
ন্যানো সারের উদ্ভাবক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (NAME Lab)-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. জাভেদ হোসেন খানের ও মার্কিন (USA) জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োরোর (Kulabio) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ চুক্তির আওতায় কোলা বায়ো যবিপ্রবির NAME Lab থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করবেন এবং তারাও তাদের জৈব প্রযুক্তি NAME Lab-এর সঙ্গে ভাগ করবেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল,২০২৫) মার্কিন কোম্পানি কোলা বায়োর (Kulabio) পক্ষে ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি (ভিপি অব ইনোভেশন অ্যান্ড ম্যানুফেক্সারিং) এবং NAME Lab এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ন্যানো সারের উদ্ভাবক ড. জাভেদ হোসেন খান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুসারে কোলা বায়ো NAME ল্যাবরেটরি, যবিপ্রবি থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করবেন।
এ বিষয় ন্যানো সারের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা মার্কিন জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োর (Kulabio) সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আমাদের ন্যানো সারের প্রযুক্তি নেবেন এবং তাদের জৈব প্রযুক্তিও আমাদের সঙ্গে ভাগ করবেন। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে (Boston) কোলা বায়োর কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর সভাপতি ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এ ছাড়া তারা দ্রুত আমাদের ল্যাবরেটরি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’
ড. জাভেদ হোসেন খান দীর্ঘ ৭ বছরের প্রচেষ্টায় ন্যানো ইউরিয়া তৈরি করেছেন, যা ৪ হাজার ২০০ টাকার গতানুগতিক ইউরিয়া সারের পরিবর্তে ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২৩০ টাকা। তার এ গবেষণার ফলাফল ইতোমধ্যে আমেরিকার বহু গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মোতালেব/সুমন/