১৯৯২ সাল, ২২ বছরের তরুণ আহসান খান চৌধুরী। আমেরিকায় ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ালেখা শেষ করেছেন মাত্র। সে দেশেই একাধিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরির ডাক এলেও ফিরে আসেন শিকড়ের টানে। তরুণ আহসান খান দেশেই কিছু করতে চান। মনের মধ্যে অদম্য ইচ্ছা, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন; যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি আসবে। আশির দশকে বাবা আমজাদ খান চৌধুরীর গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগ দেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও কথা দিয়ে কথা রাখার মতো গুণাবলি তাকে সফলতার শিখরে নিয়ে গিয়েছে। আজকে প্রাণ-আরএফএল দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাবার অভিজ্ঞতা আর ছেলের কর্মপরিকল্পনার সমন্বয়ে এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়েও বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য শতাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছে দেশি বিদেশি বহু পুরস্কার। একাধিকবার দেশের শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এখানেই থামতে রাজি নন ব্যবসায়ী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী। পরনির্ভরতা ছেড়ে অফুরন্ত সম্ভাবনার এ দেশটিকে আরও এগিয়ে নিতে চান। বাবার আদর্শকে লালন করে যেতে চান বহুদূর। নিজের ব্যবসা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী কথা বলেছেন খবরের কাগজের ডেপুটি বিজনেস এডিটর ফারজানা লাবনীর সঙ্গে।
খবরের কাগজ: বিদেশে পড়ালেখা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সাধারণত সবাই চাকরি করে থাকে। আপনি কেন ব্যবসায় এলেন?
আহসান খান চৌধুরী: শুধু নিজে ভালো থাকব, এমন চিন্তা কখনোই আসেনি। বরাবরই চেষ্টা ছিল সবাইকে নিয়ে বাঁচব। ব্যবসা করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। বেকারত্ব দূর করব। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করে কৃষি খাতের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাব। এর ফলে কৃষকের উন্নয়ন হবে।
খবরের কাগজ: ছোট বেলা থেকে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এবং আভিজাত্যের মধ্যে বেড়ে উঠলেও আমরা দেখেছি যে, আপনি বরাবরই সাধারণ জীবনযাপন করেন। আপনার শিক্ষাজীবনের কথা কিছু বলেন, যা জেনে তরুণ উদ্যোক্তারা ব্যবসায়ে আগ্রহী হবে।
আহসান খান চৌধুরী: সেন্ট যোসেফ স্কুল এবং নটর ডেম কলেজের পাঠ শেষে আমেরিকায় ওয়ার্ট বার্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষা নিয়েছি। বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ পাই। কিন্তু দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল। তাই ২২ বছর বয়সে মাটির টানে দেশে চলে আসি। কী করব ভাবতে থাকি। এমন কিছু করতে চাই; যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের দেশটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে পরিচিতি পাবে। যাই করব, তাতেই সেরা হতে হবে, এমন আকাঙ্ক্ষা ছিল মনের মধ্যে। কী করব, তা নিয়ে বিভিন্ন হিসাব কষতে শুরু করি।
খবরের কাগজ: এর পর কীভাবে বাবার ব্যবসায়ে যোগ দেন?
আহসান খান চৌধুরী: ৮০-এর দশকে গড়ে ওঠা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ছিল আমার জন্য সব চেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম। বাবাকেও সে সময় সাহায্য করার প্রয়োজন ছিল। অনেক ভেবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগ দিই। শুরু হয় নতুন পথচলা। বাংলার ঘরে ঘরে প্রাণের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সারা বিশ্বে প্রাণের পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া ছিল আমার লক্ষ্য, অঙ্গীকার ও চ্যালেঞ্জ।
খবরের কাগজ: কী কৌশল সামনে রেখে ব্যবসা করতে থাকেন?
আহসান খান চৌধুরী: পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ছিল আমার ব্যবসার কৌশল। ব্যবসার শুরু থেকেই নানা সমস্যা সামনে এসেছে। এখনো আছে। প্রতিটা সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, এসব চ্যালেঞ্জ দক্ষতা ও মেধার সঙ্গে যে মোকাবিলা করতে পারবে সে-ই এগিয়ে যাবে। চ্যালেঞ্জগুলোকে আমি সবসময় আনন্দের সরঙ্গ গ্রহণ করেছি। তা বিচার-বিশ্লেষণ করে কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রম ও কঠোর অধ্যবসায় থাকলে যেকোনো ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সর্বোপরি আমি যে কাজ করি তা সততার সঙ্গে মনেপ্রাণে করি।
খবরের কাগজ: বাবার কোন উপদেশ সব সময় মনের মধ্যে থাকে?
