রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা নাশকতার ৮ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
শুনানিতে খসরুর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ। এসব মামলায় জামিন চেয়ে সিএমএম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আবেদনগুলো গ্রহণ বা নিষ্পত্তি করেননি। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে খসরুর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ২০ শর্তে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। পরে পল্টন থানায় নাশকতার এক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হলেও বাকি ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এ অবস্থায় সব মামলায় জামিন চেয়ে সিএমএম কোর্টে আবেদন করা হয়।