অনেক আগের কথা। এক জলদস্যু সরাইখানায় ঢুকে খাবারের অর্ডার দিল। মালিক নিজেই খাবার নিয়ে এলো। জলদস্যুর এক হাতের বদলে হুক, এক পায়ের জায়গায় কাঠের পা, আর এক চোখ কানা বলে পট্টি লাগানো ছিল।
মালিক জানতে চাইল, কাঠের পা কেন?
জলদস্যু বলল, একবার সৈন্যদের সঙ্গে আমাদের ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল। তখন আমার পা কেটে যায়। সেই থেকে আমার কাঠের পা।
মালিক জানতে চাইল, হাতে হুক লাগানো কেন?
জলদস্যু বলল, এটাও আরেক লড়াইয়ের সময়কার ঘটনা। লড়াইয়ে আমার হাত কাটা পড়ে। তাই হুক লাগিয়ে নিয়েছি।
মালিক জানতে চাইল, তোমার চোখও কি লড়াইয়ের সময় কানা হয়েছে?
জলদস্যু বলল- না, একবার জাহাজের ডেকে বসে চা খাচ্ছিলাম। একটা অ্যালবাট্রস পাখি আমার চোখে ইয়ে করে দিয়েছিল।
মালিক অবিশ্বাসের সুরে বলল, বলো কি? একটা পাখির ইয়েতে তোমার চোখ কানা হয়ে গেল?
জলদস্যু বলল- না, ওইটা আমার হাতে হুক লাগানোর পর প্রথম দিন ছিল।
অনেক আগের কথা। তখন কাগজ-কলম আবিষ্কার হয়নি। এক রাজ্যের রাজপুত্র ছিল খুবই স্মার্ট আর হ্যান্ডসাম। কিন্তু হলে কি হবে, এক অভিসাপের কারণে সে বছরে কেবল একটা শব্দ বলতে পারে।
পাশের রাজ্যে ছিল এক অতি সুন্দরী রাজকন্যা। যেমন রূপ, তেমনি তার গুণ। রূপকথায় যা হয় আর কি। রাজপুত্র তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করল। কিন্তু সেটা ছিল ওয়ান সাইডেড প্রেম। রাজকন্যাকে তো অ্যাপ্রোচ করতে হবে। বলতে হবে তার মনের কথা। তবেই না রাজপুত্র-রাজকন্যার মিলন হবে।
তো হয়েছে কি, রাজপুত্র কথা বলা বন্ধ করে দিল। এক, দুই করে কেটে গেল পাঁচটি বছর। এভাবে রাজপুত্র পাঁচটি শব্দ বলার সুযোগ পেল। খুশিতে সে এক বিশাল কনসার্টের আয়োজন করল। নামিদামি সব রাজপরিবারের সদস্য দাওয়াত পেলেন।
কনসার্ট আলো করে এলেন রাজকন্যা। রাজপুত্রের অপেক্ষার পালা শেষ। সে ইশারায় রাজকন্যাকে ডাকল। কাছে আসতেই বলল পাঁচটি শব্দ, ‘হে রাজকন্যা, আমি তোমাকে ভালোবাসি’।
রাজকন্যা কি উত্তর দিল জানেন?
রাজকন্যা বলল, ‘বুঝলাম না...আবার বলেন!’
কলি