: কেমন আছেন জাকারবার্গ মামা?
- আমি আপনার মামা হলাম কী করে?
: আপনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন। তার মানে আপনি আমার ফ্রেন্ড। আর আমাদের দেশে ফ্রেন্ডদের আদর করে মামা ডাকা হয়। এটা অলিখিত নিয়ম।
- আর কী কী নিয়ম আছে শুনি?
: যাদের স্ট্যাটাসে বেশি লাইক পড়ে, তাদের আমরা সেলিব্রিটি ডাকি। তবে যারা অটোলাইক ইউজ করে লাইক বাড়ায়, তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করি। আপনি কি অটোলাইক ইউজ করেন?
- ওহ্, মাই গড! বলেন কী? আমি অটোলাইক ইউজ করি না। আপনি আমার ওপর এই মিথ্যা বদনাম তুলছেন কেন?
: আমাদের দেশে যারা অটোলাইক ইউজ করে তাদের লাইক লিস্ট দেখলেই বোঝা যায়। কারণ এতে বিদেশি ফেসবুক ইউজারের লাইক বেশি থাকে। আমি খেয়াল করে দেখছি, আপনার স্ট্যাটাসে বেশির ভাগ লাইক বিদেশি লোক দেয়। তার মানে আপনি অটোলাইক ইউজ করছেন।
- আমি ওই রকম লোক না। কে বা কারা আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে চাচ্ছে।
: আচ্ছা বাদ দেন। বেশ আগে আমাদের দেশে সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ হয়েছিল। ব্যাপারটা আপনি কীভাবে দেখছেন?
- এটা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো একটা উদ্যোগ। সরকারকে সে জন্য ধন্যবাদ জানাই।
: ভালো বলছেন কেন?
- আপনি খেয়াল করে একটা জিনিস দেখবেন, সব দেশের লোকই একটা নির্দিষ্ট সময় ফেসবুক ইউজ করে। কিন্তু চব্বিশটা ঘণ্টা ইউজ করে একমাত্র আপনাদের দেশের পোলাপান। যার ফলে আপনাদের সেবায় যারা নিয়োজিত, তাদের নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে গেছে। ফেসবুক আপনাদের দেশে বন্ধ হওয়ায় তারা কিছুদিন ছুটি কাটাতে পেরেছে।
: তার মানে বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারদের আপনারা ভালো চোখে দেখেন না।
- এটা ভুল কথা। বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারদের কাছে আমি অনেক ঋণী!
: ক্যামনে?
- এই যেমন অন্যান্য দেশে ফেসবুকে তরুণদের আগ্রহী করতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিই। তার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু আপনাদের দেশে সেটা করতে হয় না। কারণ, আমাদের হয়ে সেই কাজটা সেলিব্রিটিরা করে ফেলেন। তারা একটা ইস্যু ক্রিয়েট করেন আর আপনারা সবাই দুই দলে ভাগ হয়ে ফেসবুকে সেটা নিয়ে ত্যানা পেঁচান। যার ফলে আমাদের মার্কেটিংটা ফ্রি হয়ে যায়।
: সেই মার্কেটিংয়ে বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে আপনি কী করেন? অটোলাইকার কেনেন?
- যার জন্য করলাম চুরি, সে কয় চোর। আপনার কাছে আর সাক্ষাৎকার দিমু না।
কলি