ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল রাইটস পেল এএমটিসি

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল রাইটস পেল এএমটিসি
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল রাইটস পাওয়ায় এএমটিসি’র সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস ইন্টারন্যাশনাল। ‘বিগ ফোর’-এর অন্তর্ভুক্ত এই আসর ১৯৬০ সাল থেকে সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি) ২০২৪ সালের মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর জন্য অফিসিয়াল লাইসেন্সিং রাইটস অর্জন করেছে!

এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আজরা মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এই ঘোষণার পাশাপাশি আরো একটি খুশির খবর আপনাদের জানাতে চাই। আপনারা জানেন যে, শোকুবুতসু, শীর্ষ সারির সৌন্দর্য এবং পারসোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড। আর এবার মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪-এর অফিসিয়াল স্পন্সর হিসাবে থাকছে শোকুবুতসু। আমরা আশা করছি, শোকুবুতসুর সহযোগিতায়, মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪-কে অন্যতর উচ্চতায় উন্নীত করতে পারব। এছাড়া সৌন্দর্যকে টেকসই করার ক্ষেত্রে বিশেস ভূমিকা রাখতেও সক্ষম হব।

মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ নুজহাত তাবাসসুম এফা
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ নুজহাত তাবাসসুম এফা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাপানি ব্র্যান্ড শোকুবুতসু সহজাত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এছাড়া ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখার যে রহস্য জাপানের সৌন্দর্য্যচর্চায় বিদ্যমান। এই বর্ষপ্রাচীন প্রাচীন জ্ঞানকে পুনরাবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে সৌন্দর্য্যচর্চাকে অন্য মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ব্র্যান্ডের প্রতিটি সাবান উদ্ভিজ্জ উপাদানে তৈরি, যা ত্বকের ক্ষতি না করে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে  ত্বককে মোলায়েম, আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল থিম অনুসারে, শোকুবুতসুর সম্পৃক্ততা ছড়িয়েছে দিয়েছে প্রেরণার সুবাতাস।

মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক ইভেন্টে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪–এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন নুজহাত তাবাসসুম এফা।  এফা বাংলাদশের একজন দক্ষ মডেল। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় উদীয়মান তারকা হিসেবে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জাপানের রাজধানি টোকিতেও অনুষ্ঠিতব্য মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এ তাঁর অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এফার মতো সুদক্ষ ও মেধাবীরা তাদের উপস্থিতি দিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠি মূল থিম ‘সাটেইনেবিলিটি ইন পেজেন্ট্রি’। এই থিমকে বেছে নেওয়ার কারণ জাপানের জাতীয় সংস্থাগুলোকে স্বাধীন, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী হতে উদ্বুদ্ধ করা।

লায়ন কল্লোল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসাকি মিৎসুই বলেন, শোকুবুতসু, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নিবেদিত জাপানি ব্র্যান্ড। নুজহাত তাবাসসুম এফাকে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এ স্পন্সর করতে পেরে আনন্দিত; কারণ তিনি মূল প্রতিযোগিতায় তাঁর সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবেন।

এএমটিসির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজরা মাহমুদ দুটি আনন্দসংবাদ শেয়ার করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। তিনি বলেন, এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এই সুযোগ আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ; কারণ আমরা চাই বাংলাদেশের তরুণীদের ক্ষমতায়ন, ফ্যাশন এর বাইরের বৃহত্তর জগতে তাদের স্বপ্নপূরণে সহায়তা করতে। আমাদের ক্যাম্পের উদীয়মান ও অসাধারণ প্রতিভাধর এফা তাঁর মেধার ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শন করবেন মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায়। এজন্য আমরা কেবল উচ্ছ্বশিত নই বরং আরো আনন্দিত এজন্য যে, এই ধরণের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার পরম্পরা ও ঐতিহ্যের ধারায় আমাদের প্রতিযোগীও অবদান রাখতে উন্মুখ।

মিস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক স্টিফেন দিয়াজও তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দুই বছর ধরে আমাদের ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি সত্যিই দারুণ। সৌন্দর্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও অসাধারণ দক্ষতার জন্য সুবিদিত। এএমটিসির সঙ্গে আমাদের এই গাঁটছড়া অনন্য সম্মানের বিষয় এবং আমরা ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায় আছি।

এবছরের ১২ নভেম্বর টোকিও ডোম সিটি হলে অনুষ্ঠিত হবে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪। এই ইভেন্টে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন। এই আসরে তারা উদযাপন করবেন সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতির অনন্যতা।

এদিনের সংবাদ সম্মেলনে আজরা মাহমুদ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন শোকুবুতসুর ব্র্যান্ড ম্যানেজার সাদিয়া মাহজাবিন, সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান ও মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ নুজহাত তাবাসসুম এফা।

 

মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ থেকে ফিরে কনিকা অভিযাত্রার গল্প শোনালেন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ থেকে ফিরে কনিকা অভিযাত্রার গল্প শোনালেন
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর আজরা মাহমুদের সঙ্গে আকলিমা আতিকা কনিকা।

সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আকলিমা আতিকা কনিকা। মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের অফিসে এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন সাংবাদিক, শুভানুধ্যায়ী ও সহযোগীদের।

আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। কনিকার মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে বৈশ্বিকমঞ্চে অংশগ্রহণের এই অভিযাত্রাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা হয়। কনিকা খোলামেলাভাবে জানান তাঁর প্রস্তুতির কঠোরতা, আবেগঘন মুহূর্ত আর স্মরণীয় সব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে।
কনিকা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেন, ‘আমি যখন ঐ মঞ্চে পা রাখি, তখন আমি শুধু একজন প্রতিযোগী ছিলাম না— আমি ছিলাম বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রতিনিধি। প্রতিটি পদক্ষেপ, হাসি, শব্দে আমি আমার জাতির গর্ব বহন করেছি’।

যদিও তিনি বিজয়ীর মুকুট জিততে পারেননি, তবুও কনিকার আচরণ, স্বতঃস্ফূর্ততা আর দৃঢ় উপস্থিতি দেশ-বিদেশের দর্শক ও বিচারকদের মন জয় করেছে। এই প্রতিযোগিতা প্রমাণ করেছে, জয় মানেই কেবল পুরস্কার নয়— জয় মানে আত্মপরিচয়, অধ্যাবসায় আর হৃদয়ের শক্তি। অনুষ্ঠানের প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সতস্পূর্তভাবে। মিস ওয়ার্ল্ড–এ কনিকার অংশগ্রহণকে সম্ভব করে তুলেতে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদেরও এই অনুষ্ঠানে আবেগময় স্বীকৃতি জানানো হয়ে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমবিআইটি (মিস বাংলাদেশ টিম ইন ট্রেনিং)—যাঁরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের প্রস্তুতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। কনিকাকে তৈরি করতে তাঁরাও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া হয় কনিকার পোশাক পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার মেহরুজ মুনিরকে। এছাড়াও সম্মাননা জানানো হয় অনান্য প্রতিভাবান ডিজাইনার রাইসা আমিন শৈলী, ফারদিন বায়েজিদ, বিশ্বজিৎ ও তৃষাকে; এঁরা কনিকার পোশাক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কনিকাকে পরিপাটি করে তোলা ক্রিয়েটিভ টিমও। এঁদের মধ্যে ছিলেন ফটোগ্রাফার নাইমুল ইসলাম, সিনেমাটোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান শেখর, এডিটর পলাশ বিশ্বাস এবং কোরিওগ্রাফার আসাদ খান। কনিকার স্টাইলিস্ট ও ইমেজ আর্কিটেক্ট হিসেবে পুরো সময় ছিলেন এফা তাবাসসুম। তাঁর নিখুঁত পরিকল্পনায় কনিকার প্রতিটি লুক হয়েছে আকর্ষণীয়। কনিকার উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সম্মান ও সাংস্কৃতিক গর্বের অভিব্যক্তিকে প্রতীয়মান করার ঐকান্তিক চেষ্টা করেছেন এফা। এই অনুষ্ঠানে তাঁকেও সম্মানিত করা হয়।

‘এই যাত্রা কখনোই আমার একার ছিল না’, বলেন কনিকা, ‘এই প্রয়াস পূর্ণতা পেয়েছে আমার মেন্টর, সৃজনশীল দল, বন্ধু আর আমার ওপর যাঁরা আস্থা রেখেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। আজ আমার এই উপস্থিতিতে বলতে গেলে আপনাদের সবারই প্রতিচ্ছবিই প্রতীয়মান হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মঞ্চের আলো থেকে দেশে ফিরে, এই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির আয়োজন কেবলই ‘ঘরে ফেরা’ নয়; বরং কোন সন্দেহ নেই, এটা সম্মিলিত স্বপ্নপূরণের উদযাপন। কনিকার গল্প আজ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আবারও প্রমাণিত হল, লক্ষ, প্রস্তুতি আর আবেগ থাকলে বিশ্বমঞ্চও জয় করা সম্ভব।

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর আজরা মাহমুদ বলেন, ‘আকলিমার জন্য আমি ভীষণ গর্বিত। তিনি বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের প্রতীক—সাহসী, সহানুভূতিশীল এবং আন্তর্জাতিক মনোভাব–সম্পন্ন’। 

এদিন নিজের ভবিষ্যত ভাবনার কথাও জানিয়েছেন কনিকা। তিনি বলেন, আমি এখন আমার দুটি প্রকল্প “Beauty With A Purpose” এবং “Young Mind Matters”–এ মনোযোগ দেব। এই দুটি প্রকল্প, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও এর উন্নয়নে কাজ করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আমি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা প্রচারণা চালাব। পাশাপাশি নতুন উদ্যোগও নিব; যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চলার পথকে সুগম হতে পারে।

 কলি 

কোরবানির ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত কামারপাড়া

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
কোরবানির ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত কামারপাড়া
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশজুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির প্রস্তুতি। আর সেই কোরবানির জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি- যেগুলো তৈরি ও বিক্রিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারপাড়ার কামাররা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার কোরবানির সরঞ্জামের জন্য বেশ বিখ্যাত। এখানকার দোকানগুলোতে নানান ধরনের ছুরি, দা, চাপাতি, বঁটি ও চাইনিজ কুড়াল পাওয়া যায়। এখানে কেউ কেনেন নতুন সরঞ্জাম, কেউ আবার পুরোনো জিনিসগুলো শান দিয়ে নিয়ে যান।

কোরবানির জন্য প্রয়োজন হয় চাপাতি, দা, বঁটি ও চাইনিজ কুড়ালের মতো ভারী হাতিয়ার। ছুরির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন ধরন যেমন- চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, মাংস কাটার ছুরি, কোপ ছুরি এবং জবাইয়ের ছুরি। মাংস কাটার সময় দ্রুত ধার দিতে দরকার পড়ে রেত বা স্টেন।

এসব সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহার হয় লোহার ‘স্প্রিং’ নামের একটি বিশেষ প্লেট। চাইলে অর্ডার দিয়ে নিজের পছন্দমতো ছুরি, চাপাতিও বানিয়ে নেওয়া যায়। ক্রেতারা পিস হিসেবে কিনলে এসব সরঞ্জামের দাম একটু বেশি পড়ে। এগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য হলো-

   চাপাতি ও জবাই ছুরি: ৬০০–১,০০০ টাকা
   চামড়া ছাড়ানোর ছুরি: ২০০–৫০০ টাকা
   মাংস কাটার ছুরি: ১৫০–৫০০ টাকা
   বঁটি (ছোট-বড়): ৮০–৮০০ টাকা
   চাইনিজ কুড়াল: ৪০০–৯০০ টাকা

এসব জিনিস সেট আকারেও কেনা যায়। বাজারে যার দাম ১,৫০০–৩,০০০ টাকার মধ্যে।

তবে এসব সরঞ্জাম কেজি দরেও বিক্রি করা হয়ে থাকে। বাজারে যেগুলো বিক্রি হচ্ছে-

   পাকা স্প্রিং: প্রতি কেজি ৬০০–৭০০ টাকা
   রেত: প্রতি কেজি ২৫০–৩০০ টাকা
   প্লাগ/এঙ্গেল: ১৫০–২০০ টাকা
   চাপাতি: ৬০০–৭০০ টাকা কেজি দরে
   বঁটি: ৮০০–৯০০ টাকা কেজি দরে

যারা পুরনো ছুরি বা চাপাতি ব্যবহার করছেন, তারা দোকানে গিয়ে শান দিয়ে নিচ্ছেন। এতে খরচ পড়ছে ৬০–১০০ টাকার মতো, যা ধার ও মান অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রস্তুতি শুধু পশু কেনা নয়, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সঠিক বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর কামারপাড়া সেই চাহিদা পূরণে প্রতিবারের মতো এবারও প্রস্তুত। এখন শুধু অপেক্ষা পবিত্র ঈদের দিনের।

 কলি

ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়
মডেল: চার্লি, ছবি: আদিব আহমেদ

কোরবানির ঈদ মানেই খাওয়া-দাওয়ার বিশাল সমারোহ। এক বা দুদিন নয় বরং এই ঈদে ৮ থেকে ১০ দিন ধরে চলে মাংস, মিষ্টান্নের হরেক পদের রান্না। যারা খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ঈদ একই সঙ্গে আনন্দ ও দুশ্চিন্তার কারণ। একদিকে খানাপিনার উৎসব। অন্যদিকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, ছুটি কাটিয়ে ওজন বাড়ার ভয়। তাই ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণে মানতে হবে কিছু বিশেষ নিয়ম।

ঈদের দিনই হোক ‘ট্রিট মিল’
বলাবাহুল্য, ঈদের দিন কিছুটা বেহিসেবি খাওয়া-দাওয়াই হবে। অনেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ঈদের ভূরিভোজ করেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। বরং যারা ডায়েটে আছেন তারাও নিজের পেট ও মনকে পুরোপুরি গুরুত্ব দিয়েই ঈদ উদযাপন করুন। তবে ঈদের এই খানাপিনাকে ‘ট্রিট মিল’ হিসেবে গণনা করুন। অর্থাৎ শুধু ঈদের দিন উপলক্ষেই আহারে এই বিশেষ ছাড়। ঈদ-পরবর্তী দিন থেকেই ফিরে যেতে হবে সাধারণ খাবার রুটিনে।

প্রতিবেলায় মাংস নয়
ঈদের পর বেশ কিছুদিন বাড়িতে মাংসের কোনো না কোনো পদ রান্না করাই থাকে। অনেকের বাড়িতে টানা সাত থেকে আট দিন পর্যন্ত চলে মাংস খাওয়া। এর পরিবর্তে এক দুই দিন পরপর মাংস খান। প্রতিদিন খেলেও শুধু একবেলাই পাতে মাংস রাখুন। অন্যান্য বেলায় কম ক্যালরিযুক্ত হালকা খাবার খান।

