কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানাল প্লেটোর সমাধিস্থল । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানাল প্লেটোর সমাধিস্থল

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানাল প্লেটোর সমাধিস্থল
ছবি: সংগৃহীত

প্রচুর ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করছেন গবেষকরা। রোগ নির্ণয়, নতুন মৌল শনাক্ত করা থেকে শুরু করে নানা জটিল সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

এবার ইতালির পিসা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাচীন যুগের প্যাপিরাস কাগজে থাকা একটি লেখা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে তারা জানতে পেরেছেন, কোথায় গ্রিক দার্শনিক প্লেটোকে সমাহিত করা হয়েছে।

প্যাপিরাস কাগজগুলো পাওয়া যায় মাউন্ট ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ৭৯ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীর পাশের শহর হারকিউলেনিয়ামে। এই কাগজগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে হাতের স্পর্শে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারত। সেখানেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে এসেছে। অপটিক্যাল ইমেজিং, থার্মাল ইমেজিং ও টোপোগ্রাফি ব্যবহার করে প্যাপিরাসে থাকা ১ হাজার শব্দ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন গবেষকরা, যা মূল লেখাগুলোর ৩০ শতাংশের কাছাকাছি।

এর স্ক্যান করা ডেটা বিশ্লেষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানিয়েছে, কাগজগুলোর একটিতে দার্শনিক গ্যাদারার ফিলোডেমাসের লেখা রয়েছে। যিনি অ্যাথেন্সে পড়াশোনা করেছিলেন এবং পরবর্তী সময় ইতালিতে এসে বসবাস করেছিলেন।

তার লেখায় তিনি প্লেটো, প্লেটোর প্রতিষ্ঠিত একাডেমি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) ও তার সমাধিস্থল সম্পর্কেও লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, প্লেটোকে একাডেমির মধ্যেই তার জন্য সংরক্ষিত বাগানেই সমাহিত করা হয়েছিল।

ঐতিহাসিকরা জানতেন যে, ৩৪৮ থেকে ৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে মারা যাওয়া প্লেটোকে তার প্রতিষ্ঠিত একাডেমিতেই সমাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু সঠিক স্থান সম্পর্কে তারা নিশ্চিত ছিলেন না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর এই গবেষণা সমাধিস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে।

ইউরোপীয় দর্শনের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন প্লেটো। তিনি ছিলেন সক্রেটিসের সরাসরি ছাত্র। আরেক বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের গুরু।

সূত্র: এনডিটিভি 

 

 

গত ৫০ বছরের সবচেয়ে বড় সৌরঝড়

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
গত ৫০ বছরের সবচেয়ে বড় সৌরঝড়
প্রবল ঝড়ে সৌরশিখা ছিটকে বেরিয়েছে সূর্যের বাইরে মহাকাশেও। ছবি: নাসা

সম্প্রতি শক্তিশালী সৌরঝড় সংঘটিত হয়েছে। এই সৌরঝড়কে গত ৫০ বছরের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রবল ঝড়ে সৌরশিখা ছিটকে বেরিয়েছে সূর্যের বাইরে মহাকাশেও। সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। এবার শক্তিশালী সৌরঝড়ের ফলে উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে উত্তর মেরুতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের আকাশ। ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, সৌরঝড়ের কারণে বিভিন্ন দেশে বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড, উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও সংযোগ ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের কার্যক্রমে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সৌরঝড়ের ছবি তুলেছে। সংস্থাটির একাধিক ক্যামেরায় সৌরঝড়ের মুহূর্ত ধরা পড়েছে। নাসা জানিয়েছে, ১৪ মে সূর্য থেকে শক্তিশালী সৌরশিখা নির্গত হয়েছে। এ সময় বিস্ফোরণের ঘনত্ব ছিল এক্স৮.৭। এর আগে চলতি মাসের ১১ ও ১৩ তারিখে  সূর্যে একই জায়গায় দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ১৪ তারিখ ওই একই জায়গা তৃতীয় বিস্ফোরণ হয়। সেই কারণেই তৃতীয় বিস্ফোরণের অভিঘাত তীব্র ছিল।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ‘আদিত্য-এল১’ সৌরযানও তীব্র সৌরঝড়ের ছবি তুলেছে। ইসরো গত মঙ্গলবার আদিত্য-এল১ এর তোলা সৌরঝড়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেছে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে (এল ১ পয়েন্ট) রয়েছে আদিত্য-এল১। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে সে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে। চাঁদ থেকেও এই ঝড়ের ছবি তোলা হয়েছে। চাঁদের চারদিকে ঘুরছে চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার। সেই ক্যামেরাতেও সৌরঝড় ধরা পড়েছে।

সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। সৌরঝড়ের কারণে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্পেস এক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক এ বিষয়ে এক্সে লিখেছেন, ‘অনেক চাপ তৈরি হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যাচ্ছে।’

এ ছাড়া সৌরঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন দেশের আকাশে যে উজ্জ্বল বেগুনি, সবুজ, হলুদ ও গোলাপি রঙের আলো দেখা যাচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে নর্দার্ন লাইট বা উত্তরের আলো। জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইংল্যান্ড, স্পেনসহ নানা দেশে দেখা যাওয়া এই আলো বিজ্ঞানীদের কাছে ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ নামে পরিচিত। ১৬১৯ সালে এই শব্দের নামকরণ করেন বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই। তিনি রোমান ভোরের ঈশ্বর অরোরার নামে নামকরণ করেন।

নাসা জানিয়েছে, এ ঘটনায় সূর্য শক্তিশালী সৌরশিখা তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্তত সাতটি প্লাজমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল, যা করোনা নামে পরিচিত, সেখানে কোটি কোটি টন প্লাজমা ও শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়। সৌরঝড়ের কারণে সৃষ্ট অগ্নিশিখার জন্য পৃথিবীর ব্যাসের ১৬ গুণ বেশি সানস্পট বা সূর্যদাগের যুক্ত বলে মনে করা হয়। সূর্য যখন তার ১১ বছরের চক্রের শীর্ষে পৌঁছায় তখন সৌরঝড় দেখা যায়। সূত্র: নাসা

/আবরার জাহিন

স্পেস এক্সের নতুন স্পেস স্যুট প্রদর্শন

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
স্পেস এক্সের নতুন স্পেস স্যুট প্রদর্শন
ছবি: স্পেস এক্স

আমেরিকান মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশ যাত্রায় সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এবং ‘ইন্সপিরেশন৪’ মিশনের কমান্ডার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান মানুষের স্পেস ফ্লাইট সক্ষমতা দ্রুত বিকাশ ঘটাতে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এজন্য তারা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘পোলারিস প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ দাতব্য ও মানবিক কাজকে সমর্থন করা। জ্যারেড আইজ্যাকম্যান উদ্যোক্তা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরোপকারীও বটে।

সম্প্রতি এক প্রেস রিলিজে স্পেস এক্স পোলারিস প্রোগ্রামের মহাকাশচারীরা যে স্পেস স্যুটগুলো পরবে তার বর্ণনা করেছে। একই সঙ্গে নভোচারীরা এই প্রোগ্রামের তিনটি মহাকাশ মিশনের সময় যে গবেষণা পরিচালনা করবে তা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে প্রথম মিশনটি এই গ্রীষ্মে হওয়ার কথা রয়েছে।

এই মিশনগুলো নাসার ‘কমার্শিয়াল ক্রু ডেলিভারি (সিসিডি)’ প্রোগ্রামের সঙ্গে কোম্পানির অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে। স্পেস এক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ যানকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মহাকাশচারী পরিবহনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে নাসা। 

প্রতিষ্ঠানটির প্রেস বিবৃতি অনুসারে, নতুন স্যুটগুলো ‘ইন্ট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (আইভিএ)’ স্যুটের উন্নত রূপ। বর্তমানে ড্রাগন ক্রুরা এই উন্নত স্যুট ব্যবহার করছেন। এতে ‘ডেমো-টু’ মিশনের ক্রু যুক্ত ছিল, যারা ফ্লাইট সিস্টেমটি যাচাই করেছে। এ ছাড়া ইন্সপিরেশন৪ মিশনের ক্রুরাও এই স্যুট পরেছে। বিশ্বে এটিই প্রথম সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক নাগরিক কর্তৃক পরিচালিত মহাকাশ মিশন।

