চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের খেলা না খেলা নিয়ে চলছে উত্তেজনা। এরইমধ্যে কথা ছড়িয়েছে ভেন্যু পরিবর্তন করে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়ার। পরে অবশ্য এমনকোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইসিসি। ভারত পাকিস্তানে খেলতে মোটেও আগ্রহী নয়, তবে পাকিস্তানও কোনোভাবে ছাড় দিতে রাজি নয় এবার।
দুই দলকে একবিন্দুতে আনতে হিমশিম খাচ্ছে খোদ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। দুই দলকে নিয়েই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় আইসিসি। নইলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আইসিসিকে।
অন্যদিকে, বিভেদ ভুলে অলিম্পিকের চেতনায় ভারতকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
উদ্ভুত এই পরিস্থিতি নিয়ে ঐক্যের আহবান করে এক্সে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘১৯৭০-এর দশকের পর ক্রিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে অবস্থান করছে।সম্ভবত এটি এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কাজেই এখনই সময় ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে খেলাটির মাধ্যমে আমাদের একত্রিত হওয়ার। ইতিহাস দ্বারা বিভক্ত দেশগুলি যদি অলিম্পিকের চেতনায় একত্রিত হতে পারে তবে কেন আমরা ক্রিকেট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একই কাজ করতে পারি না?’
পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘এই খেলাটির মাধ্যমে আমরা নিজেদের অহংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। খেলাটির বৃদ্ধি ও চেতনার দিকে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি আশা করি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ পাকিস্তানের প্রতিটি দলকে দেখতে পাব। আমাদের আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা লাভ করবে দলগুলো। সেই সাথে মাঠের বাইরে কিছু অবিস্মরণীয় স্মৃতি নিয়ে তারা এখান থেকে যাবে।’
২০০৮ সালের পর আর পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে যায়নি ভারত। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ হওয়ায় সেখানেও ভারত খেলতে যেতে রাজি না হওয়ায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে তা আয়োজ়ন করতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপে খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না যাওয়ার হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা খেলতে যায় সেখানে।
এর আগে, ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতেও ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান।