ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

আগামীর ব্যালট রেভুলেশনে তরুণদের জয় হবে: নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম
আগামীর ব্যালট রেভুলেশনে তরুণদের জয় হবে: নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী
এনসিপিরি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামীর ব্যালট রেভুলেশনে তরুণদের জয় হবে। আমরা পার্লামেন্টে যাবই যাব। তরুণদের চোখ এখন পার্লামেন্টের দিকে। এই পার্লামেন্টে যাওয়ার পথে কোনো পক্ষ, গোষ্ঠী বা দল যদি বাধা সৃষ্টি করে, তরুণরা তাদের নিজের রক্ত দিয়ে হলেও সেই পার্লামেন্টের পথে অগ্রসর হবে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিজ মেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে মসজিদের ইমামসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হবে। যারা এতদিন টাকার জন্য নির্বাচন করতে পারেনি, তারা এখন নির্বাচান করবে।

নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘কেউ বাধা দিবেন, আসুন আমরাও খেলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের একটাই শত্রু, সেটা হলো আওয়ামী লীগ। বর্তমানে আমাদের লড়াইটা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে। নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের যে নিবন্ধন রয়েছে, তা বাতিল করা।’

এনসিপির শাহরাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি মো. তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শাহরাস্তির সমন্বয়ক মো. আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত, সদস্য সাইফুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মহিউদ্দিন, দলের চাঁদপুর জেলা যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব রিয়াদ, হাজিগঞ্জ প্রতিনিধি মোহাইমিনুল ইসলাম, শাহরাস্তি প্রতিনিধি মো. রেদোয়ান প্রমুখ। 

ফয়েজ আহমদ ফয়েজ/মাহফুজ

 

তারেক রহমান ৫ বছর আগেই সংস্কারের রূপরেখা দেন: এ্যানী

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
তারেক রহমান ৫ বছর আগেই সংস্কারের রূপরেখা দেন: এ্যানী
নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যে সংস্কারের চিন্তা সরকার করছে, পাঁচ বছর আগেই তরুণ নেতা তারেক রহমান সেই সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন। তারেক রহমানের সেই সংস্কারগুলো সমাজে সমাদৃত হয়েছে এবং সরকার গ্রহণ করছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল হয়তো বলার জন্য কিছু বলে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তারেক রহমান এই প্রস্তাবনাটা এমনভাবে দিয়েছেন যেন ভবিষ্যত রাজনৈতি এক ব্যক্তির হাতে না থাকে, এক দলের হাতে না থাকে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আমরা যারা আন্দোলন করেছি সবাই মিলে যদি জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করি তাহলেই আমাদের দেশে একটি সঠিক রাজনৈতিক পরিবেশ আসবে, স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে তৈরী হবে।

বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন বিপরীতমূখি ঘটনা নয়। এদেরকে ইচ্ছে করেই মুখোমুখি করা হচ্ছে।

নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালা। ছবি: খবরের কাগজ

সৈয়দপুরে তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন বলেন, ৩১ দফা একটি পরিকল্পিত রুপকল্প যার মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের সবগুলো উপাদান রয়েছে। রাষ্ট্রকাঠামোকে আমরা আরও কীভাবে স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসব, তার পাশাপাশি রয়েছে আমরা কীভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শিল্পায়নসহ প্রতিটি সেক্টরকে সাজাতে চাই। কীভাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, কীভাবে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনব, কৃষক-শ্রমিকসহ প্রতিটি পেশার মানুষের জন্য ন্যায্য মজুরী যেন নিশ্চিত করতে পারি এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

কর্মশালায় বিএনপি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে এসময় দলের কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস নেওয়াজ হালিমা আরলী, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি নীলফামারী শাখার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বক্তব্য রাখেন।

একইভাবে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনিন, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

বৈষম্যবিরোধী নেতাকে গণপিটুনি, উদ্ধার করলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
বৈষম্যবিরোধী নেতাকে গণপিটুনি, উদ্ধার করলেন বিএনপি নেতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য এসকে সুজন। ছবি: খবরের কাগজ

মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য এসকে সুজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে  যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনা ঘটে । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি তারা পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেন। এর পর স্থানীয়রা মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের এলাকায় দেখে সতর্ক করেন। এর জেরে রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী নেতা পরিচয়দানকারী সুজনসহ মাদক কারবারিরা ৮–১০টি মোটরসাইকেলে করে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আসে। এ সময় তারা স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দিতে থাকে, ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে  স্থানীয়রা সংগঠিত হয়ে সুজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। মাদক কারবারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। ঠিক সে সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি হট্টগোল দেখে গাড়ি থেকে নেমে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং তাকে মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ায় ভর্ৎসনা করেন। এর পর কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়। 

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সুজন হোসেনের মোবাইল ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সমন্বয়ক রাশেদ খান সুজন জেলা শাখার সদস্য জানিয়ে বলেন, 'শুনেছি ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে, তবে তা মীমাংসাও হয়ে গেছে।' 

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।'

তুহিন/মেহেদী/ 

লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় বিএনপির  ১৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় বিএনপির  ১৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় বিএনপির  ১৭ নেতাকর্মীকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত স্বেছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী হত্যা মামলায় বিএনপি ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আবুল খায়ের গাজী, খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আবদুল মান্নান গাজী, সিদ্দিক আলী, সোলায়ানমান দেওয়ান, নেসার উদ্দিন, ইমাম হোসেন, মিজান সরদার, শাহদাত হোসেন, খিজির আহমেদ, তসলিম উদ্দিন, হানিফ দেওয়ান ও হারুন।

এর আগে বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে একই ঘটনায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলায় ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারা সবাই বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূইয়া।

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন মারা যায়। এসব ঘটনায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলা করা হয়। এই দুই মামলায় ৭৪জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।’

