ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

সাক্ষাৎকারে নাহিদ রানা প্রস্তুত থাকার বার্তা ছিল নাহিদের কাছে

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
প্রস্তুত থাকার বার্তা ছিল নাহিদের কাছে
ছবি : সংগৃহীত

খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে প্রথম নজরে আসেন নাহিদ রানা। তা এবার বিপিএলে নয়, আলোচনাটা তৈরি হয়েছিল বিপিএলের গত আসরে। সেবারও তিনি খেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। গত আসরে একটি ম্যাচে তার গতি দেখে অনেকে ভেবেছিলেন স্পিডোমিটারের ভুল। দিন কয়েক পরে নিয়মিত একই গতিতে বোলিং করে নাহিদ রানা প্রমাণ করে দেন স্পিডোমিটারে ভুল ছিল না। তিনি ১৪৭-১৪৮ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিত বোলিং করতে পারেন। গতির পাশাপাশি উইকেট শিকারেও আছে দক্ষতা। ১৫ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার শিকার ৬৩। এমন পারফরম্যান্সের জেরে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক মিলেছে নাহিদ রানার। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে মুঠোফোনে কথা বলেছেন খবরের কাগজের প্রতিবেদক পার্থ রায়ের সঙ্গে।

প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। অনুভূতিটা কী?

নাহিদ রানা: ভালো লাগছে। এখন নিজেকে জাতীয় দলের জন্য প্রমাণ করতে চাই।

আপনার বলের গতি নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের কথা হয়। গতির পেছনের রহস্যটা কী?

নাহিদ রানা: আগে থেকেই জোরে বোলিং করতে পারতাম। সব সময় চেষ্টা থাকে গতিটা ধরে রাখার। সেটাই নিয়ম মেনে করি। এই জন্যই বলে এতো গতি। এখন চেষ্টা থাকব ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করার।

গত কয়েকদিনে আপনাকে লাল বলে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। তাহলে কী আপনি আগে থেকেই জানতেন ডাক আসবে?

নাহিদ রানা: না টেস্ট দলে ডাক পাবো সেটা জানতাম না। আমাকে বলা হয়েছিল প্রস্তুত থাকতে। সেই কারণে আবাহনীর হয়ে অনুশীলনের সময় লাল আর সাদা উভয় বলে অনুশীলন করেছি। এ রকম বার্তা তো অনেক সময়ই থাকে। প্রস্তুত থাকার জন্য লাল-সাদা বলে অনুশীলন সব সময় করি।

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখন লক্ষ্যটা কী থাকবে?

নাহিদ রানা: এখনো আসলে এইভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা থাকব। এর বেশি কিছু আসলে এখন বলতে পারছি না।

সিনিয়রদের কাছ থেকে কী পরামর্শ পেলেন?

নাহিদ রানা: এখন তো আবাহনীতে আছি। আবাহনীর কোচ রাজিন (সালেহ) স্যার ও অন্য সিনিয়ররা অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছে। সেটা ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।

বাবা-মার অনুভূতি কী ছিল?

নাহিদ রানা: বাবা-মা অনেক খুশি। তারা অনেক দোয়া করেছেন। সেটার ফল পেয়েছি।

জ্ঞান ফিরেছে তামিমের

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
জ্ঞান ফিরেছে তামিমের
ছবি : সংগৃহীত

হার্টে রিং পরানোর পর জ্ঞান ফিরেছে তামিম ইকবাল খানের। কেপিজে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তামিম কথা বলেছেন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিকদের।

হার্টে রিং পরানো হলেও এখনও জটিলতা কাটেনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের। আগামী ৪৮ ঘন্টা তিনি থাকবেন পর্যবেক্ষণে।

তামিম না থাকলেও খেলা চালিয়ে গেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শাইনপুকুরের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে মোহামেডান ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।

ম্যাচশেষে সতীর্থ তামিমকে দেখতে হাসপাতালে আসেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

শাইনপুকুরের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে টসও করেছিলেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু এরপরই বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

একপর্যায়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর আবার কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে আনার পর তাঁর বুকে ব্লক ধরা পড়ে। একটি রিংও পরানো হয়েছে।

যেখানে ব্রাজিলকে ছুঁতে পারেনি কেউ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
যেখানে ব্রাজিলকে ছুঁতে পারেনি কেউ
ছবি : সংগৃহীত

