ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ফলের যাচাইয়ে শিরিশের আবিষ্কার পেস্টিস্ক্যান্ড

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
ফলের যাচাইয়ে শিরিশের আবিষ্কার পেস্টিস্ক্যান্ড
ছবি সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিরিশ সুবাস আমেরিকার জর্জিয়ার বাসিন্দা। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় শিরিশ আবিষ্কার করে ফলের কীটনাশক যাচাইয়ের জন্য এআইনির্ভর টেস্ট কিট পেস্টস্ক্যান্ড। গত বছর আমেরিকা টপ ইয়াং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় তার এই আবিষ্কার সাড়া ফেলে দেয়  ক্ষূদে বিজ্ঞানী মহলে।

ছোটবেলায় ফলমূল খাওয়ার আগে আর সব মায়ের মতো শিরিশ সুবাসের মা ও ফলমূল ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। শিরিশের মনে তখন থেকেই মনে প্রশ্ন জাগে মা কেন তাকে সব সময় ফলগুলো ধুয়ে খেতে বলেন। কৌতূহলী কিশোর শিরিশ ভাবত এভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই কি ফলের জীবাণু, কীটনাশক দূর করা সম্ভব? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে, ৭০ ভাগ খাবার ধোয়ার পরও কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। যা থেকে ক্যানসার এবং আলঝেইমারের মতো রোগ হতে পারে। শিরিশ ভাবে যদিও সে এগুলো শনাক্ত করতে পারে তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

এই ভাবনা থেকেই সে উদ্ভাবন করে পেস্টিস্ক্যান্ড নামের এক বিশেষ টেস্ট কিট। এআইনির্ভর এই যন্ত্রটি খাবার স্ক্যান করতে সক্ষম। এটি স্পেকট্রোফটোমেট্রি ব্যবহার করার মাধ্যমে ফল এবং সবজির পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত আলো পরিমাপ করে। আলোর এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় অবশিষ্ট থাকা কীটনাশক। খাবার স্ক্যান করার পর, পেস্টিস্ক্যান্ড এআই মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করে আলোক তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে কীটনাশকের উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এতে ব্যবহার করা সেন্সর ও প্রসেসর দিয়ে স্ক্যানারটি ৮৫ শতাংশ নির্ভুলভাবে কাজ করে। যদিও বর্তমানে এটি একটি প্রোটোটাইপ আকারে বানিয়েছে সে। শিরিশ তার পরীক্ষায় আপেল, পালংশাক, স্ট্রবেরি এবং টমেটোর ১২ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছে।

শিরিশ এই যন্ত্রটি বানিয়ে গত বছর থ্রি এম ইয়াং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জে ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার জিতে নেয়। সেই সঙ্গে আমেরিকার অন্যতম কিশোর বিজ্ঞানীর খেতাব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় চার মাস ধরে তার প্রকল্পটি নিয়ে লড়েছিল শিরিশ। তারপর ফাইনালে মাত্র ২০ ডলার দিয়ে বানানো পেস্টিস্ক্যান্ডের জন্য বিজয়ী হয় সে।ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পেস্টিক্যান্ড বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে শিরিশের। শিরিশের পছন্দের বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যা। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ে পৃথিবীর অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় মেসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়ার স্বপ্ন দেখে সেই কিশোর।

 

হুলি কিশোরদের ব্যতিক্রমী উইগ স্কুল

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
হুলি কিশোরদের ব্যতিক্রমী উইগ স্কুল
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীজুড়ে কত রং, কত বৈচিত্র্য। ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস আর ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে প্রত্যেকের সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কিশোর-কিশোরীদের বেড়ে ওঠার ধরন, জীবনযাপনও একরকম নয়।

প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির নাম হয়তো তোমরা শুনেছ। সে দেশের হেলা প্রদেশের তাগারি নদী অববাহিকায় বাস করে এক আদিম অধিবাসী। তাদের নাম হুলি জাতি। আধুনিক পৃথিবীর সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জীবনযাপন থেকে হুলি জাতি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন, আলাদা।

