ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’
সিলেটের চতুলবাজারেে এভাবেই চানাচুর বিক্রি করতেন সাজিদ মিয়া (ছবিতে ডান দিকে)। খবরের কাগজ

জমজমাট হাটের এক কোনে সাজিদ মিয়ার (৭০) চানাচুরের পসরা ঘিরে ভিড় থাকত ক্রেতাদের। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যায় স্থানীয় হাটে চানাচুর বিক্রি করতেন তিনি। বিক্রি শেষে রাতে ফিরে যেতেন বাড়ি।
 
চানাচুরওয়ালা সাজিদ মিয়ার রোজকার এ রুটিনে ছেদ পড়ে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে। তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। হাট থেকে রাতে বাড়ি না ফেরা চানাচুরওয়ালার লাশ মিলল সোমবার (১১ নভেম্বর)  সকালে। গ্রামের পাশে নদীর তীরে একটি গাছের গোড়ায় পাওয়া যায় তার লাশ। গলায় গামছার প্যাঁচ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে সাজিদ মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
 
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সরুখেল গ্রাম থেকে সাজিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে ইছাবা নদীর ধারে ঘাস কাটতে যায় কয়েকজন যুবক। তারা গাছের গোড়ার সঙ্গে বাঁধা বৃদ্ধের লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শনাক্ত হয় লাশটি চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল গ্রামের সাজিদ মিয়ার।

স্থানীয়রা জানান, সাজিদ মিয়া পাঁচ ছেলে-মেয়ের বাবা। তিনি পেশায় একজন চানাচুর বিক্রেতা। উপজেলার চতুলবাজারের সিএনজি স্টেশনে চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রবিবার বিকেলে চতুলবাজার থেকে সন্ধ্যায় হরাতৈল জলছার বাজারে যান সাজিদ মিয়া। সেখানে চানাচুর বিক্রি করে আর বাড়ি ফেরেননি। তার লাশ গাছের গোড়ায় গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশসহ স্থানীয়দের ধারণা, সজিদ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশটি নদীর ধারে গাছের গোড়ায় ফেলে গেছেন।

হাটে চানাচুর কেনাবেচায় ব্যস্ত সাজিদ মিয়ার একটি ছবি আর গাছের গোড়ায় পড়ে থাকা লাশের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকেই। ইমরান হোসেন নামে চতুলবাজারের এক যুবক লিখেছেন, ‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে, কেনে মারল?’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রশ্নে নানা মন্তব্য ও আহাজারি ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যার কারণ উদঘাটনের দাবি তাদের।
   
কারণ উদঘাটনে পুলিশের একটি দল কাজ করছে বলে জানান জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলসহ সাজিদ মিয়ার যাতায়াত এলাকা চতুলবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে।’  

চসিকের শিল্প এলাকা ফুটপাত দখল করে কিশোর গ্যাং লিডারের অফিস নির্মাণ

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
ফুটপাত দখল করে কিশোর গ্যাং লিডারের অফিস নির্মাণ
মো. সাইফুল

বিএনপি নেতার পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কালুরঘাট শিল্প এলাকায় বাগান ও ফুটপাত দখল করে অফিস নির্মাণ করেছেন মো. সাইফুল (৩৮) নামে এক ব্যক্তি। তবে বিএনপির নেতাদের দাবি, সাইফুল তাদের দলের কেউ নয়। এদিকে সাইফুল চান্দগাঁও থানা এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চসিক। এরপর সেখানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কারখানামালিকরা বাগান ও ফুটপাত নির্মাণ করেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে মো. সাইফুল সেই বাগান ও ফুটপাতের জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণ করেন। তার দেখাদেখি সেখানে আরও অনেকেই ১০টি দোকান নির্মাণ করেন। কালুরঘাট শিল্প এলাকার শাহজী চত্বর থেকে পশ্চিম দিকে এগোলে সাইফুলের সেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসটি চোখে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত কারখানার ঝুট, কার্টন, পলি ও স্টকলট, শ্রমিকদের নাস্তার অর্ডারসহ পোশাকশিল্পের নানা ধরনের ব্যবসা নিজের কবজায় নিতে সাইফুল এই অফিস খুলেছেন। দিনে-দুপুরে ফুটপাত ও বাগানের জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণ করলেও কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। যে কারণে তিনি আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এরপর তিনি জমি দখলের কাজেও জড়িয়ে পড়েন। এসব করে তিনি বেশ অর্থও কামিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি হামিদচর একতা আবাসিক এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন।

এ ছাড়া সাইফুল আড়ালে থেকে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন। তার এই গ্যাংটি পরিচালনা করেন বাবুল (২৮) নামের এক যুবক। এই বাবুলের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এই গ্যাং সর্বশেষ হামিদচর এলাকার কর্ণফুলী রিভারভিউ নামের একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। এ সময় গ্যাংয়ের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ রিয়াদ (২৬) নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারী নিহত হন। এ ছাড়া তারা আরও ৮ জনকে কুপিয়ে আহত করেন। এই ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে গত মার্চ মাসে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭। পরে ওই মামলায় তাকে দুদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

জমি দখলের বিষয়ে মো. সাইফুল খবরের কাগজকে জানান, তিনি রেলওয়ে থেকে অনুমতি নিয়ে অফিস করেছেন। তবে রেলওয়েতে খবর নিয়ে জানা গেছে, সেখানে রেলওয়ের কোনো জমি নেই। এ ছাড়া ফুটপাতের জায়গা রেলওয়ে কাউকে লিজ দেয় না। 

সন্ত্রাস, খুন, জমি দখল-বেদখলসহ একাধিক মামলা ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘আমি বিএনপির তৃণমূলের নেতা। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে।’ 

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাইফুল নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিলেও তার কোনো পদ-পদবি নেই। এমনকি বিএনপির কোনো সভা-সমাবেশেও আমরা তাকে সঙ্গে নিই না। কেউ নিজেকে জোর করে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে কোনো অপরাধ করলে তার দায়, দল নেবে না। তবে এই বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।’

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন খবরের কাগজকে জানান, এই থানায় তিনি নতুন যোগদান করেছেন। তবে সব অপরাধীর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবে না।

থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরসভার হায়বাতপুর গ্রামের ফুলতলার একটি কাঁচা রাস্তার ওপর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চায়না রাইফেলের ৬০টি গুলি এবং মামলার আলামতের একটি শুটারগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ আগষ্ট বিকেলে দুর্বৃত্তরা শ্যামনগর থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।

সুলতান শাহাজান/মেহেদী 

জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় কর্মচারীর হাতে মালিক খুন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় কর্মচারীর হাতে মালিক খুন
নূর আলমের হত্যাকরীরা (সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া)

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর এলাকায় জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় ছাপাখানা ব্যবসায়ী মো. নূর আলমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানাটির কর্মচারী মিরাজ মিয়া এবং তার বন্ধু মো. শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও মো. রিফাতকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মো. নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগর আন্ডারী মোড়ে একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা করতেন। গত ৬ ডিসেম্বর সকালে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাবেন বলে তার স্ত্রীকে জানান। কিন্তু এরপর থেকে নূর আলমের ফোনটি বন্ধ পায় তার পরিবার। এ ঘটনায় নূরের জামাতা মো. আতাউল্লাহ খান সজিব বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানায় জানান। পরবর্তীতে প্রাথমিক তদন্ত এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে ছাপাখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে ও কোতয়ালী থানার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালবাগ বিভাগের ডিসি জানান, গত শুক্রবার রাতে মিরাজ,  শিপন, রিফাত ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজন নূরের কারখানায় তাসের জুয়া খেলছিল। খেলায় বাধা দিলে নূর আলমের মাথায় হাতুড়ি এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহ বাথরুমে নিয়ে দুই টুকরো করা হয়। কেউ যেন খুঁজে না পান, সেজন্য মরদেহের খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে একটি বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙ্গে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এরপর জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেয় তারা।

এ ঘটনায় নিহতের জামাতা আতাউল্লাহ বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। 

 ডিসি জানান, হত্যায় জড়িতদের মধ্যে মিরাজ ছাড়া কারো কোনো পেশাগত পরিচয় নেই। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসমিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আল-আমিন/পপি/

হত্যার পর কারখানার ভেতর মালিকের লাশ পুঁতে রাখে কর্মচারীরা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
হত্যার পর কারখানার ভেতর মালিকের লাশ পুঁতে রাখে কর্মচারীরা
কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

কর্মচারীরা কারখানার ভেতরে জুয়া খেলত। এ নিয়ে মালিক আলমের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা আলমকে হত্যার পর কারখানার ভেতরে লাশ মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগরে একটি স্ক্রিন প্রিন্ট কারখানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজের চার দিন পর এই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

আজ বিকেলে খবরের কাগজকে এ নিশ্চিত করেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘কারখানায় জুয়া খেলা নিয়ে আলমের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা আলমকে হত্যা করে কারখানার ভেতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় মিরাজ, রিফাত ও আফজাল নামে তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন।’ 

গত ৫ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগরে নিখোঁজ হন মো. আলম। খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয় পরিবার। পরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে গতকাল সকালে কারখানার ভেতরে মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!
ছবি : খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে না ঘুমিয়ে সাত বছর বয়সী মেয়ে হাওয়া খাতুনের সঙ্গে ঘুমানোয় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন সৎমা নূপুর বেগম। এই শোকে বাবা হাফিজুল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের দিঘল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, রাতে ঘুমের মধ্যে মেয়ের শরীর থেকে লেপ সরে যায়। পরে শীতে কষ্ট পায়। এ জন্য স্ত্রীর কাছে না ঘুমিয়ে এক রাতের জন্য মেয়ের কাছে ঘুমান বাবা। ওই রাগে হাওয়াকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন নূপুর।

পরে বাড়ি ফিরে মেয়েকে দীর্ঘসময় খুঁজে না পেয়ে পুকুরে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। পরে মেয়ে হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হাফিজুল।

এ ঘটনায় সৎমা নূপুরকে আটক করেছে পুলিশ। আর বাবাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাফিজুল জানান, তার বাড়ি সদর উপজেলার গেকুলনগর এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর মেয়ে হাওয়া খাতুন তার সঙ্গেই থাকত। মেয়ের নিরাপত্তাসহ আদরে মানুষ হওয়ার কথা চিন্তা করে পাঁচ মাস আগে সিংড়ার সিধাখালি চকপুর এলাকার নূপুরকে বিয়ে করেন। এর পর ওই এলাকায় একটি পুকুরের পাহারাদারের চাকরি নিয়ে মেয়েসহ সপরিবারে ওই পুকুরপাড়েই ঘরে থাকতেন।

তিনি জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নূপুর মেয়েকে আদর করা সহ্য করতে পারত না। মেয়েকে আদর করলেই হিংসা করতেন তিনি। ওই কারণে মেয়েকে আদরও করতে পারতেন না তিনি। রাতে মেয়েকে পৃথক বিছানায় ঘুমাতে দিতেন। সম্প্রতি ঘুমের মধ্যে শীতে কষ্ট পাচ্ছিল। তাই গত রাতে মেয়ের খেয়াল রাখতে কাছে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু দূরে একটি কাজে যান। ফিরে এসে জানতে পারেন, মেয়েকে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় পরপর তিনটি আঘাত করে নূপুর পুকুরে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘসময় পুকুরে খোঁজার পর মেয়ের মরদেহ পান। এরপর নিজেও মেয়ের সঙ্গে পরপারে চলে যেতে বিষপান করেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, নূপুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের পরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });