ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

৮ মামলায় আমীর খসরুর জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৬ এএম
৮ মামলায় আমীর খসরুর জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা নাশকতার ৮ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

শুনানিতে খসরুর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ। এসব মামলায় জামিন চেয়ে সিএমএম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আবেদনগুলো গ্রহণ বা নিষ্পত্তি করেননি। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে খসরুর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। 

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ২০ শর্তে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। পরে পল্টন থানায় নাশকতার এক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হলেও বাকি ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এ অবস্থায় সব মামলায় জামিন চেয়ে সিএমএম কোর্টে আবেদন করা হয়। 

পিলখানা হত্যা মামলা পুনঃতদন্তে জাতীয় কমিটি কেন নয়, জানতে রুল

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
পিলখানা হত্যা মামলা পুনঃতদন্তে জাতীয় কমিটি কেন নয়, জানতে রুল
হাইকোর্ট

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্তে জাতীয় কমিটি কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে পুনঃতদন্তের উদ্যোগে ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, পুনঃতদন্তের উদ্যোগ জানতে চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন রিটকারী তা যেন ১০ দিনের মধ্যে জানানো হয়। 

গতকাল সোমবার বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে।’

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছেন ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। 

অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

অমিয়/

কলামিস্ট ড. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
কলামিস্ট ড. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
হাইকোর্ট

বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখার দায়ে ড. আবদুস ছালামের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের করা আবেদনটির শুনানি হতে পারে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি তালিকাভুক্ত রয়েছে।

গত ১ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শীর্ষক কলামটি লেখেন ড. মোহাম্মদ আবদুস ছালাম। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আবেদনটি করা হয়।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে লেখক ড. মোহাম্মদ আবদুস ছালাম এবং যুগান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশককে।

এলিস/অমিয়/

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ এএম
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত হাইকোর্টে স্থগিত
ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে রুল খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। 

সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

কেএমপির এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
কেএমপির এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এস এম কামরুজ্জামান

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এস এম কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় সম্পদ বিবরণীতে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার তথ্য গোপন ও ১ কোটি ২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এজাহারে বলা হয়, এস এম কামরুজ্জামান ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৮২ টাকার জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ১৪৯ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৭ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ২ কোটি ৯০ লাখ ২১ হাজার ৮৪৬ টাকার সম্পদ দেখান। অনুসন্ধানকালে এস এম কামরুজ্জামানের নামে ২ কোটি ৭ লাখ ১২ হাজার ১৪৯ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ২ হাজার ৬৯ হাজার ৬৯৭ টাকার অস্থাবরসহ সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। 

 

সিলেটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
সিলেটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সিলেটের বালাগঞ্জে ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলার রায় হয়েছে। এতে ছয়জনের যাবজ্জীবন, একজনের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় দেন। 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার জামালপুর গ্রামের মাহমদ আলী ওরফে কাছা (৪৫), ছাবের আহমদ (২৪), জুবের আহমদ (২৬), আফিক মিয়া (৩০), সুহেল ও শামীম চৌধুরী (৩৫) এবং এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ইন্তাজ (৪০)।

রায় ঘোষণার সময় মাহমদ আলী আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫) জুমার নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হলে আসামিরা শত্রুতা ও মামলা-মোকদ্দমার জেরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ফখরুল দৌড়ে খাইশাপাড়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ফখরুলের চিৎকারে তার ভাই আব্দুল নুর ও বোন দিলারা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফখরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

শাকিলা/মেহেদী/সালমান/