ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত আবাসিক, অনাবাসিক ও সাবেক নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো জাতীয় সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ, মঞ্চনাটক, রম্য বিতর্ক ও প্রীতিভোজ। 

স্বাধীনতা ও প্রীতিভোজ উদযাপন কমিটির আয়োজক তাবাসসুম নুপা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানান। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম ও সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. সালমা নাসরিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটেট শিক্ষকবৃন্দ।

আয়োজকদের একজন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া খানম প্রীতি বলেন, ‘আমাদের প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক, আবাসিক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মিলনে ’২৪ এর স্বাধীনতা উদযাপন ও মিলনমেলার আয়োজন করা। ৫ আগস্টের পর শুধু নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজন প্রথম।’

আরেক আয়োজক তাবাসসুম নুপা বলেন, ‘এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে স্বরণ, বিপ্লবে নারীদের অবদানকে উপস্থাপন করা। আমরা মঞ্চনাটকে নারীদের অবদান এবং ত্যাগের বিষয়টিকে ফোকাস করার চেষ্টা করেছি।’

ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
ঢাবিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত
ছবি: খবরের কাগজ

বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে সীমিত হয়েছে বাইরের যানবাহন চলাচল।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি মোড়ে তল্লাসী চৌকি বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাত প্রবেশমুখে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে প্রবেশ করা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আসলে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পলাশী মোড়ে নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। উদ্বোধনের পর শুক্রবার থেকে শুধু বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা খোলা রেখে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরত নিয়ে মানহানিকর এবং ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের নিয়ে উপহাসের অভিযোগে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য এবং গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ সব ফ্যাসিবাদীর দোসর শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।

এতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যখন ধর্ম অবমাননা করে, তখন তাকে আমরা শিক্ষক না বলে কুলাঙ্গার বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। শিশির ভট্টাচার্য্য এমনটি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ এবং বিচার দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি, সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়। তাকে চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হলে সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তা ছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’

এদিকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘শিগগিরই তিন দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিন এই দাবির পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে জনমত গঠন করা হবে।’

তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্বনবীকে অপমান ও ’২৪-এর শহিদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্য্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; যেসব শিক্ষক গণহত্যায় মদদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডিকে দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন; অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শিশির ভট্টাচার্যে্যর শিক্ষক পদ বাতিল ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

ঢাবিতে পলিসি ডায়ালগ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কারের পক্ষে মত
ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছাত্রনেতারা। তবে দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্রশ্নে একমত হয়েছেন তারা, প্রয়োজনে ছাত্ররাজনীতি সংস্কার করার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে ডায়ালোগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতাদের বক্তব্যে তা ওঠে আসে।

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পারস্পরিক সহাবস্থান ও ট্যাগিং কালচার বন্ধের প্রসঙ্গে টেনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গণঅভূত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাজনীতি থাকা না থাকার প্রশ্নটাই লজ্জার। শিক্ষাঙ্গণে রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা থাকলে আজ এই আলোচনা সভা করা লাগত না। সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য সর্বপ্রথম ট্যাগিং কালচার বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, বিশ্বজিৎকে হিন্দু শাখার কর্মী বলে কীভাবে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। আবরারকে কীভাবে ট্যাগিং দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন ওঠবে। তবে সেক্ষেত্রে ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোর উদারতা, পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার প্রসঙ্গ টেনে ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে ভয়টা রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের ভেবে দেখা উচিত। বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যে র‍্যাগিং কালচার চালু রেখেছিল তার ট্রমা এখনো কাটেনি। গত দেড় দকেক ফোন চেক করে করে মারধর করার রাজনীতি থেকে আমরা বেড়ে ওঠেছি। আমিই নিজের তার ভুক্তভোগী। দমননীতি, গেস্টরুম কালচার, মাদার সংগঠনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার যে প্রবণতা সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘আমরা পূর্বের ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখেছি এবং এর ভয়াবহতার শিকার আমরা নিজেও। শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির বদলে সেটা শিক্ষার্থীদের দমনপীড়নের প্লাটফর্ম হয়ে ওঠেছিল। আমরা চাই গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির চর্চা হোক। সেই সঙ্গে আবাসিক হল ও একাডেমিক এরিয়ায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বলতে এর সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে বরং এটিকে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে। সেই জন্য সবার আগে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টায় আসতে হবে। ক্যাম্পাসে সিআর ইলেকশনের গঠনগত কাঠামো নির্ধারন ও সিআর'স কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে ডাকসু করার আগে যদি আমরা এটা করতে পারি তাহলে একটা ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব এবং এই প্লাটফর্মকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে কেউ প্রশ্ন না তুলতে পারে যে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এমন ছাত্ররাজনীতি আমরা চাইনা যে ছাত্র রাজনীতিতে মাদার পার্টি তার ছাত্র সংগঠনের প্রেসক্রিপশন লিখে দিবে। এই পলিসিতে কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব হতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের সেই পলিসি থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হওয়া উচিত।’

ডায়ালগ ফর ডেমোক্রিসির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ আরমান সভাপতিত্বে ও মোস্তফা মুশফিকে সঞ্চলনায় এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এ এস ওয়াজেদ, মহিউদ্দীন মুজাহিদ মাহি ও আদনান মোস্তারি। এছাড়া সংলাপে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন প্রতি সেমিস্টারে রেজিষ্ট্রেশন ফির জন্য বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে। এ নিয়ে করোনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রেজিষ্ট্রেশন ফিতে এমন কিছু খাতে টাকা নেওয়া হয় যেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ফির বিভিন্ন খাতের তালিকা ও প্রশাসন সূত্রে সেসব খাতের ব্যবহার বিধি জানতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফির সঙ্গে শাকসুর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ফি এবং ডায়েরির জন্য শিক্ষাপঞ্জি ফি নামে দুটি খাতে যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ৯০ টাকা করে নেওয়া হলেও সেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি সেমিস্টারে ইউনিয়ন ফি হিসেবে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শাকসু অকার্যকর থাকলেও প্রতি সেমিস্টারে তার জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা টাকা গুনতে হচ্ছে। সর্বশেষ শাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শাবিতেও ছাত্র সংসদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন শাকসু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকলেও পরবর্তীতে তা থমকে যায়।

অন্যদিকে শিক্ষাপঞ্জির জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৯০ টাকা করে প্রদান করলেও শিক্ষাপঞ্জি বা এই সম্পর্কিত কোনো কিছুই পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা৷ এর আগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর একটা করে ডায়েরি পেতো শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেটাও এখন পাচ্ছেন না তারা।

এ দিকে গত ১১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনকে এ সব ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর খবরের কাগজে ‌‌‌শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় কীভাবে প্রতি বছর রেজিষ্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমালোচনা করে এলেও পরিবর্তনের বদলে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে বিগত শিক্ষাবর্ষের থেকে বেশি টাকা। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি নতুন সেমিস্টারেও। নতুন সেমিস্টারে প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি বেড়েছে ২৫০ টাকা করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার গতানুগতিক মাতৃসুলভ মমতা থেকে দিনদিন এক আগ্রাসী সৎ মা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতি বছর দাদনের মতো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অযৌক্তিক রেজিস্ট্রেশন ফি যার ভারে শিক্ষার্থীরা পিষ্ট। এই অযৌক্তিক ফি এবং তার বিপরীতে কাঁচকলা দেখানোর সংস্কৃতির অবসান ঘটুক।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন, আমি মনে করি, ইউনিয়ন ফি ও শিক্ষাপঞ্জি নামে খাতগুলো আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ সকল সাস্টিয়ানকে এসব সুবিধা প্রধান করতে হবে। নয়তো এসব অযৌক্তিক ফি বাদ দিতে হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এত বছর যাবত ইউনিয়ন ফির টাকা কোন খাতে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং শাকসু অকার্যকর থাকলেও কেনো তার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, অতীতে আমি ছিলাম না তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না। কিন্তু আগামীতে যাতে খুব শিগগিরিই যাতে শাকসুর নির্বাচন হয় এবং এই টাকাটা যাতে শাকসুর জন্যই ব্যবহার করা হয় এ বিষয়টা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া বলেন, আমরা এত দিন ছিলাম না। কিন্তু এখন আমরা এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করছি এবং খুব শীগ্রই এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, এই বিষয়গুলো ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা খুব শিগগিরিই জানিয়ে দেওয়া হবে।

ইসফাক আলী/নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });