তরুণদের কাছে ক্রিকেট মানেই দারুণ উত্তেজনাকর একটি খেলা। ক্রিকেটে তো নানা রকমের রেকর্ড রয়েছে। এসব রেকর্ডও অনেকের ঠোঁটস্থ। যেমন একদিনের ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি কয়টি? এমন প্রশ্নের জবাব অনেকেরই মুখে মুখে। জবাবটা হলো ১১টি। আর একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান কার? এর জবাবটাও অনেকের জানা- ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মার।
মূলত স্কুল ক্রিকেট থেকেই আলো ছড়াতে ছড়াতে একসময় তরুণরা জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, স্কুল ক্রিকেটে আলো ছড়ানো অনেক ক্রিকেটার পরবর্তীতে অন্যরকম এক উচ্চতায় চলে যান। যদিও স্কুল ক্রিকেটে আলো ছড়ানো সব ক্রিকেটার সেই উচ্চতর জায়গায় পৌঁছাতে পারেন না। তবে আজ যে টিনএজার ক্রিকেটার আলো ছড়াচ্ছেন, তিনি যে ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠবেন না, তা কে বলতে পারে? তেমনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কুল ক্রিকেটে।
এই আলো ছড়ানো নক্ষত্রের নাম জস অ্যান্ডারসন। ত্রিনিদিহাউস অনূর্ধ্ব-১৪ বি দলের হয়ে সেন্ট জোনস অনূর্ধ্ব-১৪ বি দলের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে এই জস অ্যান্ডারসন। ১৬২ বলে অপরাজিত ৩৫৭ রান করেছে এই ব্যাটসম্যান।
৩৫৭ রানের এই ইনিংসে সবমিলিয়ে বাউন্ডারি ছিল ৬৫টি। যেখানে ২৩টি ছক্কার সঙ্গে রয়েছে ৪২টি চার। অর্থাৎ চার মেরেই রান করেছে ১৬৮। আর ছয় মেরে করেছে ১৩৮ রান। চার-ছয় দিয়েই জসের রান ছিল ৩০৬।
এটা বিশ্ব রেকর্ড। বোলারদের এরকম বেধড়ক আর কোনো ব্যাটসম্যান আজ অব্দি পেটাতে পারেনি জসের মতো। জস কিন্তু পুরো ৫০ ওভার খেলেনি। তাই বলে সে আউটও হয়নি। ইনিংসের ১১ ওভার বাকি থাকতে অর্থাৎ ৩৯ ওভারের সময় সে রিটায়ার্ড করে দলের অন্যদের ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেয়। যদি ৫০ ওভার খেলত, তাহলে কি জস ৪০০ রান করতে পারত?
এটা চিরদিনের জন্য প্রশ্ন হয়েই থাকবে। এর জবাব কখনো মিলবে না। এমন একটা ইনিংসের পরে জসের কোচ তাবানে ময়ো বলেন, প্রথম দুই ওভারের পর আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে বলেছিল, সে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। যেকোনো শর্ট খেলতে সে মরিয়া ছিল, পুল ও কাট শটগুলোকে সে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। আর এই শটগুলো থেকেই তার বেশির ভাগ রান এসেছে। তবে স্পিন লেখতে তাকে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। আর অপেক্ষা করেছে সিমারদের জন্য।
জসের দল ত্রিনিদিহাউস র্যান্ডপার্ক রিজ শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫৯১ রান তোলে। তার প্রতিপক্ষ সেন্ট জন্স কলেজ ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায়। আর স্বাভাবিকভাবেই জস অ্যান্ডারসনের বিশ্ব রেকর্ড করা ইনিংসের কারণে বিচারকদের ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচন করতে বেগ পেতে হয়নি।
জাহ্নবী