আহসান খান চৌধুরী: বাবা আমজাদ খান চৌধুরীর উপদেশ, ‘জীবনে সফলতার জন্য সংক্ষিপ্ত কোনো পথ নেই।’ আমি এই কথাগুলো অনুসরণের চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, যেকোনো অর্জনের পেছনে থাকতে হবে কঠিন পরিশ্রম, সততা ও অধ্যবসায়। জীবনে চলার পথে পাহাড়সমান সমস্যা আসবে। তাতে বিচলিত না হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাবার উপদেশই আমার জীবনের পাথেয়। বাবাই আমার আদর্শ। ব্যবসা পরিচালনায় তার বিচক্ষণতা, দূরদৃষ্টি, অভিজ্ঞতা, উপদেশ সবগুলোই সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে অর্জন করতে পেরেছি। তবে বাকি আছে অনেক কিছু। তা অর্জনে কঠিন পরিশ্রম করি, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
খবরের কাগজ: আপনার বাবা বাংলাদেশের ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম দিকপাল। তার আর কোন বিষয় আপনাকে প্রভাবিত করেছে?
আহসান খান চৌধুরী: এ দেশে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা আছে, তা আমি মনে করি না। বরং অসম্ভব সম্ভাবনাময় একটি দেশ বাংলাদেশ। আমি বাবার কথায় কথা মিলিয়ে বলব, ‘আমাদের দিগন্তবিস্তৃত আবাদি ও উর্বর জমি, অবারিত নদী, আর আছে কর্মঠ এক বিশাল জনগোষ্ঠী। এত সুবিধা খুব কম দেশেই রয়েছে।’ এমন অনেক দেশ আছে পৃথিবীতে মাইলের পর মাইল জমি রয়েছে কিন্তু তাতে আবাদ হয় না। আর এ দেশে, ঘরের ভেতরে টবের মধ্যে দুটো বীজ লাগালেও চারা গজিয়ে যায়। একটু পরিচর্যা করলে সেখান থেকে ফলও পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের উর্বর জমি কাজে লাগাতে না পারলে তা হবে আমাদের ব্যর্থতা। আর একটি বিষয় ত্যাগ করতে হবে, নিজের ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দায়ী করার মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।
খবরের কাগজ: দেশের অর্থনীতির জন্য দক্ষ জনশক্তি কতটা প্রয়োজন?
আহসান খান চৌধুরী: এ দেশে মানুষের অভাব নেই। কিন্তু দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ দেশের মানুষকে এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ দায়িত্ব সবার, বিশেষভাবে নতুন প্রজন্মে ওপর এর দায়টা বেশি।
খবরের কাগজ: তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে কিছু বলেন।
আহসান খান চৌধুরী: গত ১০ বছরে ব্যবসায়ের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। একটি ছেলে বা মেয়ে পড়ালেখা শেষ করে ভবিষ্যৎ জীবন-জীবিকার জন্য চাকরি করাটা নিরাপদ মনে করত একসময়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ব্যবসাকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণের নিশ্চয়তা এখন রয়েছে। লেখাপড়া জানা উদ্যোক্তারা আসছেন। এতে ব্যবসায়ে গুণগত মানের উন্নয়ন হয়েছে। যে ধরনের ব্যবসায় আসার পরিকল্পনা থাকবে সে বিষয়ে পড়ালেখা করেই কাজে যোগ দেওয়া উচিত। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বিশ্ব এখন এক মঞ্চে। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ এখন মুহূর্তের ব্যাপার। ভোক্তারাও জানতে পারছেন কোন দেশে কী পাওয়া যাচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতাও আগের চেয়ে বেশি। যে ব্যবসায়ী গুণগত মানের বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য উৎপাদন করবেন তাকে মুনাফা নিয়ে ভাবতে হবে না। তাই ভোক্তার কাছে পণ্যের গুণগত মানের পণ্য পৌঁছে দেওয়াই সব চেয়ে বড় নীতি হওয়া উচিত একজন ব্যবসায়ীর।
খবরের কাগজ: রপ্তানিতে সুফল আনতে কী করতে হবে?