বিশেষত বয়ঃসন্ধিতে পা দিলে হুলি কিশোরদের জন্য রয়েছে বিশেষ এক নিয়ম। পৃথিবীর আর দশজন সাধারণ টিনএজারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক স্কুলে যাওয়ার রীতি নেই হুলি কিশোর-কিশোরীদের। তবে এই জাতির প্রথা অনুযায়ী ছেলেরা সাবালক হলে বা ১৪ বছর বয়সে পা দিলে বাধ্যতামূলক অংশ নিতে হয় ব্যতিক্রমী এক উইগ স্কুলে।

হুলি গোষ্ঠীর সমাজে পুরুষদের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মাথায় লক্ষ করা যায় কয়েক বছর ধরে যত্নে তৈরি করা উইগ বা পরচুলা। এই উইগকে ধরা হয় পুরুষদের শক্তি, গৌরব ও হুলিদের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে।

হুলি নারী ও পুরুষদের বসবাসের জায়গা আলাদা। ছেলেরা সাধারণত ১০ বছর বয়সে পা দিলেই মাকে ছেড়ে চলে যেতে হয় পুরুষদের আস্তানায়। সেখানে বয়স্ক পুরুষেরা তাদের শেখাতে শুরু করে শিষ্টাচার, সামাজিক রীতি-নীতি ও আদব কায়দা। ১৪ বছর বয়স থেকে ছেলেদের সাবালক ধরা হয় হুলি সমাজে। কেউ ১৪ বছর বয়সে পা দিলে তাকে পাঠানো হয় উইগ স্কুলে। উইগ স্কুলে থাকেন একজন বয়োজ্যেষ্ঠ উইগ মাস্টার। তার নেতৃত্বে নিজেদের মাথার চুল বড় করে, বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে নিজেদের উইগ তৈরি করে স্কুলে অধ্যয়নরত প্রত্যেক কিশোর। বিশেষ আকৃতির এই উইগ তৈরিতে সাধারণত ব্যয় হয় কয়েক বছর। উইগ মাস্টার সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেই কৃতিত্বের সঙ্গে স্কুল জীবন শেষ করতে পারে কিশোররা। এর মধ্য দিয়ে হুলি কিশোররা সমাজে স্বীকৃতি পায় প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে।

হুলিদের বাৎসরিক হেগেন উৎসবে নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি নতুন উইগ স্কুল পাস করা ছাত্রদের জানানো হয় বিশেষ অভ্যর্থনা। এদিন নিজেদের নতুন উইগের সঙ্গে রং আর নানা ধরনের গহনায় সেজে ওঠে সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরা। কৈশোরে মায়ের কাছ থেকে আলাদা হওয়া, কয়েক বছরব্যাপী গোপন স্কুলে কাটানো হুলি কিশোরদের জীবন অনেকের কাছে কঠিন, বিস্ময়কর। তবে আধুনিক পৃথিবীর কিশোরদের থেকে তারা আজও স্বকীয় জীবনধারায় নিরবচ্ছিন্ন।

 

টিন ফ্যাক্ট

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
টিন ফ্যাক্ট
ছবি: সংগৃহীত
  • বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক, মানসিক ও হরমোনাল বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ক্যালরি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত টিনএজ বয়সে মেয়েদের ২০০০ ক্যালরি এবং ছেলেদের ২৪০০ ক্যালরি পরিমাণ খাবার প্রয়োজন। তবে নিয়মিত খেলাধুলা বা কঠোর পরিশ্রম করলে এর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করতে বলেন পুষ্টিবিদরা।
  • টিনএজ বয়সে সাধারণত প্রাণিজ আমিষ ও রিচ ফুড-জাতীয় খাবার খেতেই বেশি ভালো লাগে। তবে এ সময় প্রতিদিনের খাবার তালিকায় দুই কাপ পরিমাণ ফলমূল এবং আড়াই কাপ 
    শাক-সবজি থাকা প্রয়োজন। 
  • হাড় ও মাংসপেশির গঠন ও উচ্চতা বৃদ্ধি পায় টিনএজ বয়সে। তাই টিনএজ ছেলের খাবারে ৫২ গ্রাম প্রোটিন ও মেয়ের খাবারে ৪৬ গ্রাম প্রোটিন দরকার হয় নিয়মিত।
  • টিনএজ বয়সে মস্তিষ্কের বিকাশ ও পরিপক্ব হওয়ার জন্য প্রচুর ক্যালরির প্রয়োজন হয়। তাই এ সময় আমরা যে খাবার খাই তার বেশির ভাগই ব্যবহার করে আমাদের ক্ষুধার্ত মস্তিষ্ক। শারীরিক বিকাশের জন্য বরাদ্দ থাকে তুলনামূলক কম পরিমাণে ক্যালরি। এ কারণে বয়ঃসন্ধিকালে ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয় শারীরিক বিকাশ।
  • বিশ্বে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্থূলতার হার প্রায় শতকরা ৮ ভাগ। একবিংশ শতকের শুরু থেকে টিনএজারদের মধ্যে স্থূলতার হার দ্বিগুণেরও বেশি। কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক কার্যক্রম কমে যাওয়া, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্রহণ এর অন্যতম কারণ।
  • বয়ঃসন্ধিকালে খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কিংবা চরম অনীহা দুটিই দেখা যেতে পারে। এ সময় হরমোনাল পরিবর্তন, শারীরিক বৃদ্ধি ও জিনগত কারণে আহারজনিত নানারকম বদ অভ্যাস তৈরি হয়। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলে ইটিং ডিজঅর্ডার। জীবনের যেকোনো বয়সেই ইটিং ডিজঅর্ডার হয়ে থাকলেও কৈশোরে এই রোগের হার সবচেয়ে বেশি।

