‘পর্যটনের আনন্দে, তুলশীমালার সুগন্ধে’, এ স্লোগানে শেরপুর জেলাকে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা গারো পাহাড় বেষ্টিত সীমান্তবর্তী জেলা এটি। এ জেলার রয়েছে শাল-গজারি, ইউকিলিপটাস-আকাশমনি, সেগুন-মেহগিনিসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালি ঘেরা ঊঁচু নিচু টিলা। আর পাহাড়ি এই টিলা বেয়ে সমতলের দিকে ছুটে চলা ছোট ছোট ঝর্ণা, ছড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির কলকল শব্দ যে কোনো প্রকৃতি প্রেমির হৃদয়কে আন্দোলিত করবে।
ওই সব পাহাড়ি টিলার উপর এবং সমতলে শত শত বছর ধরে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির নানা সম্প্রদায়দের লোকদের সংস্কৃতি ও জীবন-জীবিকা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। পাহাড়ের চূড়ায় ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে উচু-নিচু পাহাড়ের মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর সীমান্তের ওপারের ভারতীয় অধিবাসিদের ঘর-বাড়ির দৃশ্য মন ছুয়ে যায়, হৃদয়কে উদ্বেলিত করে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি এ জেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটন সমৃদ্ধ স্থান। ভ্রমণ পিপাসুরা ইট, কাঠ, কংক্রিট আর পাথুরে নগর জীবনের কোলাহল ছেড়ে ছুটে আসেন এসব পার্কে। এরইমধ্যে মধুটিলা ইকোপার্ক, গজনী অবকাশ, রাজার পাহাড়, নাকুগাঁও স্থল বন্দর, অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র, রাবার বাগান, পানিহাটা-তারানি, মাইসাহেবা জামে মসজিদ, সীমান্ত সড়ক, জমিদারবাড়ি অন্যতম। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকৃতির নিপূণ ছোঁয়ার রংতুলিতে আঁকা ছবির মতো সৌন্দর্য দেখতে শেরপুরে ছুটে আসেন ভ্রমন পিপাসুরা।
মধুটিলা ইকোপার্ক
প্রকৃতির সবুজ লীলা ভূমি শেরপুর জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র নালিতাবাড়ী উপজেলায় স্থাপিত ‘মধুটিলা ইকোপার্ক’। প্রায় সারাবছর ভ্রমণপিয়াসীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে এই পার্ক। সীমান্তবর্তী এই পার্কের চারপাশে উচু নিচু পাহাড়ি টিলা, কৃত্রিম লেক আর সবুজের সমারোহ দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলা। এ উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ময়মনসিংহ বনবিভাগের ব্যবস্থাপনায় মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জের সমেশ্চুড়া বন বীটের আওতায় ৩৮০ একর বনভূমিতে গারো পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে ২০০০ সালে নির্মিত হয় মধুটিলা ইকোর্পাকটি।
এই পার্কটির প্রধান ফটক পেরিয়ে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে সারি সারি গাছ। রাস্তার ডান পাশে খোলা প্রান্তর আর দুইপাশে রকমারি পণ্যের দোকান। সামনের ক্যান্টিন পার হলেই পাহাড়ি ঢালু রাস্তা। এরপরই হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্যকন্যা, মাছ ও পাখির ভাষ্কর্য। পাশের আঁকাবাঁকা পথে ঘন গাছের সারি ছুটে গেছে কৃত্রিম লেকের দিকে। এই লেকের উপরে স্বকীয় দূতি ছড়াচ্ছে মনমুগ্ধকর ষ্টারব্রিজ। এসব দেখে প্রাণ পায় নবচেতনা, মন হারায় প্রকৃতির মাঝে। লেকের প্যাডেল বোটে চরে ঘুরাফেরার পর পাহাড়ের চুড়ায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে আরোহণ করলেই নজর কেড়ে নেয় ভারতের উঁচু নিচু পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন ভ্রমণ পিপাসুরা।
মধুটিলা ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি টিকিট ১০ টাকা, গাড়ী পার্কিং খরচ- বড় বাস ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, সিএনজি ৫০ টাকা ও মোটরসাইকেল ২০ টাকা। এছাড়া এখানে আলাদা আলাদা ফি দিয়ে প্যাডেল বোট চালানো, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠা, শিশু পার্কে প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত শুধু দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য (ভ্যাটসহ) ৬ হাজার ৯০০ টাকার বিনিময়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) সুসজ্জিত মহুয়া নামের রেষ্ট হাউজ রয়েছে।
গজনী অবকাশ
ভারত সীমান্তঘেঁষা উঁচু-নিচু পাহাড়বেষ্টিত এই পর্যটনকেন্দ্রে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গারো পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব এক লীলাভূমি। আর তাই শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশের পাদদেশে অবস্থিত সারি সারি শাল, গজারি, সেগুনগাছ; ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতা-পাতার বিন্যাস, যা প্রকৃতি ও পর্যটকের মনে নিশ্চিত দোলা দিয়ে যাবে।
শেরপুর জেলা শহর থেকে মাত্র ৩০কিলোমিটার দূরত্বে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি এলাকাজুড়ে এর অবস্থান। গড়ে ওঠার পর থেকেই প্রতিবছর ক্লান্ত জীবনের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে অবসরে হাজারো পর্যটক ভিড় করেন এই গজনী অবকাশ কেন্দ্রে।
শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে পাহাড়ের বুকজুড়ে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে, যেখানে পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। উঁচু পাহাড় কেঁটে তৈরি হয়েছে মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত। এ ছাড়া রয়েছে আগত শিশু দর্শনার্থীদের জন্য চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক, সেখানে ফ্লাইওভার গজনী এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার, সুপার চেয়ার, নাগরদোলা ও মেরিগো। গজনী অবকাশে থাকছে শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কর্নার। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার জন্য এবার নতুন তৈরি করা হচ্ছে ক্যাবল কার। এছাড়াও রয়েছে ক্রিসেন্ট লেক, লেকের ওপর রংধনু ব্রিজ, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিফলক, মাটির নিচে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য ড্রাগন ট্যানেল। অবকাশকেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ সাইট ভিউ টাওয়ার। ৮০ বর্গফুট উচ্চ এ টাওয়ারে উঠলে দেখা যাবে পুরো গজনী অবকাশের পাহাড়ি টিলার অপরূপ সৌন্দর্যময় সবুজ দৃশ্য।
রাজার পাহাড়
শেরপুর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় টিলা, শাল গজারীর বন, পাহাড়ের নিচে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। সেখানেই আছে সুবিশাল ও রোমাঞ্চকর রাজা পাহাড়। পর্যটকদের কাছে শেরপুরে অন্যতম আকর্ষণ হলো রাজার পাহাড়। শেরপুর জেলা শহর থেকে মাত্র ৪১ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদী উপজেলার কর্নঝোড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। এটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পট।
গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় আছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়। রাজার পাহাড়ের উৎপত্তি নিয়ে কিংবদন্তি অনেক ঘটনা আছে। স্থানীয়দের মতে, অতীতে পাগলা দারোগা নামে এক ব্যক্তি রাজার পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস শুরু করেন। এখনও তার সন্তানেরা এই অঞ্চলে আছেন। তারাই এ পাহাড়ের কোণায় গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের বাগান। পরে স্থানীয় আদিবাসীরাও এসব ফলের বাগান করা শুরু করে।
নাকুগাঁও স্থল বন্দর
প্রতিদিন ভোর হলেই শ্রমিকরা দলে দলে ছুটে আসেন স্থলবন্দরে কাজ করতে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা নয়াবিল ইউনিয়নে স্থাপিত দেশের অন্যতম নাকুগাঁও স্থলবন্দর এখন হাজারো শ্রমিকের কর্মস্থল। এই বন্দরটি আমদানি রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন দিগন্তের পথ দেখাচ্ছে। এটি চালু হওয়ায় স্থানীয়রাসহ দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা করতে এসে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীরাও আসেন এই বন্দর দেখতে। কারণ, বন্দরটি একেবারে ভারতের সাথে লাগোয়া। তাই দর্শনার্থীদের কমতি নেই এটি দেখার।
অর্কিট পর্যটন
