বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির পর খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা জানান, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা বলেন, ‘ঘটনার পর ব্যাংকে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থাও রয়েছে।’
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ ত্রিপুরা বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন শঙ্কা করছি না, তবে সতর্কতা অবলম্বন করছি। নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে দুজন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তা ছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা তো আছেই।’
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি পুরো জেলায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে নিরাপত্তার কোনো রকম ঘাটতি নেই। এ ছাড়া কোর কমিটির মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’