উপজেলা নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী পলকের হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে রিট । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী পলকের হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে রিট

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
উপজেলা নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী পলকের হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে রিট
জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি : সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে রিট করা হয়েছে। রিটে প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নতুন তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। নাটোরের সিংড়ার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান এ রিট করেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল ধার্য করেন। 

এ সময় রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। এ নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে। নিজের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। এর জন্য উপহার হিসেবে এক প্রার্থীকে দিয়েছেন কোটি টাকার পুকুর। অন্যদিকে নির্দেশ না মানায় তার শ্যালকের ঘনিষ্ঠদের হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরেক প্রার্থী।

এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নির্বাচনি মাঠে নেমেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরান হাসান কামরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু নিজের শ্যালককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন না করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তবে বেঁকে বসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করেন লুৎফুল হাবীবের ঘনিষ্টরা। দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টিসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টিসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুনসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী মামলার রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আর ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১০ জন।

রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর আশীষ রায় চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জানান, এর ২ বছর পর ২০০১ সালে বিচার শুরুর আদেশ হয়। ওই আদেশ চ্যালঞ্জ করে এক আসামি হাইকোর্টে গেলে আটকে যায় বিচার কার্যক্রম। এরপর হাইকোর্টের আদেশে আবার বিচার কার্যক্রম ২০২২ সালে শুরু হয়।

এদিকে ১৭ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপির দপ্তর থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তদন্তের নথিপত্র (কেস ডকেট) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। আদালতের নির্দেশের পরও তিনি তা আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানান এপিপি সাদিয়া।

পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির তথ্যানুযায়ী, বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও বান্টির বন্ধু আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর বিরোধের শুরু। এর জেরেই ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ঢাকার তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে।

অমিয়/

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:২৬ এএম
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও চিত্রনায়িকা দিতি। ছবি: সংগৃহীত

সিকি শতক আগের বহুল আলোচিত ঘটনা চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য আছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী দিন ধার্য করে গত ২৯ এপ্রিল এই আদেশ দেন।

ওই দিন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাদিয়া আফরিন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘এ মামলায় ওই দিন উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি সম্পন্ন হয়। এরপর আদালত রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আর ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১০ জন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর আশীষ রায় চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জানান, এর ২ বছর পর ২০০১ সালে বিচার শুরুর আদেশ হয়। ওই আদেশ চ্যালঞ্জ করে এক আসামি হাইকোর্টে গেলে আটকে যায় বিচার কার্যক্রম। এরপর হাইকোর্টের আদেশে আবার বিচার কার্যক্রম ২০২২ সালে শুরু হয়।

এদিকে ১৭ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপির দপ্তর থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তদন্তের নথিপত্র (কেস ডকেট) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। আদালতের নির্দেশের পরও তিনি তা আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানান এপিপি সাদিয়া।

পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির তথ্যানুযায়ী, বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও বান্টির বন্ধু আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর বিরোধের শুরু। এর জেরেই ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ঢাকার তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে।

গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১০:০২ পিএম
গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল
ছবি : সংগৃহীত

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। জবাব দিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

‘অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনস্বার্থে গত ৫ মে রিট করেন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রিটে পরিবেশ রক্ষায় দেশের সর্বত্র গাছ কাটা বন্ধসহ ৫ দফা নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শুনানিতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

রিটে উল্লেখ করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সারা দেশে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

খুলনার পিপি এক মাস আইন পেশায় নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
খুলনার পিপি এক মাস আইন পেশায় নিষিদ্ধ
ছবি : সংগৃহীত

বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অবমাননাকর বক্তব্যের ঘটনায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশকে এক মাসের জন্য আইন পেশায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ জুন ধার্য করা হয়েছে। সেদিনও জহিরুল ইসলামকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। জহিরুল ইসলাম পলাশ খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।

স্বাভাবিক বিচারিক কার্যধারা বাধাগ্রস্ত করা ও খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ ওঠে জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে এলে গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত আদেশে কেন তার (জহিরুল ইসলাম) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যধারা গ্রহণ করা হবে না এবং আদালত অবমাননার জন্য কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই অভিযোগ বিষয়ে নিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে জহিরুল ইসলামকে ৭ মে সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুসারে জহিরুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

শুনানিতে জহিরুল ইসলামের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ভোটের আগের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
ভোটের আগের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে
শামসুল আলম চৌধুরী। ছবি : খবরের কাগজ

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাছিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এদিন এই তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং অন্যজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ এপ্রিল একই আদালত সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় জামিনে রয়েছেন খন্দকার লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, খন্দকার মোহাতেশাম বাবর, আসিবুর রহমান ফারহান, কামরুল হাসান ডেভিড, আরিফুর রহমান দোলন ও তারিকুল ইসলাম নাসিম। তা ছাড়া জেলহাজতে রয়েছেন বরকত, রুবেল ও এ এইচ এম ফুয়াদ। অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ২২ জুন এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। অর্থপাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলসহ আসামিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

তারও আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

পরের বছর ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি পাওয়ায় আদালত সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে দেওয়া মামলার সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জী, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো. নাছিম, মো. জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো. আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো. হাসান, মো. জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মণ্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুণম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো. মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো. আব্দুল জলিল শেখ, মো. রফিক মণ্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। তা ছাড়া তারা মাদক কারবার এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদের মালিক হন। এ ছাড়া তারা এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্পট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক বনে যান। একই সঙ্গে তারা দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে, এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।