়াগুলো ডিজিটালাইজেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে প্রাথমিকভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও), ট্রেনিং এবং বিএমইটি কিউআর কোড সংবলিত স্মার্ট কার্ডসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হয়। বিএমইটির তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ পিডিও অন্তর্ভুক্তি হয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে।

অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পিডিওতে অংশ নেওয়ার জন্যও নানা ঝামেলা হতো। এই সেবাটি নিতে বিদেশ গমনেচ্ছুদের এক দিন পিডিও শিডিউল চেক করতে আসতে হতো, আরেক দিন ভর্তি, তারপর কোর্সে অংশগ্রহণ ও সর্বশেষ সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে হতো। এসব প্রক্রিয়াতেই নষ্ট হতো অন্তত সাত থেকে দশ কর্মদিবস ও অর্থ। আর এখন পিডিওর ডিজিটালাইজেশনের ফলে অনলাইনেই সেবাগ্রহীতা শিডিউল দেখে অনলাইনে পেমেন্ট করে, সরাসরি পিডিও সেশনে ভর্তি হতে পারছেন। আবার কোর্স শেষে সার্টিফিকেটও মিলছে অনলাইনেই। ফলে বিদেশগামীদের একদিকে বাঁচছে টাকা, অন্য দিকে পোহাতে হচ্ছে না ভোগান্তি।

কর্মকর্তাদের ফাইল জট কমাতে ও রিক্রুটিং এজেন্সিদের সেবাগুলোও নিরবচ্ছিন্ন করতে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিদের সেবাগুলো। শুরুতে এজেন্সিগুলোর ডিজিটালাইজেশনে কিছুটা অনীহা থাকলেও সময়ের ব্যবধানে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত হয়েছে স্মার্ট সেবায়।

অ্যাপে গিয়ে যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ একজন বিদেশগামীকে অনলাইন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তাদের মোবাইলে স্মার্ট কার্ডটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন বা প্রিন্টও করতে পারবেন। সেই সঙ্গে কিউআর কোডের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডটি দেখাতে পারবেন ইমিগ্রেশনসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে। ফলে স্মার্ট কার্ডটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও নেই।

অ্যাপটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সাইফ উল আলম জানান, এটি ব্যবহারে অভিবাসীপ্রত্যাশীদের থেকে বেশি সুবিধা পাবেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কারণ আমাদের সিস্টেমে রিক্রুটিং এজিন্সিগুলো বিএমইটিতে না এসেও অনলাইনে তাদের ক্লায়েন্টদের ফাইল পুট-আপের সুযোগ রয়েছে। এ কারণে ফাইল নিয়ে তাদের আর কোনো দপ্তরে ঘুরতে হবে না। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, আগে শুধু ম্যানুয়ালি যখন বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য ফাইল জমা পড়ত, সেখানে লোকবলের ঘাটতি থাকায় সময়মতো অনেকেরই ক্লিয়ারেন্স পেতে সমস্যা হতো। এখন অনলাইনে কিউআর কোডের মাধ্যমে মিলছে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স।

বিএমইটির সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম অ্যাপটিকে সেইফ মাইগ্রেশন বা স্মার্ট মাইগ্রেশন নাম দিয়ে ডিজিটাল কিউআর কোডভিত্তিক স্মার্ট কার্ড প্রবর্তনকে যুগান্তকারী সংযোজন হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে একদিকে কার্ড প্রিন্টিংয়ের অতিরিক্তি ঝামেলা কমেছে। শুধু কার্ড প্রিন্টিং এড়ানোর কারণে সরকারে এখান থেকে বছরে বড় অঙ্কের খরচ কমেছে। এ ছাড়া ভুয়া স্মার্ট কার্ড বা জালিয়াতির মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। কাজে এসেছে স্বচ্ছতা।