আহসান খান চৌধুরী: দেশের ভাবমূর্তি ভালো হলে পণ্য রপ্তানিতেও সুফল পাওয়া যায়। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে ভিসা সুবিধা পান, সে বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। এ ছাড়া কাঁচামাল আমদানি খরচও কমাতে হবে।
খবরের কাগজ: আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলেন।
আহসান খান চৌধুরী: প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ দেশের অন্যতম কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান। আশির দশকের শুরুতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের যাত্রা শুরু। রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডই ছিল এর প্রথম পরিচয়। দারিদ্র্যপীড়িত উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও সেচের পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) গড়ে উঠে। পরবর্তী সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি, ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, ফার্নিচার, টয়লেট্রিজ, পোশাকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে এগিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ছয় হাজারের অধিক পণ্য রয়েছে। খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্টমানের কাঁচামাল সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। খাদ্যপণ্যের কাঁচামাল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে থেকে সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য সারা দেশে এক লাখ চুক্তিবদ্ধ কৃষক সরাসরি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।
খবরের কাগজ: আপনার প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান ধরে রাখতে কী করছেন।
আহসান খান চৌধুরী: শিল্পোন্নত দেশের কারখানাগুলোতে স্বল্প সময়ে গুণগতমানের সর্বোচ্চ সংখ্যার পণ্য তৈরি করতে পারে তার অন্যতম কারণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। সারা দেশে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৩০টির অধিক স্থানে থাকা অত্যাধুনিক কারখানাতেও ব্যবহার করা হয় বিশ্বসেরা প্রযুক্তি। এসব কারখানায় সরাসরি কর্মসংস্থানের হয়েছে প্রায় দেড় লাখ নারী-পুরুষের। পরোক্ষভাবেও এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছে বড় অঙ্কের জনগোষ্ঠী। এভাবে সব মিলিয়ে ১৫ লাখের অধিক মানুষের জীবিকা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে প্রাণের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
খবরের কাগজ: আপনার প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আহসান খান চৌধুরী: আমাদের গ্রুপের লক্ষ্য হলো লাভজনক ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা। অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের ব্যবসায় অগ্রসর হওয়া। এ ক্ষেত্রে আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মীদের মধ্যে নারী কর্মীর সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছি। কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে সার-বীজ সরবরাহ, উন্নত চাষের জন্য প্রশিক্ষণ এবং উৎপন্ন ফসল বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করে থাকি। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং গৃহস্থালি পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের পরিধি আরও বাড়াতে কাজ করছি। স্থানীয় বাজারে বিক্রি বাড়ানো সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমার ইচ্ছা প্রাণের ব্র্যান্ডে বাংলাদেশের সুনাম বাড়বে। পৃথিবী জানুক এ দেশের কৃষকের কথা। এতে যেমন কৃষক উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
খবরের কাগজ: অবসর সময় কীভাবে কাটে?
আহসান খান চৌধুরী: অবসর কাটে বই পড়ে এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে।
খবরের কাগজ: আপনাকে ধন্যবাদ
আহসান খান চেীধুরী: আপনাকেও ধন্যবাদ
এক নজরে প্রাণ-আরএফএল

প্রতিষ্ঠা: যাত্রা শুরু ১৯৮১ সালে
প্রতিষ্ঠাতা: মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী (অব.)
বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিইও: আহসান খান চৌধুরী
করপোরেট ব্রত: ‘দারিদ্র্য ও ক্ষুধা জীবনের অভিশাপ। আমাদের লক্ষ্য: লাভজনক ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিপূর্বক মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা’।
প্রাণ-আরএফএলের মোট পণ্য: বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৬০০০ পণ্য
মোট কর্মী: ১,৪৫,০০০ (এক লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার)
চুক্তিভিত্তিক কৃষক: প্রাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১,০০,০০০ (এক লাখ)
রিটেইল চেইনশপ: ৩০০০-এর অধিক নিজস্ব চেইন শপ। যেমন বেস্ট বাই, ডেইলি শপিং, টেস্টি ট্রিট, মিঠাই, রিগ্যাল, ভিশন ইত্যাদি।
প্রথম রপ্তানি: ফ্রান্স, ১৯৯৭ সালে, পণ্য-পাইনআপেল ক্যানড
মোট রপ্তানিকৃত দেশ: ১৪৫টি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রপ্তানি আয়: প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার
বড় পাঁচটি রপ্তানিকৃত দেশ: ভারত, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, আরব-আমিরাত ও মালয়েশিয়া
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন: ২১ বার
সিএসআর কার্যক্রম:
- প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল- নরসিংদী ও হবিগঞ্জ
- আমজাদ খান চৌধুরী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, নাটোর
- সান হেলথ কেয়ার
- কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট