সাক্ষাৎকারে সাথিরা জাকির জেসি / ‘বিপিএলের চেয়ে ডিপিএলে আম্পায়ারিং কঠিন’ । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সাক্ষাৎকারে সাথিরা জাকির জেসি ‘বিপিএলের চেয়ে ডিপিএলে আম্পায়ারিং কঠিন’

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
‘বিপিএলের চেয়ে ডিপিএলে আম্পায়ারিং কঠিন’
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম বাংলাদেশি নারী আম্পায়ার হিসেবে নারীদের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছিল সাথিরা জাকির জেসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে নারীদের টুর্নামেন্টের পাশাপাশি সমানতালে পরিচালনা করেছেন ছেলেদের প্রথম বিভাগ-দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। অপেক্ষায় ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আম্পায়ারিং করার। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান ম্যাচ দিয়ে ডিপিএলে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ আসে তার সামনে। ডিপিএলের সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা সাথিরা জাকির জেসি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন খবরের কাগজের প্রতিবেদক পার্থ রায়ের সঙ্গে।

প্রথমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দায়িত্ব পালন করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

আলহামদুলিল্লাহ অভিজ্ঞতা ভালো। চাপের ম্যাচ ছিল। এ ছাড়া প্রথম ম্যাচ সবার মধ্যে স্নায়ুচাপ থাকে, সেটা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, ঠিকঠাকভাবে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি। যেটা (মুশফিকুর রহিমের আউট বিতর্ক) সমস্যা হয়েছিল ওই জায়গায় আমাদের কিছু করার ছিল না। বাকিটা পুরোপুরি ঠিকঠাক ছিল।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ নাকি ডিপিএল- কোন জায়গায় ম্যাচ পরিচালনা করা বেশি চাপের?

মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ করার চেয়ে এই ধরনের ম্যাচ পরিচালনা করা কঠিন। সবাই জানেন প্রিমিয়ার লিগে দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি থাকে। বিপিএলেও হয়তো বা এত বেশি চাপ থাকে না যতটা থাকে প্রিমিয়ার লিগে। ডিপিএলে এই চাপটা নিয়েই আম্পায়ারিং করতে হবে। অন্যান্য জায়গা থেকে অনেক বেশি চাপ ছিল। ক্রিকেটাররা অনেক সময় তর্কবিতর্ক করে, খেলা বন্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব হয় না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিভি আম্পায়ার থাকে। ফলে সিদ্ধান্তগুলো দেওয়া সহজ হয়। এ জন্য এখানে অনেক নিখুঁত আম্পায়ারিং করতে হয়।

ম্যাচে জাতীয় দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন। তাদের কাছ থেকে ম্যাচে কেমন সহযোগিতা পেলেন?

জুনিয়র কিছু ক্রিকেটার ছাড়া সবাই তো আসলে আমার পরিচিত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইসহ তামিম ভাই, ইমরুল ভাই, মুশফিক ভাই সবাই পরিচিত। তাদের জন্য আমার কাজ করাটা সহজ হয়েছিল। নতুন যারা ছিল- জাকির, নাঈম ওরাও খুব ভালো। সবার কাছ থেকে খুব ভালো সমর্থন পেয়েছি। ভালো ব্যাপার হলো ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা অনেক প্রশংসা করেছে। ম্যাচ শেষে বিষয়টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। 

অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?

আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন অনফিল্ড আম্পায়ার, রিজার্ভ আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি সবাই আমার প্রশংসা করেছেন। ম্যাচ রেফারি রকিবুল ভাই তো প্রথম থেকেই উৎসাহ দিচ্ছিলেন। ওপর থেকে বারবার বলছিলেন ভালো ডিসিশন দিচ্ছেন। রান আউট বা অন্যান্য কঠিন সিদ্ধান্তগুলো ভালো হচ্ছে বলে খুবই প্রশংসা করেছেন। ম্যাচ রেফারি খুশি আমার ম্যাচ নিয়ে। ম্যাচে কিছু ছোটখাটো ভুল হবেই। বড় কোনো ভুল ছাড়া ম্যাচ শেষ হয়েছে এটা ভালো ছিল। কালকের ম্যাচ তো আসলে বড় ম্যাচ ছিল- দুই দলই রানার্স আপের জন্য খেলছিল। তো সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে।

ম্যাচ পরিচালনার সময় প্রচণ্ড গরম ছিল। এটা কতটা বাধা তৈরি করেছিল?

