
রাজশাহীর বাগমারায় এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশু (৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান, সোমবার (২৩ জুন) রাত ৩টার দিকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ওসিসিতে পাঠান।
শিশুটির চাচা বলেন পাঁচ বছর আগে বড় ভাইয়ের সংসার ভেঙে যায়। এর পর তিনি আরেকটি বিয়ে করে নিজ এলাকা তাহেরপুর ছেড়ে পাশের পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ভাইয়ের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি তাহেরপুরেই থেকে যায়। শিশুটিকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করলেও সে থাকতে চায় না, বরং তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় মানুষের বারান্দায় বা সিএনজিস্টেশনে ঘুমিয়ে পড়ত। সোমবার তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে কলেজ গেটের পাশে বাগানের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার মুখ দিয়ে নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এর পর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে সোমবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বখাটে কোনো যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, শিশুটির পরিবার এখনও থানায় অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
রিফাত/