
খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে প্রথম নজরে আসেন নাহিদ রানা। তা এবার বিপিএলে নয়, আলোচনাটা তৈরি হয়েছিল বিপিএলের গত আসরে। সেবারও তিনি খেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। গত আসরে একটি ম্যাচে তার গতি দেখে অনেকে ভেবেছিলেন স্পিডোমিটারের ভুল। দিন কয়েক পরে নিয়মিত একই গতিতে বোলিং করে নাহিদ রানা প্রমাণ করে দেন স্পিডোমিটারে ভুল ছিল না। তিনি ১৪৭-১৪৮ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিত বোলিং করতে পারেন। গতির পাশাপাশি উইকেট শিকারেও আছে দক্ষতা। ১৫ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার শিকার ৬৩। এমন পারফরম্যান্সের জেরে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক মিলেছে নাহিদ রানার। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে মুঠোফোনে কথা বলেছেন খবরের কাগজের প্রতিবেদক পার্থ রায়ের সঙ্গে।
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। অনুভূতিটা কী?
নাহিদ রানা: ভালো লাগছে। এখন নিজেকে জাতীয় দলের জন্য প্রমাণ করতে চাই।
আপনার বলের গতি নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের কথা হয়। গতির পেছনের রহস্যটা কী?
নাহিদ রানা: আগে থেকেই জোরে বোলিং করতে পারতাম। সব সময় চেষ্টা থাকে গতিটা ধরে রাখার। সেটাই নিয়ম মেনে করি। এই জন্যই বলে এতো গতি। এখন চেষ্টা থাকব ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করার।
গত কয়েকদিনে আপনাকে লাল বলে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। তাহলে কী আপনি আগে থেকেই জানতেন ডাক আসবে?
নাহিদ রানা: না টেস্ট দলে ডাক পাবো সেটা জানতাম না। আমাকে বলা হয়েছিল প্রস্তুত থাকতে। সেই কারণে আবাহনীর হয়ে অনুশীলনের সময় লাল আর সাদা উভয় বলে অনুশীলন করেছি। এ রকম বার্তা তো অনেক সময়ই থাকে। প্রস্তুত থাকার জন্য লাল-সাদা বলে অনুশীলন সব সময় করি।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখন লক্ষ্যটা কী থাকবে?
নাহিদ রানা: এখনো আসলে এইভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা থাকব। এর বেশি কিছু আসলে এখন বলতে পারছি না।
সিনিয়রদের কাছ থেকে কী পরামর্শ পেলেন?
নাহিদ রানা: এখন তো আবাহনীতে আছি। আবাহনীর কোচ রাজিন (সালেহ) স্যার ও অন্য সিনিয়ররা অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছে। সেটা ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।
বাবা-মার অনুভূতি কী ছিল?
নাহিদ রানা: বাবা-মা অনেক খুশি। তারা অনেক দোয়া করেছেন। সেটার ফল পেয়েছি।