গত বছরের জুনে অনলাইনে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের ফিচারটি চালু করা হয়। এতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। বিএমইটির তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ৮ লাখেরও বেশি কিউআর কোডভিত্তিক ইমিগ্রেশন স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। গত মাসে রেকর্ড সংখ্যক বিএমএইটি ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া ট্রেনিংয়ে অংশ না নিয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। ফলে এক দিকে বিদেশে গিয়ে শ্রমিকদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে, অন্যদিকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের হারানো আস্থা ফিরছে। ইতোমধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি কর্মী বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন কোর্সে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে এই অ্যাপে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ নতুন চাকরির খোঁজ মিলেছে। যে কেউ চাইলেই নিজের চাকরি নিজেই খুঁজে অথবা নিজের সংগৃহীত ভিসার প্রসেসিং বা সিঙ্গেল ভিসার প্রসেসিং ওয়ানস্টপের মাধ্যমে করতে পারবেন। বিএমইটির ওয়ানস্টপ সেবাও অনলাইনে মিলছে। তাই যে কেউ চাইলেই এখন নিজের ভিসার যাবতীয় কার্যক্রম ঘরে বসে অনলাইনেই সম্পন্ন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে একজন ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার আগে তার জব বা তার ভিসা সঠিক কি না অথবা তিনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সেটির তথ্য যাচাই করতে পারছেন।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সিইও নামির আহমেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্মার্ট মাইগ্রেশন বা স্মার্ট অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই খাতে শতভাগ ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আনতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ডিজিটাল সত্যায়ন চালু করছি। ফলে আর কোনো কর্মী বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। সেই সঙ্গে সরকারও ভিসা অ্যাটাস্টেশন বাবদ নির্ধারিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না। অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে স্টোর ও আইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে।

কলি

চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রাম চেম্বারে চাকরি বেতন দেড় লাখ

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যবসা এবং করপোরেট খাতে প্রতিনিধিত্বকারী শিল্প নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি সংস্থা। এই সংস্থা হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও মার্কেটিংয়ের জন্য ডিজিএম নিয়োগ দেবে। বেতন দেড় লাখ। কর্মস্থল হবে চট্টগ্রামে।

আবেদনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: এই পদে যাকে নেওয়া হবে, তাকে ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। তাকে দীর্ঘমেয়াদি নানা কাজের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশাসন, অ্যাকাউন্টসের মতো একাধিক বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। তাকে কার্যকর বিপণন এবং ব্যবসায়িক বিকাশের পদ্ধতি বাস্তবায়নে সক্ষম হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা এবং সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ১২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৪ বছর প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞ হতে হবে। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান)। একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কেটিং, ডিপ্লোমা, হোটেল ম্যানেজমেন্টে বিশেষ প্রশিক্ষণে এমবিএ ডিগ্রি থাকা বাঞ্ছনীয়। ইংরেজি যোগাযোগে (মৌখিক ও লিখিত) আন্তর্জাতিক মান ও দক্ষতা অপরিহার্য।

সিভি পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ মে, ২০২৪

কলি

মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক মধুমতি ব্যাংক পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটি তাদের ‘টেলার/হেড টেলার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদ ও বিভাগের নাম: টেলার/হেড টেলার, এও (ক্যাশ)-এসও (ক্যাশ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে একাডেমিক ক্যারিয়ারে কোনো তৃতীয় বিভাগ থাকলে এ পদে আবেদন করা যাবে না।
চাকরির অভিজ্ঞতা: ব্যাংকের ৩-৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনভিজ্ঞদের টেলার/হেড টেলার পদে আবেদনের দরকার নেই।
অন্যান্য সুবিধা: নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়া আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদনের বয়সসীমা: টেলার/হেড টেলার পদে আবেদনের জন্য বয়স ২৫ বছর বা এর বেশি হতে হবে।
পদসংখ্যা: ৬০টি
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৯ মে, ২০২৪
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করুন এই লিংকে https://career.modhumotibank.net/

কলি

ওয়াটার এইডে ঢাকায় চাকরি, বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১১ পিএম
ওয়াটার এইডে ঢাকায় চাকরি, বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসিলারেটর (আরডব্লিউএ) কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: রেসিলিয়েন্ট ওয়াটার অ্যাকসিলারেটর (আরডব্লিউএ) কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজার

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পলিসি, অর্থনীতি, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্ট, ফিন্যান্স, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ, ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ক্ষেত্রে অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগ, পেমেন্ট ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ হতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া রিজিওনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ফিন্যান্স সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের কাজ জানতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (দীর্ঘমেয়াদি)

কর্মস্থল: বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস, ঢাকা

কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব বোনাস, জীবনবিমা, কর্মী, কর্মীর স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানের জন্য স্বাস্থ্যবিমা এবং মুঠোফোন বিলের সুযোগ আছে।

যেভাবে আবেদন: আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়াটার এইড বাংলাদেশের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের http://career.wateraidbd.org:99/home/jobdetails/67 এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ মে, ২০২৪

কলি

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা ৯ মে শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ৬ মের মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা প্রদানের সময় ওই কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ৬ মের মধ্যে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না। মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ২৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কলি

আপনার চাকরি হারানোর কারণ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:০১ পিএম
আপনার চাকরি হারানোর কারণ
বসের চেয়ে বেশি যোগ্য ও স্মার্ট আপনি চাকরি নিয়ে ঝুঁকিতে আছেন। মডেল: মায়া, ছবি: শরিফ মাহমুদ

সবার যে চাকরি করতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই। যারা উদ্যোক্তা, তারা বলে থাকেন, চাকরি তাদের জন্য নয়। এর পেছনে কিন্তু কারণও রয়েছে। সে যাই হোক, আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে যেকোনো সময় চাকরি হারানোর ঝুঁকি কিন্তু আপনার রয়েছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- গুলশান হাবিব রাজীব

ডিগ্রি নেই অথচ আপনি বসের চেয়ে বেশি স্মার্ট
আসল উদ্যোক্তারা স্কুল কিংবা কলেজে সহজেই তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আইটি জগতের সব নামিদামি উদ্যোক্তা কিন্তু তাদের কলেজ ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি। যেমন- প্রয়াত স্টিভ জবস, ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ডেল করপোরেশনের মাইকেল ডেল ও টামব্লারের ডেভিড কার্প। এদের কারও প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ শেষ করার ধৈর্য ছিল না। এদের মতো আপনারও হয়তো ডিগ্রি নেই। কিন্তু আপনি আপনার বসের চেয়েও বেশি যোগ্য ও স্মার্ট। যদি ব্যাপারটি এমন হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাকরি নিয়ে আসলেই ঝুঁকিতে আছেন।

যদি সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন
জেটব্লুর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড নিলম্যানের সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলার সমস্যা রয়েছে। এ কারণে ২০০৭ সালে তাকে তারই নিজের কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আপনি যদি সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন ও অনেক কাজ শুরু করলেও তার সবগুলো শেষ করতে না পারেন তাহলে কোম্পানির চাকরি আপনার জন্য নয়।

আপনি সবকিছু দৃশ্য হিসেবে কল্পনা করেন
কোনো আইডিয়া মাথায় এলে আপনি কি সেটার ছক বা নকশা আঁকতে বসে যান? উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে যে চাকরিতে লিখিতভাবে আপনার আইডিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে, সেই চাকরি আপনার জন্য নয়।

অন্যদের কথা শুনতে আগ্রহী না হলে
অনেক উদ্যোক্তা থাকেন যারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে কথা বলতে বেশ পছন্দ করেন। অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তারা যে এটা করেন তা হয়তো নিজেরাও জানেন না, তাই আপনার মধ্যে এই স্বভাব থাকলে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু বা আপনজনের সাহায্য নিন। আপনার যদি অন্যদের কথা শোনায় আগ্রহ না থাকে, তাহলে যে চাকরিতে আপনাকে অন্যের কথা শুনে কাজ করতে হবে, সেই চাকরি আপনার না করাই ভালো।

অনেক কাজেই হাত দেন কিন্তু তার সবগুলো শেষ করতে পারেন না
এমন হয় কি যে, আপনি একটি কাজে হাত দিলেন আর কিছুক্ষণ পরই আপনার মাথায় নতুন কাজের আইডিয়া চলে এল? যদি আপনি নিজের কোম্পানি চালান, তাহলে নিজের যেকোনো আইডিয়া নিয়ে আপনি কাজ করতেই পারেন কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের বসেরা চাইবেন যে, কর্মচারীরা তাদের আইডিয়াকে গুরুত্ব দিক। আপনি যদি চাকরির অযোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে কোনো কোম্পানির জন্য চাকরি না করে নিজের কোম্পানি বানিয়ে অন্যকে চাকরি দেওয়াটাই শ্রেয় হবে।

কলি