ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

‘বালু-পাথর লুট বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে’

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
‘বালু-পাথর লুট বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে’
আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনী ঘাটে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা সিলেট ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর উদ্যোগে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, বালু ও পাথর লুটতরাজ বন্ধ না হলে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিবে। অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে সিলেটের নদ-নদীগুলো ধ্বংস হচ্ছে। সিলেটের নদ-নদী ধ্বংস মানে সারাদেশের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির ওপর বিরাট আঘাত।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৩টায় আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনী ঘাটে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারি, ধলাই সহ বিভিন্ন নদ-নদীতে চলমান বালু লুটতরাজ’ এর বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিবাদ জানাতেই এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পরিবেশকর্মীরা। 

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ধরা) এর সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অনুষ্ঠানে ধারণা বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম।

আরও বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ইমজা সিলেটের সভাপতি আশরাফুল কবির, অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের রেজাউল কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান ওয়েস, মো. ফকরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পী, শামসুল আলম জাকারিয়া, জাকির আহমদ চোধুরী, আলমগীর আলম শাহান, অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল, রোমেনা বেগম, শ্রুতি সিলেটের এর সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী শাকিলা ববি, ফটো সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী সাংবাদিক মামুন হোসেন, ব্যবসায়ী মওদুদ আহমদ, প্রমূখ।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম ধারণা বক্তব্যে সিলেটের নদ-নদীগুলোর সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিলেটের নদ-নদীগুলো থেকে বালু ও পাথর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এসব বালু ও পাথরখেকোরা শুধু নদ-নদী থেকে নয়, বরং কৃষি জমি, টিলা, বসতবাড়ি খুঁড়ে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে। বিজ্ঞানসম্মত ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সরকার নির্ধারিত পাথর ও বালু মহাল থেকে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ না করে নির্বিচারে নদ-নদীগুলোর ওপর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এখানে প্রশাসন নির্বিকার। আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সহকর্মীগণের অনেকেই অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্বেও এসব লুটতরাজ বন্ধ হচ্ছে না। আগেও নদ-নদীগুলো ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের ক্ষেত্র ছিল। বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে। যা আমরা মেনে নিতে পারি না। ময়লা আবর্জনা ফেলে নদ-নদীগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। বিভিন্ন পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য নদ-নদী হয়ে হাওর ও সাগরের তলদেশ ভরাট করছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সংগঠক ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবচেয়ে অস্তিত্ব সংকটে রইয়েছে নদ-নদী। ১৯৯৭ সালের মার্চে ব্রাজিলের কুরিতিয়া শহরে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হলেও বাংলাদেশের নদীগুলোর বর্তমান বাস্তবতা বলে দিচ্ছে এ দিবসের প্রাসঙ্গিকতা। যেদেশে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেই দেশেই আবার নদীগুলোকে দখল-দূষণের মাধ্যমে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা কেবল মানুষের সুস্থ-সুন্দর থাকার অধিকার নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি, অথচ আমাদেরকে সুস্থ-সুন্দর রাখতে যে নদ-নদীগুলোর অপরিসীম ভূমিকা সেসব নদ-নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। যারা সেটা করছে তারা দেশের সাধারণ নাগরিক নন, সবাই ক্ষমতাধর। এদেরকে সবাই চিনেন, জানেন। এরা সংখ্যায় খুবই কম। অথচ এদের কাছেই আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা অসহায়। নদ-নদীগুলো রক্ষার জন্য আমাদের দেশে পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। কেবল নেই আইন ও আন্তর্জাতিক ঘোষণার বাস্তবায়ন। নদ-নদীগুলো রক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে দেশে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বিচারে বালু উত্তোলন অপরাধ। এভাবে বালু উত্তোলনে নদীর প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। নদী তীরবর্তী কৃষি জমি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদী ভাঙ্গনে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়। তাই চলমান সময়ে সিলেট জেলার নদ-নদীর অন্যতম সমস্যা এই বালু লুটতরাজ বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তড়িৎ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট এর সদস্য সচিব ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম এর মাতা ছালেহা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র
ছবি: খবরের কাগজ

এককালের প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ আজ দখলে-দূষণে জীর্ণ-সংকীর্ণ। কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য আর মানুষের ব্যবহৃত মলমূত্র দিনের পর দিন একে দূষিত করে চলেছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু দায়সারা ভূমিকা পালন করছে।

পরিবেশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি মিলগুলোর পরিবেশ দূষণের দায়কে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে দূষণকারীদের সম্পর্কে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদীতে বয়ে যাওয়া নদ-নদীর মধ্যে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নদটি যেন এখন দূষণকারীদের জীবিকা নির্বাহের উপায় হয়ে উঠেছে। এই নদের পাড়ে অবস্থিত কারখানাগুলো এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) রাখলেও তারাই আবার মিলের বিষাক্ত তরল বর্জ্য নদে ফেলছে। প্রতিবাদ করেও কোনো ফল হয়নি। এমনটাই জানালেন পাড়ের বাসিন্দারা।

এই জেলায় আছে সুতা প্রসেসিং মিল, ডাইং মিল, কাপড় রঙের কারখানা, জিগার মেশিন, স্পিনিং মিল, গার্মেন্টসসহ বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এসব কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত তরল বর্জ্য পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এই নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভ বলেন, ‘নদটির ওই পাড়ে কুড়েরপাড় এলাকা; সেখানে কাপড় রং করায় নদটি মৃতপ্রায়। আমরা ছোটবেলায় এই নদীতে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম; এখন দূষণের কারণে এর পাড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায় না। আমরা স্থানীয়ভাবে অনেক প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাইনি।’

সরেজমিনে শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং নামে একটি মিল থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। সাংবাদিক হিসেবে ভিডিও করতে দেখে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়। মিলগেটে গিয়ে খোঁজ করলে ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের ইটিপি ইনচার্জ জানান, তারা নদ দূষণ করেন না। সাংবাদিকরা ভুল দেখছেন।

ইটিপি ইনচার্জ মো. রেজাউল জানালেন, মিল মালিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি মিলে সপ্তাহে এক দিন আসেন। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সর্ম্পক রেখে তারা এ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা দূষণ করি না, সামনে গিয়ে দেখেন, সরাসরি বর্জ্য ফেলছে অনেকে। এসময় এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, ওই এলাকার ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা মিলগুলো থেকে পানির স্রোতের মতো বর্জ্য এসে নদীতে পড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব মিলের কেউ কথা বলতে রাজি হলেন না। 

নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি গত জুলাইয়ে যোগদান করেই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পরিদর্শন করেছি। নদের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের কিছুই নেই। নেই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ। তিনি জানান, তীরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্জ্য শোধন করে নদে পানি ছাড়ে।

কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার কথার কোনো মিল পাওয়া গেল না। অনেকটা দায়সারা কথা বললেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা। এ সময় তিনি দাবি করেন, নরসিংদীতে ১২৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের পানি শোধন করার ইটিপি রয়েছে। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন। কিন্তু এর পরও কী করে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দূষিত হচ্ছে তার কোনো জবাব তার কথায় পাওয়া গেল না।

সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ  করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই কিশোর এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ছাত্রীর বাবা মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী সলঙ্গা থানার আলোক দিয়ার গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পাঁচলিয়া বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী গত ১৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পাঁচলিয়া বাজার সংলগ্ন জহুরুলের মার্কেটে নিয়ে যায় এবং মার্কেটের ভিতরের একটি কক্ষে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতিরক্ত রক্ত ক্ষরণে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীর পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সুস্থ আছেন।’

সিরাজুল/তাওফিক/ 

টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত
ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী এমফিল, এমপিএইচ আর্মি মেডিকেল কোরের ১৫তম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হন এবং সালাম নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মাসীহুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াচ্ছেক আহমদ এফসিপিএস, ডিডিভি, কর্নেল মো. আব্দুস সামাদ আল আজাদ ডিএফএম, এমসিপিএস, প্যারেড কমান্ডার আসাদুজ্জামান অনিক এএমসি।

অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ছাড়াও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জেসিও, অন্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল/পপি/

রাঙামাটিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ, গ্রেপ্তার ৩ শিক্ষক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ পিএম
রাঙামাটিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ, গ্রেপ্তার ৩ শিক্ষক
ছবি: খবরের কাগজ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে ৩ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাজেক থানায় মামলা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে এ নকল সরবরাহ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রূপায়ণ চাকমা, সহকারী শিক্ষিকা নুর আয়শা বেগম এবং মাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিন্টু চাকমা।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ওই তিন শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে সাজেক থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান ও সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কানন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে ওই তিন শিক্ষককে নকল সরবরাহের সময় হাতেনাতে ধরেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার। পরে তাদের সাজেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আইনিব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।

সাজেক থানার ওসি কানন সরকার জানান, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জিয়াউর রহমান/সুমন/ 

ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ চসিকের

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ পিএম
ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ চসিকের
ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ চসিকের। ছবি: খবরের কাগজ

ক্লিন সিটি গড়তে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)। ‘পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক চট্টগ্রাম’ গড়ার লক্ষ্যে চসিকের বিভিন্ন স্থাপনায় সৌরবিদ্যুৎভিত্তিক ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) চসিকের টাইগারপাসস্থ প্রধান কার্যালয়ে এই প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে গঠিত প্রতিষ্ঠান এমএম সার্ভিস লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চসিকের অফিস, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই নগর উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম চালু করা ব্যয়বহুল মনে হলেও মাত্র দুই বছরের মধ্যেই বিনিয়োগের অর্থ ব্যয় সাশ্রয়ের মাধ্যমে ফিরে আসে। এতে জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকে। তারা আরও বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরের কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়ও সহায়ক হবে।’

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আমরা বিদ্যুৎ ও শক্তি ব্যবস্থাপনায় টেকসই ও আধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি চাচ্ছি। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন খরচ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন নগরী রেখে যেতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প হিসেবে চসিকের একটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে এই সিস্টেমটি বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময়। প্রেজেন্টেশনে উপস্থিত এমএম সার্ভিস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি জানায়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান এবং এমএম সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. সিরাজ, চেয়ারম্যান মো. মোহসিন, গ্রুপ সিএফও সুজান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মেসবাহ, ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগ প্রধান মো. জাভেদ প্রমুখ। 

তাওফিক/