ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

‘বালু-পাথর লুট বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে’

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
‘বালু-পাথর লুট বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে’
আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনী ঘাটে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা সিলেট ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর উদ্যোগে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, বালু ও পাথর লুটতরাজ বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে। অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে সিলেটের নদ-নদীগুলো ধ্বংস হচ্ছে। সিলেটের নদ-নদী ধ্বংস মানে সারাদেশের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির ওপর বিরাট আঘাত।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৩টায় আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনী ঘাটে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারি, ধলাই সহ বিভিন্ন নদ-নদীতে চলমান বালু লুটতরাজ’ এর বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিবাদ জানাতেই এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পরিবেশকর্মীরা। 

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ধরা) এর সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অনুষ্ঠানে ধারণা বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম।

আরও বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ইমজা সিলেটের সভাপতি আশরাফুল কবির, অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের রেজাউল কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান ওয়েস, মো. ফকরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পী, শামসুল আলম জাকারিয়া, জাকির আহমদ চোধুরী, আলমগীর আলম শাহান, অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল, রোমেনা বেগম, শ্রুতি সিলেটের এর সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী শাকিলা ববি, ফটো সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী সাংবাদিক মামুন হোসেন, ব্যবসায়ী মওদুদ আহমদ, প্রমূখ।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম ধারণা বক্তব্যে সিলেটের নদ-নদীগুলোর সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিলেটের নদ-নদীগুলো থেকে বালু ও পাথর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এসব বালু ও পাথরখেকোরা শুধু নদ-নদী থেকে নয়, বরং কৃষি জমি, টিলা, বসতবাড়ি খুঁড়ে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে। বিজ্ঞানসম্মত ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সরকার নির্ধারিত পাথর ও বালু মহাল থেকে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ না করে নির্বিচারে নদ-নদীগুলোর ওপর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এখানে প্রশাসন নির্বিকার। আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সহকর্মীগণের অনেকেই অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্বেও এসব লুটতরাজ বন্ধ হচ্ছে না। আগেও নদ-নদীগুলো ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের ক্ষেত্র ছিল। বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে। যা আমরা মেনে নিতে পারি না। ময়লা আবর্জনা ফেলে নদ-নদীগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। বিভিন্ন পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য নদ-নদী হয়ে হাওর ও সাগরের তলদেশ ভরাট করছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সংগঠক ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবচেয়ে অস্তিত্ব সংকটে রইয়েছে নদ-নদী। ১৯৯৭ সালের মার্চে ব্রাজিলের কুরিতিয়া শহরে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হলেও বাংলাদেশের নদীগুলোর বর্তমান বাস্তবতা বলে দিচ্ছে এ দিবসের প্রাসঙ্গিকতা। যেদেশে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেই দেশেই আবার নদীগুলোকে দখল-দূষণের মাধ্যমে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা কেবল মানুষের সুস্থ-সুন্দর থাকার অধিকার নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি, অথচ আমাদেরকে সুস্থ-সুন্দর রাখতে যে নদ-নদীগুলোর অপরিসীম ভূমিকা সেসব নদ-নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। যারা সেটা করছে তারা দেশের সাধারণ নাগরিক নন, সবাই ক্ষমতাধর। এদেরকে সবাই চিনেন, জানেন। এরা সংখ্যায় খুবই কম। অথচ এদের কাছেই আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা অসহায়। নদ-নদীগুলো রক্ষার জন্য আমাদের দেশে পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। কেবল নেই আইন ও আন্তর্জাতিক ঘোষণার বাস্তবায়ন। নদ-নদীগুলো রক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে দেশে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বিচারে বালু উত্তোলন অপরাধ। এভাবে বালু উত্তোলনে নদীর প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। নদী তীরবর্তী কৃষি জমি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদী ভাঙ্গনে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়। তাই চলমান সময়ে সিলেট জেলার নদ-নদীর অন্যতম সমস্যা এই বালু লুটতরাজ বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তড়িৎ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম এর মাতা ছালেহা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ১০ দিন

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ১০ দিন
ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
 
বুধবার (৪ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন।

তিনি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন সরকারি ছুটি। তাই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও অনেক আমদানিকারকও নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নেবেন না। আগামী ১৫ জুন (রবিবার) সকাল থেকে বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশে ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ঈদের ছুটির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় থাকে। তবে আগের বছরগুলোতে ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার যাত্রী ভারতে গেলেও এ বছর কোনো চাপ নেই।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী রবিবার (১৫ জুন) সকাল থকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে বিস্ফোরণ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:১১ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে বিস্ফোরণ
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক খাদে পড়ে বিস্ফোরণ হয়ে পুড়ে গেছে।

বুধবার (৪ জুন) ভোর ৪টার দিকে জেলা শহরের বিরাসার এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এতে কেউ হতাহত না হলেও মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী চারটি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্প কাজের জন্য কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভোর ৪টার দিকে বিরাসার এলাকায় কুমিল্লা অভিমুখী শতাধিক এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। পরে বিকট শব্দে ট্রাকটিতে থাকা সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে মহাসড়কের আশেপাশের অন্তত চারটি দোকান আগুনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক নিউটন দাস জানান, ট্রাকটি উল্টে যাওয়ার পর সিলিন্ডারগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তদন্ত করে বিস্তারিত বের করা হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/অমিয়/

ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত বেড়ে ৫

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম
ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত বেড়ে ৫
ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা ও যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।

বুধবার (৪ জুন) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ভাঙ্গা চুমুরদি বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের মিজানুর মাতব্বর (৫০), শিবচর উপজেলার মাদবরচরের গ্রামের ইব্রাহিম সরদার, তার ছেলে মনির সরদার, একই গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে তারা মিয়া।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকালে টেকেরহাটগামী একটি মাহিন্দ্রা ও ঢাকাগামী মিজান পরিবহন নামে একটি পরিবহন বাস পাশ থেকে মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই এর চার যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ৫ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভাঙ্গা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট উদ্ধারে কাজ করে।

এদিকে আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানজিব জুবায়ের। 

>> ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৪

সঞ্জিব দাস/অমিয়/

ঈদযাত্রা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চাপ নেই, চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চাপ নেই, চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদযাত্রায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের কোনো চাপ নেই। অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চাপ বেশি দেখা গেছে।

বুধবার (৪ জুন) ভোর থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি যানবাহন চলাচল করলেও অতিরিক্ত চাপ না থাকায় নিবিঘ্নে দেশের ওই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে।

তবে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে নিজ গন্তব্যে ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।

এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। এ কারণে বুধবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও ঢাকামুখী লেন একেবারেই ফাঁকা।

তবে যানজট বা ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ সহনীয় হয়ে আসছে বলে জানান গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ।

অমিয়/

ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:১০ এএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৪
ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা ও যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

বুধবার (৪ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ভাঙ্গা চুমুরদি বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকালে  একটি মাহিন্দ্রা ও মিজান পরিবহন নামে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ভাঙ্গা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট উদ্ধারে কাজ করছে।

তাছাড়া ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অমিয়/