
ব্যক্তিগত পত্র
১। মনে করো, তোমার নাম দুরন্ত। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।
শাহজাহানপুর, ঢাকা
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
প্রিয় রাহুল,
আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখছি।
তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে গাছ কাটছে ও বন উজাড় করছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে মানুষের প্রয়োজনে স্থাপন করা হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায়
আরো পড়ুন : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব
যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় গাছের মাধ্যমে। গাছ থেকে সংগ্রহ করা কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সমাজের মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার সালাম দিও। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
ইতি
তোমার বন্ধু
দুরন্ত
লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
কবীর