সাগরিকায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে সমঝোতা চুক্তি । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সাগরিকায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে সমঝোতা চুক্তি

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ পিএম
সাগরিকায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে সমঝোতা চুক্তি
সাগরিকায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের বিষয়ে চসিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাগরিকা পশুরহাটের পশ্চিমপাশে এক একর জায়গায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের বিষয়ে চসিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চসিক কার্যালয়ে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

কসাইখানায় দুটি পৃথক লাইনে একসঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ২৫টি গরু-মহিষ এবং ৬০টি ছাগল জবাই ও প্রক্রিয়াজাত করা যাবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ হালালভাবে পশু জবাই হবে এ স্মার্ট কসাইখানায়। এখানে জবাই করা পশুর মাংসে রক্ত-পানি জমে থাকবে না বিধায় ক্রেতারা মাংস কিনে লাভবান হবেন। 

সভায় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জানতে পারি বিভিন্ন জটিলতায় এই প্রকল্পের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলো নিরসন করায় এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে আধুনিক এই কসাইখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটির নির্মাণ শেষ হলে নগরের যেখানে-সেখানে পশু জবাই বন্ধ হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে।

রোগবালাই আছে এমন গরু জবাই করা বন্ধ হবে। বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংস খেতে পারবে চট্টগ্রামবাসী।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সচেতন জনগণ এই কসাইখানা থেকে জবাই করা পশুর মাংসই খেতে চাবেন। কারণ, এ কসাইখানায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাংস প্রক্রিয়া যাবে। রোগ-জীবাণু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাবে। এ ছাড়া এখানে জবাই করা পশুর চামড়াও থাকবে একদম নিখুঁত।’

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন উল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, চসিক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি এবং ক্যাবের নেতরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো/জোবাইদা/অমিয়/

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ, চলবে না মোটরসাইকেলসহ ৩ যান

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:১২ এএম
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ, চলবে না মোটরসাইকেলসহ ৩ যান
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ অনেকটাই শেষের দিকে। ঈদুল আজহার আগেই এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। ইতোমধ্যে এই সড়কের ওপর যান চলাচলের জন্য টোলও নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সড়কের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ট্রেইলার (৬ চাকা) ও সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নগরবাসী।

জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল (দুই চাকা), সিএনজিচালিত অটোরিকশা (তিন চাকা), কার, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মিনিবাস, বাস, ট্রাক (৪ চাকা), ট্রাক (৬ চাকা), কাভার্ডভ্যান এবং ট্রেইলার গাড়ি চলাচলের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এ বিষয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোটরসাইকেল, ট্রেইলার ও সিএনজি অটোরিকশা এই তিন ধরনের গাড়ি বাদ দিয়ে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়। সিডিএ সূত্র জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে মন্ত্রণালয় কারপ্রতি ১০০ টাকা, জিপ ১০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ৩০০ টাকা, ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা ও কাভার্ডভ্যানের জন্য ৫০০ টাকা টোল নির্ধারণ করে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল, ট্রেইলার ও সিএনজি অটোরিকশা চলতে না দেওয়াই ভালো বলে আমি সমীচীন মনে করি। কারণ এই সড়কের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বা এর চেয়ে বেশি গতিতে কার বা উচ্চ গতিসম্পন্ন যান চলাচল করবে। সে তুলনায় মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা- এসব গাড়ির গতি কম। তখন এসব ছোট গাড়ি সড়কে ঝুঁকিতে পড়বে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে, দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্তটি ঠিক বলে আমি মনে করি।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজ শেষের দিকে। লাইট বসানোর কাজ বাকি আছে। দেশের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে লাইটগুলো। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই লাইটগুলো চলে আসবে। পাশাপাশি কোরবানির আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’

এদিকে মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছে নগরবাসী। নগরের পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, ‘নগরের কাঠগড়, ইপিজেড এলাকায় যানজট বেশি থাকে। তাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো ডাক্তার দেখাতে বা বাচ্চাদের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াতে কম সময়ে আসা-যাওয়া করা যাবে। কিন্তু সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া না হলে এ সড়ক বানিয়ে লাভটা কী হবে? সবার তো প্রাইভেট কারে করে রোগী আনা নেওয়া করা সম্ভব না। আশা করি সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা মো. মনির হোসাইন বলেন, ‘টানেলে বাইক চালাতে নিষেধাজ্ঞা, এখন শুনছি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও মোটরসাইকেল চালাতে দেওয়া হবে না। এটা খুবই দুঃখজনক।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। চউকের এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র‌্যাংকিন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে স্পিড ক্যামেরা এবং নিরাপত্তার জন্য বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

 

বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪
বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। ছবি : খবরের কাগজ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ২টার দিকে উপজেলার আগুয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ।

নিহতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক আব্দুল কাদির, একই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া, আলী রাজার ছেলে লিলু মিয়া এবং আনু মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আগুয়া বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ম্যানেজার বদির মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সোহেল মিয়া ও তার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুয়া বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভে যাত্রী নিয়ে আসছিলেন আব্দুল কাদির। এ সময় বদির মিয়া তাকে বাধা দেয় এবং সিরিয়াল মানতে বলে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি উভয় পক্ষের বাড়িতে জানাজানি হলে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান লিলু মিয়া। রাত ৮টার দিকে আনু মিয়ার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ রঞ্জন দে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় যেন কোনোকিছু না ঘটে সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

কাজল সরকার/সালমান/

এক শিশুকে হত্যার চেষ্টা সমবয়সী দুই শিশুর

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
এক শিশুকে হত্যার চেষ্টা সমবয়সী দুই শিশুর
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে নিয়ে ১১ বছরের এক শিশুকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেছে তারই সমবয়সী দুই শিশু। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন আছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ২ শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (৭ মে) হলেও প্রকাশ্যে আসে বুধবার (৮ মে)। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পরে ২ শিশুকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই শিশু ১৩ ও ১৫ বছর বয়সের। আর ভিকটিম শিশুটি ১১ বছরের।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফয়’স লেক এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে তাকে ধরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বটি দিয়ে গলা কাটে তারই সমবয়সী দুই শিশু। কাঁধে একটি বাক্স ঝুলিয়ে হেঁটে হেঁটে পান-সিগারেট বিক্রি করত আহত শিশুটি। ওই বাক্সটির জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা কেড়ে নিতেই তার পূর্ব পরিচিত দুই শিশু এ ঘটনা ঘটায়। গত মঙ্গলবার (৭ মে) তাকে টার্গেট করে ধরে নিয়ে যায়। তারা তিনজনই ফয়’স লেক এলাকায় থাকত।

ঝিনাইদহে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
ঝিনাইদহে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা
মীর বর্ষা খাতুন। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী সাদিয়া আক্তার পিংকী ও কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজরুল ইসলাম ঋতুর নির্বাচিত হওয়ার পর এবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মীর বর্ষা খাতুন নামে আরেক তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনজন নারী প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি এই পদে জয়ী হন।

বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. কামরুজ্জামান ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। মীর বর্ষা খাতুন প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীমতি আরতি দত্ত ২৩ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়েছেন। ৩০ হাজার ৯০৬ ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়ী হন। তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী মীর বর্ষা খাতুনের সঙ্গে আরতি দত্ত ছাড়াও মাহফুজা তাহের ও পাপিয়া সমাদ্দার নামে আরও তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষা খাতুন বলেন, ঝিনাইদহের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। সুখে দুখে সকলের পাশে থাকতে চান। সাধারণ মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এবং কালীগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের দু'জন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদেরকে অনুসরণ করে যেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জনগণের সেবা করতে পারি।

উল্লেখ্য এর আগে জেলার কোটচাঁদপুরে তৃতীয় লিঙ্গের সাদিয়া আক্তার পিংকী ও কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম ঋতু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।

মাহফুজুর রহমান/এমএ/

উপজেলা নির্বাচন গাজীপুরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
গাজীপুরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইজাদুর রহমান মিলন। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইজাদুর রহমান মিলন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট রিনা পারভিন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় গাজীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতির পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও সম্প্রতি বহিষ্কৃত হন বিজয়ী চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাজীপুর জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে বুধবার সদর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কাপাসিয়া উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিম পেয়েছেন (আনারস) ৪৪ হাজার ৯৫৮ ভোট।

কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন স্বপন (মোটরসাইকেল) প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান (দোয়াত-কলম) এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে প্রাপ্ত ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।

পলাশ প্রধান/এমএ/