
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পেঁয়াজ চাষে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার কারণে তারা প্রতি বিঘায় ৩০-৪০ হাজার টাকা লোকসান গুনছেন। উৎপাদন খরচ আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে তারা আর্থিকভাবে বিপাকে পড়েছেন। এতে অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
জাজিরা উপজেলার বিকেনগর, নাওডোবা, সেনেরচর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত। তবে তাদের মুখে চিন্তার ভাঁজ। এক সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি। এখন তা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দামে বিক্রির কারণে তারা লোকসান গুনছেন।
বিকেনগরের দুর্জন শেখ জানান, পেঁয়াজের ফলন ভালো হলেও বিঘাপ্রতি লোকসান হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। বাজারে ৫০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে কিছুটা লাভ হতো।
আইরিন আক্তার বলেন, পেঁয়াজের বীজ ২০০ টাকায় কিনে রোপণ করেছেন। তবে এখন ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে তারা আর্থিকভাবে টিকে থাকতে পারবেন না। তিনি দাবি করেন, বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়া উচিত।
নাওডোবা এলাকার সামাদ খান জানান, পেঁয়াজ চাষে বেশি খরচ হয়েছে। তার দামও পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভবিষ্যতে পেঁয়াজ চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাজিরা মিরাসার চাষি বাজারের সাধারণ সম্পাদক খোকন খালাসী জানান, দেশে স্থানীয় পেঁয়াজের দাম কমলেও বিদেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়তদারের দাবি, বিদেশি পেঁয়াজের আমদানির কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে।
জাজিরা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুসলিমা জাহান রুনিয়া জানান, এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। তবে বিদেশি পেঁয়াজের আমদানি এবং কম দাম কৃষকদের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।