২০০২ সালের পর ব্রাজিল যখনই বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছে তখনই তাদের মিশনের নাম হয়েছে ‘হেক্সা মিশন’। মানে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের যাত্রা। যদিও সেই মিশনটা আজ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি তাদের। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালটাই সেলেসাওদের জন্য আজও অস্পর্শ। সর্বোচ্চ একবার সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে। শেষ চারে যেখানে জার্মানির কাছে হলুদ শিবিরকে হজম করতে হয়েছিল সাত গোল। 

তার পরও পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ে ব্রাজিল সবার চেয়ে এগিয়ে। এমন কৃতিত্ব নেই আর কারও। চারটি করে জিতে এই তালিকায় ব্রাজিলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানি ও ইতালি। তিনবার জিতে তৃতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। পাঁচ বিশ্বকাপ জয়ের মতো একটি রেকর্ড রয়েছে ব্রাজিলের, যা এখন পর্যন্ত কেউ ছুঁতে পারেনি। আর তা হলো বিশ্বকাপে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। ব্রাজিল এই রেকর্ডটি গড়েছিল ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ মিলিয়ে।

ব্রাজিলের এই অবিশ্বাস্য জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে এবং শেষ হয়েছিল ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে। এই দুই আসরে তাদের দলে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার রবার্তো কার্লোস, রোনালদিনহো, রিভালদো ও রোনালদোর মতো তারকা ফুটবলাররা।

উত্তাল শুরু ও দাপুটে জয়

২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অভিযান শুরু হয়েছিল তুরস্কের বিপক্ষে নাটকীয় এক জয়ের মাধ্যমে। ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু ‘ফেনোমেনোন’ খ্যাত রোনালদো সমতা ফেরান। আর শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে রিভালদোর গোল ব্রাজিলকে এনে দেয় দারুণ জয়।

এরপর থেকে ক্রমশ দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে হলুদ শিবির। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জিতে তারা নকআউট পর্বে পা রাখে। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে উড়িয়ে দেয় চীন ও কোস্টারিকাকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়াম এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল সেই তুরস্ক। রোনালদোর একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে ব্রাজিল উঠে যায় ফাইনালে।

রোনালদোর নৈপুণ্যে পঞ্চম শিরোপা

ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোনালদো আবারও নিজেকে প্রমাণ করেন। তার দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোলেই ব্রাজিল ২-০ ব্যবধানে জার্মানিকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়। পুরো টুর্নামেন্টে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো রোনালদো জেতেন গোল্ডেন বুট অর্থাৎ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

২০০৬ বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ড

চার বছর পর ব্রাজিল বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে জার্মানিতে যায়। গ্রুপ পর্বে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে (জাপান, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া) তারা আবারও শতভাগ সাফল্য নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। এরপর ঘানাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের নতুন ইতিহাস গড়ে ব্রাজিল। যদিও রেকর্ডটি হয় অষ্টম ম্যাচেই (ইতালির জয় সাতটি)। সেখান থেকে আরও তিন ধাপ এগিয়ে থামে ব্রাজিল।

ফরাসি জাদুতে স্বপ্নভঙ্গ

কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স। যে দলটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেদিনের নায়ক ছিলেন জিনেদিন জিদান, আর ২০০৬ সালেও তিনিই ব্রাজিলের স্বপ্ন ভেঙে দেন। যদিও শেষ আটের ম্যাচে জিদান গোল পাননি। তবে তার অসাধারণ অ্যাসিস্টে একমাত্র গোলটি করেছিলেন থিঁয়েরি অঁরি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। ১২তম ম্যাচে থেমে যায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়যাত্রা। 

সেমিফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক ছিলেন জিদান। তার গোলেই ফরাসিরা ওঠে ফাইনালে। ইতালির বিপক্ষে সেই ফাইনাল আজও আলোচিত। জিদানের ঢুস কাণ্ড ঘটে এই ম্যাচেই। মাতেরাজ্জিকে ঢুস দেওয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জিদান। টাইব্রেকারে শেষ হাসি ইতালির। 

বিশ্বকাপে টানা জয়

১. ব্রাজিল ১১ ম্যাচ (২০০২-০৬)

২. ইতালি ৭ ম্যাচ (১৯৩৪-৩৮)

৩. ইংল্যান্ড ৬ ম্যাচ (১৯৬৬-৭০) 