সমুদ্রদূষণ বাঁচাতে ‘চুম্বকযুদ্ধ’

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
সমুদ্রদূষণ বাঁচাতে ‘চুম্বকযুদ্ধ’
ফিওন ফেরেইরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছর অন্তত ১০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য মিশে যায় সমুদ্রের পানিতে। সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে যেতে যেতে সেগুলো প্লাস্টিকের কণা আকারে জমা হয়। সামুদ্রিক প্রাণীরা অনেক সময় খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে সেসব প্লাস্টিকের কণা। কিন্তু যদি চুম্বকের সাহায্যে সমুদ্রের প্লাস্টিকগুলো শুষে নেওয়া যায়, তবে কেমন হয়? এমন প্রশ্নই মনে এসেছিল আয়ারল্যান্ডের এক কিশোর ফিওন ফেরেইরার। প্রাণী, মানুষ আর সমুদ্র বাঁচাতে  ফেরেইরার চুম্বক পদ্ধতি নিয়ে আজকের গল্প।

প্রায় এক যুগেরও আগের কথা। ফিওন ফেরেইরার বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। সে সময় তিনি বাস করতেন আয়ারল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলবর্তী বালিডেহব গ্রামে। শৈশবে প্রতিদিন সমুদ্রতীরে ঘুরে বেড়ানো ছিল ফেরেইরার শখ। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় লক্ষ্য করেন সমুদ্রের তীরজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য প্লাস্টিক পণ্য। প্রাকৃতিক পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা এসব বর্জ্য দেখতে মোটেই ভালো লাগত না তার। ধীরে ধীরে জানতে পারেন প্লাস্টিকের এসব বর্জ্য শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট করে না; সেই সঙ্গে পরিবেশ, মানুষ ও সমুদ্রে থাকা প্রাণীদের জানমালের ক্ষতিও করে। এ ছাড়া সমুদ্রের তলদেশের পানিতে মিশে রয়েছে খালি চোখে দেখা যায় না এমন প্রচুর পরিমাণে মাইক্রো প্লাস্টিক। এসব ছোট প্লাস্টিকের কণা তীরে এসে ভেড়ে না। কুড়িয়ে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে পানি থেকে সহজে আলাদা করাও যায় না। বিষয়টি কিশোর ফেরেইরাকে সে সময় বেশ চিন্তিত করে তোলে।
সমুদ্রের পানি থেকে এসব প্লাস্টিকের কণা কীভাবে আলাদা করা যায়, সেটি ভাবতে ভাবতেই এক সময় ফেরেইরার মাথায় আসে, পানিতে থাকা মাইক্রো প্লাস্টিকগুলো যদি চুম্বকে আটকে ফেলা যায় তবে মন্দ নয়! যেমন ভাবনা তেমন কাজ। প্লাস্টিক-দূষণ রোধের আশায়  ফেরেইরা প্রথমে তৈরি করেন ফেরোফ্লুইড বা তরল চুম্বক। উদ্ভিজ্জ তেলের সঙ্গে আয়রন অক্সাইড পাউডার মিশিয়ে তৈরি করেন প্রাকৃতিক ফেরোফ্লুইড। এবার সেই ফেরোফ্লুইড গাড়ির টায়ার, প্লাস্টিক বোতল, ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার পানিসহ যেখানে যেখানে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে, সেসব জায়গায় ব্যবহার করতে শুরু করেন। ফেরেইরা লক্ষ করেন ফেরোফ্লুইডে প্লাস্টিকের কণা আটকাতে শুরু করেছে। এর পর আরেকটি চুম্বকের সাহায্যে প্লাস্টিকের কণাগুলোকে তুলে নিয়ে তরল দ্রবণটি আলাদা করে ফেলা যায়। এভাবে কয়েক বছর প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তিনি তার এই পদ্ধতি নিয়ে নিশ্চিত হন।

