চলে গেলেন সাবেক ফুটবলার জহিরুল হক । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

চলে গেলেন সাবেক ফুটবলার জহিরুল হক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
চলে গেলেন সাবেক ফুটবলার জহিরুল হক
ছবি : সংগৃহীত

হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিচ্ছিলেন চিকিৎসা। কিন্তু, সেই চিকিৎসা বিফলে গেল আজ সকালে। সকাল সাতটায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় ফুটবলার জহিরুল হক।

পূর্ব পাকিস্তান থেকে হাতেগোনা যে কয়জন পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেছিলেন তাদের একজন তিনি। যদিও তিনি বেশি জনপ্রিয় ছিলেন ঢাকা মোহামেডানের জার্সিতে। ১৯৬০-৭৬ পর্যন্ত সাদা-কালোদের হয়ে মাতিয়েছিলেন মাঠ। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির কিংবদন্তী ফুটবলারদের একজন তিনি। পাঁচবার ছিলেন ক্লাবটির অধিনায়ক। পরিচিত ছিলেন জহির ভাই নামে।

তেজগাঁও ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব দিয়ে ১৯৫৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিলেন ঢাকার ফুটবলে। দুই বছর এই ক্লাবে খেলে পরের দুই বছর খেলেন সেন্ট্রাল প্রিন্টিং অ্যান্ড স্টেশনারিতে। পুলিশ দলের হয়ে খেলেন ১৯৫৯ সালে।

১৯৫৭-৬০ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান দলে খেলেছেন।  ১৯৬০ সালে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান দলের অধিনায়ক। পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৬১ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি ম্যাচ খেলেন বার্মার সঙ্গে। ১৯৬২ সালে খেলেছেন মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। ওই বছর জাকার্তা এশিয়ান গেমসে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে।

১৯৬৪ সালে খেলেছেন চীনের পিকিংয়ে (এখন বেইজিং) অনুষ্ঠিত দেশটির স্বাধীনতা দিবস টুর্নামেন্টে। ওই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান দলে তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র খেলোয়াড়। রাশিয়ার বাকু ওয়েল মিল দলের বিপক্ষে ১৯৬৫ সালে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও করাচিতে খেলেছেন পাকিস্তান দলের জার্সিতে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ফুটবলের ১৩টি ফাইনাল খেলা ফুটবলার তিনি। চারবার আগা খান গোল্ডকাপে ফাইনাল খেলেছেন। মোহামেডানের হয়ে দুবার তাতে চ্যাম্পিয়ন। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৮৯তম জন্মদিনে ছিলেন হাসপাতালে শোয়া।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পানেসার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পানেসার
ছবি : সংগৃহীত

এপ্রিলের শেষেই ঘোষণা দিয়েছিলেন জর্জ গ্যালাওয়ের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরোতেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে পানেসার লিখেছেন, ‘ওয়ার্কাস পার্টির হয়ে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি। রাজনীতি শিখতে ও বুঝতে আমার আমার আরও সময় লাগবে।’

তিনি বুঝতে পারছেন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রাজনৈতিক ঠিকানা খুঁজে পেতে সময় দরকার।

ইলিং সাউথহল লেবার পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আর সেখানেই প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দ্য টেলিগ্রাফে একটি কলাম লিখেছিলেন পানেসার। কলামে তিনি ‘দেশের শ্রমিক শ্রেণির কণ্ঠস্বর’ হতে চান জানিয়ে ‘একদিন প্রধানমন্ত্রী হওয়া’র ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

এরপর থেকেই যুক্তরাজ্যের আইনসভার বাইরে জর্জ গ্যালাওয়ে তার দলের প্রার্থী হিসেবে অন্যদের সঙ্গে পানেসারকে উপস্থাপন করেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহের মুখেই তিনি বেশ কিছু গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। টাইমস রেডিওতে যুক্তরাজ্যের ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে নিজের অবস্থান নিয়ে বিতর্কে পড়েন তিনি।

এক্সের বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন ব্রিট (ব্রিটিশ) হিসেবে গর্বিত যে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি এখন অন্যদের সাহায্য করার জন্য কিছু করতে চাই। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, আমি এখনো আমার লক্ষ্যের কেবল শুরুর দিকে আছি এবং এখনো শিখছি কীভাবে রাজনীতি দিয়ে মানুষকে সহায়তা করা যায়।’

৪২ বছর বয়সী পানেসার ইংল্যান্ডের হয়ে ৫০ টেস্টসহ তিন সংস্করণে মোট ৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন, যার সর্বশেষটি ছিল ২০১৩ সালে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মা–বাবার সন্তান পানেসারের জন্ম লুটনে।

বিশ্বকাপের দলই শেষ দুই ম্যাচে!

