ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ঈশ্বরদীর অজপাড়াগাঁয়ে রঙিন পাঠশালা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
ঈশ্বরদীর অজপাড়াগাঁয়ে রঙিন পাঠশালা
ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

সবকিছু পরিপাটি, সাজানো-গোছানো। চোখ জুড়ানো দেয়াল অঙ্কন। সেখানে কার্টুন চরিত্র মীনা-রাজুর হাস্যোজ্জ্বল ছবি। আছে জাতীয় মাছ, পশু, ফল, পতাকা। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন বাহারি ছবি। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আঁকা রয়েছে অন্যরকম চিত্রকর্ম।

বিভিন্ন রঙে লেখা রয়েছে অ, আ, ক, খ, এ, বি, সি, ডি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা চোখে পড়ার মতো। এ দৃশ্য পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

অজপাড়াগাঁয়ের এই বিদ্যালয়ের চারপাশ ঘিরে রয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য দিগন্তজুড়ে মাঠ। বেশ কিছু বাড়িঘর নিয়ে রয়েছে ছোট্ট একটি গ্রাম। সেই গ্রামেই বসবাসকারী পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে লেখাপড়া করে। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭৫ জন শিশুশিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৩২ ও মেয়ের সংখ্যা ৪৩। ৬ জনের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছেন চারজন।

তবে এ বিদ্যালয় নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ, আছে সমস্যাও। স্কুলটিতে নেই অফিস সহকারী। রয়েছে পানির সমস্যা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে একটি আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করা হলেও বিদ্যালয়ের কাছে সেটি বুঝিয়ে দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জায়গাটি রয়েছে তাই তালাবদ্ধ অবস্থায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ পর্যায়ে। কিছু শিক্ষার্থী এসেছে চারুকলা  বিষয়ে পরীক্ষা দিতে। এ সময় বিদ্যালয়ের মাঠে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নাবিদ হাসান নেহালের সঙ্গে কথা হয়। জানতে চাইলে সে জানায়, নিয়মিত ক্লাস হয়। ক্লাসে স্যার ভালোভাবে পড়ান, সবকিছু বুঝিয়ে দেন।

একই শ্রেণির ছাত্রী রোজা খাতুনও জানায়, স্যাররা ঠিকমতো লেখাপড়া বুঝিয়ে দেন। তবে এলাকাবাসী মিজান মালিথা বিদ্যালয়টি সম্পর্কে যা বলেন, তা ওই দুই শিক্ষার্থীর কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভালো না। তিন-চারজন শিক্ষক যারা আছেন, তারা ক্লাসে তেমন গঠনমূলক পাঠদান করান না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর ব্যাপারে তারা খুব গুরুত্ব দেন না। মাস গেলেই তাদের বেতন আসে সরকারের কোষাগার থেকে।’ তিনি মনে করেন, বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষক থাকা দরকার।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০ সালে ৪৯ শতাংশ জায়গার ওপর ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমরান হোসেন জানান, ১৯৯৬ সালে শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে টিনের ছাউনি থেকে পাকা ভবনে পরিণত হয়েছে বিদ্যালয়টি। এখন বিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক ভালো। তবে ছয়জনের জায়গায় শিক্ষক রয়েছে চারজন। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছেন একজন। তিনি ১৫ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন।

কোনো অফিস সহকারী নেই। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তাটি পাশের গ্রামের সঙ্গে সংযোগস্থল। কিন্তু রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ওই গ্রামের কোনো ছেলেমেয়ে এখানে পড়তে আসে না। রাস্তাটি ভালো হলে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ত। এ ছাড়া পানির জন্য একটি টিউবওয়েল রয়েছে। কিন্তু সেটি সেপটিক ট্যাংকের পাশে হওয়ায় অনেকে পানি পান করতে অনীহা দেখায়। আধুনিক মানের একটি টয়লেটের নির্মাণকাজ শেষ হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সেটি ব্যবহারের জন্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক। শিক্ষা অফিস থেকে নিয়মিত পরিদর্শনে আসেন কর্মকর্তারা। চেষ্টা করে থাকি, শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত পাঠদানের।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন পদাধিকারবলে ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি। বিদ্যালয়ের পাঠদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকসংকট রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর আগের পরিচালনা কমিটি নেই। এ কারণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।