সর্বাধুনিক স্যুটটি ‘অ্যাক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি স্পেস স্যুট’ নামে পরিচিত। এতে বেশ কিছু নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে। স্পেস এক্স দাবি করেছে, গতিশীলতার কথা মাথায় রেখে এই স্যুট তৈরি করা হয়েছে। স্পেস এক্সের টিম চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে নভোচারীদের আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে নতুন উপকরণ, তৈরির প্রক্রিয়া ও অভিনব নকশা ব্যবহার করেছে এই স্যুটে। এ স্যুটে চাপহীন পরিস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন নভোচারীরা।

স্যুটটিতে অতিরিক্ত সিল ও পেসার ভালভের মতো অপ্রয়োজনীয় ফিচার রয়েছে। যেন ইভিএ এর সময় স্যুটে সঠিক মাত্রায় চাপ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। নতুন থ্রিডি প্রিন্টেড হেলমেটে সুরক্ষার জন্য ভিসর নামে একটি পর্দা যুক্ত করা হয়েছে। এতে একটি ক্যামেরা ও নতুন হেডস-আপ ডিসপ্লে (এইচইউডি) রয়েছে, যা স্যুটের ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।

এই স্যুটগুলো পোলারিস প্রোগ্রামের প্রথম ‘পোলারিস ডন’ নামের মিশনে ব্যবহার করা হবে। এই মিশন আগামী গ্রীষ্মে  হওয়ার কথা রয়েছে। মিশনটি আইজ্যাকম্যানের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। এটি ফ্যালকন-নাইন রকেটের ওপরে লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ থেকে উৎক্ষেপণ করবে ক্রু ড্রাগন। এই মিশনের ক্রুরা পাঁচ দিন মহাকাশে থাকবেন। এ সময় তারা পৃথিবীর সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন।

মহাকাশে অবস্থানের সময় পোলারিস ডন মিশনের ক্রুরা প্রথম বাণিজ্যিক স্পেসওয়াক পরিচালনা করবে। একই সঙ্গে তারা মহাকাশে স্টারলিংকের লেজারভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রথম পরীক্ষা করবেন।

এ ছাড়া এই মিশনের ক্রুরা ট্রান্সলেশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর স্পেস হেলথ (টিআরআইএসএইচ), বায়োসার্ভ স্পেস টেকনোলজিস, স্পেস টেকনোলজিস ল্যাব, ওয়েইল কর্নেল মেডিসিন, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি (জেএইচইউএপিএল), প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ও ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমির সঙ্গে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো মহাকাশযানে বেশি সময় অবস্থানকালে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

পোলারিস ডনের ওপর নির্ভর করে দ্বিতীয় মিশন ‘পোলারিস ২’ পরিচালিত হবে। তৃতীয় মিশন ‘পোলারিস ৩’ এ ব্যবহার করা হবে স্টারশিপ এবং সুপার হেভি লঞ্চ ভেহিকেল। তবে স্পেস এক্সের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, স্যুটগুলো প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। সূত্র: ফিজ ডট ওআরজি

 

জিন থেরাপি চিকিৎসায় কানে শুনল জন্মবধির শিশু

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
জিন থেরাপি চিকিৎসায় কানে শুনল জন্মবধির শিশু

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এক বধির শিশু জিন থেরাপির মাধ্যমে শুনতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। ওপাল স্যান্ডি নামের শিশুটি জিনগত উত্তরাধিকার সূত্রে বধির হয়ে জন্ম নিয়েছিল। পরে জিন থেরাপির মাধ্যমে তার কানের ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ প্রতিস্থাপন করা হয়। তার মা জো ও বাবা জেমস ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ার থেকে বলেছেন, চিকিৎসার ফলাফল তাদের মন ছুঁয়ে গেছে।

এই থেরাপিতে রোগীর জিনোম কাঠামো পরিবর্তনের জন্য একটি কার্যকরী অনুলিপি সরবরাহ করা হয়। আর এই অনুলিপিটি পাঠানো হয় নিরীহ ও মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে অক্ষম ভাইরাসের মাধ্যমে।