(টানা ৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে ৪ দলের পাঁচবার) 

৪. উরুগুয়ে ৫ ম্যাচ (১৯৩০-৫০)

(উরুগুয়েসহ পাঁচ জয়ের ঘটনা ঘটেছে ১২ বার)

এখনও জটিলতা কাটেনি তামিমের

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
এখনও জটিলতা কাটেনি তামিমের
ছবি : সংগৃহীত

ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালিন পরপর দুটি হার্ট অ্যাটাকে তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা হয়ে পড়ে আশঙ্কাজনক। সেখান থেকে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে তার হার্টে পরানো হয় একটি রিং।

রিং পরানো হলেও এখনও তামিমের শারীরিক জটিলতা কাটেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতালটির মেডিকেল ডিরেক্টর রাজিব।

সোমবার (২৪ মার্চ) জাতীয় দলের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের  চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তামিমের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত চিকিৎসকরা।

সাংবাদিকদের মেডিকেল ডিরেক্টর রাজিব বলেছেন, ‘যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবকিছু করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য একটা এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট করা হয়েছে। এটা খুব স্মুথলি এবং এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। ওনার এই ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন।’

মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে টসও করেছিলেন তামিম ইকবাল। টসের পর অসুস্থতা অনুভব করলে বিকেএসপিতেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

পরে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে তার হার্টের ব্লক। তার ব্লকটি সারানো হয়েছে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে।

ব্লক সারানো গেলেও এখনও জটিলতা না কাটার বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন ডাক্তার রাজিব, ‘একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল। স্টেন্ট পরও তিনি অবজারভেশনে আছেন। এবং ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, একটু সময় লাগবে।’

তবে সবার কাছে দোয়া চেয়ে তামিমকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘আমরা আশাবাদী তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবেন।’

তামিমের অসুস্থতার খবরে আজ বিসিবির পরিচালকদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ছুটে গেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও অন্যান্য পরিচালকরা। হাসপাতালে আছেন তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী ও ভাই নাফিস ইকবাল।

তামিমের অসুস্থতায় বাতিল বিসিবির বোর্ডসভা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
তামিমের অসুস্থতায় বাতিল বিসিবির বোর্ডসভা
ছবি : সংগৃহীত

বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালিন মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। পরপর দুটি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার তামিমের হার্টে পরানো হয়েছে একটি রিং। বর্তমানে তিনি রয়েছেন সাভারের কেপিজে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

আজ (সোমবার) দুপুর ১২টায় বিসিবির ১৯তম বোর্ডসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তামিমের অসুস্থতার খবরের প্রভাব পড়েছে সেই সভায়। তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থার খবরে সভা স্থগিত করে বিসিবির পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে যান হাসপাতালে।

বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন বিসিবির একাধিক পরিচালক ও বিসিবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আপাতত সকল কাজকে স্থগিত করে তামিমকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি।

তামিমের হার্ট অ্যাটাকের পর লাইফ সাপোর্টের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সতীর্থ, বিদেশি খেলোয়াড়, ভক্ত ও সমর্থকরা একের পর এক পোস্ট দিতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিমের সুস্থতা কামনায়।

সবার একটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক পুরোপুরি আবারও সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন মাঠে।

 

হার্টে রিং পরানোর পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে তামিম

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
হার্টে রিং পরানোর পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে তামিম
ছবি : সংগৃহীত

শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচে বিকেএসপিতে বুকের ব্যথায় হাসপাতালে ভর্তি হন তামিম ইকবাল। পরে জানা যায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি। 

সাভারের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের করে জানা যায় তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে হার্টে পরানো হয়েছে একটি রিং। বর্তমানে তিনি রয়েছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসের পর কিছুক্ষণ ফিল্ডিং করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাঠে হেলিকপ্টার আনা হলেও শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় ঢাকায় আনা সম্ভব হয়নি তাকে।

হাসপাতালে আছেন তামিমের বড় ভাই নাফিজ ইকবাল এবং তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে, বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

উল্লেখ্য, তামিমের অসুস্থতায় স্থগিত করা হয়েছে বিসিবির বোর্ডসভা। বোর্ডের কর্মকর্তারা সবাই সাভারে যাচ্ছেন তামিম ইকবালকে দেখতে।