সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ায় এবং অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রন LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1-এর সংক্রমণ বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংক্রমন প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ, বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল/নৌ/বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করতে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হলো-
১. বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
২. নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে।
৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না।
৫. হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে করনীয়-
১. দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/বিমানবন্দরগুলোতে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করতে হবে।
২. দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে।
৩. চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুদ রাখতে হবে (PPE)।
৪. ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচতেচনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে হবে।
৫. জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করনীয়
১. অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে হবে, মারাত্বক অসুস্থ হলে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগের (০১৪০১-১৯৬২৯৩) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পপি/