ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

৪টি অনুচ্ছেদ লিখন, ৩য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
৪টি অনুচ্ছেদ লিখন, ৩য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
শীতকালে বাংলাদেশে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। ছবি- সংগৃহীত

অনুচ্ছেদ লিখন

অতিথি পাখি/পরিযায়ী পাখি

বরফাচ্ছন্ন শীতপ্রধান অঞ্চলের ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এবং তুলনামূলক উষ্ণ আবহাওয়ার সুখ অনুভব করতে সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে অতিথি পাখিরা আসে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেশ বাংলাদেশে। শীতকালে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে এবং শীত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখিরা তাদের আগের আবাসের উদ্দেশে উড়াল দেয়। অল্প সময় অবস্থানের জন্য এ দেশে আসে বলে এই পাখিরা আমাদের অতিথি, আর তাই এদের নাম অতিথি পাখি। অনেকে এদের ‘পরিযায়ী পাখি’ বলেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন, সুনামগঞ্জের হাওর, ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা চিড়িয়াখানার জলাশয়গুলোয় এরা সাময়িক আবাস গড়ে তোলে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোরের বিলগুলোতেও অনেক পাখি আশ্রয় নেয়। শীতজুড়েই জলে বা জলাধারে থাকে অতিথি পাখির বিচরণ। মূলত হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এবং সুদূর সাইবেরিয়া বা উত্তর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে এরা শীতের অতিথি হয়ে আসে। অতিথি পাখিদের মধ্যে কাইন, রাঙ্গে, টেকুর, ডাক, বালি হাঁস, কোড়া, কুদলা, হাঁস জাতীয় পাখি, চখাচখি, বড় দিঘির গুলিন্দা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জলাধারে আশ্রয় নেওয়া এই পাখিগুলোর বিচরণ যেমন একদিকে হৃদয়গ্রাহী, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু মানুষের নিষ্ঠুর আচরণ শীতের এই অতিথিদের অবাধ বিচরণকে সংকটময় করে তোলে। প্রতি বছরই শীতের সময় কিছু মানুষ অতিথি পাখি নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে, যা অনৈতিক। বাস্তবে অতিথি পাখিদের অতিথির মতোই সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্য তৈরি করা উচিত অভয়ারণ্য। এই পাখিরা শুধু আমাদের দেশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই আসে না; তারা নিয়ে আসে সাম্য-মৈত্রীর বার্তাও। অতিথি পাখিরা আমাদের সামনে কাঁটাতারমুক্ত অবাধ বিচরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে যায়। বিশ্বায়নের যুগে এই বার্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতিথি পাখি সংরক্ষণে  আমাদের বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে পাখি শিকারিদের। তবেই বাংলাদেশ হবে অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

