ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক

রাজবাড়ীর কালুখালী‌ উপ‌জেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ছাত্রদের বলাৎকা‌রের চেষ্টার অ‌ভি‌যোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ। 

গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষ‌কের নাম আব্দুল্লাহ আল মামু‌ন। তিন‌ি কালুখালী উপ‌জেলার হরিণবাড়িয়া কামিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি খুলনা পাইকগাছার সোনাতন কাঠি এলাকার বাসিন্দা।
 
একা‌ধিক ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে র‌য়ে‌ছে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩)‌ বিরু‌দ্ধে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকা‌লে কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, তাকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়েছে।

এর আগে বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নের বিরু‌দ্ধে থানায় এক ছা‌ত্রের মা মামলা ক‌রেন।

মামলা সুত্রে জানা‌ গে‌ছে, দীর্ঘ ক‌য়েক বছর ধ‌রে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রদের কৌশলে বলৎকার করার চেষ্টা ক‌রে আস‌ছি‌ল। কিন্তু ছাত্ররা যা‌তে বিষয়‌টি কাউ‌কে না ব‌লে সেজন‌্য নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তেন অভিযুক্ত শিক্ষক। প‌রে বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে স্থানীয়রা তাকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রা‌তে আটক ক‌রে কালুখালী থানা পু‌লিশ‌কে খবর দি‌য়ে তা‌দের হা‌তে সোপর্দ ক‌রে।

কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান জানান, বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে মঙ্গলবার রা‌তে স্থানীয়রা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আটক ক‌রে পু‌লি‌শকে খবর দেয়। বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসার এক ছা‌ত্রের মা থানায় মামলা ক‌রে‌ছে। প‌রে গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ও‌সি জানান, গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধ‌রেই বেশ ক‌য়েকজন ছাত্রকে বলাৎকা‌রের চেষ্টা ক‌রে আস‌ছিল। আর বিষয়‌টি যেন কাউ‌কে না ব‌লে এজন‌্য ছাত্রদের নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তো। এরকম অ‌ভি‌যোগ তিন অ‌ভিবাবক ক‌রে‌ছে।

সুমন বিশ্বাস/মাহফুজ

 

মহেশখালী-কক্সবাজার রুটে সি-ট্রাক চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
মহেশখালী-কক্সবাজার রুটে সি-ট্রাক চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার
ছবি: খবরের কাগজ

অবশেষে মহেশখালীবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম সমুদ্রপথে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সি-ট্রাকের উদ্বোধন করবেন। 

নৌপরিবহন মন্ত্রাণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ৬ নম্বর জেটিঘাটে সি-ট্রাক চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। এরপর ওই সি-ট্রাকে করে মহেশখালীতে গিয়ে সাড়ে ১১টায় মহেশখালী ঘাট পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

দীর্ঘদিনের আন্দোলন, দাবি ও প্রতীক্ষার ফলস্বরূপ মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে অবশেষে সি-ট্রাক চালু হচ্ছে।

প্রথম ধাপে প্রায় ২৫০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক সি-ট্রাক এই রুটে যুক্ত হচ্ছে। সঙ্গে মহেশখালী ঘাটে বসানো হয়েছে একটি নতুন পন্টুন, যা যাত্রীদের ওঠা-নামাকে করবে নিরাপদ।

গত ১৮ এপ্রিল নৌরুটটিতে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চালু করা হয়। এরপর নিয়মিতভাবে সি-ট্রাক চলাচলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সি-ট্রাক চলাচলের সময়ও চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় মহেশখালীর উদ্দেশে সি-ট্রাক ছেড়ে যাবে। মহেশখালী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা এবং বিকেল ৫টায়। ৬ নম্বর জেটিঘাট যাতায়াতের ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে ৫০ টাকা। নুনিয়ারছড়া ঘাট দিয়ে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

তবে এই নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে দ্বীপবাসীর চরম অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় কবি নিলয় রফিকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সি-ট্রাকের ভাড়া যৌক্তিক না হলে সীট্রাকের সুফল আসবে না। ভাড়া ও টোল এক টোকেনে আদায় না হলে ঝামেলা লেগেই থাকবে। মহেশখালী ভ্রমণে পর্যটকের জন্য আলাদা কোনো টোল নয়। তিনি টোলসহ ৩৫ টাকা ভাড়া নির্ধারন করার দাবি জানান।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে মহেশখালী জেটিঘাটে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে জেটিঘাটের যাত্রীছাউনিতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সবারই প্রত্যাশা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহেশখালী জেটিঘাটের দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে দ্বীপবাসী এবং ধীরে ধীরে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও উন্নতি হবে।

এনাম মো. ছৈয়দুল করিম মঞ্জু/মাহফুজ

সিংগাইরে ফুফার ধর্ষণে অন্ত:সত্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী , অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
সিংগাইরে ফুফার ধর্ষণে অন্ত:সত্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী , অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় ফুফা আইনুদ্দিনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম।

গ্রেপ্তার আইনুদ্দিন উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ধাইরাপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

মামলার সূত্র থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জন্মের পর থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে বেড়াতে যেতেন আইনুদ্দিন। ঘটনার দিন মেয়েকে রেখে বাড়ির সবাই কৃষি কাজের জন্য মাঠে যান। এই সুযোগে আইনুদ্দিন ভয় দেখিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখান তিনি।

এর বেশ কিছুদিন পর মেয়ের শরীরের পরিবর্তন ও বমি করতে দেখে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় এক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মেয়েকে ১৬ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে জানান। পরে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, গতকাল আইননুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন। এ ঘটনায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত গরমে মানুষের হাসফাঁস অবস্থায়। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষ পড়েছে হাঁসফাঁস অবস্থায়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৮ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। 

শহরের রেলগেট এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আব্দুল মান্নান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই অতিরিক্ত তাপে সারাদিন রাস্তায় ভ্যান চালানোটা খুবই কষ্টকর। গরম আর ঘামে চোখে অন্ধকার দেখা দেয়। তবু তো চালাতে হয়, পেটের দায়ে।’

দিনমজুর গফুর হোসেন বলেন, ‘রোদের তাপ এত বেশি যে কাজ করতে গেলে শরীর জ্বলতে থাকে। পানি খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না, ক্লান্তি যেন ঘাড়ে চেপে বসে আছে।’

পথচারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাইরে একটু বের হলেই মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, ঘামে জামাকাপড় ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ (বুধবার) বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মিজানুর/পপি/

সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: খবরের কাগজ

‘সিলেট বিভাগজুড়ে চলছে পাহাড়-টিলা কেটে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের হিড়িক। কখনো রাতের আঁধারে, কখনো দিনে প্রকাশ্যে পাহাড়-টিলার চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করছে সংঘবদ্ধ ভূমিখেকোরা। কোথাও হাউজিংয়ের নামে, কোথাও রিসোর্ট নির্মাণে প্রভাবশালীরা জড়িয়ে পড়ছেন এ কাজে। যা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এভাবে পাহাড়-টিলা কাটা চলতে থাকলে সিলেট বিভাগের ভূ-প্রকৃতি সম্পূর্ণভাবে বদলে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে প্রাকৃতিক ছড়ার প্রবাহ। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেবে পানির ভয়াবহ সংকট।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে ধরা সিলেট শাখার আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য দেন সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক ও ধরার সদস্য সচিব আব্দুল করিম কিম।

কর্মসূচিতে ধরার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সিলেট বিভাগের মধ্যে বর্তমানে পাহাড়-টিলা ধ্বংসে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট জেলা। জৈন্তাপুরের পঞ্চাশের পাহাড়মালা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটে পাহাড়-টিলা কর্তন হচ্ছে পাথর উত্তোলনে। যা এখন খনিজ সম্পদ আহরণ নামে অভিহিত হচ্ছে। হাজার কোটি কোটি টাকার পাথর আহরণের কারণে এই পাহাড়-টিলার বিনাশ থামছে না।’

সংগঠনটি জানায়, ‘সিলেটের গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় স্রেফ জলাভূমি ভরাট ও মাটি বিক্রির জন্য টিলা কাটে একদল লোক। এরা টিলা বিনাশের জন্য টিলার মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।’

সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনভুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্নস্থানে টিলা কাটা চলছে। সিলেট মহানগরীর আশপাশ এলাকার টিলাখেকোরা অতীতেও টিলা ধ্বংসে বিগত সরকারের সময়ের রাজনৈতিক পাণ্ডাদের আশ্রয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। সরকার পরিবর্তনেও এদের প্রভাব ও স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। এই সিন্ডিকেট টিলা নিশ্চিহ্ন করার কাজ সহজ করে দেয়। এদের পরিবেশ বিধ্বংসী সূক্ষ্ম বুদ্ধির কাছে পরিবেশ অধিদপ্তর নামের সরকারী প্রতিষ্ঠান আসলে ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দার।

সংগঠনির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা সাক্ষীগোপালের মতো। জেলা প্রশাসনকে সিলেটের পাহাড়-টিলা ধ্বংসের দায় নিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ধরা সিলেট শাখার আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি সিলেটের বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় পাহাড়-টিলা কাটা রোধে শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। উপজেলা পর্যায়ে অনেক সৎ ও সাহসী তরুণ কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদেরকে পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ জোরালো করতে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।’

সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাছিত শেরো বলেন, ‘সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার একাধিক উপজেলায় পাহাড়-টিলা বিনাশের তথ্য সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আবার বিভিন্নস্থানে অভিযানও হচ্ছে। কিন্তু  এসব অভিযান শেষে যে দায়সারা মামলা হয়, তাতে পাহাড়-টিলা নিশ্চিহ্ন করার ধ্বংসলীলা থামে না।’

সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলার কমরেড উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৫ জুলাই এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সিলেটের পাহাড়-টিলা কাটা রোধে জেলার পাহাড়–টিলা এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকির নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ছয় মাস পরপর উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছিল। হাকিম নড়লেও হুকুম নড়ে না। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। যা আদালতকে অবজ্ঞা করা বলেই প্রতীয়মান হয়।

পরিবেশকর্মী রেজাউল কিবরিয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পাত্র সমাজ কল্যাণ পরিষদের (পাসকপ) প্রধান নির্বাহী আদিবাসী নেতা গৌরাঙ্গ পাত্র, সাবেক ছাত্রনেতা ও ধরার অন্যতম সংগঠক মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (ওয়েস), ভূমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী সাদিকুর রহমান সাকী, আইনজীবী অরূপ শ্যাম বাপ্পী ও রাতারগুল গ্রামের অধিকারকর্মী মিনহাজ আহমেদ প্রমুখ।

সুমন/

নিজে বাঁচতে যাত্রীদের খালে ফেলে দিলেন অটোরিকশাচালক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
নিজে বাঁচতে যাত্রীদের খালে ফেলে দিলেন অটোরিকশাচালক
দুই যাত্রীসহ খালে ফেলে দেওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হালিশহরে নিজে বাঁচতে নিয়ন্ত্রণ হারানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ দুই যাত্রীকে খালে ফেলে দিয়েছেন চালক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হালিশহর থানার সামনের খালে এ ঘটনা ঘটে। 

হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালিশহর থানার সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি অটোরিকশা উল্টে খালে পড়ে যায়। চালক লাফ দিয়ে রাস্তায় অক্ষত থাকে। কিন্তু যাত্রীসহ গাড়িটি খালে পড়ে যায়। মূলত সেই চালক নিজে বাঁচতে গাড়িটি খালে ফেলে দেয়। পরে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।

অটোরিকশাচালক স্থানীয়দের জানান, একটি ছোট বাচ্চা তার মায়ের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে রিকশার সামনে চলে আসে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে রিকশাটি উল্টে যায়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটির। এ সময় তিনি লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। কিন্তু গাড়িতে থাকা দুই যাত্রী পড়ে যান খালে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা যাত্রী ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। তবে কারও নাম-পরিচয় আমরা জানতে পারিনি।

সুমন/