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৩০ এএম
বিশ্বকাপের দলই শেষ দুই ম্যাচে!
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নির্বাচকরা যে দল ঘোষণা করেছেন, এটিই খুব সম্ভবত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল। এই ধারণা এ কারণেই প্রথম তিন ম্যাচের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই দল থেকে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে তিন পরিবর্তনে দলে আবার ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার। এই তিনজনকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন কোনো ম্যাচ না খেলেই পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন। আর শরিফুল ইসলামকে রাখা হয়েছে বিশ্রামে। বিশ্বকাপের দলে শুধুমাত্র শরিফুলই ডুকবেন। ঘোষিত দল থেকে তখন বাদ পড়বেন একজন। সে ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি তানজিম হাসান সাকিব।

দলে যে তিনজন ফিরেছেন সেখানে কোনো চমক নেই। কারণ সাকিব-সৌম্য-মোস্তাফিজের ফেরাটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু পারভেজ ইমন ও আফিফ হোসেনের বাদ পড়াটা ছিল অবাক করার মতোই। দুজনে কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন। আফিফ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই আসা-যাওয়ার মাঝে আছেন, কিন্তু পারভেজ ইমনের কপাল মন্দই বলা যায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেকের পর আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সেই যে এক ম্যাচ খেলে বাদ পড়েছিলেন, পরে আর সুযোগই পাননি। এবার সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আবার জাতীয় দলে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। তিনটি ম্যাচের একটিতেও খেলার সুযোগ হয়নি এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তিনটি সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটারের। সৌম্য সরকারকে জায়গা দিতেই তাতে বাদ পড়তে হয়েছে। পারভেজ ইমনের বাদ পড়া নিয়ে নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘সৌম্য সরকার যেহেতু ইনজুরিতে ছিল। খেলার জন্য এখন ফিট হয়েছে। আমরা চাই যে ওকে ম্যাচ সিচুয়েশনে দেখতে। যে কারণ পরিবর্তনটা করা হয়েছে। পারভেজ ইমন কোনো ম্যাচ পায়নি। কিন্তু সে আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই আছে।’ এদিক দিয়ে ভাগ্যবান লিটন দাস। শুধু যে তার বাজে সময় যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়; খুবই বাজে ও দৃষ্টিকটু শট খেলেও আউট হচ্ছেন। তার জন্য বিশ্রামে থাকাটা হয়ে উঠেছিল জরুরি। কিন্তু তারপরও তিনি টিকে গেছেন। একটি সূত্রে জানা গেছে, দলে দ্বিতীয় জাকের আলী ছাড়া দ্বিতীয় উইকেটকিপার না থাকাতে লিটন দাসকে বিশেষ বিবেচনায় দলে রাখা হয়েছে। তিনি দলে থাকলেও শেষ দুই ম্যাচ খেলা তার অনিশ্চিত।

এদিকে আফিফকে বাদ পড়তে হয়েছে সাকিব দলে ফেরাতে। সাকিব যে শেষ দুই ম্যাচে দলে ফিরবেন তা অনুমিতই ছিল। কিন্তু আফিফ যে এভাবে না খেলেই বাদ পড়বেন, তা ছিল অবাক করার মতো। আফিফের বাদ পড়া নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আরেকটা পরিবর্তন হচ্ছে আফিফের ক্ষেত্রে। সাকিবতো ছুটিতে ছিল। ছুটিতে থেকে আসার পর সে প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে। আমাদের চিন্তাতেই ছিল বিশ্বকাপের যাওয়ার আগে কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। তাই শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য ওকে আমরা আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছি। আফিফের রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে সাকিব।’

সাকিবের মতো মোস্তাফিজও যে শেষ দুই ম্যাচে দলে ফিরবেন তা সবারই জানা ছিল। হয়েছেও তাই। ১ মে আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলে পরের দিন দেশে ফিরে আসেন মোস্তাফিজ। তিনি দেশে ফিরে আসার পর নির্বাচকরা তার সঙ্গে কথা বলেন তার বিশ্রামের ব্যাপারে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শুরুতে খেলে বিশ্রামে যাবেন, না কি বিশ্রাম নিয়ে এসে পরে খেলবেন। মোস্তাফিজ নির্বাচকদের জানিয়েছিলেন বিশ্রাম নিয়ে এসে খেলে পরে চলে যাবেন বিশ্বকাপে। সেই অনুযায়ী নির্বাচকরা মোস্তাফিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। মোস্তাফিজ বিশ্রাম নিয়ে ফিরেছেন আর শরিফুলকে পাঠানো হয়েছে বিশ্রামে। এই দুজনের বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘শরিফুল ও মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা হচ্ছে, শরিফুল অনেকদিন থেকে ক্রিকেটের মধ্যে রয়েছে, ম্যাচ খেলছে। প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে। ওকে একটা ব্রেক দেওয়া হয়েছে, যাতে করে পরিবারকে সময় দিতে পারে। ও একটু রেস্ট পায়। শরীরটাকে রিচার্জ করে ফিরতে পরে। মোস্তাফিজের ব্যাপারটাও একই রকম। ভারত থেকে আসার পর সে অনেকদিন পরিবার থেকে বাইরে আছে। ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেই সব করেছি। আমরা চেয়েছি ওকে ছোট্ট একটা রেস্ট দিতে। ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম আগে রেস্ট নিতে, না পরে রেস্ট নিতে। সে জানাল আগে রেস্ট নিয়ে পরে একবারে খেলে চলে যাবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রথম তিন ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় ১০ ও ১২ মে। ১০ মে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। শেষ ম্যাচ শুরু হবে সকাল ১০টায়।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, শেখ মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হোসেলুর ৩ মিনিটে ২ গোল, ফাইনালে মাদ্রিদ

