ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বিদেশি পোশাক হিসেবে বিক্রি হয় খলিফাপট্টির কাপড়

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫ এএম
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
বিদেশি পোশাক হিসেবে বিক্রি হয় খলিফাপট্টির কাপড়
ব্যস্ত সময় পার করছেন খলিফাপট্টির কারিগররা। খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের দর্জিপাড়াখ্যাত খলিফাপট্টিতে তৈরি হয় লেহেঙ্গা, গাউন, স্কার্ট, থ্রিপিস, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। ঈদ এলে এখানকার কারিগরদের দম ফেলার সময় থাকে না। এখানে তৈরি করা পোশাকগুলো বিদেশি পোশাক হিসেবে বিক্রি হয় বিভিন্ন শপিং সেন্টারে। বলতে গেলে অবিকল নকলের কারখানা খলিফাপট্টি। 

জানা গেছে, খলিফাপট্টিতে ৮৫ শতাংশ লেডিস জামা কাপড়, ১৫ শতাংশ জেন্টসের পোশাক তৈরি হয়। এটি থেকে চট্টগ্রামের কাপড়ের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পূরণ হয়। কারখানাগুলোতে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার জামাও তৈরি হয়। কাপড়গুলোর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে।
 
খলিফাপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, দিনরাত সেলাই মেশিনের খটখট শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের সাবেরিয়া বাজারসংলগ্ন খলিফাপট্টিতে সাধারণত রমজান শুরুর দুই সপ্তাহ আগে দর্জিদের ব্যস্ততা শুরু হয়। কারিগরদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ-বা সেলাই করছেন, কেউ আবার সেলাই করা কাপড়ে নানা ধরনের পুঁতি ও লেইস সংযুক্ত করছেন। 

খলিফাপট্টির কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এখানকার ব্যবসায়ীরা সারা বছর রমজানের ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সারা বছর যত কাজ হয়, তার ৮০ শতাংশ কাজ হয় ঈদকেন্দ্রিক। কারখানাগুলোতে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার জামাও তৈরি হয়। দেশি ছাড়াও বিদেশি বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের স্যুট, শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা ও স্কার্ট তৈরি করে থাকেন খলিফাপট্টির ডিজাইন মাস্টাররা।’

খলিফাপট্টির এসএস গার্মেন্টের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইয়ামিন বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এছাড়া উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তাই আগের চেয়ে লাভ কমে গেছে।’

নুর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘গার্মেন্ট শার্ট, থ্রিপিস, ফ্রক, প্যান্ট সব কিছুই আমরা তৈরি করি। নিজেদের কারখানায় তৈরি করা পোশাক পাইকারি বিক্রি করি। আমরাই সবচেয়ে কম দামে ভালো পোশাক বিক্রি করি।’ 

রহমান ফ্যাশনের মালিক আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তৈরি করা পোশাক বিভিন্ন শপিং সেন্টারে বিদেশি পোশাক হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আমরা কম লাভে কম দামে পাইকারি বিক্রি করেছি।’ 

রুপনা ফ্যাশনের আবদুল রহিম বলেন, ‘বিশেষ করে রমজানের শেষের দিকে খুচরা দোকানে কাপড়ের টান পড়লে আমাদের এখান থেকে কাপড় নিয়ে যায়। বড় শপিং সেন্টারগুলোতে নেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আমাদের তৈরি পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি পণ্য কেনার জন্য আমাদের এখানে আসেন। আমরাও কম দামে বেশি পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করি। ফলে যুগ যুগ ধরে আমাদের এ ব্যবসা টিকে আছে।’ 

খলিফাপট্টির খাজেম আলী বাই লেনের ‘আশা আল্লাহ দোয়েল ফ্যাশনে’র মালিক আবদুর রহিম বলেন, ‘গুণে ও মানে ভালো পোশাক তৈরি হয় খলিফাপট্টিতে।’ 

খলিফাপট্টি বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ২০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার কাপড় পাওয়া যায়। এ কাপড়গুলোই বড় শপিং সেন্টারে গেলে বিদেশি কাপড় হয়ে যায়। এমনিতেই আমাদের এখন ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, আমাদের পোশাকের মান ভারতীয় পোশাকের চেয়ে কোনো অংশেই খারাপ না।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন জামা কাপড় তৈরির অনেক উপকরণের দাম বেড়েছে। তারপরেও সব মিলিয়ে আমাদের বিক্রি মোটামুটি ভালোই হয়। বর্তমানে খলিফাপট্টিতে ২৫০টি কারখানা এবং ১০০টির মতো শোরুম রয়েছে। বিদেশি জামা কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতাও কমাতে কাজ করছে খলিফাপট্টির ব্যবসায়ীরা।’

১৯৪৭ সালের পর আইয়ুব আলী নামে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এক ফেরিওয়ালা নিজ গ্রামের কিছু লোকজন এনে খলিফাপট্টিতে কাপড় তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু। বর্তমানে খলিফাপট্টিতে প্রায় ২৫০ কারখানা রয়েছে। পুরোনো বেশ কয়েকটি ভবনজুড়ে রয়েছে কারখানাগুলো। প্রায় সব কারখানার শ্রমিক হচ্ছে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার।

