স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকে শুধুই খরচ হিসেবে বিবেচনা করলে হবে না। এটাকে স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুধু স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনেই অবদান রাখে না, দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের চিকিৎসায় যে বিশাল খরচের বোঝা সৃষ্টি হয় তা থেকে রাষ্ট্র ও ব্যক্তিকে রেহাই দেয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ব্যবহার যদি বাড়ে, তৃতীয় পর্যায়ের বড় বড় হাসপাতালে অনাবশ্যক ভিড় নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের ভৌগোলিক ও জনগোষ্ঠীর আওতার পরিধি ও কেন্দ্রের উৎকর্ষতা পরিমাপের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হবে।...
এ বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই সংস্কারের প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রত্যাশা এর বাইরে নয়। স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার নিয়ে নানা পর্যায়ে সভা-সেমিনার, পত্রিকায় লেখালেখি, টেলিভিশনে আলোচনা হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সংস্কারের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার একটি ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ছয়টি খুঁটি বা স্তম্ভ আছে। এগুলো হচ্ছে- সেবা প্রদান ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য জনবল, স্বাস্থ্য তথ্যব্যবস্থা, জরুরি ওষুধের প্রাপ্যতা, অর্থ, নেতৃত্ব/শাসনব্যবস্থা। সব বিষয় একসঙ্গে সংস্কার করতে গেলে বেশ সময় নিয়ে তা করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে কোথা থেকে শুরু করতে হবে? শুরু না করলে তো কাজ এগোবে না।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটি জটিল ও বহুমুখী কাঠামোসম্পন্ন। এখানে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে এখানে নানা সমস্যাও আছে। অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, অবকাঠামোর অভাব, স্বাস্থ্যকর্মীর অপ্রতুলতা, অদক্ষ রেফারাল (উচ্চতর হাসপাতালে পাঠাবার সুপারিশ) প্রক্রিয়া, দুর্বল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও আরও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। একটি শক্তিশালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো এসব সমস্যা সমাধানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। সারা বিশ্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একটি কার্যকরী স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু আমাদের দেশে এটি অপর্যাপ্ত ও অবহেলিত। এজন্য মাধ্যমিক ও তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক রোগীর ভিড় লেগে থাকে। যদি স্বাস্থ্যসেবার প্রাথমিক স্তরে এসব রোগী সেবা নেওয়ার সুযোগ পেত, তাহলে অনেককেই হয়তো মাধ্যমিক বা তৃতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে যেতে হতো না।
একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভক্ত। তৃণমূল পর্যায়ে জনসমাজ (কমিউনিটি) ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এটা প্রায়শই সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে জনসমাজে যখন জনস্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়, তখন এটি প্রকট আকার ধারণ করে। তখন হয় একই কাজ দুটি মন্ত্রণালয় করে অথবা একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে কেউ এ কাজে হাত দেয় না। চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে আমরা এমন চিত্রই দেখছি। নগরে স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়, আর বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে তা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এ বিভক্তি একটি সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নকে বাধার মুখে ফেলছে। ব্রিটেনের আদলে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) ব্যবস্থা চালু করলে এ বিভক্তি দূর হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ) বাস্তবায়িত করার। এটা তখনই সম্ভব হবে যদি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের আদলে সমগ্র দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ও প্রয়োজনীয় জনবল/ সামগ্রী থাকে। গ্রামাঞ্চলে অনেক গ্রামেই কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র রয়েছে। মহানগর অঞ্চলে এরূপ কোনো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। মাঝে মাঝে এনজিওর মাধ্যমে সীমিত আকারে নগর/ মহানগরে ওয়ার্ড পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য-পুষ্টি সেবা দেওয়া হয়।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত করতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী প্রভৃতি জনবল নিযুক্ত করে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। এসব কেন্দ্র শুধু রোগনির্ণয় ও রোগীর চিকিৎসাই করবে না, এখানে রোগ প্রতিরোধমূলক সেবা, স্বাস্থ্য উন্নয়নমূলক সেবা কার্যক্রমও থাকবে। জটিল রোগীদের এখান থেকেই মাধ্যমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র/ হাসপাতাল বা প্রয়োজনবোধে তৃতীয় পর্যায়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে/ হাসপাতালে রেফার (সুপারিশ) করা হবে। এখন অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য সরাসরি তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতালে চলে যান। গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল থাকলেও সরাসরি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভিড় করেন রোগীরা। আর মহানগর/ নগরে তো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আউটডোর (বহির্বিভাগ) ব্যবস্থা আছে বড় বড় মেডিকেল কলেজেই। মাধ্যমিক পর্যায়ের সেবাও দেওয়া হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যেকোনো রোগীর সেখানে না গিয়ে তো উপায় থাকে না। যদিও এসব মহানগর/ নগরে হাতেগোনা কিছু আউটডোর ডিসপেনসারি (ঔষধালয়) রয়েছে। সেগুলো খুবই দুর্বল এবং মানুষের কাছে অজানা- ফলে এগুলো প্রায় অব্যবহৃত হয়েই পড়ে থাকে। এসব শহরে পূর্ণ কাঠামোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা যদি আমরা তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আকস্মিক জরুরি রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের জন্য রেফারাল (সুপারিশ) পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা যাবে। রেফার (সুপারিশ) করা রোগীর সুবিধা হলো তারা কোনো পদ্ধতিগত ঝামেলা ছাড়াই সুপারিশমতো উচ্চ পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, দরকার হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন। তৃতীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে সব সময় ভিড় লেগে থাকবে না। এজন্য রেফারাল সমন্বয়কারী নিযুক্ত করা যেতে পারে।
সরকারের পক্ষে যদি এ মুহূর্তেই দেশের সব অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সেবাকার্য শুরু করা না যায়- তবে ব্যক্তি/ বেসরকারি মালিকানায় বিদ্যমান স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার নির্দিষ্ট মান ও কার্যপ্রণালি (প্রোটোকল) অনুসরণ ও সে অনুযায়ী খরচ/ ফি (যা প্রেটোকল অনুযায়ী নির্ধারিত থাকবে) পাওয়ার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন/ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে যোগদান করতে পারবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসককেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মর্যাদা দেওয়ার জন্য স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাধ্যমিক ও তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতালের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে মেডিকেল গ্রাজুয়েট চিকিৎসকরাও কাজ করবে। এখানে কর্মরত নার্স, মিডওয়াইফ (ধাত্রী), মেডিকেল প্রযুক্তিবিদ (টেকনোলজিস্ট), মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য জনবলের জন্য ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী ও সার্বক্ষণিক সচল রাখতে হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে (উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) আরও শক্তিশালী করতে হবে। অর্থের সংস্থান, জনবল নিয়োগ, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা প্রভৃতি বিষয়ে বিদ্যমান সীমানার পরিসর আরও অনেক বাড়াতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্থ ব্যবস্থাপনা, আইটি ব্যবস্থাপনা, তথ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগীর স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবহারোপযোগী করতে হবে। ই-স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যকর হলে তৃণমূলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দক্ষতা অনেক গুণ বাড়বে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান সঙ্গে সঙ্গেই ঘটবে।
এজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকে শুধুই খরচ হিসেবে বিবেচনা করলে হবে না। এটাকে স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুধু স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনেই অবদান রাখে না, দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের চিকিৎসায় যে বিশাল খরচের বোঝা সৃষ্টি হয় তা থেকে রাষ্ট্র ও ব্যক্তিকে রেহাই দেয়। এটা বহু গবেষণায় দেখা গেছে, জনস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যে টাকা খরচ করলে তা জাতীয় আয় বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের স্বাস্থ্য বাজেটের অন্তত ৭০ শতাংশ প্রাথমিক ও জরুরি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় বরাদ্দ করা দরকার। সেটা পর্যায়ক্রমে আগামী বাজেট থেকেই শুরু হোক আর আগামী বাজেটের আগে সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে কাজটা শুরু হোক।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশক (যেমন- রোগীর সন্তুষ্টি, সেবার ধারাবাহিকতা, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন প্রভৃতি) অনুযায়ী কর্মক্ষমতাভিত্তিক প্রণোদনা চালু করা প্রয়োজন। দক্ষ জনশক্তি বিশেষ করে চিকিৎসকদের এখানে ধরে রাখতে উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকা দরকার।
স্থানীয় জনসমাজকে (কমিউনিটি) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় সহায়তামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চৌগাছা-ঝিনাইদহ মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে জনসম্পৃক্ত জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ব্যবহার যদি বাড়ে, তৃতীয় পর্যায়ের বড় বড় হাসপাতালে অনাবশ্যক ভিড় নিয়ন্ত্রিত হবে। স্বাস্থ্য জনবল বিশেষ করে চিকিৎসকদের সন্তুষ্টি ও টিকে যাওয়া যদি বাড়ে তাহলে জনবল সমস্যা জটিল হবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন, রোগপ্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রভৃতির হার/ পরিমাপ দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের দক্ষতা ও উৎকর্ষতা যাচাই করা যাবে। এ ছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের ভৌগোলিক ও জনগোষ্ঠীর আওতার পরিধি ও কেন্দ্রের উৎকর্ষতা পরিমাপের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত। এটি সুলভ, টেকসই এবং সমতাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন সবার জন্য সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারে।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডা. আমিনুল হাসান, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়)
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
[email protected]