তেল, চর্বি ও মসলা বাদ
আমাদের ঐতিহ্যবাহী গরু, খাসির মাংসের প্রায় সব পদেই সাধারণত প্রচুর তেল-মসলা ব্যবহার করা হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত তেল, মসলাযুক্ত খাবার। এজন্য করতে পারেন মাংসের নানা পদের এক্সপেরিমেন্ট। প্রতিবার মসলাযুক্ত মাংসের তরকারি রান্না না করে তৈরি করতে পারেন কমমসলা যুক্ত বিভিন্ন বিদেশি রেসিপি। তা ছাড়া মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বিই শরীরে বেশি ফ্যাট তৈরি করে। রান্নার আগেই মাংস থেকে চর্বির অংশ কেটে ফেলে দিন। কিংবা রান্নার পর তেলের ওপর ভেসে থাকা চর্বি চামচ দিয়ে সরিয়ে ফেলুন।

মিষ্টান্ন, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
ঈদ মানেই মুখমিষ্টির আয়োজন। তবে খেয়াল রাখবেন এই ঈদে এমনিতেই মাংস তুলনামূলক বেশি খাওয়া হয়। এর সঙ্গে চিনিযুক্ত খাবার যোগ হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। স্থূলতা এড়াতে ঈদের খাবার তালিকা থেকে ডিজার্ট আইটেম একেবারেই বাদ রাখুন। আবার পোলাও, মাংস খাবার খাওয়ার পর কমবেশি সবাই কোমল পানীয় পান করতে পছন্দ করেন। খাবার হজম করে এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এগুলো স্বাস্থ্য ও ডায়েটের জন্য বেশ ক্ষতিকর। পরিবর্তে খাবার হজম করতে টক দই, ঘরে তৈরি সোডা ইত্যাদি পান করুন।

বেশি পানি পান করুন
ঈদে ভারী খাবার খাওয়ার আগে প্রতিবার এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন। তাহলে ক্ষুধাভাব অনেকটাই কমে যাবে। ফলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার সুযোগ থাকবে না। আবার মাংস জাতীয় খাবার হজম করতেও পাকস্থলীর বেশি সময় লাগে। পানি খাবার হজমে সহায়তা করে ও পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে। 

সালাদ, ফলমূল হোক সঙ্গী
খাবার প্লেটে মাংসের পাশাপাশি নিয়মিত সালাদ ও ফলমূল রাখুন। প্লেটের অন্তত অর্ধেক সবজি, সালাদ, ফলমূল দিয়ে পূর্ণ করার চেষ্টা করুন। তাহলে খুব বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়ার সুযোগ পাবেন না। বাড়িতে তৈরি শসা, লেবু, পেঁয়াজ দিয়ে মাখানো নিতান্তই সাধারণ সালাদও ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। টক দই ড্রেসিং করে তৈরি করতে পারেন বাহারি বিদেশি সালাদ। এ ছাড়া লেবু, কমলা, আঙুরজাতীয় সাইট্রাস ফল শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।

হাঁটার অভ্যাস করুন
ঈদের ছুটি সাধারণত শুয়ে-বসে আত্মীয়দের বাসায় বেড়িয়ে কাটানো হয়। অন্য সময়ের চেয়ে বেশি খাওয়া-দাওয়া উপরন্তু কাজ কম করার ফলে সহজেই ওজন বেড়ে যায়। এ সময় শরীরচর্চা বা বাইরে কাজকর্ম না করা হলেও নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।

কলি

ফ্রিজ ছাড়া মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
ফ্রিজ ছাড়া মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির পর মাংস একবারে খেয়ে ফেলা অসম্ভব বলেই অনেকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এটা সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ উপায় হলেও বিকল্প আরও নানা পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করতে পারবেন। কিছু নিয়ম মানলে সহজেই মাংস সংরক্ষণ করা যায়।

জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ
মাংস মাঝারি সাইজে কেটে ভালোমতো ধুয়ে সব পানি ঝরিয়ে নিন। এমন একটা পাত্র নিন, যেন ওই পাত্রেই মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। পাত্রে বেশি পরিমাণে চর্বি দিয়ে তাতে মাংস দিন। এবার পরিমাণমতো লবণ এবং গরম মসলা ও তেজপাতা দিন। মাংসের অন্য সব মসলাও দিলে বেশি স্বাদ হয়। তবে তা দিতে হবে পরিমাণে সামান্য। বেশি মসলা দিলে রান্না করা মাংসের মতো হয়ে যাবে। চুলায় আঁচ বাড়িয়ে জ্বাল দিন। সব চর্বি গলে গেলে খেয়াল করুন মাংসে পানি আছে কি না। যদি পানি থাকে তা শুকিয়ে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ঢেকে রেখে দিন। প্রতিদিন দুবার করে জ্বাল দিলে এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন মাংস।

লবণ পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে লবণ, কিউরিং লবণ, মসলা এবং ব্রাউন চিনি অথবা খাবার লবণ, সোডিয়াম নাইট্রেট ও সোডিয়াম ল্যাকটেট দিয়ে মাংস মেখে ২৪ ঘণ্টা রেখে এরপর ফ্রিজে এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতি টিএফডিএ অনুমোদিত। সল্টিং পদ্ধতিতে মাংস সবচেয়ে বেশি টাটকা এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। মাংসের অক্সিডেটিভ ও মাইক্রোবিয়াল পচন প্রতিরোধ এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে ভালো হয়। এই পদ্ধতি টিএফডিএ অনুমোদিত। সল্টিং পদ্ধতিতে মাংস সবচেয়ে বেশি টাটকা এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। 

মাংসের আচার
আম, জলপাই কিংবা বরইয়ের মতো মাংসেরও আচার তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। হাড়-চর্বি ছাড়া মাংস ছোট ছোট করে কেটে আচার বানিয়ে ফ্রিজের বাইরেও সংরক্ষণ করতে পারেন বছর খানেক। তেলের নিচে ডুবে থাকলে এই আচার একদমই নষ্ট হবে না। মাঝে মধ্যে রোদে দিলেই অনেক দিন ভালো থাকবে।

শুঁটকি করে সংরক্ষণ 
মাংস শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে সংরক্ষণ করা হলো একটি প্রাচীন পদ্ধতি, যা এখনো প্রচলিত আছে। প্রথমে মাংস পাতলা ও লম্বা করে কেটে মসলা মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। মাংস পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে এয়ারটাইট কনটেইনারে সংরক্ষণ করুন। শুঁটকি মাংস সাধারণত ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। 

স্মোকিং পদ্ধতিতে
এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি। যেখানে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মাংস পোড়ানো হয়। এ পদ্ধতিতে দুটি উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করা হয়। একটি হলো হট স্মোকিং আর অন্যটি হলো কোল্ড স্মোকিং। হট স্মোকিংয়ে ৩০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়। কোল্ড স্মোকিং পদ্ধতিতে ১২-২৪ ঘণ্টা স্মোকিং আগুনে ৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পোড়াতে হয়। তাপের ধোঁয়ার ফলে মাংসের জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এই পদ্ধতি সাধারণত মাংস ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকেন।

মাংস ভেজে সংরক্ষণ
মাংস কেটে পরিষ্কার করে আদা বাটা, রসুন বাটা পেঁয়াজ বাটা দিয়ে মাংসটি কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এরপর গরম ডুবো তেলে মসলাসহ মাংসগুলো ভেজে নিয়ে তেল ছেঁকে তারপর মাংস সংরক্ষণ করা যায়।

মাংসের সসেজ করে 
মাংসের সসেজ সংরক্ষণ করা সহজ। সসেজ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। মাংসের সসেজ তৈরির জন্য প্রথমে মাংস কিমা করে নিন। এরপর তাতে মসলা ও প্রিজারভেটিভ মিশিয়ে মেখে নিন। সসেজের খোল তৈরি করে মিশ্রণটি ভরে দিন। কড়া রোদে টানা কয়েক দিন শুকিয়ে বাইরে ঝুলিয়ে রাখুন। এভাবে মাংসের সসেজ ভালো থাকবে তিন-চার মাস পর্যন্ত।

কলি

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়
ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক জীবনে প্রায় সব বয়সী মানুষই এখন ঘুমের সমস্যায় ভুগেন। যার প্রভাব পড়ে মন, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন কাজকর্মের উপর। ঘুমের সমস্যা মানেই তা ইনসমনিয়া পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এমনটা নয়। ছোটখাটো কিছু অভ্যাস পরিবর্তন ও পদ্ধতি মেনে চললে চাইলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায়।

ঘুমের সময় নির্ধারণ রাখুন
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি হল ঘুমাতে যাবার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা। শহুরে জীবনে কাজের ব্যস্ততা কিংবা গল্পগুজব করতে করতে প্রায়ই বিছানায় যেতেই আমাদের দেড়ি হয়ে যায়। যত বেশি রাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিবেন অনিদ্রাও কিন্তু ততটাই চেপে বসবে। তাই দ্রুত ঘুমানোর জন্য রাত নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যবর্তী একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাছাড়া কিছুদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্ক এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এতে করে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়।

ব্লু লাইট দূরে রাখুন
ব্লু লাইট মূলত স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বিভিন্ন প্রযুক্তি মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলো। এই নীল আলো শুধু আমাদের দেখতেই সাহায্য করে না সেই সঙ্গে আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী মেলাটোনিন হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে রাতের বেলাও আমাদের মস্তিষ্কে দিনের মতো উদ্দীপনা অনুভব হয় এবং ঘুমের চাহিদা কমে যায়। তাই রাতে ঘুমাতে যাবার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।

ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন
অনেকে  যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় চাইলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বিষয়টি মোটেই এমন সহজ নয়। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য হালকা রঙের বিছানা, বালিশ ব্যবহার করুন। ঘর অন্ধকার এবং শব্দহীন থাকলে সহজে ঘুম চলে আসে। ঘুম না আসলেও চোখ বন্ধ করে রাখার অভ্যাস তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন আই মাস্ক। সঙ্গে শুনতে পারেন প্রাকৃতিক কিংবা স্বস্তিদায়ক কোনো সুর। এভাবে কিছুক্ষণ ঘুমানোর জন্য অপেক্ষা করলে সহজে ঘুম চলে আসবে।

ব্রেদিং মেডিটেশন করুন
পরিবেশ, সময়, ব্লু লাইট এর ব্যবহার এসবকিছু ঠিক রাখার পরও যদি ঘুমাতে দেড়ি হয় তাহলে করতে পারেন ব্রেদিং মেডিটেশন। এটি ৪-৭-৮ পদ্ধতি নামেও পরিচিত এবং জনপ্রিয়। ব্রেদিং মেডিটেশন এর জন্য প্রথমে ঘুমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিছানায় যান। এরপর আপনার জিহবার সামনের অংশ উপরের দাঁতের পেছন অংশে লাগিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিন। পরে ঠোঁট বন্ধ করে আবার ৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে জোরে শ্বাস নিন। ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত নিঃশ্বাস ধরে রেখে ৮ সেকেন্ডের মাথায় ধীরে ছেড়ে দিন। এভাবে তিনবার শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করলে স্নায়ুতন্ত্র ঠান্ডা হয় এবং দ্রুত ঘুম আসে।

গরম দুধ পান করুন
সুন্দর ত্বক ও পুষ্টির জন্য অনেকে নিয়মিত দুধ পান করে থাকেন। প্রতিদিনের এক কাপ দুধ যদি ঘুমাতে যাবার আগে আগে খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে দ্রুত ও ভালো ঘুম হবার ক্ষেত্রেও উপকার পাবেন। দুধ খেলে শরীরে সেরোটোনিন নামক হরমোন উতপাদন বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ক শান্ত করে ঘুম পেতে সাহায্য করে। দুধে থাকা বিভিন্ন উপাদান মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে রাতের ঘুমের চক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।