 শ্রমের গুরুত্ব

বিশ্বসংসার শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে। লক্ষ-কোটি মানুষের যুগ-যুগান্তরের শ্রমের ওপরেই রচিত হয়েছে সভ্যতার বিশাল সৌধ। সুতরাং শ্রমের মর্যাদা শ্রমশীলতারই যোগ্য পুরস্কার। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া মানবসভ্যতা এক পা-ও এগিয়ে আসেনি। অথচ এ শ্রমের যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে অনেকেই কুণ্ঠিত বোধ করেন। অনেকেই দৈহিক শ্রমের কাজকে সম্মানহানিকর বলে মনে করে। সৎ পথে থেকে যেকোনো শ্রমসাধ্য কাজ করাই সম্মানজনক। আসলে ছোট কিংবা বড় কাজ বলে কিছু নেই। ভিক্ষাবৃত্তি এবং নীতিহীন কাজ ছাড়া সব কাজই মর্যাদার দাবিদার। সুতরাং কোনো ধরনের শ্রমকেই সম্মানের দিক থেকে খাটো করে দেখা যায় না। বিশ্বের সব মহামানবই শ্রমকে উপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছেন। তারা নিজেরাও তাদের ব্যক্তিগত জীবনে শ্রমসাধ্য কাজ করেছেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের দিকে লক্ষ করলেও আমরা দেখব যে, তিনি নিজে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং কোনো কাজকেই অমর্যাদাকর বলে মনে করেননি। ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য পরিশোধ করো’- তার এ বাণী তো শ্রমের মর্যাদারই অকুণ্ঠ স্বীকৃতি। ব্যক্তিজীবন কিংবা জাতীয় জীবনের সব উন্নতির মূলেই রয়েছে শ্রমশক্তি। পৃথিবীতে যে জাতি যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দিক থেকে পাশ্চাত্য দেশগুলো এতটা উন্নতি সাধন করেছে, তার পেছনেও রয়েছে শ্রমের অতুলনীয় অবদান। অথচ আমাদের সমাজে এ শ্রমের মর্যাদার বদলে কারও কারও কাছে অবজ্ঞা মনে হয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই চাকরি প্রত্যাশা করেন এবং কৃষি, খামারশিল্প ইত্যাদি শ্রমসাধ্য কাজকে হীন মনে করেন। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই বেকার যুবকসহ অনেকেই এসব কাজে অংশগ্রহণ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেন। একটা সুষ্ঠু ও গতিশীল সমাজ সৃষ্টি করতে চাইলে শ্রমকে মূল্য দিতে হবে, পুরোনো মূল্যবোধের অবসান ঘটাতে হবে। তাই আজকে বোঝার সময় এসেছে, শ্রমে কোনো হীনতা নেই এবং শ্রমশীল মানুষের হাতেই রয়েছে আগামী দিনের নেতৃত্ব।

আরো পড়ুন : ২টি অনুচ্ছেদ লিখন, ২য় পর্ব

শিশুশ্রম

‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’ অর্থাৎ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজ যারা শিশু আগামী দিনে তাদের ওপরই ন্যস্ত হবে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। কিন্তু নানা কারণে শিশুরা আজ উপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত। জীবিকার প্রয়োজনে তারা বাধ্য হচ্ছে শ্রমদানে। বর্তমানে শিশুদের সুন্দর শৈশব এবং বিকশিত জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা শিশুশ্রম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের আনুমানিক শ্রমশক্তির শতকরা ১৫ ভাগই শিশু। শিশুদের এ বিরাট অংশ শ্রমদান করতে বাধ্য হয় আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে। এ দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এসব মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য তাদের সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ নানা কাজে নিয়োজিত করে। রাজনৈতিক বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িকতা, উদ্বাস্তু জীবনের ছিন্নমূলতা, পিতা-মাতার নৃশংস আচরণ, পিতা-মাতার পঙ্গুত্ব ইত্যাদি কারণে শিশুদের কাজ করার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুশ্রমের কারণে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও অর্ধেকের বেশি শিশু অকালে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে। অর্থাৎ শিশুশিক্ষার সঙ্গে শিশুশ্রমের একটি বিপরীতমুখী সম্পর্ক রয়েছে। আবার শিশুরা কর্মক্ষেত্রে যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, তা তাদের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে তারা যেমন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তাই শিশুশ্রম বন্ধের জন্য আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিশুবান্ধব সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই শিক্ষিত ও সচেতন নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে, যারা দেশ গঠনে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।

বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ

এ বিশ্বকে সুশীতল ও বাসোপযোগী করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান সবচেয়ে বেশি। বিশ্বকে সবুজ শ্যামলে ভরে দিয়েছে বৃক্ষরাজি। মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে বৃক্ষ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য দিনের পর দিন বৃক্ষ নিধনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে যে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকল্পে মোট ভূমির শতকরা ২৫-২৬ ভাগ বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের মোট ভূমির মাত্র ১২ থেকে ১৪ ভাগ বনভূমি রয়েছে। বাংলাদেশের বনাঞ্চলের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার মধুপরের গড়, গাজীপুরের ভাওয়ালের গড়, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সিলেট জেলার বনাঞ্চল ও খুলনার সুন্দরবন উল্লেখযোগ্য। এসব বনাঞ্চলসহ সারা দেশে যেসব ছোটখাটো বনাঞ্চল রয়েছে তা কোনোভাবেই দেশের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অসময়ে বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বৃক্ষরোপণ বা বনায়ন সৃষ্টি করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। বাংলাদেশ সরকারের বন ও কৃষি বিভাগ থেকে প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করা হয়। এ সময় সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশের বনাঞ্চলে, জেলা সদর, ও অন্যান্য স্থানে নানা ধরনের গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।  যেসব স্থানে বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়, সেগুলো হলো- দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সড়কের ধার ও অফিসের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। বিনামূল্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে চারাগাছ বিতরণ করা হয়। আমাদের এ কথা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, এককভাবে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন কিংবা সরকারের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এ দায়িত্ব আমাদের সবার, সমগ্র জাতির।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

১টি আবেদনপত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ এএম
১টি আবেদনপত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
শিক্ষক লেকচার দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীরা তা নোট করছেন। ছবি- খবরের কাগজ

আবেদনপত্র

প্রশ্ন : মনে করো তোমার নাম আবরার জুবায়ের তাজ। তুমি রংপুর জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তোমার রোল নম্বর ১। হঠাৎ করে তোমার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তোমার লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্য চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদনপত্র লেখ।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫ 
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
রংপুর

মাধ্যম: শ্রেণিশিক্ষক।

বিষয়: বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন।

মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। তিন বছর ধরে আমি এ বিদ্যাপীঠে পড়ালেখা করছি। পরীক্ষায় সব সময়ই আমি প্রথম হয়ে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। অষ্টম শ্রেণিতেও আমার রোল নম্বর ১। আমার বাবা একজন দরিদ্র ব্যবসায়ী। পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও আমাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতে তিনি হিমশিম খান। তবু তিনি এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে আমাদের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আমাকে আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার  সুযোগ দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অতএব, মহোদয়ের সমীপে নিবেদন এই যে, উপর্যুক্ত কারণে আমার আবেদন মানবিকভাবে বিবেচনা করে আমাকে ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

নিবেদক

আপনার অনুগত ছাত্র
আবরার জুবায়ের তাজ
শ্রেণি: অষ্টম
শাখা: ই
রোল: ১

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

ব্যবসায় পরিবেশ অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
ব্যবসায় পরিবেশ অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র
বোর্ড পরীক্ষায় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্রে এ প্লাস পেতে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর যথাযথ ও প্রাসঙ্গিকভাবে লিখবে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায় :  ব্যবসায় পরিবেশ

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে রাকিব মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাঁশ দিয়ে তৈরি শিশুদের খেলনার কারখানা স্থাপন করেন। এলাকার কয়েকজন শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি সুন্দর সুন্দর খেলনা তৈরি করে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন, যা তার ব্যবসাকে বেশ লাভজনক করে তুলেছে। তিনি বর্তমানে আর্থিকভাবে বেশ সচ্ছল। তাই বিদেশে খেলনা রপ্তানির চিন্তা-ভাবনা করছেন।

(ক) অভ্যন্তরীণ পরিবেশ কী?
(খ) ব্যবসায়ের উন্নতিতে কেন অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি আবশ্যক? 
(গ) রাকিবের ব্যবসায় সফলতায় পরিবেশের কোন উপাদানের ভূমিকা সর্বাধিক? ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) রাকিবের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের অবদান তোমার নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ক. প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বিদ্যমান অবস্থাগুলো ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে যে পরিবেশের জন্ম হয় তাকে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বলে। 

খ. ব্যবসায়ের উন্নতিতে প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের অনুকূল উপস্থিতি আবশ্যক। অনুকূল জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, উন্নত কাঁচামাল, নদী ও সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি উপাদানের উপস্থিতি ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতিতে অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলোর উপস্থিতি আবশ্যক।

আরো পড়ুন : ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র

গ. সস্তা এবং দক্ষ শ্রম উন্নতমানের পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক পরিবেশের উপাদান সস্তা ও দক্ষ শ্রম রাকিবের ব্যবসায় সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার স্থাপিত  খেলনা কারখানায় এলাকার কয়েকজন শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টা সুন্দর খেলনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাকিবের তৈরি করা সুন্দর খেলনা ক্রেতা ও ভোক্তাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ায় তার বিক্রি ও লাভ বেড়ে যায়। ফলে তিনি আর্থিকভাবে বেশ সফলতা পেয়ে যান। 
তাই বলা যায়, সামাজিক পরিবেশের উপাদান সস্তা ও দক্ষ জনশক্তি রাকিবের ব্যবসায় সফলতার অন্যতম কারণ। দক্ষ শ্রম রাকিবের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি উৎপাদিত খেলনা মানসম্মতও হয়েছে। মানসম্মত পণ্যদ্রব্য ত্রেতাদের আকৃষ্ট করায় তার আয় বেড়েছে।

ঘ. রাকিবের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কোনো সমাজের বা জাতির মানুষের সংখ্যা, তাদের ধর্ম,  বিশ্বাস, চিন্তাধারা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও দেশীয় ঐতিহ্য মিলে যে পারিপার্শ্বিকতা গড়ে ওঠে, তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। 
উদ্দীপকে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সস্তা ও দক্ষ শ্রমের ওপর ভিত্তি করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়  রাকিব একটি খেলনা কারখানা স্থাপন করেন। এলাকার কয়েকজন দক্ষ শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তিনি প্রচুর মানসম্মত খেলনা উৎপাদনে সক্ষম হন। এসব খেলনা দেশের ক্রেতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ায় তিনি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন। তাই বলা যায়, ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। রাকিব মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটি খেলনা কারখানা স্থাপন করেন। তিনি দক্ষ শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রচুর মানসম্মত খেলনা  উৎপাদন ও বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেন, যা তাকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা এনে দেয়। তাই বলা যায়, সুমনের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের উপাদান ও দক্ষ শ্রমই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে আমি মনে করি।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান 
ব্যবস্থাপনা বিভাগ, মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা

কবীর

Unit-2, Lesson-1-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন, ৩য় পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
Unit-2, Lesson-1-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন, ৩য় পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র
স্বপ্নের মধ্যে যেকোনো চিত্র, চিন্তাভাবনা এবং আবেগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা আমরা ঘুমের সময় অনুভব করি। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

Unit-2, Lesson-1
Question no. 2 & 3

1. Read the following passage and make a flow chart mentioning the abilities that we gain from education. 

Education gives us knowledge and a set of abilities to function meaningfully in life, such as the ability to decide things rationally and make right choices. As we learn how to read, write and do the basic operations of arithmetic, we gain a degree of self-confidence. We learn to think for ourselves and articulate our thoughts; we pick up skills to communicate with others and manage our affairs well. Education helps us think independently and make our own opinions. As we know more about the world, we appreciate the good things it offers us but also become critical of the deviation from the values it imparts and the rise of hatred or conflicts that follows.

আরো পড়ুন : Unit-1, Lesson-3-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন , ২য় পর্ব

Write a summary of the following text.

Dreams have fascinated philosophers for thousands of years, but only recently have dreams been subjected to empirical research and scientific study. Chances are that you’ve often found yourself puzzling over the content of a dream or perhaps you’ve wondered why you dream at all. First let’s start by answering a basic question: What is a dream? A dream can include any of the images, thoughts and emotions that are experienced during sleep. Dreams can be extraordinarily vivid or very vague; filled with joyful emotions or frightening images; focused and understandable or unclear and confusing. Why do we dream? What purpose do dreams serve? While many theories have been proposed, no consensus has emerged. Considering the time we spend in a dreaming state, the fact that researchers do not yet understand the purpose of dreams may seem baffling. However, it is important to consider that science is still unraveling the exact purpose and function of sleep itself. Some researchers suggest that dreams serve no real purpose, while others believe that dreaming is essential to mental, emotional and physical well-being.

Ans: Dreams have fascinated philosophers for thousands of years; only recently dreams been brought under empirical research and scientific study. A dream can include any of the images, thoughts and emotions that we experience during sleep. Moreover, dreams can be extraordinarily vivid or very vague focused and understandable or unclear and confusing. Though many theories have been proposed, no consensus has emerged: some researchers suggest that dreams serve no real purpose, but others believe that dreaming is essential to mental, emotional and physical well-being.

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা

কবীর

জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত


জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট : ‘সি’ ইউনিট, - ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। নিচের কোন দলিলের জন্য আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়-
(ক) বিমা প্রিমিয়াম     (খ) আয় বিবরণী     
(গ) উদ্বৃত্তপত্র          (ঘ) নাগরিকত্ব সনদপত্র 
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (খ) আয় বিবরণী।

২। নিচের কোনটি তফসিলী ব্যাংক নয়? 
(ক) রূপালী ব্যাংক লিমিটেড    
(খ) ন্যাশনাল ব্যাংক লি.     
(গ) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.
(ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক     
(ঙ) উপরের কোনোটিই নয়

উত্তর: (ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক।

৩। কোন ধরনের ব্যাংক ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে?
(ক) বাণিজ্যিক ব্যাংক     (খ) সমবায় ব্যাংক     
(গ) শিল্প ব্যাংক              (ঘ) কৃষি ব্যাংক     
(ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক 

উত্তর: (ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরো পড়ুন : জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৩

৪। নিচের কোনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ‘জীবন শোণিত’? 
(ক) আমানত     (খ) ঋণ     
(গ) নগদ           (ঘ) বন্ড     
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (ঙ) উপরের সবগুলো।

৫। বিএসআরএসের উদ্দেশ্য হলো-
(ক) কৃষি উন্নয়ন     
(খ) শেয়ার বাজার উন্নয়ন     
(গ) কুটিরশিল্প উন্নয়ন     
(ঘ) শিল্প উন্নয়ন    
(ঙ) উপরের সবকটি

উত্তর: (ঘ) শিল্প উন্নয়ন।

৬। নিচের কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়? 
(ক) মুদ্রা জারি করা     (খ) ঋণ নিয়ন্ত্রণ     
(গ) ক্লিয়ারিং হাউস     (ঘ) ঋণ দেওয়া    
(ঙ) ব্যাংকগুলোর ব্যাংক

উত্তর: (ঘ) ঋণ দেওয়া।

৭। নিচের কোন ব্যাংক, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে বিবেচিত? 
(ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক     
(খ) ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক    
(গ) স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক 
(ঘ) ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন     
(ঙ) ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট 

উত্তর: (ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন করছে। ছবি-সংগৃহীত

প্রথম অধ্যায় : পৌরনীতি ও নাগরিকতা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

৯। রাষ্ট্র কাকে বলে?
উত্তর: যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সুসংগঠিত সরকার, সার্বভৌম আধিপত্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি রয়েছে তাকে রাষ্ট্র বলে।

১০। মাতৃতান্ত্রিক পরিবার কী?
উত্তর: যে পরিবারে মা-ই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সেই পরিবারই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। 

১১। পৌরনীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পৌরনীতি বলতে সে বইকে বোঝায়, যে বইয়ে নাগরিক ও নাগরিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের ধারাবাহিক পর্যালোচনা করা হয়।

১২। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা হচ্ছে- পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা, যা নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

আরো পড়ুন : পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৮টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব

১৩। পরিবার কাকে বলে?
উত্তর: বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও নারী, তাদের সন্তানাদি, বাবা-মা এবং অন্যান্য পরিজন নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, তাকে পরিবার বলে।

১৪। সমাজ কাকে বলে?
উত্তর: একদল জনগোষ্ঠী যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখন তাকে সমাজ বলা হয়।

১৫। সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা কী?
উত্তর: সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা হলো সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।

লেখক : সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর