
সবশেষ ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর আর আর্জেন্টিনার জয়ের দেখা পায়নি ব্রাজিল।
পরের ৫ ম্যাচের ৩টিতে পরাজয় আর একটিতে ড্র। অন্য আরেকটি ম্যাচ খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পণ্ড হয়ে যায় নাটকীয়তায়। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালও ব্রাজিল হেরেছিল আলবিসেলেস্তেদের বিপক্ষেই।
তবে এবার জয়ের ব্যাপার আশাবাদী ব্রাজিল। তারকাবিহীন আর্জেন্টিনাকে হারানোর আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার রাফিনিয়া। তিনি একপ্রকার যুদ্ধের ঘোষণাই যেন দিয়ে রেখেছেন। যদিও এই ম্যাচে ব্রাজিলও বলা চলে তারকাহীন।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘রোমারিও টিভি’তে রাফিনিয়া বলেছেন, ‘আমরা তাদের অবশ্যই হারাব। গুঁড়িয়ে দেব। মাঠে এবং প্রয়োজন হলে মাঠের বাইরেও। নিশ্চিতভাবে আমি গোল করতে যাচ্ছি। আমরা যা আছে সব নিয়ে মাঠে নামব।’
২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের ম্যাচে মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় মাঠ ছেড়ে দলের সবাইকে নিয়ে ডাগআউটে চলে যান মেসি। প্রতিবাদ জানান সেই ঘটনার। দলের বেশ কয়েকজন সদস্য সমর্থকদের বাঁচানোরও চেষ্টা করেন।
সেই ম্যাচে মাঠের খেলার রদ্রিগো তর্কে জড়ান মেসির সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত লিওনেল স্কালোনির শীষ্যরাই মাঠ ছাড়েন ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে।
রাফিনিয়া আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেও সংবাদ সম্মেলনে বন্ধুত্বের বার্তাই দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘মাঠে যোদ্ধা এবং মাঠের বাইরে বন্ধু। আমি খেলোয়াড়ের বিবৃতি নিয়ে খুব গভীরে যেতে চাই না। কিন্তু আমি এটা সম্পর্কে জানি। আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু এরপরও এটা একটা ফুটবল ম্যাচ। এর বাইরে যাওয়া উচিত নয়।’
ভুলে যাননি মেসি-নেইমারের বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দিতেও, ‘কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর মারাকানায় আমি মেসি-নেইমারের ছবিটার কথা মনে করতে পারি। এই আবহটা ধরে রাখতে হবে। বিশ্বের সেরা এবং সম্ভবত দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড়ের একসঙ্গে থাকা, বন্ধু হওয়া। এই চিত্রটাই আমাদের প্রয়োজন।’
ম্যাচে সীমা অতিক্রম না করার বার্তায় জোর দিয়ে স্কালোনি আরও বলেছেন, ‘এটা ফুটবল ম্যাচ, যা আমরা দুই দলই জিততে চাই। আমাদের সবার ব্রাজিলিয়ান বন্ধু আছে। আমি তাদের অনেককেই চিনি। আমাদের এর বাইরে যাওয়া উচিত হবে না।’