অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পাওয়া গণকবর ইস্যুতে সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সাবেক পরিচালক কেনেথ রথের মতে, যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়েও গণকবরের তদন্ত করা সম্ভব ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের বাধা প্রদান স্বাধীন তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
রথ আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এই তদন্তের জন্য উভয় পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ইসরায়েল এ ধরনের স্বাধীন তদন্তের অনুমতি দিতে চায় না। এ ইস্যুটিকে তারা মাটিচাপা দিতে চায়। পরে হয়তো তারা বলবে- আমরা নিজেরাই এ ঘটনার তদন্ত করতে যাচ্ছি।’
তার শঙ্কা, এ প্রক্রিয়ায় কাউকে দায়ী না করেই ইসরায়েল এর তদন্ত শেষ করবে।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, যদিও তারা স্বাধীন কোনো তদন্ত চায়নি।
এদিকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মোহাম্মদ জানিয়েছেন, শরণার্থী অধ্যুষিত রাফা শহরে গতকাল শুক্রবারও গোলা নিক্ষেপ চালিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাদের গতিবিধিতে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তারা শহরটিতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এ ছাড়া গাজা সিটির একটি বাড়িতেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বহু হতাহত হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আল-জাজিরার একাধিক প্রতিবেদক।
এ ছাড়া রাফায় স্থল অভিযান শুরুর আগেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াইয়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, শুক্রবারও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
ইসরায়েলের ভেতরে নতুন করে দুটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে গোষ্ঠীটির অবকাঠামোতে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনারা। আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একজন ইসরায়েলি ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহত ব্যক্তি উত্তর সীমান্তের কাছে সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্র: আল-জাজিরা