নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিটে প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নতুন তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। নাটোরের সিংড়ার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান এ রিট করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল ধার্য করেন।
এ সময় রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। এ নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে। নিজের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। এর জন্য উপহার হিসেবে এক প্রার্থীকে দিয়েছেন কোটি টাকার পুকুর। অন্যদিকে নির্দেশ না মানায় তার শ্যালকের ঘনিষ্ঠদের হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরেক প্রার্থী।
এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নির্বাচনি মাঠে নেমেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরান হাসান কামরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু নিজের শ্যালককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন না করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তবে বেঁকে বসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করেন লুৎফুল হাবীবের ঘনিষ্টরা। দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।