ওপাল তার ডান কানে এই থেরাপি পেয়েছে। আর এর কয়েক সপ্তাহ পরেই সে ডান কানে স্বাভাবিক মানুষের মতোই উচ্চমাত্রার শব্দ শোনা শুরু করে। আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেমব্রিজের অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালের ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন যে, সে এখন খুব নরম ও ফিসফিস হওয়া শব্দও শুনতে পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও স্পেন থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ওপালকে জিন থেরাপির চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তার চিকিৎসা করাতে রাজি হওয়াটা খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল বলেও জানিয়েছেন ওপালের বাবা-মা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জো বলেন, ‘এটি সত্যিই ভীতিকর ছিল। তবে একই সঙ্গে আমি ভাবছিলাম, আমাদের জন্য এটি অনন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

ওপালের বড় বোন পাঁচ বছর বয়সী নোরার একই ধরনের বধিরতা রয়েছে। তবে ইলেক্ট্রিক কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে সে এখন কথা শুনতে পায়। তবে শ্রবণযন্ত্রের মতো উচ্চমাত্রার শব্দ শোনার পরিবর্তে সে শুধু শব্দের সংবেদনশীলতা গ্রহণ করতে পারে। সূত্র: বিবিসি

মঙ্গল গ্রহে যাত্রার প্রস্তুতি ৪৫ দিনের কৃত্রিম অভিযানে নাসার নতুন দল

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
৪৫ দিনের কৃত্রিম অভিযানে নাসার নতুন দল
'মার্স ডুন আলফা' ধারণাগত মঙ্গল গ্রহের ভিজ্যুয়ালাইজেশন

চলতি মাসেই মঙ্গল গ্রহে কৃত্রিম অভিযানে যাত্রা করবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নির্বাচিত চার সদস্যের একটি দল। আসলে মঙ্গল গ্রহে না গিয়ে পৃথিবীতেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ৪৫ দিনব্যাপী এই অভিযানের মাধ্যমে মঙ্গলে কাজ ও বসবাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এই স্বেচ্ছাসেবক দল।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে (জেএসসি) নির্মিত হয়েছে একটি বিশেষ আবাসস্থল। যেখানে এই কৃত্রিম মঙ্গল অভিযান পরিচালিত হবে। এই আবাসস্থল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। এখানে কাজ ও বসবাসের ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের সম্ভাব্য অবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরবে। নির্বাচিত দলটির সদস্যরা হলেন- জেসন লি, স্টেফানি নাভারো, শরিফ আল রোমাইথি ও পিজুমি উইজেসেকরা। আজ ১০ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত তারা নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রিসার্চ অ্যানালগ (এচইআরএ) নামের এই কৃত্রিম আবাসস্থলে অবস্থান করবেন। এ ছাড়া এই অভিযানের জন্য দুজন বিকল্প সদস্যকেও বাছাই করা হয়েছে। তাদের নাম হলো- জোস বাকা ও ব্র্যান্ডন কেন্ট।

এই মিশন নাসার হিউম্যান রিসার্চ প্রোগ্রামের (এএইচআরপি) অংশ। এই প্রোগ্রামে মহাকাশ ভ্রমণে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে গবেষণা করে। এই চার সদস্যের অভিযান বিজ্ঞানীদের মানুষের শরীরের ওপর বিচ্ছিন্নতা, আবদ্ধ থাকা এবং দূরবর্তী পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য দেবে।

নাসা জানিয়েছে, যে জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে তার নাম ‘মার্স ডুন আলফা’। মঙ্গল গ্রহের ধারণাগত ভিজ্যুয়ালাইজেশন হচ্ছে মার্স ডুন আলফা। যেখানে রয়েছে থ্রি-ডি-প্রিন্টেড থাকার জায়গা। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে আলাদা ঘর ও রান্নাঘর। এ ছাড়া ছোট আকারের হাসপাতাল, খেলাধুলার জায়গা, শরীর চর্চার জন্য জিম, বাথরুম সবই আছে। সেখানে ফসল ফলানোর জায়গাও আছে। এমন ব্যবস্থাও থাকছে, কখনো যদি কোনো যন্ত্র বিকল হয় বা আবহাওয়াজনিত কারণে যদি কোনো বিপদে পড়তে হয়, তাহলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের কী কী করতে হবে।

