ক্যারিয়ারই ম্রুণালের সবকিছু । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ক্যারিয়ারই ম্রুণালের সবকিছু

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
ক্যারিয়ারই ম্রুণালের সবকিছু

ম্রুণাল ঠাকুর ঠিক করেছেন, ক্যারিয়ারকেই প্রাধান্য দেবেন। জীবনের অন্য সবকিছু আটকে রেখে তাই কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি প্রেম, বিয়ে, মাতৃত্বকেও বাইপাস করে এগোচ্ছেন এই বলিউড তারকা। প্রথম দুটি হোক না হোক, মাতৃত্ব নিয়ে অবশ্য কিছুটা ভেবেছেন তিনি। সম্প্রতি সেই ভাবনার ভাগ দিয়েছেন ভক্তদের।

সম্প্রতি হিউম্যানস অব বম্বেতে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ম্রুণাল। সেখানে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা বেশ কঠিন। এমনটাও হয়েছে যে, একটা সময় অবসাদে ভুগতে হয়েছে তাকে। তবু কাজ থেমে থাকেনি। মনে রেখেছেন, যেকোনো মূল্যে কাজ করে যেতে হবে। ক্যারিয়ারই ম্রুণালের সবকিছু।

ব্যক্তিজীবন ও ক্যারিয়ারের মধ্যে ভারসাম্য রাখার পথটাও নিজেকেই খুঁজে বের করতে হয়েছে তার। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা বা সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। সে জন্য এমন একজন সঙ্গী চাই, যে কিনা আপনার কাজের ধরনটা বুঝবে। অমনটা আমি পাচ্ছি না। তবে আমি অবশ্যই মা হতে চাই। সে জন্য ডিম্বাণু সংরক্ষণের কথাও ভেবেছি।’

ওই সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল ঠাকুর আরও জানান, একটা সময় এমন অবস্থায় পড়েছিলেন যে, বিছানা থেকে ওঠার অবস্থা ছিল না তার। তবু শুটিংয়ে যেতেই হতো। নিজেকে ভালো রাখতে থেরাপি নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। জীবনের কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে থেরাপি কীভাবে সাহায্য করেছিল, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বলেছেন, কাজ শেষে যখন বাড়ি ফিরতেন, খুব হতাশ লাগত। কিন্তু থেরাপি শুরু করার পর থেকে কিছুটা ভালো আছেন তিনি। ম্রুণাল ঠাকুর মনে করেন, যারা বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেন, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন, তাদের জন্য এই থেরাপি ভীষণ জরুরি। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে কিছু মানুষ আছে, যারা আমাকে ভালো রাখতে পারে। বন্ধুরা, বোন এমনকি পোষা বিড়ালটাও আমার জীবন বদলে দিতে সাহায্য করেছে।’
চলতি মাসের ৫ তারিখে মুক্তি পায় ম্রুণাল অভিনীত তেলেগু সিনেমা ‘দ্য ফ্যামিলি স্টার’। এখানে তিনি অভিনয় করেছেন সুপারস্টার বিজয় দেবারাকোন্ডার বিপরীতে। ছবিটি দেখা যাচ্ছে প্রাইম ভিডিওতে।

উল্লেখ্য, ম্রুণালই প্রথম নন, এর আগেও ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। গাইনোকোলজিস্ট মায়ের পরামর্শে ৩০ বছর বয়স থেকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করছিলেন তিনি। তারা সজাগ ছিলেন যে, ৩৫ বছরের পর মা হতে চাইলে নানা জটিলতায় পড়তে হতে পারে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ৩৫ বছর বয়সে নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। ২০২১ সালে সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তানের মা হন তিনি।

কলি

‘পুনর্জন্ম’ প্রযোজকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
‘পুনর্জন্ম’ প্রযোজকের লাশ উদ্ধার

মেহজাবীন চৌধুরী ও আফরান নিশো অভিনীত আলোচিত ‘পুনর্জন্ম’ নাটকের প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান মারা গেছেন। গত বুধবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তরুণ নির্মাতা শ্যামল শিশির।

