বিবিসির বিশ্লেষণ / কেন দক্ষিণে সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

বিবিসির বিশ্লেষণ কেন দক্ষিণে সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০০ এএম
কেন দক্ষিণে সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি
বিজেপি

চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত দশবার তামিলনাড়ু সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। একই রকমভাবে বারবার ফিরে গেছেন দক্ষিণ ভারতের আরেক রাজ্য কেরালাতেও। মোদি সেখানে আসন পেতে এবং নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে উদগ্রীব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তামিলনাড়ু বা কেরালার মতো রাজ্যে এই মুহূর্তে বিজেপির কোনো সংসদ সদস্যই নেই। অন্ধ্রপ্রদেশেও একই অবস্থা।

দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য- অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও কেরালা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পন্ডিচেরি মিলে যে মোট ১৩০টি সংসদীয় আসন রয়েছে, তার মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে মাত্র ২৯টি।

ওই ২৯ আসনের ২৫টিই কর্নাটকের, আর বাকি চারটি তেলেঙ্গানার। কর্নাটকই দক্ষিণের একমাত্র রাজ্য, যেখানে বিজেপি এককভাবে কোনো সরকার গড়তে পেরেছে। তবে গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সেখানে জিতে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে।

তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। গতকাল শুক্রবার ভোট হচ্ছে কেরালায় ও দক্ষিণ কর্নাটকে। কর্নাটকের উত্তরাঞ্চলে ভোট ৭ মে, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় ভোট ১৩ মে। 

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের জন্য চারশরও বেশি আসন পেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই লক্ষ্যের ধারে-কাছে যেতে হলে বিজেপির দক্ষিণ ভারতে বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি আসন পেতে হবে।

কারণ উত্তর, পশ্চিম বা পূর্ব ভারতে যেসব রাজ্য রয়েছে, সেগুলো প্রায় সর্বোচ্চসংখ্যক আসন তাদের ঝুলিতে আগে থেকেই আছে। সেগুলো আর নতুন করে বাড়ানোর কিছু নেই। ফলে বিজেপির আসন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে কেবল দক্ষিণেই।

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, দক্ষিণে চিরকালই বিজেপির রাজনৈতিক ভাবধারা ও দর্শন প্রত্যাখ্যান হয়ে এসেছে। শতকরা ভোটের হার বা আসনসংখ্যা– দুই দিক থেকেই ওই রাজ্যগুলোতে বিজেপির প্রভাব বরাবরই ছিল নগণ্য।

মাঝেসাঝে তামিলনাড়ু বা অবিভক্ত অন্ধ্রে দু-একটা আসন পেলেও কর্নাটক ছাড়া বিজেপি দক্ষিণের কোনো স্থানেই তেমন কোনো সাফল্য পায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে নানা ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক কারণ আছে, যা অতিক্রম করার জন্য তারা এখন চেষ্টা চালাচ্ছে।

ব্লুমবার্গের কলামিস্ট ও বিশ্লেষক অ্যান্ডি মুখার্জি জানান, দক্ষিণ ভারতে সামাজিক সংস্কারের একটা দীর্ঘ পরম্পরা আছে। সেটাই তাদের উত্তর ভারতের রাজনীতি থেকে চিরকাল আলাদা করে রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘তামিলনাড়ু হিন্দুদের জাতপাতের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছে। পাশের রাজ্য কেরালাতেও শিক্ষার হার প্রায় একশ ভাগ, আর সেটাই ছিল ভারতে প্রথম রাজ্য- যেখানে কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এসেছিল। ফলে বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কখনো সেখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।’

দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি স্থান মুসলিম বা খ্রিষ্টান অধ্যুষিত হলেও সার্বিকভাবে গোটা অঞ্চলটিই হিন্দুপ্রধান। সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠী সাধারণভাবে খুবই ধর্মভীরু। হিন্দুদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী মন্দিরগুলোর বেশির ভাগও দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত। তা সত্ত্বেও বিজেপির মতো একটি হিন্দুত্ববাদী দল সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ ভারতে।

তামিলভাষী প্রবীণ সাংবাদিক সুধা রামাচন্দ্রনের মতে, বিজেপির হিন্দুত্বের সংজ্ঞা, আর দক্ষিণের মানুষের হিন্দু জীবনচর্যার মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে। ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’ সাময়িকীর দক্ষিণ এশিয়া সংস্করণের সম্পাদক রামাচন্দ্রনের মতে, ‘দক্ষিণ ভারতে যে দ্রাবিড়িয়ান আদর্শবাদ প্রসার পেয়েছে, সেটা ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফলে বিজেপিকে সেখানে দেখা হয় হিন্দি-হিন্দুত্ব-উচ্চবর্ণের আদর্শের প্রতীক হিসেবে। দুটোর মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত বিরোধ আছে।’

অন্যদিকে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য ও তামিলনাড়ুর রাজনীতিক জি রামাকৃষ্ণন বলেন, ‘দক্ষিণ ভারতের মানুষ কিন্তু হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে নন, তবে তারা হিন্দুত্বের বিরোধী।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দুত্ববাদীদের আইকন সাভারকর নিজেই বলেছিলেন হিন্দুত্ব আর হিন্দু ধর্ম এক জিনিস নয়। তাদের হিন্দুত্ব হলো একটা রাজনৈতিক প্রকল্প, যা দক্ষিণ ভারতের মানুষ সব সময় বর্জন করে এসেছে।’

দক্ষিণ ভারতের ‘রাজনৈতিক রহস্য’ যে বিজেপি দীর্ঘদিন ভেদ করতে পারেনি, তা দিল্লিতে শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারা খোলাখুলিই স্বীকার করেন। বিজেপির পলিসি রিসার্চ উইংয়ের প্রধান ড. বিনয় সহস্রবুদ্ধে বলেন, বিজেপিকে নিয়ে দক্ষিণ ভারতে নানা রকমের ‘ভুল ধারণা’ আছে।

পাশাপাশি তিনি দাবি করছেন, গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির শাসনে সেই ‘ভুল’গুলো অনেকটাই ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে দক্ষিণে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, কেন্দ্রে এক দশক ধরে নরেন্দ্র মোদির শাসন দক্ষিণ ভারতীয়দের বিজেপির প্রতি আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সূত্র: বিবিসি

ইসরায়েলকে দেওয়া বোমার চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
ইসরায়েলকে দেওয়া বোমার চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে এমন শঙ্কায় গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার শিপমেন্ট যেতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওই শিপমেন্টে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৮০০ বোমা এবং ৫০০ পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৭০০ বোমা ছিল। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ বিষয়ে।

রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে উদ্বেগ রয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে নিরসন করতে পারেনি ইসরায়েল। রাফার বেসামরিকদের নিরাপদে রাখা নিয়েও সেরকম কোনো পরিকল্পনা জানাতে পারেনি দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা উপত্যকায় এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে মিসরের সঙ্গে গাজার রাফার সীমান্ত পারাপারের অংশটুকু ট্যাংক দিয়ে দখলে নেয় তারা।

বিবিসির খবর বলছে, বিশেষভাবে রাফাকে ঘিরে তীব্র বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনগত রাতের হামলায় এক পরিবারের সাতজন মারা গেছেন।

গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাফা সীমান্ত পারাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধু ওই স্থান দিয়েই স্থলপথে ত্রাণ ঢুকছিল গাজায়। এ ছাড়া মানুষও শুধু ওই অংশটি দিয়েই যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে পালাতে পেরেছে।

গত সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফায় অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষকে শহরের ভেতরেই পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূলে ও অবকাঠামো অপসারণে ‘সীমিত’ অভিযান শুরু করবে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে মিসরের কায়রোয় আলোচনা প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিরাও যাতে মুক্তি পায়।

হোয়াইট হাউস প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলের রাফায় স্থল অভিযান শুরু করা উচিত না- এই অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছে, যাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কীভাবে রাফার জনসাধারণের মানবিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হবে এবং হামাসের বিরুদ্ধে সেখানে ঠিক কীভাবে ভিন্ন পন্থায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। ওই আলাপগুলো এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগ পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

হোয়াইট হাউস প্রশাসনের কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলি নেতারা এখন এরকম একটি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কারণে আমরাও আমাদের বিশেষ কিছু অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টিকে সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছি, যা হয়তো রাফায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ওই পর্যালোচনার ফলাফল হিসেবে আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি শিপমেন্ট স্থগিত করে দিয়েছে। সেটিতে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৮০০ বোমা ও ৫০০ পাউন্ড ওজনের ১ হাজার ৭০০ বোমা ছিল। আমরা বিশেষভাবে ভেবেছি, ওই বোমাগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হবে ও ঘনবসতিতে সেগুলো কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে। বিশেষ করে ২ হাজার পাউন্ডের বোমাটির ব্যবহার নিয়ে আমরা ভেবেছি।
অজ্ঞাতনামা ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন যে, তাদের পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বিবিসি  

বিশ্ববাজার থেকে টিকা সরাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
বিশ্ববাজার থেকে টিকা সরাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজার থেকে সব কোভিড টিকা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ-সুইডিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। করোনাভাইরাস মহামারির চার বছর পর গত মঙ্গলবার তাদের পক্ষ থেকে এলো এ ঘোষণা।

টিকা সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, কোভিডের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব এবং সেগুলো প্রতিরোধে বাজারে পর্যাপ্ত হালনাগাদ টিকা আছে। এ কারণে তাদের চাহিদা কমে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে- শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ও ক্ষতি হওয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের আদালতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাও চলছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপে তৈরি একই টিকার নাম তারা দিয়েছিল ভ্যাক্সজেভরিয়া।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ। শুধু যুক্তরাজ্যে অন্তত ৮১ জনের মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম। সূত্র: রয়টার্স  

মুখোমুখি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস, আদালতে উত্তেজনা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
মুখোমুখি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস, আদালতে উত্তেজনা
স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার মামলায় গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালতে।

কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই শুনানি চলছে নিউইয়র্কের আদালতে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার মুখোমুখি করা হয় দুজনকে।

ঢিলেঢালা কালো পোশাক, পেছনে চুল বেঁধে আদালতে উপস্থিত হন সাবেক পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ট্রাম্পের মুখোমুখি হলেও এ সময় তাকে একবারও তাকাতে দেখা যায়নি সাবেক প্রেসিডেন্টের দিকে। আদালতের কাঠগড়ায় তিনি যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ সেই যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা বর্ণনা করেন।

বিবিসির খবর বলছে, ট্রাম্প ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির ৩৪টি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে একটিতে বলা হচ্ছে- ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা ড্যানিয়েলসকে জেরা করার আগে একাধিকবার আপত্তি তোলেন। তারা তখন বলেন, ড্যানিয়েলসের সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে পুরো ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এ ছাড়া বিষয়টিকে পক্ষপাতমূলক আচরণ হিসেবেও অভিহিত করেন তার আইনজীবীরা। শুনানিতে ড্যানিয়েলসকে কয়েকবার থামানোর চেষ্টাও করতে দেখা যায় ট্রাম্পের আইনজীবীদের। ড্যানিয়েলসের সব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা নিয়েই মূলত আপত্তি ওঠে সে সময়। আদালতে বিচারকও মন্তব্য করেন, এত বিশদভাবে সব বর্ণনা করার বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। পাশাপাশি সাক্ষীকে পুরো ঘটনা সংক্ষেপে বলার নির্দেশ দেন তিনি।

অন্যদিকে আদালতে শুনানির পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান যে বিচার প্রক্রিয়া ভালোভাবে চলছে বলেই মনে করছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি 

বুশরা বিবিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২০ এএম
বুশরা বিবিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের
বুশরা বিবি

বুশরা বিবির অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আদালত। নিরাপত্তা উদ্বেগের দোহাই দিয়ে গৃহবন্দি রাখার বদলে যাতে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, আদালতের কাছে সে অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী। আদালত তার সে আবেদন গতকাল বুধবার মঞ্জুর করেন।

বুশরা বিবিকে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতেই বন্দি রাখা হয়েছিল। ওই বাড়িটিকে সাব জেল ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে নিজে আবেদন জানান বুশরা বিবি।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর অভিযোগ, তাকে ওই বাড়িতে বন্দি রেখে বিষাক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইমরান খানের দলের প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, আদালত বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। ওই কারাগারেই ৭০ বছরের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে গ্রেপ্তার রাখা হয়েছে। সেখানে ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স   

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, রুশ হামলায় তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানান তারা।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিদ্যুৎমন্ত্রী জার্মান গালুশচেনকো বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎশিল্পের ওপর আবারও বড় আঘাত।’ তিনি জানান, পোল্টোভা, কিরোভোহরাদ, জাপোরিঝিয়া, লভিভ, আইভানো-ফ্রাঙ্কিভিস্ক ও ভিনিৎসিয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো আক্রান্ত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, শুধু জাপোরিঝিয়া অঞ্চলটি ছাড়া বাকি সব এলাকাই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। বর্তমানে মূলত যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মাত্রা ও ব্যাপ্তি কতটুকু তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এ ছাড়া এ বিষয়ে মস্কোর পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালক ইউক্রেনেগ্রো টেলিগ্রামে জানান, মধ্য ইউক্রেনে তাদের এক অবকাঠামোর সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি সংস্থাটি।

মধ্য পোল্টোভা অঞ্চলে এক বিদ্যুৎ অবকাঠামো ড্রোন হামলার কবলে পড়েছিল। এ থেকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয় বলেও উল্লেখ করেছেন ওই অঞ্চলের গভর্নর ফিলিপ প্রনিন।

প্রাথমিক তথ্যানুসারে, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পৃথক পৃথকভাবে ভিনিৎসিয়া ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নররা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। তারাও বাড়তি কোনো তথ্য দেননি।

কিয়েভকে লক্ষ্য করে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো। তিনি আরও জানান, এসব হামলার জেরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কিয়েভে অবস্থানরত রয়টার্স প্রতিনিধিও জানিয়েছেন, তিনি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। সেটি শুনে মনে হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো কিছুতে আঘাত হানছে।

লভিভেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে জানা গেছে। ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত রয়েছে ওই অঞ্চলে। সূত্র: রয়টার্স