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে হলে আপনাকে আসতে হবে শেরপুরের অর্কিট পর্যটন কেন্দ্র। শেরপুর জেলা শহরের মধ্যেই ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে অর্কিট পর্যটন কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের চারিদিকে রয়েছে সারি সারি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ গাছ, মাঠ জুড়ে রয়েছে সবুজ ঘাস আর আছে সান বাঁধানো পুকুর। সাদা বক পুকুরে চারপাশে বসে থাকে মাছ খাওয়ার জন্য। সবুজ বাতায়নে অর্কিড প্রাঙ্গণে খাঁচায় খেলা করছে বানর, টার্কি, খরগোশসহ দেশীয় বিভিন্ন জীবজন্তু।
রাবার বাগান
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় রয়েছে রাবার বাগান। সারি সারি রাবার গাছ, ফলজ, শাল, গজারী ও সেগুনবনের বিন্যাস খুব সহজেই প্রকৃতি প্রেমীদের হৃদয়ে নিশ্চিত দোলা দিয়ে যাবে । পাহাড়ি র্ঝণা ও ঝোড়ার স্বচ্ছ জল হৃদয়ে তুলবে আনন্দের হিন্দোল। পাহাড়, বনানী, র্ঝণা এতসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও কৃত্রিম সৌন্দর্যের অনেক সংযোজন আছে তিনটি বাগানেই।
পানিহাটা-তারানি পাহাড়
ইট-পাথরের জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ও প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে হলে আপনাকে আসতে হবে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা-তারানি পাহাড়ে। শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৬কিলোমিটার দূরে পানিহাটা-তারানি পাহাড়। এ অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ বন আর খরস্রোতা ভোগাই নদীর মিতালী আপনার মনকে উদ্বেলিত করবে।
মাই সাহেবা মসজিদ
শেরপুর জেলা শহরে পা রাখলে প্রথমেই যে পুরোনো ঐতিহ্য চোখে পড়বে তার নাম মাইসাহেবা মসজিদ। চোখ বন্ধ করে শেরপুরের নাম নিলেও এই মাইসাহেবা মসজিদটি ভেসে আসে দর্শনার্থীদের নজরে। আনুমানিক আড়াইশ’ বছর আগে নির্মিত হয় মসজিদটি। তবে আধুনিক সংস্করণেও রয়েছে ঐতিহ্যের ছাপ। এর দুই পাশের সুউচ্চ ২টি মিনার চোখে পড়ে অনেক দূর থেকে। মাইসাহেবা মসজিদের সুউচ্চ মিনার শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যায়। মসজিদ এলাকায় প্রবেশের জন্য রয়েছে বিশাল দৃষ্টিন্দন গেইট।
আরও যা রয়েছে
জরিপ শাহের মাজার, বারদুয়ারি মসজিদ, গড়জরিপা দুর্গ, হযরত শাহ কামাল (রা) এর মাজার, কসবার মোঘল মসজিদ, ঘাঘড়া লস্কর খান জামে মসজিদ, সুতানাল দীঘি, রাবার ড্যাম, বন্যহাতির অভয়ারণ্য নয়াবাড়ির টিলাও শেরপুরের পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান।
যেভাবে আসবেন এসব যাওয়ায়
রাজধানী ঢাকার মহাখালীর বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যেকোন বাসে অথবা ঢাকার যেকোন স্থান থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারে করে শেরপুর জেলায় আসা যায়। গাড়ীযোগে এ জেলায় আসতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে। যেহেতু শেরপুর জেলায় ট্রেনের সুবিধা নেই। সেহেতু আপনি চাইলে ট্রেনেও আসতে পারেন। এজন্য আপনাকে ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনে করে জামালপুর জেলা শহরে আসতে হবে। তারপর সেখানে থেকে সিএনজি, অটোরিক্সা বা বাসযোগেও মাত্র ৩০/৪০মিনিটের মধ্যে শেরপুর জেলায় আসতে পারবেন। এ জেলার সকল দর্শনীয়স্থানে যেতে হলে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি বা অটোরিক্সা ভাড়া করে যেতে পারবেন। শেরপুর সদর থেকে এসব দর্শনীয়স্থানে যেতে সময় লাগবে দূরত্ব ভেদে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগবে।
যেখানে রাত্রি যাপন করবেন
দর্শনার্থীরা শেরপুর এসে রাত্রিযাপন করতে চাইলে জেলা শহরে থাকতে হবে। কারণ, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ঘেঁষা সীমান্তবর্তী এ জেলার কোন পর্যটন কেন্দ্র বা দর্শনীয়স্থানে রাত্রিযাপনের কোন সুবিধা নেই। তবে, আপনি চাইলে স্ব স্ব উপজেলার ডাক বাংলোয় ভাড়া করে থাকতে পারবেন। তবে, জেলা শহরে বেশ কয়েকটি ভালোমানের আবাসিক হোটেল ছাড়াও রয়েছে জেলা সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের গেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। জেলা সদরের ভালোমানের আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল সম্পদ, হোটেল আইসার ইন, হোটেল ফ্রিডম, হোটেল অবকাশ, হাসিম গেস্ট হাউজ অন্যতম।