জানা গেছে, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রূহানের কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মাসুদুল মাহমুদ রূহানের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। সেখানকার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

নির্মাতা ভিকি জাহেদের অধিকাংশ কাজ প্রযোজনা করতেন রূহান। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির জনপ্রিয় ‘রেডরাম’ সিনেমারও প্রযোজক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ‘পুনর্জন্ম’, ‘চম্পা হাউজ’, ‘শুক্লপক্ষ’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘আরারাত’র মতো জনপ্রিয় নাটক-সিরিজের নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন রূহান। প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। নির্মাণ করেছেন ‘উসকানি’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য।

জানা গেছে, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রূহানের। ২০২০ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। ঘনিষ্ঠজনদের ভাষ্য, ঘটনার পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। রূহানের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ তার বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন তারা।

কলি

বিতর্ক পেছনে ফেলে শীর্ষে ‘মা লো মা’

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
বিতর্ক পেছনে ফেলে শীর্ষে ‘মা লো মা’

কোক স্টুডিও বাংলা ধীরে ধীরে পাল্টে দিচ্ছে শ্রোতাদের কান। শ্রোতারা এ প্ল্যাটফর্মের নতুন গানের জন্য মুখিয়ে থাকেন সব সময়। তাদের নতুন কোনো গান এলেই চারদিকে পড়ে যায় শোরগোল। বর্তমানে চলছে এর তৃতীয় সিজন। এই সিজনে গান প্রকাশিত হয়েছে মাত্র দুটি। প্রথম গান ‘তাঁতি’। এই গান নিয়ে আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই তারা প্রকাশ করে নতুন গান ‘মা লো মা’।

এটি প্রকাশের পর থেকেই ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। ছাদ পেটানোর স্মৃতি, লোকগান ও র‍্যাপের মিশেলে তৈরি হওয়া এ গানের পরিবেশনের ছন্দে ছন্দে শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত হয়েছে। খালেক দেওয়ানের গীতিকবিতায় গানটি গত ৩ মে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও র‍্যাপার আলী হাসান। গানটি সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। প্রকাশের ৬দিনেই ৬০ লাখের বেশি মানুষ শুনেছে গানটি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত গানের মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এক নাম্বারে জায়গা করে নিয়েছে ‘মা লো মা’। পাশাপাশি সারা বিশ্বে গানের র‌্যাঙ্কিংয়ে এ গানের অবস্থান রয়েছে ৪৪ নাম্বারে। এমনটি জানিয়েছেন এই গানের সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসান। পাশাপাশি গানটি নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে তৈরি হচ্ছে টিকটক ও নাচের ভিডিও। যেগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অল্প সময়ে বাংলা গান যেখানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তাতে করে দারুণ খুশি সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসানসহ এই গানের সংশ্লিষ্টরা।

প্রীতম হাসান

 

তবে গানটি যখনই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সেসময়ই উঠেছে বিতর্ক। গানটির প্রকৃত মালিক কে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

কোক স্টুডিওতে প্রকাশিত এই গানটির গীতিকারের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘মা লো মা’ গানটির গীতিকারের ঘরে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করেছে কোক স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। তবে দাবি করা হচ্ছে এই তথ্য মিথ্যা। গানটি নাকি নেত্রকোনার বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ নেত্রকোনার সংস্কৃতিকর্মীরা। ৬ মে সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে গানটি বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের লেখা বলে প্রচারের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন নেত্রকোনার স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।