২০১৯ সালে ফেরেইরা কিশোর-তরুণ বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা গুগল সায়েন্স ফেয়ারে অংশ নিলে তার এই মাইক্রোপ্লাস্টিক সরানোর পদ্ধতি আলোচনায় আসে। পরিবেশের কোনোরকম ক্ষতি ছাড়াই পানি থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক সরানোর পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য সে সময় তিনি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। 

তবে এটি ছিল কিশোর ফেরেইরার সাফল্যের প্রথম ধাপ। বর্তমানে তরুণ এই বিজ্ঞানী রসায়ন শাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি খাবার পানি থেকে প্লাস্টিক দূরীকরণ ডিভাইস এবং সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে চুম্বকীয় ডিভাইস স্থাপনের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

যখন বুঝবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
যখন বুঝবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত
নেতিবাচক অনুভূতির চর্চা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। ছবি: এআই

প্রিয় টিনএজার পাঠক, তোমাদের মতো পৃথিবীতে বিষণ্নতায় ভোগা টিনএজারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কৈশোরকাল জীবনের সবচেয়ে রঙিন পর্যায়। তবু কখন, কীভাবে টিনএজ জীবন বিষণ্নতার বেড়াজালে আটকে পড়ে বুঝে ওঠা কঠিন। শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন কিংবা পারিপার্শ্বিক কারণে টিনএজাররা সহজেই আক্রান্ত হয় বিষণ্নতায়। অনেক সময় অভিভাবক, বড়রাও কিশোর-কিশোরীদের বিষণ্নতার রোগকে মিলিয়ে ফেলেন টিনএজ বয়সের মুড সুইং অনুভূতির সঙ্গে। বয়ঃসন্ধির বিষণ্নতা কাটানোর উপায় জেনে নাও এই লেখায়।

যখন বুঝবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত

মন খারাপ হওয়া যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই একটি সহজাত অনুভূতি। কিশোর বয়সে হরমোনের নানা পরিবর্তনের কারণে খুব সহজেই আনন্দ এবং দুঃখ অনুভব হয়। ঘন ঘন মুড সুইং স্বভাবের কারণে বড়রা কিংবা কিশোর-কিশোরীরা নিজেরাও প্রায়ই তাদের বিষণ্নতাকে আলাদাভাবে নির্ণয় করতে পারেন না। তবে মন খারাপ হওয়া এবং বিষণ্নতা কিন্তু এক বিষয় নয়। সাধারণত কোনো বিষয়ে দুঃখ পেলে, আবার কখনো কারণ ছাড়াও আমাদের মন খারাপ হয়। তবে এই অনুভূতি দু-এক দিনের ভেতর কেটে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়। আমাদের দৈনন্দিন কাজ জীবনযাপনের ওপরও এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তবে মন খারাপের এই অনুভূতি এক থেকে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হলে তাকে বিষণ্নতার পর্যায় বলে মনে করেন মানসিক বিশেষজ্ঞরা। এমন সময় নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হলে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমতে থাকলে, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কিংবা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বুঝতে হবে তুমি বিষণ্নতায় আক্রান্ত।

কৈশোরে বিষণ্নতার কারণ

শৈশব থেকে কৈশোরের পথে পা দিতেই শারীরিক গঠনে আমূল পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অনেক সময় নানা ধরনের সমস্যা ঘটে। বিশেষত কিশোরীরা এ ধরনের ঘটনায় বেশি বিষণ্নতা কিংবা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের শিকার হয়। 
এ সময় হরমোনাল পরিবর্তনও বিষণ্নতার জন্য দায়ী। বয়ঃসন্ধির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎই ছেলেমেয়েদের যৌন হরমোনগুলো বিকাশ লাভ করতে শুরু করে। কৈশোরে হরমোন নিঃসরণের মাত্রাও বেশি থাকায় মুড ডিজঅর্ডারের ঘটনা বেশি দেখা যায়। মনের নতুন এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বভাবতই কঠিন। অনেক সময় মুড ডিজঅর্ডারের মাত্রা বাড়লে তা বিষণ্নতায় রূপ নেয়।
কিশোর-কিশোরীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা কম। এ বয়সে মস্তিষ্কের যুক্তিনির্ভর চিন্তা করার অংশও পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করে না। ফলে ছেলেমেয়েরা থাকে আবেগপ্রবণ। পারিপার্শ্বিক ঘটনায় মন খারাপ হলে, দুঃখ পেলে সেটি বিষণ্নতায় রূপ নেয়।
আবার গবেষণায় দেখা গেছে, টিনএজারদের যারা স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় কাটায় সমবয়সী অন্যদের তুলনায় তাদের মধ্যে বিষণ্নতার হার সবচেয়ে বেশি। ভার্চুয়াল জগতে বেশি সময় কাটানোর ফলে মস্তিষ্কের স্থিতিশীলতা কমে যাওয়া, সামাজিক ও বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, অবাস্তব চিন্তাভাবনা বিষণ্নতা রোগ তৈরি করে।
এ ছাড়া অপরিমিত ঘুম, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, পারিবারিক কলহ, অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠলে কিশোর-কিশোরীরা সহজেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়।

বিষণ্নতার প্রভাব

বিষণ্নতা একটি দীর্ঘমেয়াদি অনুভূতি। কিশোর-কিশোরীরা অনেক দিন এই নেতিবাচক অনুভূতির ভেতর দিয়ে গেলে ব্যক্তিগত শারীরিক, মানসিক ও দৈনন্দিন জীবনে তার প্রভাব পড়তে পারে। বেশির ভাগ সময় বিষণ্ন অনুভব করার কারণে ছেলেমেয়েরা সামাজিক জীবনযাপন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং একাকিত্ব অনুভব করে। বিষণ্নতায় আক্রান্ত টিনএজাররা প্রায়ই সময়মতো কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়। এতে করে ধীরে ধীরে কাজের প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় বিষণ্নতা কিশোর-কিশোরীদের হীনম্মন্যতায় ভোগায়। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলতে থাকলে কারও কারও ভেতর নিজেকে শারীরিক আঘাত করার প্রবণতা দেখা দেয়। অনেক সময় হতাশা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয়।

বিষণ্নতা থেকে দূরে থাকার উপায়

ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত থাকা
কৈশোরের মন ও মানসিক সুস্থতা জীবনের অন্যান্য পর্যায়ের চেয়ে সংবেদনশীল। এ সময় শখের কাজ, সৃজনশীল কাজ, খেলাধুলা, শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে শরীর ও মন প্রাণবন্ত থাকে। এতে বিষণ্নতা থেকে দূরে থাকা যায়।

নেতিবাচক অনুভূতি দূরে রাখা
জীবনে ভালো লাগার অনুভূতি যেমন থাকবে, তেমনি খারাপ অনুভূতি, অভিজ্ঞতাও থাকবে। তবে এগিয়ে যেতে চাইলে নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে মনে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বরং এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা না করে ইতিবাচক অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই চলার পথে সহায়ক।

ইয়োগা ও মেডিটেশন
কিশোর বয়সে আবেগ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম থাকে। ফলে বিভিন্ন ঘটনায় সহজেই বিষণ্নতা গ্রাস করে। ইয়োগা ও মেডিটেশন হলো মানসিক সুস্থতা ও মন নিয়ন্ত্রণের ব্যায়াম। কৈশোরেই মেডিটেশন বা ইয়োগা চর্চা করলে নিজের মানসিক অবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায়।

পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব
কৈশোরে হতাশাগ্রস্ত হলে পরিবারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি, দূরত্ব, নেতিবাচক আচরণ অনেক সময় আরও বেড়ে যায়। তবে পরিবারই সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল, আপন বন্ধু। বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিজের অনুভূতি, সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আচরণ করলে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়।

 

ইন্ডি গেমের জগতে

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
ইন্ডি গেমের জগতে

ভিডিও গেমের জগতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইন্ডিপেনডেন্ট বা ইন্ডি ঘরনার গেম। সহজলভ্যতা, স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম আর বৈচিত্র্যময় গল্পের জন্য কিশোর ও তরুণদের মধ্যে গেমগুলো বেশ জনপ্রিয়। সারা বিশ্বের মতো জেন জি প্রজন্মের ভেতর বাংলাদেশেও ইন্ডি গেমস নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। অনেক তরুণ গেমার নিজেদের গেম তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন। 

ইন্ডি গেম কী ও কীভাবে এলো

ইন্ডি গেম হলো এমন এক ধরনের ভিডিও গেম- যা একক কোনো ব্যক্তি, ছোট দল বা ডেভেলপাররা বড় কোনো গেম প্রকাশনী ও তাদের প্রযুক্তিগত সাহায্য ছাড়াই তৈরি করে। স্বাধীনভাবে ডেভেলপ করা যায় বলে ভিন্নধারার গল্প, মৌলিকতা, সৃজনশীল উপস্থাপন এই গেমের বৈশিষ্ট্য।
১৯৭০-এর দশকের শেষভাগে ভিডিও গেমজগতে প্রথম ইন্ডি গেমের ধারণা গড়ে ওঠে। ইন্ডি গেমের চর্চা প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলেও বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সারাবিশ্বেই এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম স্টিম চালু হলে বিভিন্ন ইন্ডি-ফ্রেন্ডলি মাধ্যমের উত্থান হয়। নব্বই থেকে দুই হাজার দশকে ‘শেয়ারওয়্যার’ মডেলের মাধ্যমে ব্যক্তি উদ্যোগে বা ছোট গ্রুপ করে অনেক ডেভেলপার তাদের গেম ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। সে সময় ডুম, ব্রেইড এবং মাইনক্রাফটের মতো গেমগুলো ইন্ডি গেমকে মূলধারায় নিয়ে আসে। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডি গেম ডেভেলপারদের বড় রকমের অবদান ছিল।

কেন বাড়ছে জনপ্রিয়তা

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির মতো দেশগুলোতে ইন্ডি গেমের রয়েছে বিস্তর আধিপত্য। ইন্ডি গেমের জন্মভূমি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে এর বিশাল বাজার। অ্যানিমেশন শিল্পের জন্য পরিচিত দেশ জাপান ইন্ডি গেমের উপস্থাপনেও অনন্য শৈলীর নজর রেখেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে গড়ে উঠেছে নানারকম ইন্ডি গেম ফেস্টিভ্যাল ও কমিউনিটি। আবার বাংলাদেশের মতো ভিডিও গেমজগতে তুলনামূলক নতুন দেশগুলোর কিশোর ও তরুণ গেমাররাও ঝুঁকছে ইন্ডি গেমের দিকে। ইন্ডি গেমের এই জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে গেম ডেভেলপ করার সুযোগ। এখানে তরুণ প্লেয়াররা শুধু গেম খেলারই না। বরং নিজেদের ইচ্ছামতো গেম তৈরি করার সুযোগও পান। আবার মানুষ স্বভাবতই নিয়মিত নতুন কিছু খুঁজতে ভালোবাসে। সহজে গেম ডেভেলপ করা যায় বলে এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়ত উঠে আসে নতুনত্ব, আকর্ষণীয় গল্প। এ ছাড়াও যারা চাপমুক্তভাবে বিনোদনের উদ্দেশ্যে গেম খেলতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ইন্ডি গেম সেরা প্ল্যাটফর্ম। সাধারণত ১৩ থেকে ৩০ বছর বয়সী গেমারদের মধ্যে দেখা যায় ইন্ডি গেমের সবচেয়ে জনপ্রিয়তা। ইন্ডির সহজলভ্যতা ও মনমতো সাজানো গল্প এই গেমকে জনপ্রিয় করে তুলেছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী টিনএজার গেমারদের কাছে। আবার এই গেমে দেখা মেলে রেট্রো গ্রাফিক্স এবং গেমপ্লে মেকানিক্সের ব্যবহার। তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে ইন্ডি জনপ্রিয় এমন সব নস্টালজিক সৃজনশীল ও শৈল্পিক গ্রাফিক্সের কারণে।

নতুনদের জন্যে

ভিডিও গেমের জগতে যারা নতুন প্লেয়ার, তাদের শুরুর যাত্রায় চমৎকার মাধ্যম হতে পারে ইন্ডি গেম। ইন্ডি গেম সাধারণত এককভাবে খেলা যায় এবং তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতামূলক। আবার অন্যান্য গেমের তুলনায় ইন্ডি গেম শেখা ও আয়ত্ত করাও অনেকটা সহজ। তা ছাড়া যেকোনো বড় আকারের AAA গেমের তুলনায় ইন্ডি ঘরানার গেমগুলো কম দামেও পাওয়া যায়। ইন্ডির নতুন গেমার হিসেবে খেলতে পারেন ‘এমং আস’ বা  ‘স্টারডিউ ভ্যালি’-এর মতো গেমগুলো। আবার চাইলে ইন্ডি গেম নিজেই তৈরি করতে পারেন তরুণ, এমনকি টিনএজাররাও। তবে এর জন্য প্রয়োজন গেম ইঞ্জিন ব্যবহারের দক্ষতা, গেম ডিজাইন ও আর্ট সম্পর্কে ধারণা এবং প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত দক্ষতা। 

জনপ্রিয় কিছু ইন্ডি গেম

বিশ্বব্যাপীই বেশকিছু ইন্ডি গেম কিশোর ও তরুণ প্লেয়ারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার বাংলাদেশি তরুণদের তৈরি কয়েকটি ইন্ডি গেমও আমাদের গেমজগতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

  • মাইনক্রাফট একটি জনপ্রিয় ওপেন-ওয়ার্ল্ড স্যান্ডবক্স গেম। যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের মতো করে দুনিয়া তৈরি করতে পারেন।
     হলো নাইট একটি চমৎকার ২ডি অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার গেম। এখানে গভীর গল্প ও চ্যালেঞ্জিং যুদ্ধ রয়েছে।
  • আন্ডারটেল একটি আরপিজি গেম, যেখানে খেলোয়াড়দের পছন্দ অনুযায়ী গল্প পরিবর্তিত হয়।
  • সেলেস্তে একটি কঠিন প্ল্যাটফর্মার গেম, যেখানে আত্মোন্নয়ন ও সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে।
  • আগন্তুক বাংলাদেশি তরুণদের তৈরি একটি জনপ্রিয় অ্যাকশনধর্মী গেম।
  • হিরোজ অব একাত্তর আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি জনপ্রিয় ইন্ডি গেম।

ইন্ডি গেম সম্পর্কিত টুর্নামেন্ট

বিশ্বব্যাপী ইন্ডি গেমকে ঘিরে বেশকিছু টুর্নামেন্ট এবং প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় গেম ডেভেলপারদের নিজেদের ভাবনা ও গেম প্রদর্শনীর সুযোগ থাকে। আমাদের দেশে এখনো ইন্ডি গেমের সরাসরি আয়োজন না থাকলেও অনলাইনভিত্তিক এই টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নেওয়া যায়। 

ইন্ডিপেনডেন্ট গেমস ফেস্টিভ্যাল 
১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইন্ডি গেম প্রতিযোগিতাগুলোর এটি অন্যতম। প্রতিবছর এটি গেম ডেভেলপারস কনফারেন্সের অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ডেভেলপাররা তাদের গেম জমা দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিততে পারেন।

গেম ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ
এটি একটি বার্ষিক ইন্ডি গেম প্রতিযোগিতা-  যেখানে ইন্ডি ডেভেলপার, ছাত্র এবং গেমিংয়ে উৎসাহীরা অংশ নিতে পারেন। অনলাইনে আয়োজিত হয় বলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করা সম্ভব।  

গ্লোবাল গেম জেম  
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (৪৮ ঘণ্টা) নতুন একটি গেম তৈরি করতে হয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে যেকোনো বয়সী ইন্ডি গেম ডেভেলপার। গেম ডেভেলপারদের মধ্যে এটি অন্যতম জনপ্রিয় আয়োজন।