পশুর নদে ২ জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ জেলে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
পশুর নদে ২ জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ জেলে
ছবি : খবরের কাগজ

মোংলা বন্দরের পশুর নদে গ্যাসবাহী জাহাজের ধাক্কায় একটি কয়লাবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় পাশে থাকা কাঁকড়া ধরার নৌকায় পাঁচ জেলে নদীতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হলেও একজন নিখোঁজ।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিখোঁজ ব্যাক্তির নাম আব্দুল হাকিম (১৮)। তার বাড়ী খুলনার লাউডোব এলাকায়। 

তাকে উদ্ধারে শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে  অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, বন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি রয়েল ইমেজ থেকে এমভি মিজান নামে একটি লাইটার জাহাজ ৫০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে যশোরে যাচ্ছিল। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা গ্যাসবাহী জাহাজ এমভি এরা স্টার ধাক্কা দিলে ওই লাইটার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে বন্দরের জাহাজ সারথী সেটিকে উদ্ধার করে।

তবে এ সময় নদীতে কাঁকড়া ধরার নৌকায় থাকা পাঁচজন জেলে ছিটকে পড়েন। চারজন উদ্ধার হলেও আব্দুল হাকিম নিখোঁজ। তাকে উদ্ধারে সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পশুর নদের করমজল এলাকায় অভিযান চালায়। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) পেটি কর্মকর্তা (ড্রাইভার ব্রাঞ্চ) মো. জাকির বলেন, ঘটনাটি মোংলা বন্দর কর্তৃক কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনকে জানালে তাৎক্ষণিক দুটি টহল বোট ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

গ্যাসের জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ এমভি মিজানের মালিক সোহাগ মোল্লা বলেন, তাদের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

রিফাত মাহামুদ/জোবাইদা/অমিয়/

ফৌজদারহাটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ফৌজদারহাটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
ফৌজদারহাট ঈদগাঁ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফৌজদারহাট ঈদগাঁ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী।

সম্মেলনে আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ধরে আমাদের দেশে এক অবৈধ ফ্যাসিস্ট, জালেম সরকার গেড়ে বসেছিল। তারা গণতন্ত্র আর সংবিধানের দোহাই দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। তারা মানুষকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে দেয়নি। আলেমরা কোরআনের কথা মানুষকে বলতে পারেননি। কেউ সঠিক দাওয়াতি কাজ করতে পারেননি। হাজার হাজার মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেল-জুলুম, নির্যাতন করেছে।’

আইআইইউসির এই ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার দেশের সব ক’টি ব্যাংক লুট করেছে। তাদের মন্ত্রী-এমপি, নেতা-কর্মীরা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করে কানাডায় বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সরকার কুলাঙ্গারের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। নওফেল পড়াশোনা করেছে ভারতে। ফলে শিক্ষার্থীদের সে কলমের পরিবর্তে দিয়েছে অস্ত্র। পড়ালেখার পরিবর্তে দিয়েছে ইয়াবা। সংস্কৃতির নামে ভারত থেকে অপসংস্কৃতি আমদানি করে আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। এ জন্য তারা উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা ও অপসংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ইয়াবা-গাজায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল যুবসমাজ। এসবের জন্য দায়ী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার।’

তিনি আরও বলেন, যে আওয়ামী লীগ ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে, সেই আওয়ামী লীগকে জনগণ নিষিদ্ধ করে দিয়ে দেশ থেকে বিদায় করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতা আপনাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে ভারতে নিক্ষেপ করেছে। সেই মুখ নিয়ে আর কখনো আপনাদের জনগণের সামনে আসা উচিত হবে না। জনগণ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না।

এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে আমাদের ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। সময় এসেছে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করার। আমরা প্রথমে আমাদের নিজকে বাঁচাব, ঘরকে বাঁচাব, আমার এলাকাকে বাঁচাব। এ জন্য সকলকে ইসলামের ছায়াতলে আনতে, রাসুলের আদর্শ ও কোরআনের আইনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। এসব করতে গিয়ে আমরাদেরকে পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে এবং ঈমানের সেই পরীক্ষায় পাস হতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদেরকে ইসলামের জন্য কাজ করতে হবে। আর কোনো রাতের ভোট হতে দেওয়া যাবে না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সৎ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক আল্লাহভীরু মানুষ চাই আমরা। 

ফৌজদারহাট ইউনিট সভাপতি রেজাউর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে এবং সলিমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. মাহবুবুর রহমান তারেকের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ বক্তা ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী, অফিস সম্পাদক আবু হাফস মো. নোমান, সলিমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. ফরহাদ হোসেন, সেক্রেটারি মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক শিবির নেতা মুবিন উদ্দিন, উপজেলা শিবিরের সভাপতি আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন হাশেমী, আকবরশাহ থানা জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মুনতাসির মাহমুদ, আরাফাত সালেহীন রুবেল, আব্দুল কাদের, শাহ রুবেল, আলী আক্কাস প্রমুখ। 

তাওফিক/অমিয়/

চাঁদপুরে দীর্ঘ বছর পর পরিষ্কার হচ্ছে এসবি খাল

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
চাঁদপুরে দীর্ঘ বছর পর পরিষ্কার হচ্ছে এসবি খাল
চাঁদপুর শহরের এসবি খালে পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে। ছবি : খবরের কাগজ

চাঁদপুর শহরের অতিগুরুত্বপূর্ণ এসবি খাল অনেক বছর পর পরিষ্কারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক জেলায় একটি খাল পরিষ্কারে উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসবি খালটি নির্ধারণ করা হয়।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে খালের মুন্সেফপাড়া অংশে এ কার্যক্রম শুরু হয়। 

এতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।

পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের এই সংগঠন। তাদের কাজের একটি অংশই হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করা। এই কাজে তাদের সংগঠনের ৪৫ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, এই খালটির সংযোগ এক অংশ ছিল মেঘনা নদীর সঙ্গে এবং আরেক অংশ ছিলো ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে। মেঘনা নদীর অংশ ভরাট হয়ে গেছে। ডাকাতিয়া নদীর অংশে আমরা কাজ করছি। কাজে এসে কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেব।

বিডিক্লিনের সদস্য মিথিলা বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল হচ্ছে এসবি খাল। শহরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ রাখার জন্য আমাদের সদস্যরা এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেছে।

এ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, এটি আমাদের জাতীয় যুব দিবসের একটি কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির আলোকে সারাদেশে একটি করে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা চাঁদপুর শহরের এসবি খালটিকে নির্ধারণ করেছি। ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর সংযোগ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হবে। আগামীতে এই খালের অবৈধ দখলও উদ্ধার করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা এই কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুবসমাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কিন্তু এটিকে ধরে রাখার কাজ হচ্ছে পৌরবাসীর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ১৫ দিন চলমান থাকবে। এরপর এই কাজটির তত্ত্বাবধান করবে চাঁদপুর পৌরসভা।

ফয়েজ আহমেদ/জোবাইদা/অমিয়/

স্কুলেই সংসার শিক্ষক দম্পতির!

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
স্কুলেই সংসার শিক্ষক দম্পতির!
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনার আমতলীতে শিক্ষক দম্পতি বিদ্যালয়ের মধ্যেই সংসার পেতেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত দম্পতি হলেন- উত্তর পূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা।

জানা যায়, ২০০৩ সালে উত্তর পূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান শাহজাহান তালুকদার। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করছেন তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকে ওই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘শাজাহান তালুকদার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে  স্কুলে সিন্ডিকেট গড়েন। শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত পরিক্ষার ফি আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা অনিয়ম শুরু করেন। কোনো নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে স্কুলের স্টোর রুমের পাশে নামাজের স্থানে তিনি ও তার স্ত্রী মিলে হাড়ি-পাতিল, গ্যাসের চুলা, বিছানা বিছিয়ে সংসার পেতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। এসব নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক দম্পতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাধর জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে অপকর্মের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো নেতাদের দিয়ে হুমকি ধমকি ও হয়রানি করা হতো।’

এ বিষয় প্রধান শিক্ষক শাজাহান তালুকদার বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। আর এখানে স্থায়ীভাবেও থাকা হয় না। শুধুমাত্র আমার বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় মাঝেমধ্যে তরকারি গরম করা হয়।’

আমতলী উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেট সীমান্তে কাশ্মীরি শালসহ ৩ কোটি টাকার পণ্য জব্দ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
সিলেট সীমান্তে কাশ্মীরি শালসহ ৩ কোটি টাকার পণ্য জব্দ
জব্দ করা চোরাই পণ্য। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় কাশ্মীরি শালসহ প্রায় তিন কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে ও বুধবার রাতে পৃথক দুটি অভিযানে এক কোটি ১৭ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়।

বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালায়। পৃথক পৃথক অভিযানে ১২১ পিস কাশ্মীরি শাল, ৭৯৮ পিস ভারতীয় শাড়ি, ৮১টি থ্রিপিস, ৪৫৬ পিস কসমেটিক সামগ্রী, ২৫৪ দশমিক ৪০ মিটার মখমল সোফার কভারসহ দুটি নৌকা জব্দ করে।

বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জব্দ করা পণ্যের মূল্য প্রায় এক কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ২৮০ টাকা।

আর বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে আরেক অভিযানে সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে ২০৪ পিস ভারতীয় শাড়ি, এক হাজার ৮০০টি সানগ্লাস, ৬৩০ পিস নিভিয়া ক্রিম, ৩১ কেজি সার্ফএক্সেল, ৯৬ বোতল মদ, তিনটি মোটরসাইকেল, দুই হাজার ২০০ কেজি বাংলাদেশি রসুনসহ ১২টি নৌকা জব্দ করে।
 
এগুলোর বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মূল্য প্রায় এক কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা।

চোরাচালানবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, জব্দ করা মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে হস্তান্তর করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুমন/অমিয়/