গরমে তো আসলে আম্পায়ারিং করা কঠিন। এর আগে এত গরমে ম্যাচ খেলেছি। তবে খেলা আর আম্পায়ারিং করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। খেলোয়াড়রা খেলার সময় কিছুটা বিশ্রাম পায়। ফিল্ডিংয়ের সময় চাইলেই ৮-১০ মিনিট বাইরে থাকতে পারে। ব্যাটিংয়ের সময় তো দুই ব্যাটার ছাড়া বিশ্রামেই থাকে। আম্পায়ারদের তো সেই সুযোগ নেই। সবার আগে মাঠে নেমে সবার শেষে বের হতে হয়। এমনকি ফিল্ডাররা মাঠে নামার ৫ মিনিট আগে মাঠে নামতে হয়। খেলার মাঝের অল্প সময়ের মধ্যে আসলে বিশ্রামটা হয়ও না ঠিকঠাক মতো। চাইলেও বাইরে আসতে পারি না। পুরো ১০০ ওভার আমাদের মাঠে থাকতে হয়। এই রোদের মধ্যেও মনোযোগটা ঠিক রাখতে হয়। সব মিলিয়ে এই গরমে আম্পায়ারিং করা আসলেই অনেক কঠিন।

হোসেলুর ৩ মিনিটে ২ গোল, ফাইনালে মাদ্রিদ

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
হোসেলুর ৩ মিনিটে ২ গোল, ফাইনালে মাদ্রিদ
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচের শুরু থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছিলেন দাপুটে। একের পর এক আক্রমণ করেই যাচ্ছিলেন তিনি। তার একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়েও দিচ্ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুস নয়, গোলের দেখা পেয়েছেন রিয়ালের হয়ে বদলি নামা হোসেলু। শেষদিকে ৩ মিনিটেই তিনি করে বসেন ২ গোল। তার এই দুই গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ।

আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

ম্যাচের নায়ক হোসেলু মাঠে নেমেছিলেন ৮১ মিনিটে। তার মাঠে নামার ১১ মিনিট আগেই আলফনসো ডেভিয়েস গোল করে এগিয়ে নেন বায়ার্ন মিউনিখকে। পিছিয়ে পড়েও যে দল বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে সেই দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ। তাই সমর্থকরা তখনও আশা ছাড়েনি। সমর্থকদেরও হতাশ করেনি রিয়াল। ৮৮ মিনিটে ম্যাচ এ সমতা ফেরানোর গোল করেন বদলি নামা হোসেলু। ভিনিসিয়ুসের শট হাতে পেয়েও আটকাতে পারেননি, ফসকে যাওয়ায় ফিরতি বল পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।

৯১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন হোসেলু। যদিও, রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে সুযোগ দেননি উল্লাসের। পরবর্তীতে ভিএআর চেক করলে দেখা যায় ভিএআর চেকে দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে। হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের মধ্যমণি।

এই গোলেই নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগ মিলিয়েও ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ।

র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ হৃদয়ের, ৬ ধাপ এগোলেন তাসকিন-মাহেদি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ হৃদয়ের, ৬ ধাপ এগোলেন তাসকিন-মাহেদি
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের দুই ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন তিনি। পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট।

এমন ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সে আইসিসির টি-টোয়েন্টি উন্নতি করেছেন তিনি ৬ ধাপ। ভালো পারফর্ম করে এগিয়েছেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ও।

ক্যারিয়ার সেরা ৫৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করে উঠে এসেছেন ২৬ নম্বর স্থানে। ৬ ধাপ এগিয়েছেন শেখ মাহেদি হাসানও। ২ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে ২২ নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন এই স্পিনার, রেটিং পয়েন্ট ৫৮৯।

বাংলাদেশের বোলারদের পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন শেখ মাহেদিই। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করলেও এখনও শীর্ষ ১০০ টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।

সিরিজে তিন ম্যাচের দুটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া তাওহিদ হৃদয় বড় লাফ দিয়ে এগিয়েছেন ২৬ ধাপ। তার অবস্থান ৯০ নম্বরে। দুই ধাপ এগোনো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবস্থান এখন ৮১ তে।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষে ভারতের সূর্যকুমার যাদব। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাকিব আল হাসান।

 

সাকিব-সৌম্য-মোস্তাফিজ ফেরায় না খেলেই বাদ আফিফ-ইমন

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
সাকিব-সৌম্য-মোস্তাফিজ ফেরায় না খেলেই বাদ আফিফ-ইমন
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ ও ১২ তারিখ ঢাকায় গড়াবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ।

বাকি দুই ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট (বিসিবি) বোর্ড। সেই দুই ম্যাচের জন্য দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও আইপিএল খেলে দেশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানকে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ডিপিএলে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব ফিটনেস যাচাইয়ের লক্ষ্যে। সৌম্য সরকার দলে ফিরলেন ইনজুরিতে কাটিয়ে। আইপিএল থেকে ফেরার পর ছুটিতে থাকা মোস্তাফিজও ফিরেছেন স্কোয়াডে।

এই তিন ক্রিকেটার দলে ফেরায় কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। আর বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে।

শেষ দুই ম্যাচের দল: নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও সাইফউদ্দিন।

আয়ারল্যান্ড যেতে পারলেন না আমির

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আয়ারল্যান্ড যেতে পারলেন না আমির
ছবি : সংগৃহীত

দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড যাওয়া হয়নি পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরের। মূলত সঠিক সময়ে ভিসা না পাওয়ায় পাকিস্তানেই রয়ে গেছেন তিনি।

ইএসপিএনক্রিকইনফোকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা আমির ভিসার আবেদন করেছিলেন দলের সবার সঙ্গেই। বাকিরা ভিসা পেলেও আমির পাননি। তাই সবাই গতকাল ডাবলিনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেও এখনও পাকিস্তানেই রয়ে গেছেন আমির।

ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ করেছে পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, সময়মতো ভিসা পাওয়ার বিষয়টি স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

১০ মে শুরু হতে যাওয়া সিরিজটি শেষ হবে ১৪ মে। অল্প সময়ের মধ্যে হতে যাওয়া এই সিরিজটিতে এখন আমিরের খেলা নিয়েই জেগেছে শঙ্কা।

আমির ঠিক কখন ভিসা পেতে পারেন, সেটাও এখন নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ মোহাম্মদ ইউসুফের ভিসা অনুমোদন দেরিতে হলেও সময়মতো ভিসা হাতে পেয়ে তিনি দলের সঙ্গে ডাবলিনে যেতে পেরেছেন।

২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল বিপক্ষে, সেই পাকিস্তানের সেই দলের সদস্য ছিলেন আমির। এবারের আয়ারল্যান্ড সফর শেষে পাকিস্তান দল যাবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। সেখান থেকেই বিশ্বকাপে যাবে তারা।

চার বছর পর অবসর ভেঙে গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান দলে ফিরেছেন আমির।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল না বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
ফাইনালে রিয়াল না বায়ার্ন
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র। হিসেব পরিষ্কার, সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে যারা জিতবে তারাই পাবে ওয়েম্বলির ফাইনালের টিকিট। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এমন উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচেই আজ মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগুনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

সেমির প্রথম লেগের ম্যাচ হয়েছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নের ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনাতে। যেখানে ব্রাজিল তারকা ভিনিসিউস জুনিয়রের দুই গোলে ড্র করতে পেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ২৪ মিনিটে ভিনির গোলে লিড নেয় রিয়াল। ৫৩ মিনিটে সানের গোলে ম্যাচে সমতা আনে বায়ার্ন। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই ম্যাচ ড্র করেন ভিনিসিউস।

ওয়েম্বলির ফাইনালে যেতে ফিরতি লেগে জয়ের বিকল্প নেই কোন দলেরই। ঘরের মাঠ বলে ভালোমতোই আজ এগিয়ে থাকছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে জয়ের রেকর্ড নেই দলটির। কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানসিটির সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল লস ব্লাঙ্কসরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনে লাইপজিগের সঙ্গেও ১-১ গোলে ড্র। সেই বার্নাব্যুতে আজ জয়ের দেখা পাবে তো রিয়াল?

জয়ের বিকল্প দেখছেন না রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ইতোমধ্যে রেকর্ড ৩৬তম লিগ শিরোপা জয় করা রিয়ালকে তিনি দেখতে চান ওয়েম্বলির ফাইনালেও। ম্যাচের আগে এই ইতালিয়ান দ্রোনাচার্য বলেছেন, ‘আমরা লিগে দারুণ পজিশনে আছি। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও। আমরা ওয়েম্বলিতে যাওয়ার জন্য সবকিছু করতে চাই।’ অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ টমাস টুখেল বলেছেন, ‘পরিস্থিতি পরিষ্কার। মাদ্রিদে একটা জয়ই পারে আমাদের ওয়েম্বলিতে নিতে। আমার কাছে এটা যদিও ফিফটি ফিফটি গেম। দেখা যাক কী হয়।’

বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফরোয়ার্ড থমাস মুলারের মতে, বার্নাব্যুতে হতে পারে যেকোনো কিছুই। তবে লড়াইটা হবে বেশ কঠিন। নিজেদের আঙিনায় না পারলেও রিয়ালের ডেরায় এসে জিততে মুখিয়ে বায়ার্ন। একই ভাবনা তারকা ফরোয়ার্ড মুলারেরও। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বার্নাব্যুতে পা রাখতে যাচ্ছেন মুলার। বিশ্বকাপ জয়ী এই জার্মান ফরোয়ার্ড নিজের সেরাটা দিতে চান ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।

ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুলার প্রথমে প্রশংসা করেছেন বার্নাব্যু স্টেডিয়ামের। তিনি বলেন, ‘এটা (সান্তিয়াগো বার্নাব্যু) দেখতে তর সইছে না আমার। স্টেডিয়ামটি সবেমাত্র সংস্কার করা হয়েছে, বার্নাব্যুর যে বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করে, তা হচ্ছে, মাঠটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আশপাশে ঘুরতে বের হবেন, পরের ব্লকে যাবেন এবং আচানক খুঁজে পাবেন ৮০ হাজার আসনের একটা স্টেডিয়াম!’

ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ভয়ংকর টিম। মুলার বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের বহু রূপ। তারা ঘর আগলে রাখতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের নিয়মিত সেমিফাইনালে খেলা কোনো কাকতাল নয়। মাদ্রিদ খুবই ভয়ানক দল, কিন্তু তাদের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়ানোর উপায় আছে। আমরা তাদের হারাতে পারব কি না, সেটা নির্ভর করবে বল পায়ে রেখে খেলতে পারছি, কি পারছি না, তার ওপর।’