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
হোসেলুর ৩ মিনিটে ২ গোল, ফাইনালে মাদ্রিদ
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচের শুরু থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছিলেন দাপুটে। একের পর এক আক্রমণ করেই যাচ্ছিলেন তিনি। তার একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়েও দিচ্ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুস নয়, গোলের দেখা পেয়েছেন রিয়ালের হয়ে বদলি নামা হোসেলু। শেষদিকে ৩ মিনিটেই তিনি করে বসেন ২ গোল। তার এই দুই গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ।

আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

ম্যাচের নায়ক হোসেলু মাঠে নেমেছিলেন ৮১ মিনিটে। তার মাঠে নামার ১১ মিনিট আগেই আলফনসো ডেভিয়েস গোল করে এগিয়ে নেন বায়ার্ন মিউনিখকে। পিছিয়ে পড়েও যে দল বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে সেই দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ। তাই সমর্থকরা তখনও আশা ছাড়েনি। সমর্থকদেরও হতাশ করেনি রিয়াল। ৮৮ মিনিটে ম্যাচ এ সমতা ফেরানোর গোল করেন বদলি নামা হোসেলু। ভিনিসিয়ুসের শট হাতে পেয়েও আটকাতে পারেননি, ফসকে যাওয়ায় ফিরতি বল পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।

৯১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন হোসেলু। যদিও, রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে সুযোগ দেননি উল্লাসের। পরবর্তীতে ভিএআর চেক করলে দেখা যায় ভিএআর চেকে দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে। হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের মধ্যমণি।

এই গোলেই নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগ মিলিয়েও ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ।

র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ হৃদয়ের, ৬ ধাপ এগোলেন তাসকিন-মাহেদি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ হৃদয়ের, ৬ ধাপ এগোলেন তাসকিন-মাহেদি
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের দুই ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন তিনি। পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট।

এমন ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সে আইসিসির টি-টোয়েন্টি উন্নতি করেছেন তিনি ৬ ধাপ। ভালো পারফর্ম করে এগিয়েছেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ও।

ক্যারিয়ার সেরা ৫৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করে উঠে এসেছেন ২৬ নম্বর স্থানে। ৬ ধাপ এগিয়েছেন শেখ মাহেদি হাসানও। ২ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে ২২ নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন এই স্পিনার, রেটিং পয়েন্ট ৫৮৯।

বাংলাদেশের বোলারদের পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন শেখ মাহেদিই। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করলেও এখনও শীর্ষ ১০০ টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।

সিরিজে তিন ম্যাচের দুটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া তাওহিদ হৃদয় বড় লাফ দিয়ে এগিয়েছেন ২৬ ধাপ। তার অবস্থান ৯০ নম্বরে। দুই ধাপ এগোনো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবস্থান এখন ৮১ তে।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষে ভারতের সূর্যকুমার যাদব। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাকিব আল হাসান।

 

সাকিব-সৌম্য-মোস্তাফিজ ফেরায় না খেলেই বাদ আফিফ-ইমন

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
সাকিব-সৌম্য-মোস্তাফিজ ফেরায় না খেলেই বাদ আফিফ-ইমন
ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ ও ১২ তারিখ ঢাকায় গড়াবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ।

বাকি দুই ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট (বিসিবি) বোর্ড। সেই দুই ম্যাচের জন্য দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও আইপিএল খেলে দেশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানকে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ডিপিএলে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব ফিটনেস যাচাইয়ের লক্ষ্যে। সৌম্য সরকার দলে ফিরলেন ইনজুরিতে কাটিয়ে। আইপিএল থেকে ফেরার পর ছুটিতে থাকা মোস্তাফিজও ফিরেছেন স্কোয়াডে।

এই তিন ক্রিকেটার দলে ফেরায় কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। আর বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে।

শেষ দুই ম্যাচের দল: নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও সাইফউদ্দিন।