দেড় মাসের এই অভিযানে ক্রু সদস্যরা কেবলমাত্র গবেষণা চালানো ও বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করবেন না। তারা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাহায্যে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে হাঁটার অভিজ্ঞতাও লাভ করবেন এবং মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যেখানে মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগবে, অর্থাৎ মঙ্গল থেকে কোনো বার্তা পাঠালে পৃথিবীতে সাড়ে পাঁচ মিনিট পরে পৌঁছায়। তেমনি পৃথিবী থেকে কোনো বার্তা পাঠালে মঙ্গলে সাড়ে পাঁচ মিনিট পরে পৌঁছায়। সেই পরিস্থিতিও এই অভিযানে অনুকরণ করা হবে।

তবে মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে বার্তা পাঠানোর সময় নির্ভর করে দুটি গ্রহের মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং বার্তা পাঠানোর পদ্ধতির ওপর। নাসা ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক (ডিএসএন) নামের বিশেষ অ্যান্টেনা ও যোগাযোগ সরঞ্জামের একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে বার্তা পাঠাতে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এই সময়গুলো কেবলমাত্র অনুমান। বাস্তব সময় বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা, যন্ত্রপাতির ত্রুটি ও অন্য কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে একটি ছবি পাঠিয়েছে। রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে ছবিটি পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ১৪ মিনিট সময় লেগেছে।

এইচআরপির মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েও গবেষণা চালানো হবে। এই গবেষণাগুলোয় প্রতিটি ক্রু সদস্যের শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত প্রতিক্রিয়ার ওপর নজর থাকবে। এই গবেষণা মহাম্মদ বিন রাশিদ স্পেস সেন্টার (এমবিআরএসসি) ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইসা)-এর সহযোগিতায় চলমান গবেষণাকে সহায়তা করবে। এটি মঙ্গলে প্রকৃত অভিযানের সময় মহাকাশচারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা দেবে। এই ধরনের কৃত্রিম অভিযানের মাধ্যমে গবেষকরা মহাকাশ অভিযানে মানুষ সামনে আসবে এমন সম্ভাব্য বাধাগুলো দূর করার উপায় আগে থেকে জানতে পারবেন।

এইচইআরএ মিশনটি মাত্র ৪৫ দিনের হলেও, নাসার আরও একটি চলমান গবেষণা প্রকল্প রয়েছে যার নাম ক্রু হেলথ অ্যান্ড পারফরম্যান্স এক্সপ্লোরেশন এনালগ (সিএইচপিইএ)। এই গবেষণায় মঙ্গলে পুরো এক বছর কাটানোর অভিজ্ঞতা কেমন হবে, সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। সিএইচপিইএ মিশনের জন্য আলাদা একটি আবাসস্থল ব্যবহৃত হয়, যা এটিচইআরএ মিশনের আবাসস্থল থেকে আলাদা হলেও জনসন স্পেস সেন্টারেই অবস্থিত।

কৃত্রিম অভিযানে নাসার দলের সদস্যদের পরিচিতি


ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেকানিক্যাল, এয়ারোস্পেস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক জেসন লি এবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন নাম হয়ে উঠছেন। তিনি কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের থার্মাল ফ্লুইড, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং স্পোর্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষাদান করছেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক প্রোগ্রামের পরিচালক এবং নাসার কানেকটিকাট স্পেস গ্রান্ট কনসোর্টিয়ামের ক্যাম্পাস পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই দলটিতে আরও রয়েছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর রিজার্ভের স্পেস অপারেশন্স অফিসার স্টেফানি নাভারো। মধ্যপাচ্যে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে সহায়তা করার জন্য অপারেশন ফ্রিডম সেন্টিনেল মিশনে নিয়োজিত হওয়ার আগে তিনি এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে ১০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। তিনি তার বেসামরিক ক্যারিয়ার শুরু করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। আমরিকার হাওয়াইয়ের তথ্য কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ প্রকল্পে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নর্থরপ গ্রুম্যানে স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রোগ্রামে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

দলে আছেন শরীফ আল রোমাইথি, যিনি বিমান সংস্থায় চালক হিসেবে ১৬ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তিনি একাধিক এয়ারবাস ও বোয়িং বিমানে ৯ হাজার ঘণ্টার বেশি সময় উড্ডয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ বিমানের ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বিমান চালনা ক্ষেত্রে তার দক্ষতা এবং নেতৃত্বের স্বাক্ষর দেয়।

এ ছাড়া দলে রয়েছেন পিয়ুমি উইজেসেকারা, যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত নাসা এমস রিসার্চ সেন্টারের রেডিয়েশন বায়োফিজিক্স ল্যাবরেটরিতে পোস্টডক্টরাল রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তার গবেষণা মহাকাশযান চলাকালীন আয়নাইজিং বিকিরণ ও চাঁদের ধূলিকণাসহ মহাকাশের চাপের প্রভাব মানব শ্বাসযন্ত্রের ওপর কীভাবে পড়ে, তা জানার জন্য টিস্যুর মডেল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

জোস বাকা টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি মডিউলার সিস্টেম ডিজাইন, ড্রোনসহ চালকবিহীন যানবাহনের কার্যকারিতা উন্নতকরণ ও জটিল পরিবেশে মাল্টি-রোবট দলের সমন্বয় সাধনের ওপর কাজ করেছেন।

ব্র্যান্ডন কেন্ট মেডিকেল পরিচালক হিসেবে ঔষধ শিল্পে কাজ করছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন থেরাপি উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

জাহ্নবী

 

মৃত্যুর আগেই ফিরে আসে স্মৃতি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
মৃত্যুর আগেই ফিরে আসে স্মৃতি
ছবি: সংগৃহীত

ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া রোগের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, মৃত্যুর কিছুদিন আগে এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই তাদের স্মৃতিশক্তি ফিরে পান। সায়েন্স অ্যালার্টে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

যখন ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্মৃতিশক্তি ফিরে পান- সে পরিস্থিতিকে চিকিৎসকরা বলেন ‘লুসিডিটি’। এ সময় রোগীরা তাদের প্রিয়জনের কথা মনে করতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাছের মানুষের সঙ্গে তারা রসিকতাও করেন এবং অর্থপূর্ণ আলাপেও অংশ নেন। যেসব স্মৃতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়- সেগুলোও ফিরে আসতে থাকে।

কিন্তু চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, লুসিডিটি দেখা দিলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪৩ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয় এবং ৮৪ শতাংশ রোগী মারা যায় এক সপ্তাহের মধ্যে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম ঘটে। এমনও আছে যে লুসিডিটির ছয় মাস পরেও রোগী দিব্যি বেঁচে আছেন।

তবে কেন লুসিডিটি ঘটলেই মৃত্যু ঘনিয়ে আসে- এর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি। কারণ ডিমেনশিয়াতে মস্তিষ্কের নিউরনের যে ক্ষয় হয়, তা পূরণ হওয়া আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব একটি ঘটনা। তাই হঠাৎ হারানো স্মৃতি ফিরে আসার ঘটনাটিকে প্যারাডক্স হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

এরপরেও লুসিডিটিকে যারা কাছ থেকে দেখতে পান, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহ চমৎকার এবং মূল্যবান একটি অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও তারা রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে হলেও ফিরে পান এবং চিরচেনা মানুষকে চূড়ান্ত বিদায় দেওয়ার সুযোগও পেয়ে যান।

ডিমেনশিয়া একটি নিউরোডিজেনারেটিভ একটি রোগ। অর্থাৎ এই রোগে মস্তিষ্কের নিউরনগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোনো স্মৃতি ক্রমেই ভুলে যেতে থাকে এবং এক সময় সাধারণ কাজকর্ম করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। শিশুর মতো নতুন এক অস্তিত্বে পরিণত হয়। পুরোনো ব্যক্তিসত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলার কারণে এই রোগকে ‘দীর্ঘ বিদায়’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। কারণ এই রোগ একবার হলে সাধারণভাবে পুনরুদ্ধারযোগ্য নয় বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট