গণকবর ইস্যুতে স্বাধীন তদন্তে ইসরায়েলের বাধা । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

গণকবর ইস্যুতে স্বাধীন তদন্তে ইসরায়েলের বাধা

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১ এএম
গণকবর ইস্যুতে স্বাধীন তদন্তে ইসরায়েলের বাধা
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পাওয়া গণকবর ইস্যুতে সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সাবেক পরিচালক কেনেথ রথের মতে, যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়েও গণকবরের তদন্ত করা সম্ভব ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের বাধা প্রদান স্বাধীন তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

রথ আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এই তদন্তের জন্য উভয় পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ইসরায়েল এ ধরনের স্বাধীন তদন্তের অনুমতি দিতে চায় না। এ ইস্যুটিকে তারা মাটিচাপা দিতে চায়। পরে হয়তো তারা বলবে- আমরা নিজেরাই এ ঘটনার তদন্ত করতে যাচ্ছি।’

তার শঙ্কা, এ প্রক্রিয়ায় কাউকে দায়ী না করেই ইসরায়েল এর তদন্ত শেষ করবে। 

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, যদিও তারা স্বাধীন কোনো তদন্ত চায়নি। 

এদিকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মোহাম্মদ জানিয়েছেন, শরণার্থী অধ্যুষিত রাফা শহরে গতকাল শুক্রবারও  গোলা নিক্ষেপ চালিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাদের গতিবিধিতে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তারা শহরটিতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এ ছাড়া গাজা সিটির একটি বাড়িতেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বহু হতাহত হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আল-জাজিরার একাধিক প্রতিবেদক। 

এ ছাড়া রাফায় স্থল অভিযান শুরুর আগেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াইয়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, শুক্রবারও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। 

ইসরায়েলের ভেতরে নতুন করে দুটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে গোষ্ঠীটির অবকাঠামোতে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনারা। আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একজন ইসরায়েলি ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহত ব্যক্তি উত্তর সীমান্তের কাছে সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্র: আল-জাজিরা

ইসরায়েলকে দেওয়া বোমার চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
ইসরায়েলকে দেওয়া বোমার চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে এমন শঙ্কায় গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার শিপমেন্ট যেতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওই শিপমেন্টে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৮০০ বোমা এবং ৫০০ পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৭০০ বোমা ছিল। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ বিষয়ে।

রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে উদ্বেগ রয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে নিরসন করতে পারেনি ইসরায়েল। রাফার বেসামরিকদের নিরাপদে রাখা নিয়েও সেরকম কোনো পরিকল্পনা জানাতে পারেনি দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা উপত্যকায় এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে মিসরের সঙ্গে গাজার রাফার সীমান্ত পারাপারের অংশটুকু ট্যাংক দিয়ে দখলে নেয় তারা।

বিবিসির খবর বলছে, বিশেষভাবে রাফাকে ঘিরে তীব্র বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনগত রাতের হামলায় এক পরিবারের সাতজন মারা গেছেন।

গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাফা সীমান্ত পারাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধু ওই স্থান দিয়েই স্থলপথে ত্রাণ ঢুকছিল গাজায়। এ ছাড়া মানুষও শুধু ওই অংশটি দিয়েই যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে পালাতে পেরেছে।

গত সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফায় অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষকে শহরের ভেতরেই পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূলে ও অবকাঠামো অপসারণে ‘সীমিত’ অভিযান শুরু করবে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে মিসরের কায়রোয় আলোচনা প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিরাও যাতে মুক্তি পায়।

হোয়াইট হাউস প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলের রাফায় স্থল অভিযান শুরু করা উচিত না- এই অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছে, যাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কীভাবে রাফার জনসাধারণের মানবিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হবে এবং হামাসের বিরুদ্ধে সেখানে ঠিক কীভাবে ভিন্ন পন্থায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। ওই আলাপগুলো এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগ পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

হোয়াইট হাউস প্রশাসনের কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলি নেতারা এখন এরকম একটি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কারণে আমরাও আমাদের বিশেষ কিছু অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টিকে সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছি, যা হয়তো রাফায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ওই পর্যালোচনার ফলাফল হিসেবে আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি শিপমেন্ট স্থগিত করে দিয়েছে। সেটিতে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৮০০ বোমা ও ৫০০ পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৭০০ বোমা ছিল। আমরা বিশেষভাবে ভেবেছি, ওই বোমাগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হবে ও ঘনবসতিতে সেগুলো কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে। বিশেষ করে ২ হাজার পাউন্ডের বোমাটির ব্যবহার নিয়ে আমরা ভেবেছি।
অজ্ঞাতনামা ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন যে, তাদের পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বিবিসি  

বিশ্ববাজার থেকে টিকা সরাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
বিশ্ববাজার থেকে টিকা সরাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজার থেকে সব কোভিড টিকা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ-সুইডিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। করোনাভাইরাস মহামারির চার বছর পর গত মঙ্গলবার তাদের পক্ষ থেকে এলো এ ঘোষণা।

টিকা সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, কোভিডের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব এবং সেগুলো প্রতিরোধে বাজারে পর্যাপ্ত হালনাগাদ টিকা আছে। এ কারণে তাদের চাহিদা কমে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে- শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ও ক্ষতি হওয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের আদালতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাও চলছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপে তৈরি একই টিকার নাম তারা দিয়েছিল ভ্যাক্সজেভরিয়া।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ। শুধু যুক্তরাজ্যে অন্তত ৮১ জনের মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম। সূত্র: রয়টার্স  

মুখোমুখি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস, আদালতে উত্তেজনা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
মুখোমুখি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস, আদালতে উত্তেজনা
স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার মামলায় গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালতে।

কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই শুনানি চলছে নিউইয়র্কের আদালতে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার মুখোমুখি করা হয় দুজনকে।

ঢিলেঢালা কালো পোশাক, পেছনে চুল বেঁধে আদালতে উপস্থিত হন সাবেক পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ট্রাম্পের মুখোমুখি হলেও এ সময় তাকে একবারও তাকাতে দেখা যায়নি সাবেক প্রেসিডেন্টের দিকে। আদালতের কাঠগড়ায় তিনি যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ সেই যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা বর্ণনা করেন।

বিবিসির খবর বলছে, ট্রাম্প ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির ৩৪টি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে একটিতে বলা হচ্ছে- ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা ড্যানিয়েলসকে জেরা করার আগে একাধিকবার আপত্তি তোলেন। তারা তখন বলেন, ড্যানিয়েলসের সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে পুরো ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এ ছাড়া বিষয়টিকে পক্ষপাতমূলক আচরণ হিসেবেও অভিহিত করেন তার আইনজীবীরা। শুনানিতে ড্যানিয়েলসকে কয়েকবার থামানোর চেষ্টাও করতে দেখা যায় ট্রাম্পের আইনজীবীদের। ড্যানিয়েলসের সব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা নিয়েই মূলত আপত্তি ওঠে সে সময়। আদালতে বিচারকও মন্তব্য করেন, এত বিশদভাবে সব বর্ণনা করার বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। পাশাপাশি সাক্ষীকে পুরো ঘটনা সংক্ষেপে বলার নির্দেশ দেন তিনি।

অন্যদিকে আদালতে শুনানির পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান যে বিচার প্রক্রিয়া ভালোভাবে চলছে বলেই মনে করছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি 

বুশরা বিবিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২০ এএম
বুশরা বিবিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের
বুশরা বিবি

বুশরা বিবির অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আদালত। নিরাপত্তা উদ্বেগের দোহাই দিয়ে গৃহবন্দি রাখার বদলে যাতে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, আদালতের কাছে সে অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী। আদালত তার সে আবেদন গতকাল বুধবার মঞ্জুর করেন।

বুশরা বিবিকে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতেই বন্দি রাখা হয়েছিল। ওই বাড়িটিকে সাব জেল ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে নিজে আবেদন জানান বুশরা বিবি।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর অভিযোগ, তাকে ওই বাড়িতে বন্দি রেখে বিষাক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইমরান খানের দলের প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, আদালত বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। ওই কারাগারেই ৭০ বছরের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে গ্রেপ্তার রাখা হয়েছে। সেখানে ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স   

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, রুশ হামলায় তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানান তারা।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিদ্যুৎমন্ত্রী জার্মান গালুশচেনকো বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎশিল্পের ওপর আবারও বড় আঘাত।’ তিনি জানান, পোল্টোভা, কিরোভোহরাদ, জাপোরিঝিয়া, লভিভ, আইভানো-ফ্রাঙ্কিভিস্ক ও ভিনিৎসিয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো আক্রান্ত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, শুধু জাপোরিঝিয়া অঞ্চলটি ছাড়া বাকি সব এলাকাই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। বর্তমানে মূলত যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মাত্রা ও ব্যাপ্তি কতটুকু তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এ ছাড়া এ বিষয়ে মস্কোর পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালক ইউক্রেনেগ্রো টেলিগ্রামে জানান, মধ্য ইউক্রেনে তাদের এক অবকাঠামোর সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি সংস্থাটি।

মধ্য পোল্টোভা অঞ্চলে এক বিদ্যুৎ অবকাঠামো ড্রোন হামলার কবলে পড়েছিল। এ থেকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয় বলেও উল্লেখ করেছেন ওই অঞ্চলের গভর্নর ফিলিপ প্রনিন।

প্রাথমিক তথ্যানুসারে, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পৃথক পৃথকভাবে ভিনিৎসিয়া ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নররা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। তারাও বাড়তি কোনো তথ্য দেননি।

কিয়েভকে লক্ষ্য করে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো। তিনি আরও জানান, এসব হামলার জেরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কিয়েভে অবস্থানরত রয়টার্স প্রতিনিধিও জানিয়েছেন, তিনি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। সেটি শুনে মনে হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো কিছুতে আঘাত হানছে।

লভিভেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে জানা গেছে। ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত রয়েছে ওই অঞ্চলে। সূত্র: রয়টার্স