এবার রাষ্ট্রীয় খরচে যারা পবিত্র হজ পালন করবেন তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৮ মে) এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী এবার ৬৩ জন সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন। তবে তাদের বিমান ভাড়া নিজেদের পরিশোধ করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাটি প্রধান হিসাবরক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৬৩ জনের হজ পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনের জন্য মনোনীতদের বিমানের টিকিট বাবদ এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিদের বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবে এবং ১০ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবে। সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।
হজে যাওয়ার আগে নির্ধারিত ৭টি বিষয়ে মেডিকেল টেস্ট করে রিপোর্টসহ নির্ধারিত টিকা কেন্দ্র হতে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা গ্রহণ করতে হবে। টিকা গ্রহণ করার পর ই-হেলথ প্রোফাইল তৈরি এবং টিকা গ্রহণের সনদ সংগ্রহ করতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মনোনীত ব্যক্তিদের খাবার বাবদ ৩৫ হাজার টাকা হজে যাওয়ার আগে আশকোনার হজ অফিস থেকে নগদ দেওয়া হবে।
হজে গমনেচ্ছু প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ দায়িত্বে কুরবানির খরচ বাবদ আনুমানিক ৮০০ সৌদি রিয়াল আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে।
এছাড়া ব্যক্তিগত অন্যান্য ব্যয়ের অর্থ সঙ্গে নিতে হবে।
হজে গমনের নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তনের কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে গমনে ইচ্ছুক নন বলে গণ্য হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জনের হজ পালনের কথা রয়েছে।
সরকারিভাবে এবার হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে অ্যাজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা ও বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যারা যাচ্ছেন তারা হলেন-
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন জামালপুরের মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নড়াইলের শেখ নওশের আলী, রাজবাড়ির মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধার মো. তাজুল ইসলাম সরকার, কুমিল্লার বাহার উদ্দিন রেজা (বীর প্রতীক) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম, গোপালগঞ্জের মো. ফিরোজ ফকির, বরিশালের আল্লামা হারুন-অর-রশিদ, ঝালকাঠির তাজুল ইসলাম চৌধুরী, রংপুরের মো. ফজলাল রহমান, ঝিনাইদহের মো. নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের মো. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম।
সংসদ ভবনের অভ্যর্থনাকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন, কমিটি শাখা-৮ এর মো. জজ মিয়া, রংপুরের হাফেজ মো. রফিকুল ইসলাম ফারাজী, টাঙ্গাইলের মো. মোন্তাজ আলী, টাঙ্গাইলের কে এম ইমদাদুল আলম (শামিম), গোপালগঞ্জের মো. আ. মান্নান খাঁন ও তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার, গোপালগঞ্জের হাবিবুর রহমান, রংপুরের মো. জয়নাল আবেদীন প্রধান, ঢাকা মিরপুরের মো. আ. মালেক, গাইবান্ধার মো. তোফাজ্জল হোসেন, জয়পুরহাটের মোছা. মাহফুজা বেগম, নাটোরের মো. মারুফ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন, প্রেস উইংয়ের মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অফিস সহায়ক পারুল পারভীন, ব্যক্তিগত সহকারী মো. আজহারুল হক, সহকারী সচিব মীর এমদাদ হোসেন, সহকারী সচিব মোসা. আমেনা খানম, গাড়িচালক মো. আবুল কালাম, গাড়িচালক মোছা. মমতাজ বেগম, উচ্চমান সহকারী মোসা. ছালমা বেগম, ওয়ার্ক চার্জড লাইনম্যান মো. মাইনুদ্দিন, সহকারী সাইন অপারেটর মো. মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আবুল কাশেম, পাওয়ার মেশিন অপারেটর আবু তাহের, সহকারী সচিব মো. মোতাহের হোসেন ও তার স্ত্রী মোসা. হাফেজা আক্তার, পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান, বার্তাবাহক ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর খন্দকার আজিজুর রহমান ও মো. সাজিদুর রহমান, পরিছন্নতা কর্মী গোলাপ মিয়া, মো. আব্দুল মান্নান।
এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর উচ্চমান সহকারী মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গাড়িচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম, মুন্সিগঞ্জের এ কে এম মজিবুর রহমান, ধানমন্ডির অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জাকির হোসেন, সর্বপ্রাপ্ত সচিব মো. কুদ্দুস খান।
নাটোরের বর্ষিয়ান নেতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মোল্লার দুই সন্তান সুলতানা পান্না ও মো. মেহেদী হাসান, কুমিল্লার মো. মকবুল হোসেন, জামালপুরের ফারুক আহমেদ, বরগুনার মো. আব্দুল আলীম (বাবুল), ময়মনসিংহের মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর মো. আব্দুস সাত্তার আকন, খুলনার বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান।
অমিয়/