এর আগে গত ৭ এপ্রিল সোমবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। 

এ সময় সাইজ উদ্দিন নামে এক বিএনপি কর্মী মারা যান। এর ৭দিন পর আহত স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনার তিনদিন পর নিহত সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফারুক কবিররাজকে প্রধান করে ২৬জনের নাম উল্লেখ ও ১৮৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

অপরদিকে ঘটনার ৮দিন পর জসিম উদ্দিন ব্যাপারী নিহতের ঘটনায় তার বাবা হজল করিম ব্যাপারী বাদী ৪৮জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা করেন।

এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে রায়পুর উপজেলা বিএনপি।

রফিকুল ইসলাম/সুমন/

দেশটা এখন খুব খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
দেশটা এখন খুব খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: মির্জা আব্বাস
ছবি: খবরের কাগজ

'আমাদের দেশটা এখন খুব খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে' উল্লেখ করে জনগণ, জাতি, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণকে যদি বিভক্ত হয় তাহলে দেশ আবারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের হাতে চলে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। তাই বিএনপি-জামায়াত, এনসিপিসহ সব দলকে জাতীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।' 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   

মির্জা আব্বাস বলেন, 'বাংলাদেশি জনগণের একটাই শক্তি রয়েছে, সেটা হলো ঐক্য। সেটা আমরা জুলাই-আগস্টে প্রমাণ করেছি। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি। আমাদের বিপরীত শক্তি দলগুলোকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।'      

দ্রুত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের যে নির্বাচনব্যবস্থা এটা কিন্তু ধসে পড়েছে। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ড. ইউনুস ঠিক করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে আমি আশা করছি, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দিবেন। ড. ইউনুস বলেছেন নির্বাচন ডিসেম্বর না হলেও জুনের মধ্যে হবে। এই কথাটাই সবাইকে একটা বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।' 

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে দেশ একটা অবস্থায় এসেছে: নির্বাচন না সংস্কার। নির্বাচনের বিকল্প অন্য কোনো কিছু হতে পারে না। দেশের জনগণ ও নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন আমরা সেই সংস্কারটুকু চাই।'

মির্জা আব্বাস বলেন, 'কয়েকটা দল বলা শুরু করেছে এইটা না হলে নির্বাচন হবে না, ওইটা না হলে নির্বাচন হবে না। যদি এগুলো বলতে থাকে তাহলে নির্বাচন কেমনে হবে! কেউ কেউ আবার বলেই ফেলেছেন যে, আমরা নির্বাচনে যাব না। কয়েকদিন আগে হলে আপনারা নির্বাচনে গেলেই কি আর না গেলেই কি! আপনাদেরকে বাংলাদেশে কে চিনত? এখন ধমক দেন আপনারা নির্বাচনে যাবেন না। এগুলো করে কোনো লাভ নেই।' 

বিদেশে বসে ব্লগাররা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে বিদেশে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্লগাররা। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। সবার কথা বলার অধিকার আছে। সত্যি কথা বলেন। মিথ্যা কথা বলে কারো চরিত্রহনন করবেন না। এখন তো দেশ স্বাধীন। দেশে এসে দেশ গঠনে কাজ করুন।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, 'কয়েকদিন আগে শফিউর রহমান নামে একজন লোক নিয়োগ হয়েছে। এ তো আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। আরও আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট কিন্তু আপনার ডানে বামে আছে। সচিবালয়ের চারজন সচিব, এর বাইরে আরেকজন সচিব মর্যাদায় রয়েছে- এই পাঁচজন এবং আপনার উপদেষ্টা পরিষদের কিছু লোক আপনাকে সঠিক রাস্তায় চলতে দেবে না। আপনার সারা জীবনের অর্জন কিন্তু এরা শেষ করে দেবে। আমরা আপনার সম্মান রক্ষা করে দেশটাকে সুন্দর করতে চাই। আপনি সফল হলে দেশটা ভালো হবে। আপনার সফলতার উপর নির্ভর করছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।' 

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

শফিকুল/মেহেদী/

ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হবে: রুমিন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হবে: রুমিন
রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় কথা বলছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের লড়াইয়ের মাটি কিন্তু কঠিন এবং আগের চেয়ে অনেক বিপদসংকুল।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় রুমিন বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রত্যেককেই তাদের এলাকায় বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আপনারাই তো বিএনপির প্রতিচ্ছবি, তাই আপনারা এমনভাবে চলুন যেন মানুষ বিএনপিকে আরও ভালোবাসে, আপনাদের দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয় এবং বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে।’

নতুন ধারার রাজনীতি নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘নতুন ধারা রাজনীতি কেমন যে, দল গঠনের আগে কোটি টাকার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হয়? নতুন দল? নতুন সংস্কার? এমন রাজনীতি কীভাবে চলতে পারে যেখানে একেকজনের গাড়ি বহরে ১৫৫ থেকে ১৬০টি গাড়ি থাকে?’

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই টাকা আসে কোথা থেকে?’

আওয়ামী লীগকে নিয়ে রুমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারণেই তারা রাজনীতিতে আসতে পেরেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কখনও কারচুপি নির্বাচন করে না এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি কারচুপি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় না।’

বিএনপির এই নেত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নিজের ভুল স্বীকার করতে জানে এবং নিজের সমালোচনা নিজেরাই করতে চিন্তা করে। এটাই বিএনপির বাইরের এবং ভেতরের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, এবং এটি আমাদের শক্তি।’

তিনি নতুন বাংলাদেশ এবং সংস্কারের প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিভিন্ন দল এসব কথায় কথায় ব্যবহার করলেও, এসবের জনক এবং স্বপ্নদ্রষ্টা বিএনপি ও তারেক রহমান।’

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।

সেলিম/তাওফিক/