ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিডব্লিউবি প্রকল্পের ৬৩৭ দুস্থ নারীর সঞ্চয়ের ১৭ লাখ টাকা লোপাট

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
ভিডব্লিউবি প্রকল্পের ৬৩৭ দুস্থ নারীর সঞ্চয়ের ১৭ লাখ টাকা লোপাট

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পে ৬৩৭ দুস্থ নারীর সঞ্চয়ের ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন পরিচালিত এই প্রকল্পে প্রতি মাসে ২২০ টাকা সঞ্চয় জমা দেওয়ার বিপরীতে দুস্থ নারীদের ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। তবে পানছড়ি সদর ও চেঙ্গী ইউনিয়নের ৬৩৭ উপকারভোগীর টাকার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। 

পানছড়ি ইউএনও কার্যালয় সূত্র জানায়, হতদরিদ্র নারীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন দুই বছর (২০২৩-২০২৪) মেয়াদি ভিডব্লিউবি প্রকল্প চালু করে সরকার। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত হয় এই প্রকল্প। প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী উপকারভোগীদের প্রত্যেকের নিজ নামে ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে। ওই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, উপকারভোগীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে ২২০ টাকা করে সঞ্চয় জমা দিতে হবে। এরপর সঞ্চয় জমাদানের রসিদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি চাল বুঝে নেবেন তারা। আর জমাকৃত (সঞ্চয়) টাকা প্রকল্পের মেয়াদ শেষে (দুই বছর পর) সুদসমেত ফেরত পাবেন উপকারভোগীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মোট ১ হাজার ৩৬৩ জন অসহায় ও দুস্থ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে পানছড়ি সদর ইউনিয়নে উপকারভোগী রয়েছেন ৪২৭ এবং চেঙ্গী ইউনিয়নের রয়েছেন ২১০ জন। উপজেলার অন্য তিনটি ইউনিয়নের ৭২৬ জন উপকারভোগী নিজেরাই নিজেদের অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিচ্ছেন। তবে পানছড়ি ইউনিয়ন ও চেঙ্গী ইউনিয়নে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই দুটি ইউনিয়নের ৬৩৭ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে প্রতি মাসে সঞ্চয়ের টাকা নেওয়া হলেও গত এক বছরে তাদের ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি। প্রতি মাসে জনপ্রতি ২২০ টাকা করে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মোট ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০ টাকা। আর তা লোপাট করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই ইউপির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাব খোলার সময়ও অনিয়ম হয়েছে। ওই দুই ইউনিয়নের ৬৩৭ উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব খোলা হয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পানছড়ি এজেন্ট শাখায়। চেঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা নিজেই ব্যাংকের ওই এজেন্ট শাখাটি পরিচালনা করেন। প্রকল্পের নীতিমালায় উপকারভোগীরা নিজেদের সুবিধামতো নিকটস্থ যেকোনো ব্যাংকে হিসাব চালু করার কথা বলা হয়েছে। তবে পানছড়ি সদর ও চেঙ্গী ইউনিয়নের উপকারভোগীদের হিসাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমার পরিচালনাধীন এজেন্ট ব্যাংকে। দুস্থ নারীদের ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সে সময় জোরপূর্বক তিনি ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন উপকারভোগীদের কাছ থেকে। 

উপকারভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা বলেন, ‘উপকারভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখলে তারা সঞ্চয়ের টাকা তুলে ফেলতে পারেন। তাই টাকাগুলো অন্য একটা অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে।’

অন্য যে ব্যাংক হিসাবে টাকা রাখা হয় সেটি কার নামে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জানেন। আপনি তার সঙ্গে কথা বলুন।’

এদিকে পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমার নির্দেশ অনুযায়ী আমি ৪২৭ উপকারভোগীর কাছ থেকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ২২০ টাকা করে মোট ৯৩ হাজার ৯৪০ টাকা উত্তোলন করি। সেই টাকা চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমার কাছে দিয়ে আসি। সেই টাকা তিনি কোন অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন, সেটি আমার জানা নেই।’

একই বিষয়ে জানতে চাইলে চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের অনেক উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব এখনো পরিপূর্ণভাবে চালু হয়নি। তাই অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছি।’ 

তবে কার অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই বলেননি তিনি। 

পানছড়ি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা বড়ুয়া বলেন, ‘চেঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা মৌখিকভাবে আমাকে জানিয়েছেন ব্যাংকে টাকা জমা হচ্ছে। তবে উপকারভোগীদের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট চাইলে তিনি (চেয়ারম্যান) পরে দেবেন বলে জানান।’ 

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভিডব্লিউবি কমিটির সভাপতি অঞ্জন দাশ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম
চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যানবাহন আটকসহ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তা করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

সালমান/

বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদকে মারধর

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদকে মারধর
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর করছেন এক যুবদল নেতা। ভিডিও থেকে নেওয়া

বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন যুবদলের এক নেতা। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ওই যুবদল নেতার নাম শাওন মোল্লা। তিনি বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদকে চড়থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন শাওন। এরপর সদর থানার এক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গেলে সেখানে থাকা বিএনপি নেতা ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা আমাকে ডেকে বাইরে নিয়ে বকাঝকা ও লাঞ্ছিত করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। এ ঘটনায় আমি আইনি পদক্ষেপে যাব।’

একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও শাওন মোল্লার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। তাই এই বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’

গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭
আগুনে পুড়ে যায় গাজী টায়ার্স কারখানা। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় পুড়ে যাওয়া মালপত্র লুট করায় ৭ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবাইদুর রহমান সালেহ এ দণ্ড দেন। 

তিনি জানান, রবিবার সকালে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটকারীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের হাতেনাতে ধরা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রূপগঞ্জের পাড়াগাঁও এলাকার আব্দুস সাত্তার (২২), খাদুন এলাকার খোরশেদ আলম (২১), ইব্রাহিম (২৫) ও মাহবুব হোসেন (৩৫), তারাব এলাকার সিরাজ (৩২), মোগড়াকুল এলাকার মোতালিব (৪৮) ও সুমন (৩০)।

লুটপাট ঠেকাতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক। 

তিনি জানান, গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা প্রায় কারখানার ভেতর ঢুকে পোড়া মালামাল লুট করার চেষ্টা করছে। রবিবার লুটপাটকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে।

জাফলংয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
জাফলংয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ
জব্দকৃত চোরাই চিনি। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি। 

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাফলং গুচ্ছগ্রাম থেকে এ চিনি জব্দ করা হয়। চিনিগুলো বাহকবিহীন অবস্থায় পাওয়ায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

এ নিয়ে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ হারুন অর রশিদ একটি মামলা করেছেন।

ওসি শাহ হারুন জানান, শনিবার ভোরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সীমান্তবর্তী জাফলং গুচ্ছগ্রাম মোড় দিয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা যাওয়ার সময় পথে চিনিভর্তি দুটি ডিআই (মিনি ট্রাক) দেখতে পান। পরে গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। দুটি গাড়িতে ৪৫ বস্তা করে ৯০ বস্তা চিনি ছিল। তবে চিনির বাহক বা চোরাকারবারির সন্ধান মেলেনি। চিনিগুলো জব্দ করে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। 

মিরসরাইয়ে এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
মিরসরাইয়ে এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় আগুন
এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলের এশিয়ান পেইন্টস নামের রং তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে কারখানাটির ভেতরের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে কারখানার ভেতরে থাকা মেশিনারিজ ও ওপরের সিলিংয়ের আংশিক পুড়ে গেছে। তবে কারখানার নিচতলায় থাকা কেমিক্যালের ড্রামগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

মিরসরাই শিল্প পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শওকত হোসেন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।’

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। পরে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন বারৈয়ারহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কারখানাটির তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন।’