ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

বেরোবিতে অনিয়ম: বছরে গচ্চা কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ পিএম
বেরোবিতে অনিয়ম: বছরে গচ্চা কোটি টাকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসন আইন অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সুবিধা দিয়ে আসছে। এতে বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক ভবনগুলোতে নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া আদায় না করায় এ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

বেরোবির ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালের বাজেট পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে ইউজিসির বাজেট পরীক্ষক দল বিভিন্ন অসংগতি খুঁজে পায় এবং সে অনুযায়ী রিপোর্ট দেয়। তবে তা তোয়াক্কা করছে না বেরোবি প্রশাসন। অবৈধ সুবিধা দেওয়ায় এ পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা গচ্চা গেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ইউজিসি।

পরীক্ষক দলের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৯টি অসংগতির মধ্যে প্রথম অসংগতি হিসেবে বাড়ি ভাড়ায় অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে নির্দিষ্ট হারে বাড়ি ভাড়া কর্তন করা হচ্ছে। তদন্ত দল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া কর্তন করার জন্য অনুরোধ করে।

বাজেট পরীক্ষক দল ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭টি আর্থিক অনিয়ম খুঁজে পায়। সেখানে ২ নম্বরে একই অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ ১৭-এর উপ-অনুচ্ছেদ (২) অনুসরণ করে কোয়ার্টারে বসবাসরতদের থেকে পূর্ণ বাড়ি ভাড়া কর্তনের অনুরোধ করে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত সুবোধাভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা করার জন্য বলা হয়।

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ ১৭-এর উপ-অনুচ্ছেদ (২)-এ বলা আছে, যেসব কর্মকর্তা সরকারি বাসভবনে থাকবেন তারা বাসা ভাড়া প্রাপ্য হবেন না, সে অনুযায়ী আবাসিক ভবনে বসবাসকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাড়ি ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাওয়ার কথা। 

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা আদায় না করে ৭৫০ থেকে ৮০০ স্কয়ার ফিটের বাসার জন্য নামমাত্র মূল্যে মাসিক ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা বাড়ি ভাড়া হিসেবে কর্তন করে থাকে। যেখানে মূল বেতনের ৪০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্তন করার কথা, সেখানে নামমাত্র কর্তন করাকে অবৈধ মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউজিসির বাজেট পরীক্ষক দল মোট ২৫টি আর্থিক অনিয়ম খুঁজে পায়। সেখানেও বিধিবহির্ভূতভাবে বাড়ি ভাড়া কম কর্তনের কথা উল্লেখ করে বছরে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসা ভাড়া কর্তন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবাস্থল নির্মিত না হওয়ায় সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানেও ইউজিসি অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। ইউজিসি তার ফিরতি চিঠিতে উচ্চ গ্রেডধারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসা বরাদ্দ না দিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী জুনিয়র শিক্ষক, কর্মকর্তাদের দিতে বলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক বা জুনিয়র কর্মকর্তার মধ্যে কেউই বাসা বরাদ্দ পাননি। এমনকি সর্বশেষ নতুন উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী দায়িত্ব নেওয়ার পর নীতিমালা লঙ্ঘন করে আওয়ামীপন্থি সিনিয়র শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ আবাসন নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নিয়ম অমান্য করে আওয়ামীপন্থি ৫ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে ডরমেটরি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ডরমেটরি বরাদ্দের নীতিমালায় অবিবাহিত প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক এবং সহকারী রেজিস্ট্রারদের বাসা বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের আবাসিক হলে উচ্চ হারে ভাড়া আদায় করা হয়। অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কম ভাড়া আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীরা যেখানে কোনো বরাদ্দ বা ভর্তুকিই পান না, সেখানে গুটিকয়েক শিক্ষক ও কর্মকর্তার জন্য বছরে কোটি টাকা গচ্চা দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

শহিদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাকিব ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল রয়েছে তিনটি। এগুলোতে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাইরে মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। হলে নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। কোনো ভর্তুকি নেই। আর এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডরমেটরিতে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বছরে কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে ডরমেটরিতে শুধু প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক থাকার কথা থাকলেও সেখানে উচ্চ গ্রেডের শিক্ষক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকরা থাকেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় জুনিয়র শিক্ষকদের প্রতিও বৈষম্য করা হচ্ছে। তারা বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘ডরমেটরি নিয়ে বিগত প্রশাসনের সময়ে যে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতি হয়েছে, সেটির পুনরাবৃত্তি চাই না। যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে সেটির বরাদ্দ দেওয়া এবং যৌক্তিক ভাড়া গ্রহণ করতে হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব সমৃদ্ধ হয়।’

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘আবাসন নিয়ে আমরা নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ডরমেটরিতে কেউ থাকতে পারবেন না। আর ডরমেটরির ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা চলছে। পরবর্তী সেশন থেকে ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে।’

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন তারা। 

পরে সেখানে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। 

এতে মহাসড়কের দুপাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এ আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাবাবিক হয়।

ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১) অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং আগের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। ২) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর পদনাম পরিবর্তণ করে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট/কারখান সহকারি/ওয়ার্কশপ খালাসি অথবা অন্য কোনো নামে নামকরণ করতে হবে। ৩) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতো এইচএসসি (ভকেশনাল) করতে হবে। ৪) ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। ৫) শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে টেকনিক্যাল পদে-নন টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না। ৬) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টরদের নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিষ্ঠানটির ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল কবির, আমিম ইসলাম ও মো. শাজ্জাদ হোসেন তাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বাদল/পপি/

নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে (স্বশরীরে অথবা ডাকযোগে)। 

বিভাগের চেয়ারম্যান ও ভর্তি কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিভাগটি। 

আবেদন ফরমের মূল্য (অফেরতযোগ্য) অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর জন্য ১ হাজার ও বাহিরের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা হিসাবের নাম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ আয় হিসাব, হিসাব নম্বর ০২০০০১২০৯২২১২, অগ্রণী ব‍্যাংক লি., নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় জমা দিয়ে মূল রশিদ আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিভাগীয় অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.nstu.edu.bd) অথবা বিভাগীয় অফিস থেকে আবেদন সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। 

ভর্তির জন্য প্রার্থীদের চার বছর মেয়াদি বিবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। নোবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২ দশমিক ২৫, বাহিরের পাবলিক/প্রাইভেট/ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে।

স্টাডি গ্যাপ গ্রহণযোগ্য, তবে ভর্তি কমিটির নির্ধারিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে। চাকরিজীবী প্রার্থীদের নিজ নিজ নিয়োগকর্তার অনুমোদনসহ দুই সেমিস্টারের জন্য (১ বছর ৪ মাস) ছুটির প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা ও মূল্যায়ন

আগামী ১৭ এপ্রিল বাহিরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

পরীক্ষার মানবন্টন

ইংরেজি: ২০ নম্বর
ব্যবসায় শিক্ষা (নীতি ও প্রয়োগ): ৩০ নম্বর
মানসিক দক্ষতা: ১০ নম্বর
মৌখিক পরীক্ষা: ৪০ নম্বর

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে-

১) শিক্ষাগত যোগ্যতার সব পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি

সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।

২) ২ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৩) ভর্তি ফরম ক্রয়ের রশিদের ফটোকপি।

কাউসার/পপি/

সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে। এ ছাড়া, সত্যানুসন্ধান কমিটি যে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২৫ সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। হামলার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন মহলের ইশারায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হল সুপন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাইমুর রহমান সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান সীমান্ত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫ টায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে মারা যান তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। 

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫ টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল ওর একটা সাজার্রি হওয়ার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে জবি ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে কুরআন গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা । ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২হাজার ৫০০টি কুরআন বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কুরআন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ৫০০টি করে মোট ২৫০০টি কুরআন বিতরণ করবে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও আত্মিক মানোন্নয়ন আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে পারে- এই উদ্দেশে রমজানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০টি কুরআন উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করছি।’

কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন ৫০০টি কুরআন শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘উপহারের মজুদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ 

কুরআন সংগ্রহ করতে পোস্টে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত বলেও জানায় জবি ছাত্রশিবির।

মুজাহিদ/নাইমুর/