নবী নেওয়াজ, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আবুল হাসান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক তিন মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নবী নেওয়াজ, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের কৌঁসুলি কামরুজ্জামান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার নতুন বাজার এলাকায় হোটেল কর্মচারী রোহানকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জ্যাকবের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাজধানীর রমনা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার মামলায় নবী নেওয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক পায়েল হেসেন সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নবী নেওয়াজ এ মামলায় ১৭০ নম্বর আসামি।
আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাওন তালুকদার হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। অন্যদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।