দিন যতই গড়াচ্ছে এই গানের গীতিকবির নাম নিয়ে ততই বিতর্কের পাল্লা ভারী হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বাউল সাধক খালেক দেওয়ানের নাতি ও সংগীতশিল্পী সাগর দেওয়ান। অভিযোগকারীদের নিয়ে সাগর দেওয়ান বলেন, ‘এমন দাবি করছেন যারা আমরা তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে সেগুলো উপস্থাপন করতে। গানটি যখন রেকর্ড করা হচ্ছিল তখনো আহ্বান জানিয়েছি। শুধু আমরা কেন, আমাদের মা-বাবা, গ্রাম বাংলার যারা আছেন, মুরব্বিরা যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্যে বলবেন এটা খালেক দেওয়ানের গান। জন্মের পর থেকেই এই গান খালেক দেওয়ানের নামে শুনে আসছি। তাকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি তো পালাকার ছিলেন। মঞ্চে শতাধিকবার এই গানটি গেয়েছেন। ৫০-৬০ বছর আগের কথা বলছি। এ ছাড়া ১৯৬০ সালে হিজ মাস্টার্স ভয়েস কোম্পানিতে এই গান রেকর্ড করা হয়েছিল। সে সময় নিজের নামেই গানটি গেয়েছিলেন খালেক দেওয়ান। ইউটিউবে খুঁজলে এখনো পাওয়া যাবে।’

সাগর দেওয়ান আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তাদের আবারও আহ্বান জানিয়ে বলছি, আপনাদের কাছে যদি কোনো উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকে সেগুলো নিয়ে আসুন, প্রমাণ দিন। আমাদের মানতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে আমাদের হাতে যে প্রমাণ আছে সেসবের চেয়ে অবশ্যই শক্ত প্রমাণ হতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের কথা।’

এদিকে বিতর্ক এড়াতে কোক স্টুডিওতে প্রকাশিত ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় বাউল রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করেছে। লেখা হয়েছে, ‘মা লো মা লিখেছেন মো. খালেক দেওয়ান (গানটির আরেকটি সংস্করণ লিখেছেন বাউল রশিদ উদ্দিন, নাম মা গো মা)।’

তবে এই গান নিয়ে বিতর্কের মেঘ যতই উড়ুক না কেন শ্রোতাদের হৃদয়ে কিন্তু আনন্দের বৃষ্টি ঝড়াচ্ছে এ গানের কথা, সুর ও সংগীত। সব বাধা ভেঙে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে ‘মা লো মা’।

জাহ্নবী

খ্যাতিমান ৮ শিল্পীর ঐশ্বর্য

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:১১ পিএম
খ্যাতিমান ৮ শিল্পীর ঐশ্বর্য

বাংলা গানের খ্যাতিমান ৮ শিল্পীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ৮ গানের একটি অ্যালবাম। এর নাম ‘ঐশ্বর্য’। সবগুলো গানের কথা লিখেছেন আসিফ ইকবাল।

গানগুলোর সুর ও সংগীত পরিচালনায় আছেন শাহবাজ খান পিলু, মীর মাসুম ও কিশোর দাস। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, আগুন, শাফিন আহমেদ, পার্থ বড়ুয়া ও বাপ্পা মজুমদার।

গানগুলোর শিরোনাম এমন- আজ কী ভেবে, আমার এ গান, আর কোনো অনুতাপ নেই, এ জীবনের পথে পথে, অন্ধ আবেগ, অন্দর-বাহির, পিছু না ফিরে এবং ভোরের সূর্যালোক। অ্যালবামটি প্রকাশ করবে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গানচিল মিউজিক। আজ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাবে গানগুলো। গানচিল মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে লিরিক্যাল ভিডিওর পাশাপাশি গানগুলো শুনতে পাওয়া যাবে দেশি এবং আন্তর্জাতিক সব অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।

এ সম্পর্কে গানচিলের কর্ণধার ও গীতিকবি আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বাংলা গানের ইতিহাস যখন লেখা হবে, তখন এই মানুষগুলোকে আমাদের গানের ঐশ্বর্য হিসেবে ধরা হবে। সেই ভাবনা থেকেই তাদের নিয়ে এই অ্যালবাম করা এবং নামকরণের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া। এই নন্দিত শিল্পীদের ব্যাপারে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আরও আগ্রহী করে তোলা এবং পুরোনো শ্রোতাদের নস্টালজিয়ার একটা সুবাতাস বইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই অ্যালবামটির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আর লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে- গানের কথা-সুর-গায়কিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। আশা করি, শ্রোতাদের বেশ ভালো লাগবে।’

জাহ্নবী

ড্রেকের বাড়িতে গুলি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:১০ পিএম
ড্রেকের বাড়িতে গুলি

কানাডীয় র‌্যাপার ড্রেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে গত মঙ্গলবার কানাডার স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় এ ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ড্রেক বাড়িতে ছিলেন কি না সেটা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বাড়ির আশপাশ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গাড়িতে করে এসে গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে জানা গেছে, ড্রেক সুরক্ষিত থাকলেও তার নিরাপত্তারক্ষীর বুকে গুলি লেগেছে।

সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে আরেক র‌্যাপার কেন্ড্রিক লামারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন ড্রেক। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। লামার তার গানে ড্রেকের সমালোচনা করেছিলেন, তার পরই শুরু হয় ঝগড়া। গানের মাধ্যমে ড্রেককে মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করেন লামার। তার দাবি, ড্রেক এক সন্তানের বাবা, সেটা তিনি গোপন রেখেছেন। দুজনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের সঙ্গে ড্রেকের বাড়িতে হামলার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কানাডার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক র‌্যাপার ড্রেক। তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন ড্রামার, মা করতেন শিক্ষকতা। ড্রেকের পাঁচ বছর বয়সে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে ড্রেকের মা বিয়ে করেন। শৈশব থেকেই গানের প্রতি তার ভালোবাসা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। স্কুলে পড়াকালে বিভিন্ন ক্লাবে গান করতেন তিনি। পরে শুরু করেন র‌্যাপ গানের চর্চা, যা পরে তাকে বিপুল পরিচিতি এনে দেয়। ড্রেক পাঁচবার সংগীতের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড গ্র্যামি জিতেছেন।

জাহ্নবী

শততম পর্বে ‘শিকারি’

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
শততম পর্বে ‘শিকারি’

বৈশাখী টেলিভিশনে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে তুর্কি ধারাবাহিক ‘শিকারি’। সপ্তাহে তিন দিন মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এটি প্রচারিত হয়। আজ ধারাবাহিকটির ১০০তম পর্ব প্রচার হবে। বুরকু গোর্গুন তোপটাস ও ওজলেম ইলমাজের রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন বাহাদির ইন্স। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বারিস আরদুস ও বুরজু বিরিচিক। আরও অভিনয় করেছেন সেথার তানরোয়েন, হাতিজে আসলান, লেভান্ত ইলগ্যান, বুরাক উইয়ানাক, জান্যার শাহিন, আয়তেক সায়াল, আহস্যান অ্যারোলু, ইপেক আরদ্যাম, দ্যারিয়া ব্যাজার্কা, হানদে দিলান হানজে, ইথ চ্যাকির, সুবুরজু দুশকুন, মেতেহান পারিলতি প্রমুখ। বাংলায় ডাব করেছেন রাজু, নাদিরা আঞ্জুম মিমি, আহসান, তুতিয়া ইয়াসমিন পাপিয়া, শেকানুল ইসলাম শাহি, তোফায়েল আহমেদ, অভিক সাহা, পর্ণা মিটিন্ডা কস্তা, ইরা রহমান, অনু, তানিয়া, শাকিল, নাদিয়া ও জারিন ফাতেমা।

ধারাবাহিকের কাহিনি গড়ে উঠেছে সুবিধাবঞ্চিত রুদ্র নামের এক শিশুর গল্প ঘিরে। অথচ এ শিশুটির জীবন এমন ছিল না। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম তার। মা-বাবাকে নিয়ে সুখেই চলছিল তার জীবন। অকস্মাৎ একটি ঘটনা তাদের জীবন বদলে দেয়। তছনছ হয়ে যায় সুখের সংসার। শিশু বয়সেই তার চোখের সামনে ঘটতে থাকে একের পর এক খুন। রুদ্রের বয়স তখন আট বছর। তাদের পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে, যখন তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এরপর কেটে যায় ২০ বছর। ২০ বছর ধরে ক্ষুধার কষ্ট আর একাকিত্ব নিয়ে রাস্তায় বেড়ে ওঠা রুদ্র নিজেকে প্রস্তুত করে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প।

জাহ্নবী