সব বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মানসম্মত পাঠদান অবশ্যই হওয়া দরকার। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। নতুন টয়লেট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলব।’

‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন
ছবি: খবরের কাগজ

‘পরিষ্কার নদী, স্বচ্ছ আকাশ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন করেছে তিনটি পরিবেশাবাদী সংগঠন। ‘হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি’ (হাউস), ‘ক্লিন’ ও ‘বিডাব্লিউজিইডি’ এই ক্যাম্পেইন করে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতীরের নবীনগরে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবেশবাদী সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণ অংশ নেয়। ক্যাম্পেইনের মূল থিম নদী-আকাশ-শক্তির প্রকাশের মধ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে তুলে ধরে হয়। ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয় সুনামগঞ্জের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রচারের উদ্দেশে।

হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরীর শুভ ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশবাদী সংগঠনের মাহিন চৌধুরী, ফারুক আহমদ, কামাল উদ্দিন, সুরঞ্জন বর্মন, শাওন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, নোবেল আহমদ, রাব্বী হোসেন অংশ নেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে আলোচনা সভাও হয়। এতে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের সমস্যা বাড়ছে। নদী, আকাশ, বনভূমির মতো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যা মানুষের জীবনযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সোলার, বায়ু এবং জলবিদ্যুৎ শক্তি একটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। ফলে বায়ু ও জলদূষণ যেমন কমবে, তেমনি পৃথিবীর তাপমাত্রাও স্থিতিশীল হবে। এছাড়া, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার জনগণের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা সুনামগঞ্জের স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে পারবে। পরিবেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারবে। তারা বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি, একদিন সুনামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে নবায়নযোগ্য শক্তি পৌঁছাবে এবং এ অঞ্চলের নদী, আকাশ পরিষ্কার থাকবে।’

ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পান বলে জানিয়েছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান।

মাহফুজ

 

অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধ, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধ, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
নিহত যুবক মো. জাহেদ

অনলাইন ভিত্তিক জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

নিহত যুবকের নাম মো. জাহেদ (২০)। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান রসুলাবাদ পাড়ার বাসিন্দা কোরবান আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের রাবারড্যাম স্টেশনের লালামার ঘাটা থেকে মো. জাহেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. জাহেদের বাবা কোরবান আলী বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে অনলাইন জুয়া খেলার জন্য তার বন্ধু ইমনসহ আরও ৪ বন্ধু জাহেদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে সে আর বাড়িতে আসেনি। সকালে একজন রিকশা চালকের মাধ্যমে শুনেছি জাহেদকে কারা যেন মেরে ফেলেছে। 

তিনি আরও বলেন, জানতে পেরেছি জুয়া খেলার সময় বন্ধুদের সঙ্গে জাহেদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোনে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

নিহত জাহেদের মা রিজিয়া বেগম বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমার ছেলের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তার মোবাইলে থাকা টাকা ও মোবাইলের জন্য বন্ধুরাই তাকে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বশিরুল আলম শরীফ বলেন, সকালে স্থানীয়রা জাহেদের মরদেহ দেখার পর জাহেদের পরিবারকে খবর দেয়। পরে জাহেদের চাচা আমাকে জানালে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত জাহেদের বন্ধু ইমনসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মো. আরিফুল ইসলাম/মাহফুজ

নাচোলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
নাচোলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
নাচোলে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। ছবি: সংগৃহীত

‘জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিতা কেটে দুই দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। উপজেলা পরিষদ চত্বর মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মেলা উদ্বোধনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খান, সিনিয়র মৎস্য অফিসার ইমরুল কায়েস, সমাজসেবা অফিসার সোহেল রানা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুন নূর, বিআরডিবি অফিসার হারুন অর রশিদ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ২০টি স্টল অংশ নিয়েছে। নাচোল উপজেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করে।

আব্দুল আজিজ/মাহফুজ

কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’ সদস্য মাইনুদ্দিন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’ সদস্য মাইনুদ্দিন গ্রেপ্তার
কিশোর গ্যাং সদস্য মাইনুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার আলোচিত ও দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’ অন্যতম সদস্য মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি নগরীর ঝাউতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছে থাকা টাকা ও ধারালো চাকু জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার মাইনুদ্দিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কালাডুম্বুর এলাকার বাসিন্দা।

তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, ধারাল অস্ত্রসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টার সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রয়েছে। এছাড়াও নানা অপকর্মের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মাইনুদ্দিন ও তার গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে।

গত কয়েক মাস ধরে কুমিল্লা শহরে আবারও আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি। অল্পবয়সী কিশোর-তরুণদের বেপরোয়া তৎপরতায় শহরের বাসিন্দারা তটস্থ।

গেল কয়েক বছরে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়া কিশোর-তরুণদের হাতে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া মাদক কারবার, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে এসব গ্যাং।

এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ হিসেবে আলোচনায় উঠে আসে কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপ’ এবং ‘ঈগল গ্রুপের’ নাম।

সবশেষ গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকায় ভিক্টোরিয়া কলেজ-সংলগ্ন রানীর দিঘির পাড়ে অস্ত্রের মহড়া দেয় এ দুটি কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশতাধিক সদস্য।

এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। এরপর থেকে আবারো কিশোর গ্যাং গ্রুপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা বলছেন, আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও চুরি-ছিনতাই-চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা।

জহির/নাবিল/এমএ/

মায়ানমার থেকে ১৯ দিনে এলো মাত্র ১৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
মায়ানমার থেকে ১৯ দিনে এলো মাত্র ১৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল
টেকনাফ জেটিঘাটে ডালবোঝাই ট্রলার। ছবি: খবরের কাগজ

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতের কারণে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিতে। গত ১৯ দিনে মায়ানমার মংডু শহর থেকে আরাকান আর্মির তত্ত্বাবধানে জানুয়ারি মাসে তিনটি কাঠের ট্রলারে করে এসেছে মাত্র ১ হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল। 

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার ছৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান, মায়ানমারে জান্তা সরকার ও আরকান আর্মি সঙ্গে সংঘাত চলছে। সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থল বন্দরের সকল স্টেকহোল্ডাররা নীরবতার দিন পার করছে। সর্বশেষ গেল ১৪ ডিসেম্বর একটি মাছভর্তি ট্রলার এসেছিল। 

তিনি জানান, চলিত বছরের ৩ জানুয়ারি জিন্নাহ এন্টারপ্রাইজের কাছে ১ হাজার বস্তা ফেলন ডাল এসেছিল, ৫ জানুয়ারি একই সিএন্ডএফের কাছে আসছে ২৬০ বস্তা ডাল এবং সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি আসছে ৩০০ বস্তা ফেলন ডাল। আগের মতো পণ্যবোঝাই কোনো জাহাজ আসতে না পারার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি কাজ না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে শ্রমিকদেরও। 

টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা বি.এম আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, মায়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন মালামাল আমদানির বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া রপ্তানি হয়েছে ৬৩৬ মেট্রিক টন পণ্য। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয়েছে মাত্র ১১ হাজার মেট্রিক টন। রাজস্ব আদায় ৮৭ কোটি টাকা এবং রপ্তানি হয়েছে ৬৯১ মেট্রিক টন মালামাল। গেল অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব কমেছে ১৭০ কোটি টাকা। 

উল্লেখ্য, টেকনাফ স্থলবন্দরের মাস খানেক আগেও আমদানি পণ্যের ভিড় আর শ্রমিকদের সুরগোলে মুখরিত থাকত বন্দরের জেটি আর গাড়ির দীর্ঘ লাইনে। সেখানে আজ খালি পড়ে আছে বন্দরের জেটি, অলস বসে আছে শ্রমিকরা। কালেভদ্রে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে দু-একটা ট্রলার গেলেও মায়ানমার থেকে আসছে না কোনো মালামালবাহী ট্রলার। ফলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থাভাবে ভয়ংকর শঙ্কায় দিন কাটছে শ্রমিকদের।

মো. শাহীন/মাহফুজ