ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

ব্যক্তিগত পত্র 

১। মনে করো, তোমার নাম দুরন্ত। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।

শাহজাহানপুর, ঢাকা
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫ 

প্রিয় রাহুল,

আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখছি। 
তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে গাছ কাটছে ও বন উজাড় করছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে মানুষের প্রয়োজনে স্থাপন করা হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায়

আরো পড়ুন : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব

যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় গাছের মাধ্যমে। গাছ থেকে সংগ্রহ করা কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সমাজের মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার সালাম দিও। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।


ইতি
তোমার বন্ধু
দুরন্ত

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

প্রত্যুপকার গল্পের ২০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
প্রত্যুপকার গল্পের ২০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র
প্রত্যুপকার গল্পটি লিখেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

গল্প : প্রত্যুপকার

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস কীভাবে জানতে পারেন যে বন্দি ব্যক্তি তার আশ্রয়দাতা?
উত্তর: বন্দি ব্যক্তির কথা শুনে এবং তাকে নিরীক্ষণ করে আলী ইবনে আব্বাস জানতে পারেন বন্দি ব্যক্তি তার আশ্রয়দাতা।

প্রশ্ন: আশ্রয়দাতা বন্দি অবস্থায় কীভাবে আলী ইবনে আব্বাসের সামনে আসেন?
উত্তর: খলিফার আদেশে তাকে বদ্ধ অবস্থায় আলী ইবনে আব্বাসের সামনে আনা হয়।

প্রশ্ন: বন্দি ব্যক্তি কী কারণে খলিফার কোপে পতিত হন?
উত্তর: কিছু লোক ঈর্ষাবশত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করায় তিনি  খলিফার কোপে পতিত হন।

প্রশ্ন: বন্দি ব্যক্তি বন্দি অবস্থায় কী চেয়েছিলেন?
উত্তর: তার পরিবারের কাছে সংবাদ পৌঁছাতে চেয়েছিলেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তিকে কী প্রতিশ্রুতি দেন?
উত্তর: তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার এবং তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস কীভাবে বন্দি ব্যক্তিকে সাহায্য করেন?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাস তাকে মুক্ত করে সহস্র স্বর্ণমুদ্রার থলি দিয়ে সাহায্য করেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস কেন জানতেন যে, তিনি খলিফার ক্রোধের শিকার হবেন?
উত্তর: বন্দি ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার কারণে তিনি খলিফার ক্রোধের শিকার হবেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাসের মতে, তিনি খলিফার ক্রোধের শিকার হলে কী করবেন?
উত্তর: তিনি দুঃখিত হবেন না, কারণ তিনি একটি প্রাণ বাঁচিয়েছেন।

প্রশ্ন: বন্দি ব্যক্তি মুক্তির পর কোথায় যেতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: তার পরিবারের কাছে যেতে চেয়েছিলেন।

আরো পড়ুন : প্রত্যুপকার গল্পের ২২টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার পর কী নির্দেশ দেন?
উত্তর: অবিলম্বে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রশ্ন: বন্দি ব্যক্তি কোথায় বন্দি হয়েছিলেন এবং কীভাবে?
উত্তর: খলিফার আদেশে হঠাৎ করে তাকে আটক করা হয়।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন কেন?
উত্তর: বন্দি ব্যক্তি একসময় আলী ইবনে আব্বাসের জীবন রক্ষা করেছিলেন, তাই তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাসের দৃষ্টিতে জীবন রক্ষার গুরুত্ব কী?
উত্তর: জীবন রক্ষা করা তার কাছে খলিফার ক্রোধের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: আশ্রয়দাতার মতে, প্রকৃত কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: খলিফার ক্রোধ দূর করার চেষ্টা করে, কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন সম্ভব।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস খলিফার কাছে কীভাবে নিজের কথা পেশ করেন?
উত্তর: তিনি খলিফার চরণে পড়ে বিনীতভাবে তার বক্তব্য শোনার অনুরোধ করেন।

প্রশ্ন: খলিফা প্রথমে আলী ইবনে আব্বাসের প্রস্তাবে কী প্রতিক্রিয়া দেখান?
উত্তর: খলিফা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে প্রাণদণ্ডের হুমকি দেন।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস কীভাবে খলিফাকে আশ্রয়দাতার দয়াশীলতা সম্পর্কে বোঝান?
উত্তর: দামেস্কে তার প্রাণরক্ষার ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে, তিনি খলিফাকে আশ্রয়দাতার দয়াশীলতা সম্পর্কে বোঝান।

প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাস আশ্রয়দাতার চরিত্র সম্পর্কে কী বলেন?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাস আশ্রয়দাতাকে দয়াশীল, ন্যায়পরায়ণ, পরোপকারী ও সদ্বিবেচক বলে উল্লেখ করেন।

প্রশ্ন: খলিফা কেন আশ্রয়দাতার দোষে সন্দেহ পোষণ করেন না?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাসের বর্ণনা থেকে তিনি আশ্রয়দাতার প্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

প্রশ্ন: খলিফা আশ্রয়দাতাকে কোন শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেন?
উত্তর: খলিফা আশ্রয়দাতাকে প্রাণদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

জীবপ্রযুক্তি অধ্যায়ের ১৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব, এসএসসি জীববিজ্ঞান

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
জীবপ্রযুক্তি অধ্যায়ের ১৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব, এসএসসি জীববিজ্ঞান
কৃষিতে জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চারা গাছ উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

চতুর্দশ অধ্যায় : জীব প্রযুক্তি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। বায়োটেকনোলজি শব্দটি প্রবর্তন করেন কে?
(ক) কার্ল এরেকি     
(খ) চার্লস ডারউইন 
(গ) জোহান মেন্ডেল     
(ঘ) ওয়াটসন ও ক্রিক

২। জেনেটিক্সের সূত্রগুলো আবিষ্কার করেন কোন বিজ্ঞানী?
(ক) জোহান গ্রেগর মেন্ডেল 
(খ) লুই পাস্তুর
(গ) অ্যারিস্টটল 
(ঘ) ক্যারোলাস লিনিয়াস

৩। গ্রেগর জোহান মেন্ডেল কত সালে জেনেটিক্সের সূত্রগুলো আবিষ্কার করেন?
(ক) ১৭৩৬ সালে     (খ) ১৮৩৬ সালে 
(গ) ১৭৬৩ সালে      (ঘ) ১৮৬৩ সালে

৪। সুমনদের নার্সারিতে অল্প সময়ে স্বল্প পরিশ্রমে অধিক চারা উৎপাদন হয়েছে একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে। প্রক্রিয়াটি হলো-
(ক) জিন প্রকৌশল     
(খ) টিস্যু কালচার 
(গ) সার প্রয়োগ     
(ঘ) আগাছা নির্মূল 

৫। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়-
i. মূলাংশ     ii. পরাগরেণু     
iii. পার্শ্বমুকুল
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii     (খ) ii ও iii 
(গ) i ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

৬। টিস্যু কালচারের ধাপ কয়টি?
(ক) ৩টি     (খ) ৪টি 
(গ) ৫টি     (ঘ) ৬টি

৭। সুক্রোজ যোগ করলে আবাদ মাধ্যমে কী ঘটে?
(ক) জীবাণুমুক্ত হয়     (খ) জমাট বাঁধে 
(গ) পুষ্টিকর হয়         (ঘ) তরলে পরিণত হয়

৮। কোন দেশ Oil palm-এর বংশবৃদ্ধি টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে করে? 
(ক) থাইল্যান্ড        (খ) সিঙ্গাপুর 
(গ) মালয়েশিয়া     (ঘ) ভারত

আরো পড়ুন : জীবের পরিবেশ অধ্যায়ের ২০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, এসএসসি জীববিজ্ঞান

৯। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চন্দ্রমল্লিকার একটি অঙ্গজ টুকরা থেকে বছরে কতটি চারা পাওয়া সম্ভব?
(ক) ৮৮টি     
(খ) ৮৮ হাজার 
(গ) ৮৮ লাখ     
(ঘ) ৮৮ কোটি

১০। গ্লাডিওলাস কী?
(ক) ফুল উৎপাদনকারী বৃক্ষ         
(খ) মরুভূমির উদ্ভিদ 
(গ) অধিক উৎপাদনশীল ফলের চারা     
(ঘ) রোগমুক্ত উদ্ভিদের চারা

১১। উড়োজাহাজ চালাতে তিমি মাছের তেলের বিকল্প হিসেবে কোন গাছের তেল ব্যবহার করা হয়? অথবা, উড়োজাহাজ চালানোর জন্য কোন গাছের তেল ব্যবহার করা যায়?
(ক) জোজোক     (খ) গ্লাডিওলাস 
(গ) কার্নেশান      (ঘ) অর্কিড

১২। টিস্যু কালচারের জন্য প্রযোজ্য-
i. এটি উদ্ভিদবিজ্ঞানের অংশ 
ii. Explants ব্যবহার করা হয় 
iii. পাম তেল উৎপাদন করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i ও ii     (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

১৩। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোনটির পরিবর্তন ঘটে?
(ক) GMO     (খ) RNA 
(গ) DNA      (ঘ) GPT

১৪। DNA-কে কাটার জন্য বিশেষ ধরনের এনজাইম কোনটি?
(ক) লাইগেজ        (খ) রেস্ট্রিকশন 
(গ) রিকম্বিনেন্ট     (ঘ) ট্রান্সজেনিক

১৫। চিত্রে ‘X’-এর সংযুক্তি কোন এনজাইমের মাধ্যমে হয়?

(ক) লাইপেজ     
(খ) অ্যামাইলেজ 
(গ) লাইগেজ     
(ঘ) মলটেজ

১৬। রিকম্বিনেন্ট DNA প্রতিস্থাপন করা হয় কোনটিতে?
(ক) জোজোবা উদ্ভিদ থেকে তেল নিষ্কাশনে
(খ) বিটি ধান উদ্ভাবনে
(গ) চন্দ্রমল্লিকার চারা উৎপাদনে
(ঘ) জুঁই সাম্পেনশন থেকে সুগন্ধি আতর প্রস্তুতে

উত্তর: ১. ক, ২. ক, ৩. ঘ, ৪. খ, ৫. ঘ, ৬. গ, ৭. গ, ৮. গ, ৯. ঘ, ১০. ক, ১১.  ক, ১২. ঘ, ১৩. গ, ১৪. খ, ১৫. গ, ১৬. খ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, জীববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি মুজিব কলেজ, সখিপুর, টাঙ্গাইল

কবীর

এসএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এ প্লাস পাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
এসএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এ প্লাস পাওয়ার পরামর্শ
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- খবরের কাগজ

সুপ্রিয় ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। তোমরা নিশ্চয় জানো, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নম্বর থাকে ৫০। বহুনির্বাচনিতে ২৫ নম্বর এবং ব্যবহারিকে ২৫ নম্বর। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এ প্লাস পেতে যা মনে রাখবে তা হলো-

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রথম অধ্যায়ে একই ধরনের দুটি প্রশ্ন থাকে। কিন্তু উত্তর ভিন্ন হয়, এমন প্রশ্ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে আসতে পারে। যেমন- একুশ শতকের সম্পদ হলো জ্ঞান এবং পৃথিবীর সম্পদ হলো সাধারণ মানুষ। প্রশ্নগুলো বুঝে তোমরা উত্তর করবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে আইসিটি যন্ত্র বলতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদি বোঝায়। এ ক্ষেত্রে জ্ঞানমূলক ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তরের সময় বিষয়টি মনে রাখতে হবে। সফটওয়্যার ডিলিট ও আনইনস্টল করা এক কথা নয়। কম্পিউটার ভাইরাস ও অ্যান্টিভাইরাসের নামগুলোর পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড সহজে ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ ট্রাবলশুটিংয়ের প্রতিটি সমস্যা ও সমাধানের জন্য বাস্তব জ্ঞান থাকলে ভুল হবে না। যেমন- সিস্টেম চালু না হওয়ার কারণ, মনিটরে কিছু না দেখা, সিস্টেম গরম হয়ে যাওয়া, কম্পিউটার মাঝেমধ্যে শাটডাউন হওয়া, উইন্ডোজ চালুর সময় হ্যাং হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এগুলো প্রাসঙ্গিকভাবে উত্তর করবে।

তৃতীয় অধ্যায়ে ডিজিটাল কনটেন্ট ও এর প্রকারভেদের নাম ও উদাহরণগুলো ভালো করে পড়বে। এ অধ্যায়ে তোমরা প্রায়ই কিছু বিষয়কে একই মনে করে ভুল করো, যেমন- টেক্সট, ছবি, শব্দ, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন। তা ছাড়া ই-বুক, ই-বুক রিডার, চৌকস ই-বুক, ভিডিও স্ট্রিমিং, কিন্ডল অ্যাপস সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখবে।  এ বিষয় থেকে কয়েকটি নাম তোমরা শিখবে, যেমন- কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টিফিশিয়াল  ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেটা কমিউনিকেশন। এগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়বে।

চতুর্থ অধ্যায়ে অনেক সময় ব্যবহারিক কিছু অংশের বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ক্ষেত্রে সফটওয়্যারের ভার্সন পরিবর্তনের কারণে তোমরা কিছু কিছু ভুল করে থাক। ওয়ার্ড ২০০৭-এর সঙ্গে ওয়ার্ড ২০১০-এর কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অফিস বাটনসহ এর বিভিন্ন অপশন, যেমন- নিউ, ওপেন, সেভ, সেভ অ্যাজ, ক্লোজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। হোম ট্যাব, ফন্ট স্টাইল, ফন্ট সাইজ, ইনসার্ট ট্যাব থেকে টেবিল তৈরি করার কৌশল জানতে হবে। এগুলো বুঝে বুঝে পড়বে।

পঞ্চম  অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত বর্ণ বা টেক্সট, চিত্র বা গ্রাফিক্স, ভিডিও, শব্দ বা অডিওর সঙ্গে তৃতীয় অধ্যায়ের বিষয় টেক্সট, ছবি, শব্দ, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশনে তোমরা ভুল করে থাক।  তাই মাল্টিমিডিয়ার অংশসমূহ চিত্র ও গ্রাফিক্স, শব্দ বা অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন ও ইন্টারঅ্যাকটিভ কম্পিউটিং সম্পর্কে পড়বে। এগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়বে।

এ ছাড়া যা মনে রাখবে তা হলো-

১. প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও তত্ত্বগুলো মনোযোগসহকারে পড়বে।
২. পরীক্ষার আগের কয়েকটা দিন পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালো করে রিভিশন দেবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

মৌলিক মানবিক চাহিদা অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৯ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
মৌলিক মানবিক চাহিদা অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৯ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

প্রথম অধ্যায় : মৌলিক মানবিক চাহিদা

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৪

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

(ক) Towle-এর মতে, মৌল মানবিক চাহিদা কয়টি? 
(খ) বিনোদন বলতে কী বোঝায়?
(গ) উদ্দীপকে কোন ধরনের মৌলিক মানবিক চাহিদার অপূরণজনিত সমস্যাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। 
(ঘ) উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করো। 

উত্তর: (ক) সমাজবিজ্ঞানী Towle-এর মতে, মৌলিক মানবিক চাহিদা ছয়টি। 

(খ) নির্মল আনন্দ ও আমোদ-প্রমোদ লাভের পন্থাই হলো বিনোদন। বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের মনে উদ্দীপনা জাগ্রত হয়। বিনোদন হলো এমন একটি কার্যক্রম, যা আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক অভিজ্ঞতা অর্জন এবং সৃজনশীল অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দান করে।

আরো পড়ুন : মৌলিক মানবিক চাহিদা অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৮ম পর্ব

(গ) উদ্দীপকে মৌলিক মানবিক চাহিদার অন্যতম একটি মানবিক চাহিদা শিক্ষার অপূরণজনিত সমস্যাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। নিরক্ষরতা হলো সাক্ষরতার অভাব। অজ্ঞতা বলতে বোঝায় জানা জ্ঞানের অভাবকে। আর জ্ঞান না থাকলে মানুষের মধ্যে কুসংস্কার জন্মে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকে মূলত শিক্ষার অপূরণজনিত সমস্যাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
শিক্ষা হলো দেহ, মন ও আত্মার সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ। জ্ঞানের প্রসার এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ করে স্কুল-কলেজের মাধ্যমে পাঠদান, প্রশিক্ষণ এবং কোনো বিষয় জানার প্রক্রিয়া হলো শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে মানবীয় জ্ঞান ও দক্ষতা ও এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সমাজ টিকে থাকে। তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। যে লেখাপড়া জানে তাকে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন বলা হয়, যা শিক্ষা গ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। আবার শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের ভেতরের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার দূর হয়। অতএব  এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকে মৌলিক মানবিক চাহিদা শিক্ষার অপূরণজনিত সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে।

(ঘ) উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা মৌলিক মানবিক চাহিদা শিক্ষার চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো- প্রথমত সরকার ২০১০ সালে একটি যুগোপযোগী বাস্তবধর্মী শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। দ্বিতীয়ত মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এনে সৃজনশীল ব্যবস্থা প্রচলন করার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের বিকাশকে সহজতর করেছে। তৃতীয়ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থত দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া সুনিশ্চিত করতে তাদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের প্রচলন করা হয়েছে। পঞ্চমত সরকার নারী শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। ষষ্ঠত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সপ্তমত কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি আইসিটি কার্যক্রমের ওপর আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অষ্টমত নতুন নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ই রয়েছে ১,৩৩,০০২টি। এ ছাড়া বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। নবমত মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। দশমত নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করে শিক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকার বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

লেখক : প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কবীর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৮, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৮, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

 মার্কেটিং দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১। বাজারজাতকরণ পরিবেশ প্রধানত নিচের কত প্রকার?
ক) ২ প্রকার        খ) ৩ প্রকার    
গ) ৪ প্রকার         ঘ) ৫ প্রকার

উত্তর: ক) ২ প্রকার।

২। বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়কারীকে কী বলে?
ক) প্রতিনিধি    খ) দালাল    
গ) গ্রাহক        ঘ) পরিবেশক

উত্তর: গ) গ্রাহক।

৩। উৎপাদন সচল রাখার জন্য কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণ জোগানকারীকে কী বলে?
ক) গ্রাহক                খ) প্রতিনিধি    
গ) মধ্যস্থ ব্যবসায়ী    ঘ) সরবরাহকারী

উত্তর: ঘ) সরবরাহকারী।

আরো পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৭, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

৪। শক্তি সম্পদের ব্যয় বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি, এগুলো বাজারজাতকরণ পরিবেশের কোন উপাদানের অন্তর্ভুক্ত?
ক) জনসংখ্যা    খ) অর্থনৈতিক    
গ) প্রাকৃতিক    ঘ) প্রযুক্তিগত

উত্তর: গ) প্রাকৃতিক।

৫। নিচের কোনটি CAB-এর পূর্ণরূপ?
ক) Consumers Association of Bangladesh    খ) Citizens Association of Bangladesh
গ) Cables Association of Bangladesh    
ঘ) Co-operations Association of Bangladesh

উত্তর: ক) Consumers Association of Bangladesh।

৬। নিচের কোনটি বাজারজাতকরণের ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদান?
ক) জনগোষ্ঠী      খ) জনসংখ্যা    
গ) অর্থনৈতিক    ঘ) রাজনৈতিক

উত্তর: ক) জনগোষ্ঠী।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর