যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি তরুণ। পড়াশোনা করছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই গোটা আমেরিকা তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে সে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বের টেক দুনিয়ায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কাজকে কতটা সহজ করা যায় সেটারই একটা বাস্তব উদাহরণ ইশরাক খানের স্টার্ট-আপ ‘কোডেজি’।
যারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার বানিয়ে থাকেন তাদের হাজার হাজার লাইনের কোডিং করতে হয়। এত বিপুল কোডিং করতে গিয়ে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। ‘কোডেজি’ প্রোগ্রামিংয়ের এই ভুলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুধরে দেয়। কোডেজিকে বলা যায় প্রোগ্রামিংয়ের গ্রামার। ইশরাক খানের এই আবিষ্কারে নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকার প্রযুক্তিনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কাজে পেতে বড় বড় প্রস্তাব রাখছে। ২০২১ সালে কোডেজির শুরু। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইশরাক খান প্রায় ৮ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ পায় কোডেজিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। গত বছরের মার্চ মাসে কোডেজি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র ছয় মাসের মাথায় প্রায় লক্ষাধিক ব্যবহারকারী পেয়ে যায়। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের প্রায় ৩০টিরও বেশি ভাষার জন্য কোডেজি ব্যবহার করা যায়। এসব ভাষায় প্রোগ্রামিং করার সময় কোডেজি ভুলগুলো ‘অটো-কারেক্ট’ করে দেয়। ইশরাকের সঙ্গে কাজ করার জন্য এখন দুনিয়ার বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো মুখিয়ে আছে।
ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। ইশরাকের পরিবার যখন ২০১১ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমায় তখন ইশরাকের বয়স মাত্র ১০ বছর। ফ্লোরিডায় বসবাস শুরু করে ইশরাকের পরিবার। হাইস্কুলে পড়া অবস্থায়ই বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় নিজের মেধার পরিচয় দিতে শুরু করে। স্কুলে পড়া অবস্থায়ই গুগল আয়োজিত ‘গুগল হ্যাকাথন’ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয় ইশরাক খান।
ইশরাক চায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে সহজ এবং কম শ্রমসাধ্য করে গোটা বিশ্বের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির কাজকে আরও সহজ করে দিতে। বাংলাদেশের ট্রাফিক সিস্টেম এবং আন্ডারগ্রাউন্ড যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চায় ইশরাক খান।
জাহ্নবী